সিঙ্গুর

সিঙ্গুর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার একটি শহর।

সিঙ্গুর
সিঙ্গুর
স্থানাঙ্ক: ২২°৪৯′ উত্তর ৮৮°১৪′ পূর্ব / ২২.৮১° উত্তর ৮৮.২৩° পূর্ব / 22.81; 88.23
জনসংখ্যা (২০০১)
 • মোট১৯,৫৩৯
সিঙ্গুর
সিঙ্গুরের ডাকাতে কালীমূর্তি

ভৌগোলিক উপাত্ত

শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২২°৪৯′ উত্তর ৮৮°১৪′ পূর্ব / ২২.৮১° উত্তর ৮৮.২৩° পূর্ব / 22.81; 88.23। সমুদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১৪ মিটার (৪৫ ফুট)।

জনসংখ্যার উপাত্ত

ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে সিঙ্গুর শহরের জনসংখ্যা ১৯,৫৩৯। এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%।

এখানে সাক্ষরতার হার ৭৬%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮১% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭১%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে সিঙ্গুর এর সাক্ষরতার হার বেশি।

এই শহরের জনসংখ্যার ৯% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।

টাটা মোটর কারখানা

সিঙ্গুর 
টাটা ন্যানো

সিঙ্গুরের শতকরা ৯০ শতাংশ জমি চাষাবাদে নিযুক্ত। এর মধ্যে ১০০০ একর জমি নিয়ে ২০০৬ সালে টাটা মোটর্স কোম্পানিকে দেওয়া হয়। ২০০৭-০১সালে এখানে টাটা ন্যানোর কারখানা নির্মাণ শুরু হয়। সেই সময়ে জানা যায় যে কিছু চাষিকে পুরো ক্ষতিপুরণ দেওয়া হয়নি, এবং জুন মাসে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোর্টে জানান যে প্রায় ৩০ শতাংশ চাষি ক্ষতিপূরণের চেক নিতে রাজি হন নি । এই নিয়ে ২০০৭ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসদলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর নেতৃত্বে প্রবল গণআন্দোলন আরম্ভ হয়।

আগস্ট ২০০৮ সালে এই ব্যাপক গণআন্দোলন এবং কোম্পানিতে চাকরিজীবীদের ওপর হামলার মুখে টাটা মোটর্স কারখানায় কাজ স্থগিত রাখেন এবং পরবর্তীকালে রতন টাটা তার কারখানা গুজরাটে স্থানান্তরিত করেন।

বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত

সম্প্রতি ৩১ শে আগস্ট ২০১৬-তে সুপ্রীম কোর্টে সিঙ্গুর মামলার ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা হয়। বিচারপতি অরুণ কুমার মিশ্র ও বিচারপতি ভি. গোপাল গৌড়া-র ডিভিশন বেঞ্চ, ২০০৬ সালের জমি অধিগ্রহণ অবৈধ ঘোষণা করে, টাটাগোষ্ঠীকে চাষীদের জমি ফেরত দেবার নির্দেশ দেয় এবং ১২ সপ্তাহের মধ্যে অনিচ্ছুক চাষীদের জমি ফিরিয়ে দেবার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়।

ঐতিহাসিক এই কারণে, হয়ত ভারতবর্ষের আর কোন রাজ্যে ভূমি আন্দোলন এরূপ প্রাধান্য লাভ করেনি। মূলতঃ এই মামলাই ৩৪ বৎসরের বামফ্রন্ট সরকারের ভিতকে উৎপাটিত করতে ও বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় আসার পথকে প্রসারিত করেছিল। তবে এই মামলার প্রভাব কিন্তু রাজনৈতিক ব্যাপ্তি ছাড়িয়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিসরেও বিস্তৃত। যেখানে সিঙ্গুরের ন্যানো কারখানা কয়েক হাজার বেকার যুবকযুবতীর স্বপ্নপূরনের প্রত্যাশা পূরনের প্রতিশ্রুতি ছিল, অন্যদিকে কৃষিপ্রধান রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের ১০০০ একর আবাদী জমি অধিগ্রহণে ন্যানো কারখানা গড়ে উঠলে কৃষিক্ষেত্রে অপূরনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হত, এটাকেও অস্বীকার করা যায় না।

বর্তমান সরকারের কৃষিনীতি ও শিল্পনীতি এখন কোন অভিমুখে পরিচালিত হয়, এখন সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Tags:

সিঙ্গুর ভৌগোলিক উপাত্তসিঙ্গুর জনসংখ্যার উপাত্তসিঙ্গুর টাটা মোটর কারখানাসিঙ্গুর বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতসিঙ্গুর তথ্যসূত্রসিঙ্গুর বহিঃসংযোগসিঙ্গুরপশ্চিমবঙ্গভারতহুগলি জেলা

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

অস্ট্রেলিয়া (মহাদেশ)সেনেগালবিজয় দিবস (বাংলাদেশ)গুগলভারতবাংলাদেশের নদীর তালিকাবারাসাত লোকসভা কেন্দ্রপর্যায় সারণিইউরোপীয় দেশগুলো ও অধীনস্থ ভূভাগের তালিকাবৌদ্ধধর্মের ইতিহাসঢাকা মেট্রোরেলরাজশাহী বিভাগচর্যাপদকারকউমাইয়া খিলাফতদারাজআদমএপেক্সগঙ্গা নদীসিলেটহুমায়ূন আহমেদদেশ অনুযায়ী ইসলামপ্রাকৃতিক সম্পদপূর্ণিমা (অভিনেত্রী)যুক্তফ্রন্টঢাকা মেট্রোরেলের স্টেশনের তালিকাবসন্ত উৎসবঢাকাকোস্টা রিকাবাংলার শাসকগণউহুদের যুদ্ধরক্তকালেমাঅ্যান্টিবায়োটিক তালিকাহাবীবুল্লাহ্‌ বাহার কলেজতারাবীহআগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাময়মনসিংহবঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)গৌতম বুদ্ধবিদ্রোহী (কবিতা)বিশেষ্যতাপমাত্রাকুমিল্লা জেলাআইজাক নিউটনউদ্ভিদকোষআল্লাহর ৯৯টি নামমোবাইল ফোনতথ্যশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়বাংলাদেশের জেলাপিংক ফ্লয়েডআবদুল হামিদ খান ভাসানীবাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রউপন্যাসপানিজানাজার নামাজশিক্ষাআহসান হাবীব (কার্টুনিস্ট)বেদপ্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারফিলিস্তিনের ইতিহাসদ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকাসূরা ক্বদরজাতীয়তাবাদগ্রাহামের সূত্রশবনম বুবলিমানুষউমর ইবনুল খাত্তাবযাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রমানিক বন্দ্যোপাধ্যায়তুরস্কবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ভারতের জাতীয় পতাকানিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রবাংলাদেশের অর্থনীতি🡆 More