রেড স্কয়ার

লাল চত্বর (রুশ: Красная площадь, উচ্চারণ: ক্রাস্নায়া প্লোষাদ্) রাশিয়ার মস্কোতে অবস্থিত বিখ্যাত নগর চত্বর। এটি ক্রেমলিনকে পৃথক করছে যা বর্তমানে রুশ রাষ্ট্রপতির বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ঐতিহাসিকভাবে এটি কিতে-গোরোদ বা চীন শহর নামে ব্যবসায়িক কেন্দ্রস্থল। মস্কোর চতুর্দিকে সকল রাস্তার মিলনস্থলরূপে বিবেচ্য। প্রায়শঃই এটি মস্কো তথা রাশিয়ার কেন্দ্রীয় চত্বর হিসেবে পরিগণিত।

ক্রেমলিন ও লাল চত্বর, মস্কো
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
View from St. Basil's Cathedral
মানদণ্ডসাংস্কৃতিক: i, ii, iv, vi
সূত্র৫৪৫
তালিকাভুক্তকরণ১৯৯১ (১৪শ সভা)

রাশিয়ার অত্যন্ত জনপ্রিয় জায়গা হিসেবে এটি ব্যাপকভাবে পর্যটন আকর্ষণে সক্ষমতা অর্জন করেছে। যোসেফ স্টালিনের মরদেহ রেড স্কয়ারের কাছাকাছি সংরক্ষণ করা ছিল। লেনিনের মরদেহও সেখানেই ছিল কিন্তু পরবর্তীতে তা স্থানান্তরিত হয় এবং ক্রেমলিন প্রাচীরের কাছে কোনরূপ আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সমাহিত করা হয়।

নামকরণ

ইটের রঙ কিংবা সমাজতন্ত্র ও এর লাল রঙের মধ্যকার সম্পর্কের জন্যেই রেড স্কয়ার শব্দের প্রবর্তন ঘটেছে বলে ধারণা করা হয়। তবে ইটের রঙের বিষয় নিয়ে ইতিহাসবেত্তারা দ্বিমত পোষণ করেন; কেননা ঐ সময় সেখানে সাদা রঙেরও প্রচলন ছিল।

রুশ শব্দ красная (krasnaya) - যার অর্থ দাঁড়ায় 'লাল' কিংবা 'সুন্দর'। সুন্দর শব্দটি প্রকৃতপক্ষে সেন্ট ব্যাজল'স ক্যাথিড্রালে প্রচলিত ছিল এবং পরবর্তীতে পার্শ্বের চত্বর হিসেবে রেড স্কয়ারে প্রয়োগ হয়। ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে, চত্বরটি তার বর্তমান নামে পরিচিতি পায় সপ্তদশ শতকে। অনেক প্রাচীন রুশ শহর যেমন : সাজদাল, ইয়েলেতস এবং পেরেস্লাভ-জালেস্কিতে তাদের প্রধান চত্বরের নামকরণ করেছিল 'ক্রাজনায়া প্লোশচাদ' নামে।

ইতিহাস

রেড স্কয়ার 

প্রাচীন ও দর্শনীয় স্থান হিসেবে রেড স্কয়ারের সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। এগুলো বিভিন্ন চিত্রকর্ম বিশেষ করে ভাসিলি সুরিকভ, কনস্ট্যানটাইন যুন এবং অন্যান্য অনেক চিত্রকরের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। চত্বরটি প্রধানত মস্কোর প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এছাড়াও এখানে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানাদি, বিক্ষোভ-সমাবেশ এবং রাশিয়ার জারের শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছিল। সেলক্ষ্যেই চত্বরের নির্মাণ করা হয় ও প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই রুশ সরকারের রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ড উদ্‌যাপন করা হয়।

ঘটনাবলী

২৮ মে, ১৯৮৭ তারিখে ম্যাথিয়াস রাস্ট নামীয় এক পশ্চিম জার্মান পাইলট হাল্কা বিমান নিয়ে রেড স্কয়ারের কাছাকাছি সেন্ট ব্যাসিলে অবতরণ করে। এরফলে সোভিয়েত বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ব্যাপক সমালোচনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

১৯৯০ সালে ক্রেমলিন এবং রেড স্কয়ারকে সোভিয়েত ইউনিয়নের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা হিসেবে ইউনেস্কো কর্তৃক তাদের তালিকায় বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেয়া হয়।

জানুয়ারি, ২০০৮ সালে রুশ সরকার ঘোষণা করে যে - রেডস্কয়ার দিয়ে কোনরূপ সামরিক যান দিয়ে কুচকাওয়াজ করবে না। মে, ২০০৮ সালে রাশিয়ার বার্ষিক বিজয় দিবস পালন করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাজি জার্মানিকে পরাজিত করার ৬৩তম বার্ষিকীতে এ দিবস উদযাপিত হয়। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাবার পর প্রথমবারের মতো রুশ সামরিক যান দিয়ে এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। ৪ ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে কেএইচএল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে যে, তারা জানুয়ারি ১০ তারিখে সকল তারকার মিলনে বহিরাঙ্গনে অনুষ্ঠান পালন করবে।

৯ মে, ২০১০ সালে মস্কোর বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজের ৬৫তম বার্ষিকীতে ১৯৪৫ সালে জার্মানির পরাজয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এতে ফ্রান্স, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী মস্কো বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:Kremlin টেমপ্লেট:Moscow Victory Parade

Tags:

রেড স্কয়ার নামকরণরেড স্কয়ার ইতিহাসরেড স্কয়ার ঘটনাবলীরেড স্কয়ার তথ্যসূত্ররেড স্কয়ার বহিঃসংযোগরেড স্কয়ারক্রেমলিনমস্কোরাশিয়ারুশ ভাষা

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডসমূহকান্তনগর মন্দিরদৈনিক ইত্তেফাকআসরের নামাজমাইটোসিসরুকইয়াহ শারইয়াহহরমোনরাশিয়াতাজউদ্দীন আহমদজলাতংকহাদিসইউরোপীয় দেশগুলো ও অধীনস্থ ভূভাগের তালিকাবঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)কৃষ্ণমাদার টেরিজাজোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনমাইটোকন্ড্রিয়াব্যাকটেরিয়াহায়দ্রাবাদ রাজ্যউসমানীয় উজিরে আজমদের তালিকাজসীম উদ্‌দীনকার্বন ডাই অক্সাইডঅর্থ (টাকা)শাহরুখ খানখালিদ বিন ওয়ালিদচাঁদবিতর নামাজগাঁজা (মাদক)ফজলুর রহমান (কিশোরগঞ্জের রাজনীতিবিদ)সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদঅস্ট্রেলিয়াগুজরাত টাইটান্সচাকমারশ্মিকা মন্দানাসূরা কাফিরুনকুরআনহিমালয় পর্বতমালাসিকিমরূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রছোলাহুমায়ূন আহমেদজনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)পাকিস্তানতাজমহলসুলতান সুলাইমানক্রিকেটতাশাহহুদইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সআহসান হাবীব (কার্টুনিস্ট)সালাতুত তাসবীহমক্কাইসরায়েলমাতৃভাষীর সংখ্যা অনুসারে ভাষাসমূহের তালিকালোটে শেরিংভৌগোলিক নির্দেশকরোজাজাতীয় গণহত্যা স্মরণ দিবসবাংলা শব্দভাণ্ডারগরুহেপাটাইটিস সিব্যাংকবাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চলবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকারাগারের রোজনামচাও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদমদিনাঅর্শরোগযক্ষ্মাবাংলা একাডেমিমালাউইভুটানবাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষকব্রাহ্মসমাজসুকান্ত ভট্টাচার্যনাটকসুফিয়া কামালভূগোল২০২৩সংস্কৃতি🡆 More