মৌলভীবাজার জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। বিশেষ বিবেচনায় মৌলভীবাজার বাংলাদেশের একটি “এ” শ্রেণীভুক্ত জেলা। মৌলভীবাজার পৌরসভাকে বাংলাদেশের অন্যতম সুন্দর পৌরসভা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। প্রশাসনের উদ্যোগে এই পৌরসভার ব্যাপক কর্মকাণ্ড চলছে। বর্তমান পৌরসভাকে আরো আধুনিক ও মানসম্পন্ন নাগরিক সুবিধা দিতে কর্তৃপক্ষ ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
মৌলভীবাজার | |
---|---|
জেলা | |
মৌলভীবাজার | |
বাংলাদেশে মৌলভীবাজার জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৪°৩০′ উত্তর ৯১°৫০′ পূর্ব / ২৪.৫০০° উত্তর ৯১.৮৩৩° পূর্ব | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | সিলেট বিভাগ |
আয়তন | |
• মোট | ২,৭৯৯.৩৮ বর্গকিমি (১,০৮০.৮৫ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৯,৯৪,২৫২ |
• জনঘনত্ব | ৭১০/বর্গকিমি (১,৮০০/বর্গমাইল) |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৯৮.২ |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
প্রশাসনিক বিভাগের কোড | ৬০ ৫৮ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
উত্তরে সিলেট জেলা, দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা, পূর্বে ভারতের আসাম ও ত্রিপুরা, পশ্চিমে হবিগঞ্জ জেলা। জেলার প্রধান নদ-নদী ৬ (ছয়)টি- মনু, বরাক, ধলাই, সোনাই, জুড়ী ও কুশিয়ারা।
মৌলভীবাজার জেলা ৭টি উপজেলা, ৭টি থানা, ৫টি পৌরসভা, ৬৭টি ইউনিয়ন, ৮৯৯টি মৌজা, ২০১৫টি গ্রাম ও ৪টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।
মৌলভীবাজার জেলায় মোট ৭টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা | সংসদ সদস্য | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৩৫ মৌলভীবাজার-১ | বড়লেখা উপজেলা এবং জুড়ী উপজেলা | শাহাব উদ্দিন | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
২৩৬ মৌলভীবাজার-২ | কুলাউড়া উপজেলা | শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
২৩৭ মৌলভীবাজার-৩ | রাজনগর উপজেলা এবং মৌলভীবাজার সদর উপজেলা | মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
২৩৮ মৌলভীবাজার-৪ | কমলগঞ্জ উপজেলা এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলা | আব্দুস শহীদ | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
শাহ মোস্তফা-এর বংশধর মৌলভী সৈয়দ কুদরতউল্লাহ অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি মনু নদীর উত্তর তীরে কয়েকটি দোকানঘর স্থাপন করে ভোজ্যসামগ্রী ক্রয় বিক্রয়ের সুযোগ সৃষ্টি করেন। মৌলভী সৈয়দ কুদরতউল্লাহ প্রতিষ্ঠিত এ বাজারে নৌ ও স্থলপথে প্রতিদিন লোকসমাগম বৃদ্ধি পেতে থাকে। ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমের মাধ্যমে মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে মৌলভীবাজারের খ্যাতি।
কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব : হয়রত শাহ মোস্তফা (র:), মৌলভী সৈয়দ কুদরতউল্লাহ, মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী হামিদুর রহমান,কবি মুজাফফর খান, সৈয়দ মুজতবা আলী, প্রাক্তন প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদ সদস্য, খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ ও দানশীল ব্যক্তিত্ব মো. কেরামত আলী,পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যমোহাম্মদ মুহিবুর রহমান [১], জাতীয় পরিষদ সিলেটের প্রথম মহিলা সদস্য বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী, সাবেক স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, গবেষক ড. রঙ্গলাল সেন প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধ : মুক্তিযুদ্ধে মৌলভীবাজার ছিল ৪ নং সেক্টরের অধীন। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন সি.আর.দত্ত। মৌলভীবাজার সদরের ঘরোয়া গ্রামের হত্যাকাণ্ড, নড়িয়া গ্রামের গণহত্যা, রাজনগর পাঁচগাঁও এর গণহত্যা, বড়লেখা ও কুলাউড়ার বধ্যভূমিতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ আজও মানুষকে কাঁদায়। ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার শত্রুমুক্ত হয়।
পণ্ডিত।
মৌলভীবাজার এর অর্থনীতির প্রধান ভীত হলো চা শিল্প ও রাবার শিল্প। এ জেলায় প্রচুর পরিমানে চা ও রাবার উৎপাদিত হয়। এ ছাড়াও জেলার অর্থনীতিতে পর্যটন শিল্পও বিশেষ ভাবে উল্ল্যেখযোগ্য, তা ছাড়াও এখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় শিল্প- যা মৌলভীবাজার জেলার অর্থনীতিকে করছে সমৃদ্ধশালী।
৩০০ বছরের পুরোনো মাজার।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article মৌলভীবাজার জেলা, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.