সিলেট: বাংলাদেশের শহর

সিলেট উত্তর-পূর্ব বাংলাদেশের একটি প্রধান শহর, একই সাথে এই শহরটি সিলেট বিভাগের বিভাগীয় শহর। এটি সিলেট জেলার অন্তর্গত। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকাই মূলত সিলেট শহর হিসেবে পরিচিত। সিলেট ২০০৯ সালের মার্চ মাসে একটি মেট্রোপলিটন শহরের মর্যাদা লাভ করে। সুরমা নদীর তীরবর্তী এই শহরটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এ শহরটি দেশের আধ্যাত্মিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত। সিলেট অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে পরিচিত। শিল্প, প্রাকৃতিক সম্পদ ও অর্থনৈতিক ভাবে সিলেট দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ধনী জেলা। এ শহরের বিশাল সংখ্যক লোক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসবাস করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ করে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। সিলেটের পাথর, বালুর গুণগতমান দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। এখানকার প্রাকৃতিক গ্যাস সারা দেশের সিংহভাগ চাহিদা পূরণ করে থাকে।

সিলেট
মহানগরী
সিলেট: নামকরণ, ইতিহাস, ভূগোল
সিলেট: নামকরণ, ইতিহাস, ভূগোল
সিলেট: নামকরণ, ইতিহাস, ভূগোল
Shah Jalal
সিলেট: নামকরণ, ইতিহাস, ভূগোল
সিলেট: নামকরণ, ইতিহাস, ভূগোল
উপর থেকে ঘড়ির কাঁটার দিকে:
'
সিলেট শহরের কেন্দ্রস্থল, সিলেট রেলওয়ে স্টেশন, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, চা বাগান, শাহজালালের মাজার, সিটি পয়েন্ট।
সিলেট সিলেট বিভাগ-এ অবস্থিত
সিলেট
সিলেট
সিলেট বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
সিলেট
সিলেট
সিলেট এশিয়া-এ অবস্থিত
সিলেট
সিলেট
সিলেট পৃথিবী-এ অবস্থিত
সিলেট
সিলেট
বাংলাদেশের সিলেটর অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৪°৫৪′ উত্তর ৯১°৫২′ পূর্ব / ২৪.৯০০° উত্তর ৯১.৮৬৭° পূর্ব / 24.900; 91.867
দেশবাংলাদেশ
বিভাগসিলেট বিভাগ
জেলাসিলেট জেলা
মহানগরী৩১ মার্চ ২০০৯
সিটি কর্পোরেশন৯ এপ্রিল ২০০১
পৌর শহর১৮৬৭
সরকার
 • ধরনমেয়র - কাউন্সিলর
 • শাসকসিলেট সিটি কর্পোরেশন
 • মেয়রআনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী
আয়তন
 • মোট৪১.৮৫ বর্গকিমি (১৬.১৬ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৫,৩১,৬৬৩
সময় অঞ্চলবামাস (ইউটিসি+০৬:০০)
পোস্ট কোড৩১০০
ওয়েবসাইটwww.scc.gov.bd

শাহ জালালশাহ পরান-এর পবিত্র মাজার শরীফ এ শহরে অবস্থিত। প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ লোক মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে আগমন করে। আসে বিপুল সংখ্যক পর্যটক।

নামকরণ

বাংলা ও আঞ্চলিক সিলটি ভাষায় প্রাচীনকাল থেকেই সিলেটকে শ্রীহট্ট নামে ডেকে আসা হয়েছে। কিন্তু শ্রীহট্ট নামের উৎস নিয়েও রয়েছে ব্যাপক অস্পষ্টতা। এর সাথে হিন্দু পৌরাণিক আখ্যানের প্রভাব জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হয়। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী শ্রী শ্রী হাটকেশ্বর হচ্ছে মহাদেব শিবের বহু নামের অন্যতম। তৎকালীন গৌড় (শ্রীহট্ট) রাজাদের কর্তৃক পুজিত শ্রী হাটকেশ্বরই শ্রীহট্ট নামের উৎস বলে অনেকে মনে করেন। আবার হিন্দুদেবী লক্ষ্মীর আরেক নাম শ্রী, বর্তমান সিলেট শহরের অনতিদূরে দেবী মহালক্ষ্মীর একটি সুপ্রসিদ্ধ মন্দির‌ও রয়েছে, যেটি আবার সতীপীঠের মধ্যেও অন্যতম, অত‌এব, শ্রীহট্ট নামটি শ্রী-এর হাট (অর্থাৎ বাজার) থেকেও হতে পারে।

আর, সিলেটের নামকরণের বিষয়ে একটি প্রচলিত কিংবদন্তীতুল্য কাহিনী হলো, হযরত শাহজালাল যখন শ্রীহট্টের দিকে আগমন করেন তখন তৎকালীন হিন্দু রাজা গৌড়গোবিন্দ তার আগমন থামাতে শ্রীহট্ট সীমান্তে তার কথিত জাদু ক্ষমতার দ্বারা পাথরের দেয়াল বা পাহাড়ের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। হযরত শাহজালালও তার অলৌকিক ক্ষমতা দিয়ে ‘শিল হট্’ বলতেই সেই শিল বা পাথরের প্রতিবন্ধক হটে যায় বা অপসারিত হয়। এ থেকেই এই ভূমির অন্য নাম হয়েছে শিল-হট থেকে সিলেট। বরং ব্রিটিশ আমলেই এই সিলেট শব্দটির সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। পুরনো কাগজপত্রে বাংলায় শ্রীহট্ট হিসেবে লেখা হলেও ভারতের সরকারি নথিপত্রে যেমন আসাম গেজেটিয়ারে (Assam District Gazetteers) বা অন্যত্র শ্রীহট্টকে ইংরেজিতেই প্রথম ‘সিলহেট’ (Sylhet) হিসেবে উদ্ধৃত হতে দেখা যায়। তৎকালীন ভারতবর্ষে শাসক হিসেবে আধিপত্যকারী ব্রিটিশদের নিজস্ব ইংরেজি উচ্চারণে অন্য অনেক বাংলা যুক্তশব্দের বিবর্তন প্রক্রিয়ার মতোই ‘শ্রীহট্ট’ শব্দটিও যে ভিন্নমাত্রিক ‘সিলহেট’ শব্দে বিবর্তিত হয়ে বর্তমান ‘সিলেট’-এ রূপান্তরিত হয়েছে, এই ব্যাখ্যাই যুক্তিসঙ্গত মনে হয়। আবার আরেক মত অনুযায়ী, রাজার কনিষ্ঠ মেয়ে শীলা। এবং শীলার জন্মদিন উপলক্ষে প্রতিবছর বড় করে হাট বসতো। সেই হাটে দেশ বিদেশ থেকে প্রচুর জনসমাগম হতো। সেই হাট থেকে শীলার হাট, তা থেকে শীলহাট এবং পরবর্তীতে শ্রীহট্ট। যা থেকে বর্তমান সিলেটের জন্ম।

ইতিহাস

ইতিহাসবিদেরা বলেন, বহুযুগ ধরে সিলেট একটি বাণিজ্যিক শহর হিসেবে প্রচলিত আছে। ধারণা করা হয়ে থাকে যে, "হরিকেল রাজত্বের" মূল ভূখণ্ড ছিল এই সিলেট। চতুর্দশ শতকের দিকে এই অঞ্চলে ইসলামি প্রভাব দেখা যায় সুফী দার্শনিকদের আগমনের মাধ্যমে। ১৩০৩ সালে কালৈতিহাসিক মুসলিম ধর্মপ্রচারক হযরত শাহ জালাল রহ.-এর আবির্ভাব ঘটে এই সময়ে। তিনি মক্কা থেকে দিল্লিঢাকা হয়ে এই এলাকায় আসেন। তার আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রভাবে ও তার অনুসারী ৩৬০ জনের মাধ্যমে আরও অনেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। পরবর্তীতে তা দেশের অন্যত্র ও ছড়িয়ে পড়ে। তার দরগাহ সিলেটের একটি অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়।একসময় তার নামানুসারে এ অঞ্চল জালালাবাদ নামে পরিচিত হয়। হযরত শাহ্ পরান ও শাহ্ কামাল কাহাফানের সান্নিধ্যে এসেও অনেকে বৌদ্ধহিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিল। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এর শাসনামলে ইন্ডিয়ান লস্করেরা এই এলাকায় তাঁবেদারি শাসন চালাতো। ১৭৭৮ সালে রবার্ট লিন্ডসে কে সিলেটের দায়ভার দেয়া হয়। তবে তখনকার স্থানীয় সিলেটিরা তাকে ভালোভাবে নেয় নি। ১৭৮১ সালে এই এলাকায় একটি বড় ধরনের বন্যা হয়েছিল। এতে অসংখ্য ফসল ও পাখি মারা যায়। স্থানীয়রা এজন্য ব্রিটিশদের দায়ী করে। এই আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন সৈয়দ হাদী ও সৈয়দ মাহাদী (পীরজাদা নামে পরিচিত)। লিন্ডসের সাথে তখন তাদের যুদ্ধ সংঘটিত হয় যাতে প্রচুর ভারতীয় তস্কর অংশ নেয়। ফলশ্রুতিতে অনেকেই সিলেট ছেড়ে লন্ডনে চলে যায় ও বসতি গড়ে তোলে। ব্রিটিশ শাসনের সময় আসাম ও সিলেট একত্রিত হয়ে আসামের অংশ ছিল। পরবর্তীতে ভারতপাকিস্তান আলাদা দেশ গঠনের সময় আসাম ও সিলেট আলাদা হয়ে যায়। ১৯৭১-এর যুদ্ধে জয়লাভের পর এটি পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশ-এর ভূখণ্ডে পড়ে।

ভূগোল

সিলেট বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার সিলেট সদর উপজেলায়, ২৪°৫৩′৩০″ উত্তর ৯১°৫৩′০০″ পূর্ব / ২৪.৮৯১৭° উত্তর ৯১.৮৮৩৩° পূর্ব / 24.8917; 91.8833 দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। কোপেন জলবায়ু শ্রেণীবিন্যাস অনুযায়ী সিলেটে সাধারণত বাংলাদেশ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বর্ষা জলবায়ু (কোপ্পেন এএম) বিরাজমান, যা এর উচ্চতার কারণে আর্দ্র উষ্ণমঞ্চলীয় জলবায়ু (সিডব্লিউএ) এর সাথে সীমাবদ্ধ। এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এখানে বর্ষাকাল, যার ফলে প্রায় প্রতিদিন প্রচণ্ড ভারী বৃষ্টিপাত এবং ঝড়বাতাস সহ আবহাওয়া গরম এবং আর্দ্র থাকে, যদিও নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বল্প শুকনো মৌসুম খুব উষ্ণ এবং আকাশ মোটামুটি পরিষ্কার থাকে। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের ৪,২০০ মিলিমিটার (১৭০ ইঞ্চি) এবং ৮০% বৃষ্টিপাত হয় মে থেকে সেপ্টেম্বর মাসে।

সিলেট, বাংলাদেশ-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য
মাস জানু ফেব্রু মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টে অক্টো নভে ডিসে বছর
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) ২৫.২
(৭৭.৪)
২৭.১
(৮০.৮)
৩০.৪
(৮৬.৭)
৩০.৮
(৮৭.৪)
৩০.৮
(৮৭.৪)
৩০.৯
(৮৭.৬)
৩০.৯
(৮৭.৬)
৩১.৬
(৮৮.৯)
৩১.২
(৮৮.২)
৩০.৯
(৮৭.৬)
২৯.২
(৮৪.৬)
২৬.৩
(৭৯.৩)
২৯.৬
(৮৫.৩)
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) ১২.৯
(৫৫.২)
১৪.২
(৫৭.৬)
১৮.১
(৬৪.৬)
২০.৮
(৬৯.৪)
২২.৬
(৭২.৭)
২৪.৪
(৭৫.৯)
২৪.৯
(৭৬.৮)
২৫.০
(৭৭.০)
২৪.৩
(৭৫.৭)
২২.৫
(৭২.৫)
১৮.৪
(৬৫.১)
১৪.০
(৫৭.২)
২০.২
(৬৮.৪)
বৃষ্টিপাতের গড় মিমি (ইঞ্চি)
(০.৩)
৩১
(১.২)
১৪৬
(৫.৭)
৩৭২
(১৪.৬)
৫৬৯
(২২.৪)
৭৯৬
(৩১.৩)
৮৩৪
(৩২.৮)
৬২১
(২৪.৪)
৫৪৮
(২১.৬)
২৩২
(৯.১)
৩০
(১.২)
১৩
(০.৫)
৪,২০০
(১৬৫.১)
উৎস: WMO

জনসংখ্যা

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী সিলেট মহানগরের জনসংখ্যা ছিল ৫,৩১,৬৬৩ জন (সিটি কর্পোরেশন এলাকার জনসংখ্যা ছিল ৪,৭৯,৮৩৭ জন), যা জাতীয় মোট জনসংখ্যার ২.২৫%। এর মধ্যে ২,৮৫,৮৯২ জন পুরুষ এবং ২,৪৫,৮২১ জন নারী। নারী ও পুরুষের লিঙ্গ অনুপাত ১০০:১১৬, যেখানে জাতীয় লিঙ্গ অনুপাত হল ১০০.৩ এবং জাতীয় শহুরে লিঙ্গ অনুপাত হল ১০৯.৩। ২০১১ সালে তথ্য অনুযায়ী স্বাক্ষরতার হার ৬৭.৬%, যেখানে জাতীয় শহুরে স্বাক্ষরতার হার ৬৬.৪% এর চেয়ে বেশি। সিলেট শহরে ১০৬,১০৭টি খানা বা পরিবার রয়েছে।

শহরের জনংখ্যার ৮৭.৭৭% মুসলমান, ১২.৬৩% হিন্দু, ০.০৯% খ্রিস্টান, ০.০৬% বৌদ্ধ এবং ০.০৭% অন্যান্য ধর্মের অনুসারী। এখানে নাস্তিক বা ধর্মহীনদের কোন পরিসংখ্যানগত তথ্য নেই।

সরকার ও রাজনীতি

সিলেট মহানগরী সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক শাসিত হয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশন ২৭টি ওয়ার্ড ও ২৩৬টি মহল্লায় বিভক্ত। সিটি কর্পোরশেন এলাকার আয়তন ২৬·৫০ বর্গ কিলোমিটার। ২০০১ সালের ৯ এপ্রিল সিলেট শহরকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অধীন করা হয়। সিলেট শহর হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেটের বিভাগীয় শহর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সিলেট সিটি কর্পোরেশন মূলত সিলেট শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, রাস্তা নির্মাণ, ট্রাফিক পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ, নিবন্ধনসহ আরও অনেক কাজে সংশ্লিষ্ট কাজ সম্পাদন করে। কর্পোরেশনের মেয়র ও ২২ জন কমিশনার পুরো শহরের সব ধরনের উন্নয়নের কাজ করে থাকেন।

শিক্ষা

শিক্ষাক্ষেত্রে সিলেটের রয়েছে এক সমৃদ্ধ ইতিহাস। এ শহরে সাক্ষরতার হার প্রায় ৬৭.৬%। এখানে রয়েছে শত বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত মুরারিচাঁদ কলেজ। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রদানের জন্য সরকারি বেসরকারি অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অন্যতম। উচ্চ মাধ্যমিক এবং অনার্স স্তরের জন্য এখানে রয়েছে সিলেট সরকারি কলেজ, সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ, সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ , সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা সহ আরও অনেক কলেজ এবং মাদ্রাসা। উচ্চতর শিক্ষার জন্য রয়েছে সিলেট সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, সিলেট, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ

যাতায়াত

ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন সিলেটে যাওয়া আসা করে ৩টা (পারাবত, জয়ন্তিকা, উপবন) ট্রেন। এবং সিলেট থেকে প্রতিদিন যাওয়া আসা করে ১টি (কালনী) ট্রেন। ট্রেনের ভাড়া প্রকারভেদে ২৬৫ টাকা থেকে ২৬০০ টাকা পর্যন্ত। আর সময় লাগবে ৭-৮ ঘণ্টা। এছাড়া বাসেও যাওয়া যাবে। এর মধ্যে শ্যামলি, হানিফ, ইউনিক, এনা, গ্রীন লাইন উল্লেখযোগ্য। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেশের তৃতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। প্রতিদিন ঢাকা- সিলেট রুটে বিমান, ইউ-এস বাংলা এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করে। তাছাড়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সিলেট থেকে প্রতিদিন যুক্তরাজ্য ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করে। ফ্লাই দুবাই প্রতিদিন (দুবাই-সিলেট-দুবাই) রুটে একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। টিএসি অ্যাভিয়েশন (TAC Aviation) এই বিমানবন্দর থেকে বিমান চালানো প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই এয়ারপোর্ট থেকে সেনা প্যারাট্রুপার প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে।

খেলাধুলা

বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানের মতো সিলেটে বিভিন্ন জনপ্রিয় খেলা যেমন ফুটবল, ক্রিকেট, বিলিয়ার্ড, টেবিল টেনিস, অ্যাথলেটিক্স, সকার, দাবা, বাস্কেটবল, হকি, কাবাডি, ভলিবল ইত্যাদি প্রচলিত রয়েছে। বর্তমানে দেশী খেলার চেয়ে ক্রিকেট খেলা অত্যন্ত জনপ্রিয়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের ফ্র্যাঞ্চাইজি সিলেট সিক্সার্স এখানে অবস্থিত, যা সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে (এম এ জি ওসমানী স্টেডিয়াম) তাদের ঘরের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে। এটি ২০০৭ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল এবং এর ধারণ ক্ষমতা ১৮,৫০০। ২০১৪ সালে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি নতুন করে সংস্কার করা হয়েছিল বিশেষত ২০১৪ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচগুলি আয়োজন করার জন্য। এটি শহরের বাইরে সবুজ চা বাগানের কাছাকাছি অবস্থিত। সিলেট বিভাগ ক্রিকেট দল জাতীয় ক্রিকেট লীগে বিজয়ী হতে না পারলেও ২০০১-০২ সেশনে জাতীয় ক্রিকেট লীগ ওয়ানডেতে শিরোপা জিতেছিল। সিলেটের উল্লেখযোগ্য ক্রিকেটার, যারা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজিন সালেহ,আবু জাহেদ রাহি, এনামুল হক জুনিয়র, তাপস বৈশ্য, এবং অলোক কাপালি। সিলেটের দাবা খেলোয়াড় রানী হামিদ ১৯৮৫ সালে ফিদে আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার খেতাব পান।

সিলেট জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সিলেট জেলা স্টেডিয়াম হচ্ছে শহরের দ্বিতীয় প্রধান স্টেডিয়াম। ঘরোয়া টুর্নামেন্ট এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

দর্শনীয় স্থানসমূহ

সিলেট: নামকরণ, ইতিহাস, ভূগোল 
সিলেট শহরে হযরত শাহজালালের [রহ.] মাজার
সিলেট: নামকরণ, ইতিহাস, ভূগোল 
ক্বীন ব্রীজ এবং আলী আমজদের ঘড়ি

সিলেট শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থানসমূহ হলো:

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি

গ্যালারি

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

  • সিলেট: নামকরণ, ইতিহাস, ভূগোল  উইকিভ্রমণ থেকে সিলেট ভ্রমণ নির্দেশিকা পড়ুন।

Tags:

সিলেট নামকরণসিলেট ইতিহাসসিলেট ভূগোলসিলেট জনসংখ্যাসিলেট সরকার ও রাজনীতিসিলেট শিক্ষাসিলেট যাতায়াতসিলেট খেলাধুলাসিলেট দর্শনীয় স্থানসমূহসিলেট উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিসিলেট গ্যালারিসিলেট আরও দেখুনসিলেট তথ্যসূত্রসিলেট বহিঃসংযোগসিলেটপাথরপ্রাকৃতিক গ্যাসবাংলাদেশবাংলাদেশের অর্থনীতিসিলিকন ডাই-অক্সাইডসিলেট জেলাসিলেট বিভাগসিলেট সিটি কর্পোরেশনসুরমা নদী

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

ইসরায়েলমহাভারতলালসালু (উপন্যাস)মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রসুন্দরবনঢাকা মেট্রোরেলের স্টেশনের তালিকাচৈতন্য মহাপ্রভুকাতারগোলাপশিক্ষাভারতীয় সংসদবিদ্যালয়বাস্তুতন্ত্রজার্মানিমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধানঅর্শরোগহরে কৃষ্ণ (মন্ত্র)জাতীয় সংসদের স্পিকারদের তালিকাপূর্ণিমাপায়ুসঙ্গমসার্বিয়াএ. পি. জে. আবদুল কালামনীলদর্পণইসলামের ইতিহাসউমাইয়া খিলাফতবাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিসিরাজউদ্দৌলাবঙ্গবন্ধু-১সাঁওতালরামকৃষ্ণ পরমহংসনরেন্দ্র মোদীফিলিস্তিনবিশ্বায়নজয়া আহসানআরবি বর্ণমালাচৈতন্যচরিতামৃতউসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতানদের তালিকারামপ্রসাদ সেনলিওনেল মেসিগোপাল ভাঁড়বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধগণতন্ত্রনেহাল বাধেরাসিলেটবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সেক্টরসমূহআরবি ভাষাবঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়হনুমান জয়ন্তীআডলফ হিটলারঅক্ষয় তৃতীয়াজ্বরকামরুল হাসানশ্রীকৃষ্ণকীর্তনভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪অণুজীবরাধাগ্রামীণফোনমূত্রনালীর সংক্রমণআহসান মঞ্জিলপ্লাস্টিক দূষণভূমি পরিমাপরাজনীতিসচিব (বাংলাদেশ)কৃষ্ণবুর্জ খলিফাওয়ালটন গ্রুপঢাকাপাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭০সাইপ্রাসশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়করমচাঁদ উত্তমচাঁদ গান্ধীসুনীল নারাইনজাতীয় সংসদগৌতম বুদ্ধমালয়েশিয়া🡆 More