অফিসটি ভারত সরকারের আইন 1935-এর অধীনে তৈরি করা হয়েছিল, যা বাংলাকে একটি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা প্রদান করেছিল, যার মধ্যে বেঙ্গল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল এবং বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাহী শাখার দায়িত্বে ছিলেন। বাংলার প্রধানমন্ত্রী লাহোর প্রস্তাব ঘোষণা এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি আক্রমণ মোকাবেলা সহ প্যান-ইন্ডিয়ান রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
ব্রিটিশ বিরোধী নীতির কারণে কংগ্রেস পার্টি অফিস বয়কট করে। অফিসটি তিনজন মুসলমানের হাতে ছিল। প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এ কে ফজলুল হক, সামন্তবাদ বিরোধী কৃষক প্রজা পার্টির নেতা। হক 1937 সালে সর্বভারতীয় মুসলিম লীগের সাথে তার প্রথম সরকার গঠন করেন। হক-শ্যামা জোট 1943 সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। হক স্যার খাজা নাজিমুদ্দিনের নেতৃত্বে একটি মুসলিম লীগ মন্ত্রকের স্থলাভিষিক্ত হন। একটি রক্ষণশীল ব্যক্তিত্ব, নাজিমুদ্দিন মন্ত্রিত্ব 1945 সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল, যখন গভর্নরের শাসন জারি হয়েছিল। পরবর্তী নির্বাচনে এইচ এস সোহরাওয়ার্দী মুসলিম লীগকে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নিয়ে যান। সোহরাওয়ার্দী হিন্দু নেতাদের এবং ব্রিটিশ গভর্নরের সমর্থনে অবিভক্ত বাংলা চেয়েছিলেন; কিন্তু নোয়াখালী দাঙ্গা, ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে-র মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেস পার্টি যে বাংলাকে বিভক্ত করার আহ্বান জানিয়েছিল তাও প্রত্যাখ্যান করেছিল।
ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রদেশের প্রধানমন্ত্রী | |
---|---|
প্রাক্তন রাজনৈতিক পদ | |
প্রথম | এ কে ফজলুল হক |
শেষ | হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী |
সম্বোধন | মাননীয় |
নিয়োগকর্তা | বাংলার গভর্নর |
কার্যকাল শুরু | ১ এপ্রিল ১৯৩৭ |
কার্যকাল সমাপ্ত | ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ |
বাংলার প্রধানমন্ত্রী ব্রিটিশ ভারতে অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রীর পদ ছিল। ভারত শাসন আইন ১৯৩৫ এর আওতায় এই পদ সৃষ্টি করা হয়। বঙ্গীয় আইন পরিষদের সাথে নেতার সাথে একই সময় এটির অবস্থান ছিল।
ব্রিটিশ ভারতে বাংলার প্রধানমন্ত্রী একটি প্রভাবশালী পদ ছিল। তবে তার শাসনসীমা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক গভর্নরের ক্ষমতার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। একটি ভারতীয় ফেডারেশন গঠনের ঘোষণা কংগ্রেসের বিরোধীতার জন্য বাস্তবায়িত হতে পারেনি। কংগ্রেস এককেন্দ্রীক সরকারের দাবি জানিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী এ কে ফজলুল হক ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাবে ভারতের পূর্ব ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চল নিয়ে সার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব করেছিলেন।
এই পদটি দশ বছর (১৯৩৭-১৯৪৭) কার্যকর ছিল। ভারত বিভাগের পর এর বিলুপ্তি হয় এবং বিভাগের পর বাংলা পূর্ব ও পশ্চিম বাংলায় বিভক্ত হয়ে যায়। এই পদের উত্তরাধিকারী হিসেবে আধুনিককালের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর পদকে উল্লেখ করা যায়।
ক্রমিক | নাম | প্রতিকৃতি | মেয়াদ | দল | গভর্নর | ভাইসরয় |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক | ১ এপ্রিল ১৯৩৭ - ১ ডিসেম্বর ১৯৪১ ১২ ডিসেম্বর ১৯৪১ - ২৯ মার্চ ১৯৪৩ | কৃষক প্রজা পার্টি | স্যার জন আর্থার হার্বার্ট | দ্য মারকুইস অব লিনলিথগো | |
২ | স্যার খাজা নাজিমউদ্দিন | ২৯ এপ্রিল ১৯৪৩ - ৩১ মার্চ ১৯৪৫ | নিখিল ভারত মুসলিম লীগ | স্যার রিচার্ড চেসি | দ্য মারকুইস অব লিনলিথগো দ্য ভিসকাউন্ট ওয়াভেল | |
৩ | হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী | ২৩ এপ্রিল ১৯৪৬ - ১৪ আগস্ট ১৯৪৭ | নিখিল ভারত মুসলিম লীগ | স্যার ফ্রেডেরিক বারোস | দ্য ভিসকাউন্ট ওয়াভেল আর্ল মাউন্টব্যাটেন |
এই অনুচ্ছেদটি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। (জানুয়ারি ২০১৫) |
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article বাংলার প্রধানমন্ত্রী, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.