বাংলাদেশের সংসদ সদস্য বা এমপি হলেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান জাতীয় সংসদের একজন সদস্য। সাধারণত তিনি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। তবে নারীদের জন্য পরোক্ষভাবে সংসদ সদস্য মনোনীত হওয়ার রেওয়াজ প্রচলিত রয়েছে। সংসদ সদস্যকে কখনো কখনো “সাংসদ” হিসাবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। সংসদ সদস্যকে ইংরেজিতে 'মেম্বার অব পার্লামেন্ট' (এমপি) বলা হয়। বাংলাদেশে এক কক্ষবিশিষ্ট সংসদীয় স্তর বিরাজমান। এককক্ষ বিশিষ্ট এই আইনসভার সদস্য সংখ্যা ৩৫০; যার মধ্যে ৩০০ জন সংসদ সদস্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে থাকেন এবং অবশিষ্ট ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যগণ নির্বাচিত ৩০০ সংসদ সদস্যের ভোটে (পরোক্ষ নির্বাচন পদ্ধতিতে) নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্যদের মেয়াদকাল ৫ বছর।
সংসদ সদস্য | |
---|---|
সভাস্থল | |
জাতীয় সংসদ ভবন, শের-ই-বাংলা নগর, ঢাকা, বাংলাদেশ |
বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতীয় সংসদের সদস্যতা লাভের জন্য বাংলাদেশের নাগরিক হওয়াসহ বয়সসীমা অবশ্যই ২৫ বছরের উর্ধ্বে হতে হবে। তবে ব্যক্তি যদি দ্বৈত নাগরিকত্ব লাভ করেন, তাহলেও তিনি সংসদ সদস্য হবার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন না। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ৩০০ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন যারা জনগণের সরাসরি ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচিত। নারী কোটায় মনোনীত নারী সংসদ সদস্যের সংখ্যা পঞ্চাশ। দলীয় মানদণ্ডে মহিলা সংসদ সদস্যের কোটা নির্ধারিত হয়। একজন ব্যক্তি একাধিক সদস্য পদ লাভ করতে পারবেন না। যদি তিনি একাধিক স্থান থেকে নির্বাচিত হন, তাহলে একটি আসনের সদস্য হিসেবে তিনি থাকবেন। বাকী আসনগুলোয় পরবর্তীতে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ওয়েস্টমিনিস্টার রীতি অনুযায়ী সংসদের স্পীকারের ডান পাশে সরকারী দলের সদস্যদের জন্য আসন বরাদ্দ করা হয়। বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের জন্য আসন বণ্টন করা হয় স্পীকারের বাম পার্শ্বে। সংসদ সদস্য হিসেবে যারা জ্যেষ্ঠ অর্থাৎ আগেও সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের সাধারণত সামনের সারিতে আসন দেয়া হয়। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে প্রত্যেক সংসদ সদস্যের জন্য পৃথক ও নির্ধারিত আসন রয়েছে।
সংসদ সদস্য নিয়মিতভাবে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে যোগ দেবেন এবং জাতীয় সংসদের কার্যবিধি অনুযায়ী স্বীয় দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি একনাগাড়ে ৯০ দিন অনুপস্থিত থাকলে তার সদস্যপদ হারাবেন। একজন সংসদ সদস্য আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে যথাযথ পদ্ধতি অবলম্বনপূর্বক বিল উত্থাপন করতে পারবেন এবং তিনি অন্য কোন সংসদ সদস্য কর্তৃক উত্থাপিত বিলের ওপর ভোট দিতে পরবেন। ১৫ দিনের নোটিশ সাপেক্ষে তিনি জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারবেন। স্পীকারের অনুমোদনসাপেক্ষে তিনি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণমূলক বক্তব্য প্রদান করতে পারবেন।
একজন সংসদ সদস্য ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন। নির্বাচিত হওয়ার পর পরই তাকে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণ করতে হয়। পদত্যাগ, মৃত্যু বা অভিশংসনে কারণে সদস্যপদ শূন্য হলে উপ-নির্বাচনের মাধ্যমে তা পূরণের রেওয়াজ আছে। কার্যকালে তিনি নিজ দল থেকে পদত্যাগ করলে সদস্যপদ হারাবেন। এছাড়া তিনি স্বীয় দল কর্তৃক উত্থাপিত বিলের বিরূদ্ধে ভোট দিলেও সদস্যপদ হারাবেন।
বাংলাদেশের পদমর্যাদা ক্রম অনুযায়ী সংসদ সদস্যদের পদমর্যাদা ১২ নম্বরে অবস্থিত।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article বাংলাদেশের সংসদ সদস্য, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.