বাঁকে বিহারী মন্দির

বাঁকে বিহারী মন্দির হল একটি হিন্দু মন্দির যা ভারতের উত্তর প্রদেশের মথুরা জেলার বৃন্দাবন শহরে অবস্থিত। মন্দিরটি বাঁকে বিহারীকে উৎসর্গীকৃত যাকে রাধা ও কৃষ্ণের মিলিত রূপ মনে করা হয়। বাঁকে বিহারীকে মূলত বৃন্দাবনের নিধিবনে পূজা করা হতো। পরবর্তীতে, ১৮৬৪ সালের দিকে বাঁকেবিহারী মন্দির নির্মিত হলে, বাঁকেবিহারীর মূর্তিটি বর্তমান মন্দিরে স্থানান্তরিত হয়।

বাঁকে বিহারী মন্দির
কুঞ্জ বিহারী মন্দির
বাঁকে বিহারী, ঠাকুর শ্রী বাঁকে বিহারী মন্দির, বৃন্দাবন
রাধা কৃষ্ণ এর মিলিত রূপ বাঁকেবিহারী, বাঁকেবিহারী মন্দির, বৃন্দাবন
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলামথুরা
ঈশ্বরবাঁকে বিহারী (রাধাকৃষ্ণ)
উৎসবসমূহজন্মাষ্টমী, রাধাষ্টমী, হোলি, শারদ পূর্ণিমা, কার্তিক পূর্ণিমা
অবস্থান
অবস্থানবৃন্দাবন
রাজ্যউত্তর প্রদেশ
দেশভারত
স্থানাঙ্ক২৭°৩৪′৪৭″ উত্তর ৭৭°৪১′২৬″ পূর্ব / ২৭.৫৭৯৭৬° উত্তর ৭৭.৬৯০৫১° পূর্ব / 27.57976; 77.69051
স্থাপত্য
ধরনরাজস্থানী
সম্পূর্ণ হয়১৮৬২
উচ্চতা১৬৯.৭৭ মি (৫৫৭ ফু)
ওয়েবসাইট
bankeybihari.info
bihariji.org

বাঁকে বিহারী মন্দিরে, রাধা কৃষ্ণের ঐক্যবদ্ধ রূপের মূর্তিটি ত্রিভঙ্গ ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছে। স্বামী হরিদাস মূলত কুঞ্জ বিহারী নামে এই মূর্তিটির পূজা করেছিলেন যার অর্থ বৃন্দাবনের তরূবীথিকা বা কুঞ্জে বিহার বা ভোগ করেন।

ইতিহাস

বাঁকে বিহারী মন্দির 
বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দিরে ভক্তরা

বাঁকে বিহারীর মূর্তিকে ঐশ্বরিক দম্পতি রাধা কৃষ্ণের সম্মিলিত রূপ মনে করা হয়। মূর্তিটি বৃন্দাবনের সঙ্গীতজ্ঞ এবং সাধক স্বামী হরিদাস দ্বারা উদ্ভাসিত হয়েছিল। হরিদাসকে ঐশ্বরিক আবাস গোলোকে রাধা কৃষ্ণের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ললিতা গোপীর অবতার মনে করা হয়েছিল। স্বামী হরিদাস ছিলেন বিখ্যাত গায়ক তানসেনের গুরু

প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, একবার শিষ্যদের অনুরোধে স্বামী হরিদাস নিধিবনে ঐশ্বরিক দম্পতি শ্যামা শ্যাম (রাধা কৃষ্ণ) এর প্রশংসায় নিম্নলিখিত শ্লোকটি গেয়েছিলেন।

মাই রি সহজ জোরি প্রগত ভাই জু,
রং কি গৌর শ্যাম ঘন দামিনী জায়সেইন,
প্রথম হুন আহুতি আব হুন আগেন হুন,
রহিহাই না তারিহাই তাইইন,
আং আং কি উজরাই সুগারই,
চতুরাই সুন্দরতা আইসাইন,
শ্রী হরিদাস কে স্বামী শ্যামা,
কুঞ্জ বিহারী সাম বাই বাইসাইন

— স্বামী হরিদাস

শ্লোকটি শ্রবণ হরে দিব্য দম্পতি শ্যামা-শ্যাম (রাধা কৃষ্ণ) তাঁর সামনে আবির্ভূত হলেন এবং স্বামী হরিদাসের অনুরোধে ঐশ্বরিক দম্পতি এক হয়ে গেলেন এবং বাঁকেবিহারীর প্রস্তরমূর্তি তাঁর সামনে উপস্থিত হল। স্বামী হরিদাস এই মূর্তিটির নাম রাখেন কুঞ্জ বিহারী বা বাঁকে বিহারী। পরে একই মূর্তি নিধিবন থেকে বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারী মন্দিরে স্থানান্তরিত হয়।

ধর্মগ্রন্থে

বাঁকে বিহারী মন্দির 
ত্রিভঙ্গ ভঙ্গিতে গোবর্ধন পর্বতকে ধারণ করছেন কৃষ্ণ

'বাঁকে' মানে 'বাঁকানো' এবং 'বিহারী' মানে 'ভোগকারী'। এভাবেই 'ত্রিভঙ্গ' মূর্তি কৃষ্ণ "বাঁকে বিহারী" নামটি পেয়েছিলেন। শ্রী ব্রহ্ম-সংহিতা (শ্লোক ৫/৩১) অনুসারে, ব্রহ্মা কৃষ্ণ সম্পর্কে বলেছেন,

"যাঁর গলায় চন্দ্র-হার দ্বারা সুশোভিত ফুলের মালা দোলায়মান, যাঁর দুই হাত বাঁশি ও রত্নখচিত অলঙ্কার দ্বারা শোভিত, যিনি সর্বদা প্রেম লীলায় আমোদিত হন, যিনি করুণাময় ত্রিভঙ্গ ভঙ্গিতে বিরাজিত এবং যার শ্যামসুন্দর রূপ চিরন্তনভাবে প্রকাশিত, আমি সেই আদি পুরুষ ভগবান গোবিন্দের ভজনা করি।"

অনুষ্ঠান

বাঁকে বিহারী মন্দির 
রাধা কৃষ্ণের পূজা

বাঁকে বিহারী মন্দিরে, বাঁকে বিহারীকে ছোট শিশুর রূপে পূজা করা হয়। ভোরে কোনো আরতি করা হয় না এবং মন্দির চত্বরের অভ্যন্তরে কোথাও কোন ঘণ্টা ঝুলানো হয় না কারণ এটি বাঁকে বিহারীর জন্য বিরক্তি সৃষ্টি করতে পারে। শুধুমাত্র কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মঙ্গল আরতি (ভোরের আরতি) করা হয়। বাঁকেবিহারীর নিরবচ্ছিন্ন দর্শন এড়াতে প্রতি পাঁচ মিনিটে বারবার পর্দা টানা হয় কারণ জনপ্রিয় বিশ্বাস অনুযায়ী যদি দর্শনে বাধা না দেওয়া হয়, বাঁকেবিহারী ভক্তদের সঙ্গে মন্দির শূন্য রেখে তাদের বাড়িতে গমন করতে পারেন। বছরে মাত্র একবার, শারদ পূর্ণিমা উপলক্ষে, বাঁকেবিহারী তার হাতে বাঁশি ধারণ করেন।

গ্যালারি

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Banke Bihari Meaning-theagranews.com

Tags:

বাঁকে বিহারী মন্দির ইতিহাসবাঁকে বিহারী মন্দির ধর্মগ্রন্থেবাঁকে বিহারী মন্দির অনুষ্ঠানবাঁকে বিহারী মন্দির গ্যালারিবাঁকে বিহারী মন্দির আরও দেখুনবাঁকে বিহারী মন্দির তথ্যসূত্রবাঁকে বিহারী মন্দির বহিঃসংযোগবাঁকে বিহারী মন্দিরউত্তরপ্রদেশকৃষ্ণবৃন্দাবনভারতমথুরা জেলারাধাহিন্দু মন্দির

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

কনডমভারতের জাতীয় পতাকাইউরোপীয় দেশগুলো ও অধীনস্থ ভূভাগের তালিকাপরীমনিবাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্রতারাবীহজিয়াউর রহমানথানকুনিআসসালামু আলাইকুমসিলেটহান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসনবাংলাদেশের মেডিকেল কলেজসমূহের তালিকাআমার সোনার বাংলাসৌরজগৎহনুমান (রামায়ণ)ইশার নামাজবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সেক্টরসমূহমহাস্থানগড়জওহরলাল নেহেরুবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়বাংলাদেশ ছাত্রলীগভারত বিভাজনশর্করাসাতই মার্চের ভাষণজানাজার নামাজবাংলাদেশের স্থল বন্দরসমূহের তালিকাশশাঙ্কতাল (সঙ্গীত)উপন্যাসনেপোলিয়ন বোনাপার্টপ্লাস্টিক দূষণতাওরাতফরাসি বিপ্লবের কারণসুন্দরবনঅশোক (সম্রাট)ব্রিটিশ রাজের ইতিহাসহস্তমৈথুনহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরআবুল কাশেম ফজলুল হকআসরের নামাজইসবগুলপদ (ব্যাকরণ)তায়াম্মুমপাঞ্জাব, ভারতমিশরটাঙ্গাইল জেলাশীতলাপশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপরমাপদ চৌধুরীবুধ গ্রহসেলজুক সাম্রাজ্যতথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমৌর্য সাম্রাজ্যরমজানইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনলোহিত রক্তকণিকাকলা (জীববিজ্ঞান)ছোলাআবদুর রহমান আল-সুদাইসমালদ্বীপইসলামের নবি ও রাসুলমাইকেল মধুসূদন দত্তসোনালী ব্যাংক লিমিটেডনরেন্দ্র মোদীগেরিনা ফ্রি ফায়ারঅন্নপূর্ণা পূজাহনুমান চালিশাক্যান্সারমিজানুর রহমান আজহারীঅর্থনীতিগনোরিয়ানিরাপদ যৌনতাএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)স্নায়ুকোষরফিকুন নবীইউরোপীয় ইউনিয়নআয়িশাত্রিপুরা🡆 More