ফ্র্যাংক লয়েড

ফ্র্যাংক উইলিয়াম জর্জ লয়েড (ইংরেজি: Frank William George Lloyd; জন্ম: ২ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৬ - ১০ আগস্ট ১৯৬০) ছিলেন একজন স্কটল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী মার্কিন চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক, এবং অভিনেতা। তিনি নির্বাক ও সবাক চলচ্চিত্র, দুই ধরনের চলচ্চিত্রেই সফলতা অর্জন করেন। তিনি একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন এবং ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৫ সালে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন। তিনি দ্য ডিভাইন লেডি (১৯২৯) ও ক্যাভ্যালকেড (১৯৩৩) চলচ্চিত্র পরিচালনা করে দুইবার শ্রেষ্ঠ পরিচালনার জন্য একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া তিনি মিউটিনি অন দ্য বাউন্টি (১৯৩৫) চলচ্চিত্রের জন্য অপর একটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন

ফ্র্যাংক লয়েড
Frank Lloyd
ফ্র্যাংক লয়েড
অনু. ১৯৩৯ সালে লয়েড
জন্ম
ফ্র্যাংক উইলিয়াম জর্জ লয়েড

(১৮৮৬-০২-০২)২ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৬
মৃত্যু১০ আগস্ট ১৯৬০(1960-08-10) (বয়স ৭৪)
সান্তা মনিকা, ক্যালিফোর্নিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
সমাধিফরেস্ট লন মেমোরিয়াল পার্ক, গ্লেনডেল, ক্যালিফোর্নিয়া
পেশাচলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক, অভিনেতা
কর্মজীবন১৯১৩-১৯৫৫
দাম্পত্য সঙ্গীআলমা হেলার (১৯১৩-)
পুরস্কারএকাডেমি পুরস্কার (২ বার)

জীবনী

প্রারম্ভিক জীবন

লয়েড ১৮৮৮ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা জেন স্কটিশ এবং তার পিতা এডমুন্ড ওয়েলসীয় ছিলেন। তিনি ব্রিটিশ মঞ্চনাটকে অভিনেতা হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯১০ সালে তিনি নির্মাণ প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করার জন্য কানাডায় অভিবাসিত হন। কানাডায় অবস্থানকালে তিনি টেলিগ্রাফ লাইন বসানোর কাজ করতেন এবং মঞ্চে অভিনয় করতেন। মঞ্চে কাজ করতে গিয়ে তার গায়িকা আলমা হেলারের সাথে পরিচিত হন। পরবর্তীতে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের কন্যা আলমা ১৯১৪ সালের ৩রা এপ্রিল জন্মগ্রহণ করে।

কর্মজীবন

লয়েড ১৯১৩ সালে কানাডা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলে যান এবং সেখানে ভডেভিলে অভিনয় শুরু করেন। সেঞ্চুরি থিয়েটারের একজন অভিনেতা তাকে ইউনিভার্সাল স্টুডিওজের প্রতিষ্ঠাতা কার্ল লিমলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। লিমলে তাকে দুই বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ করেন। ইতোমধ্যে ১৯১৪ সাল থেকে তিনি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। এ সময়ে তার নির্মিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল লে মিজেরাবল (১৯১৭), রাইডার্স অব দ্য পার্পল সেজ (১৯১৮), মাদাম এক্স (১৯২০), অলিভার টুইস্ট (১৯২২), ও সি হক (১৯২৪)। তিনি ১৯২৯ সালে নির্বাক দ্য ডিভাইন লেডি, অর্ধ-সবাক উইয়ারি রিভার ও সবাক ড্র্যাগ চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। এই তিনটি চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালনার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন এবং হোরাশিও নেলসন ও এমা হ্যামিলটনের প্রেমের গল্প নিয়ে নির্মিত দ্য ডিভাইন লেডি চলচ্চিত্রের জন্য এই বিভাগে পুরস্কার জয় করেন। তিনি একাডেমি পুরস্কার বিজয়ী প্রথম স্কটল্যান্ডীয় এবং অস্কারের এক আয়োজনে তিনটি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভের রেকর্ড করেন।

তিনি ১৯৩৩ সালে নোয়েল কাওয়ার্ডের গল্প অবলম্বনে মহাকাব্যিক ক্যাভ্যালকেড চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। এতে দুটি ব্রিটিশ পরিবারের উপর কয়েকটি ঐতিহাসিক ঘটনার প্রভাব চিত্রিত হয়েছে। ছবিটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য একাডেমি পুরস্কার অর্জন করে এবং লয়েড তার দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ পরিচালনার জন্য একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। মিউটিনি অন দ্য বাউন্টি (১৯৩৫) চলচ্চিত্রের জন্য তার তৃতীয় একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন, কিন্তু জন ফোর্ডের কাছে পরাজিত হন।

চলচ্চিত্র শিল্পে অবদানের জন্য ১৯৬০ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি হলিউড ওয়াক অব ফেমে লয়েডের নামাঙ্কিত তারকা খচিত হয়। তারকাটি ৬৬৬৭ হলিউড বলেভার্ডে অবস্থিত।

মৃত্যু

লয়েড কয়েক মাস হৃদরোগ ও ফুসফুসের রোগে ভোগে ১৯৬০ সালের ১০ই আগস্ট ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা মনিকার সেন্ট জন্‌স হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে ক্যালিফোর্নিয়ার গ্লেনডেলের ফরেস্ট লন মেমোরিয়াল পার্কে সমাহিত করা হয়।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

অলাভজনক সংস্থার অবস্থান
পূর্বসূরী
জে. থিওডোর রিড
একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের সভাপতি
১৯৩৪–১৯৩৫
উত্তরসূরী
ফ্রাঙ্ক ক্যাপ্রা

Tags:

ফ্র্যাংক লয়েড জীবনীফ্র্যাংক লয়েড তথ্যসূত্রফ্র্যাংক লয়েড বহিঃসংযোগফ্র্যাংক লয়েডইংরেজি ভাষাএকাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসক্যাভ্যালকেড (১৯৩৩-এর চলচ্চিত্র)দ্য ডিভাইন লেডিনির্বাক চলচ্চিত্রমিউটিনি অন দ্য বাউন্টি (১৯৩৫-এর চলচ্চিত্র)শ্রেষ্ঠ পরিচালনার জন্য একাডেমি পুরস্কার

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

ঈদুল ফিতরজাতিসংঘের মহাসচিবমুনাফিকইতালিবাংলাদেশ আনসাররামকৃষ্ণ মিশনইসরায়েল–হামাস যুদ্ধঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরএ. পি. জে. আবদুল কালামফ্রান্সের ষোড়শ লুইবাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধনীসমূহরোডেশিয়াজনি সিন্সজনগণমন-অধিনায়ক জয় হেজামালপুর জেলাদেব (অভিনেতা)সালমান এফ রহমানব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্রআতাআমাশয়বুড়িমারী এক্সপ্রেসসত্যজিৎ রায়আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলীখন্দকের যুদ্ধগুগলবাংলাদেশভারতের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকাসার্বিয়াসূরা লাহাবহস্তমৈথুনজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়গুজরাত টাইটান্সশবনম বুবলিবাংলা ভাষায় সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার বিজয়ীদের তালিকাসূরা কাফিরুনভীমরাও রামজি আম্বেদকরমার্কসবাদপূর্ণ সংখ্যাকামরুল হাসানআসমানী কিতাবশেখ মুজিবুর রহমানবরিশাল বিভাগপদ্মা নদীসুকুমার রায়ফজরের নামাজসাইবার অপরাধবাংলাদেশের বিভাগসমূহচট্টগ্রাম বিভাগবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়এন্দ্রিক ফেলিপেদুরুদহায়দ্রাবাদপ্রোফেসর শঙ্কুনরেন্দ্র মোদীলুয়ান্ডাওয়াজ মাহফিলসিরাজগঞ্জ জেলাধর্মীয় জনসংখ্যার তালিকাও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদস্বাস্থ্যের অধিকারসূরা বাকারাকাজী নজরুল ইসলামের রচনাবলিপীযূষ চাওলাআর্জেন্টিনামানব দেহবঙ্গবন্ধু সেতুজিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকদক্ষিণ কোরিয়ানিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রকারকপাকিস্তানমুহাম্মদ ইউনূসপহেলা বৈশাখভারতের নির্বাচন কমিশননিরাপদ যৌনতাজাকির নায়েক🡆 More