ফুকুশিমা দাইইচি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র

ফুকুশিমা দাইইচি পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র (福島第一原子力発電所) মোট ৩.৫ বর্গ কিলোমিটার (৮৬০ একর) এলাকায নিয়ে গঠিত, যা জাপানের ফুকুশিমা জেলার ফুটাদা ও ওকুমা শহরে অবস্থিত। জাপানে ২০১১ সালের ১১ মার্চ ৯.০ মাত্রার ভূমিকম্প এবং সুনামি আঘাতের দ্বারা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বড় ক্ষতি হয়। এই ঘটনার পর বিদুৎ কেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ শুরু হয় এবং পারমাণবিক দূর্ঘটনার সৃষ্টি হয় এবং দুর্ঘটনার ফলে চুল্লীগুলি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যে স্থায়ীভাবে সেগুলি থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব ছিল না। রাজনৈতিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চুল্লীগুলি পুনরায় চালু করা হবে না।

ফুকুশিমা দাইইচি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র
ফুকুশিমা দাইইচি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র
২০০২ সালে ফুকুশিমা দাইইচি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র
দেশজাপান
অবস্থানওকুমা, ফুকুশিমা
স্থানাঙ্ক৩৭°২৫′২৩″ উত্তর ১৪১°০১′৫৯″ পূর্ব / ৩৭.৪২৩০৬° উত্তর ১৪১.০৩৩০৬° পূর্ব / 37.42306; 141.03306
অবস্থাBeing decommissioned
নির্মাণ শুরু২৫ জুলাই ১৯৬৭ (1967-07-25)
কমিশনের তারিখ২৬ মার্চ ১৯৭১ (1971-03-26)
পরিচালকটোকিও ইলেক্ট্রিক পাওয়ার কোম্পানী
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
চুল্লির ধরনBWR
চুল্লী সরবরাহকারীGeneral Electric
Toshiba
Hitachi
বিদ্যুৎ উৎপাদন
ইউনিট বাতিল হয়েছে১ × ৪৬০ মেগাওয়াট (ইউনিট-১, ক্ষতিগ্রস্ত)
৪ × ৭৮৪ মেগাওয়াট (ইউনিট ২, ৩, ও ৪ ক্ষতিগ্রস্ত; ইউনিট ৫ স্বপ্ল ক্ষতিগ্রস্ত)
১ × ১১০০ মেগাওয়াট (ইউনিট-৬ স্বল্প ক্ষতিগ্রস্ত)
ওয়েবসাইট
http://www.tepco.co.jp/en/nu/press/f1-np/index-e.html

১৯৭১ সালে কেন্দ্রটিকে প্রথম অনুমোদন দেওয়া হয়। এটি ছয়টি ফুটন্ত জলের চুল্লী নিয়ে গঠিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই হালকা জলের চুল্লী থেকে ফুকুশিমা দাইইচি কেন্দ্রের বৈদ্যুতিক জেনারেটর দ্বারা উৎপাদিত হত ৪.৭ গিগাওয়াট শক্তি। এটি বিশ্বের মধ্যে ১৫ টি সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অন্যতম। ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছিল জেনারেল ইলেকট্রিক এবং টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানির সম্মিলিত ভাবে নকশা, নির্মাণ এবং চালু করা প্রথম বিদ্যুৎকেন্দ্র।

মার্চ ২০১১ সালের বিপর্যয়ের চুল্লীর শীতলিকরণ ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় হয়ে পরে, ফলে তেজস্ক্রিয়তা তীব্রতার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারপাশের ৩০ কিলোমিটার এলাকায়। এপ্রিল ২০, ২০১১, জাপানি কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারিদিকে ২০ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ এলাকা হিসাবে ঘোষণা করে, শুধুমাত্র সরকারি তত্ত্বাবধানের আওতায় প্রবেশ করতে পারে।

এপ্রিল ২০১২ সালে ইউনিট ১,২,৩ ও ৪ বন্ধ করা হয়েছিল। ১৯ এপ্রিল ইউনিট ২, ৩ ও ৪ বন্ধ করা হয়। সর্বশেষে ২০ এপ্রিল মধ্যরাতে এই চারটি ইউনিটের মধ্যে ইউনিট-১ বন্ধ করা হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে টেপকো সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ইউনিট গুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি সেগুলিকে পুনরায় সক্রিয় করা হবে।

ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র-২ প্রথম ফুকুশিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১২ কিমি (৭.৫ মা) দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। সুনামির সময় এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র সয়ংক্রিও চুল্লী বন্ধকরণ ব্যবস্থা সক্রিয় ছিল এবং এই ব্যবস্থার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লীগুলি বন্ধ হয়েছিল।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তথ্য

ফুকুশিমা দাইইচি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র 
Cross-section স্কেচ আদর্শ BWR চিহ্ন আমি এইরকম, ইউনিট ১ থেকে ৫ এ ব্যবহার করেছেন। মডারেটর দন্ড (৩৯) যা ইন এবং আউট (৩১) যন্ত্র দ্বারা অপসারিত হবে এবং জ্বালানী দন্ড চুল্লি কোর (১) নিয়ে গঠিত। চাপ জাহাজ প্রায় (৮), কংক্রিটের প্লাগ করে (২) বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা বাইরের এইরকম (১৯) আছে। যখন জ্বালানি দন্ড থাকে অথবা বাইরে সরিয়ে নেওয়া হয়, বক (২৬) এই প্লাগ (৩) সুবিধার জন্য পুকুরের কাছে স্থানান্তর করা হবে। জলীয় বাষ্প থেকে শুকনো কূপের (১১) করতে পারেন সরিয়ে ভিজে কাছে ভাল (২৪) জেট nozzles (১৪) মাধ্যমে সংক্ষেপ করতে এখানে (১৮)। জ্বালানি ব্যয় পুলে (৫), (২৭) ব্যবহৃত জ্বালানি দন্ড মজুদ করা হয়েছে।

১, ২ ও ৬ ইউনিটের জন্য চুল্লী জেনারেল ইলেকট্রিক, ৩ ও ৫ ইউনিটের জন্য চুল্লী তোশিবা এবং ইউনিট ৪-এর জন্য চুল্লী হিটাচি দ্বারা সরবরাহ করা হয়েছে। ছয়টি চুল্লি জেনারেল ইলেকট্রিক দ্বারা পরিকল্পিত হয়েছিল। জেনারেল ইলেকট্রিক তার ইউনিটের জন্য স্থাপত্য নকশা তৈরি করিয়েছিল ইবাসকো দ্বারা। কাজিমা সমস্ত চুল্লীগুলির নির্মাণ করে। সেপ্টেম্বর ২০১০ সাল থেকে, ইউনিট-৩ অন্য রিএ্যাক্টরের ব্যবহৃত কম সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম (LEU) পরিবর্তে মিশ্র অক্সাইড (MOX) জ্বালানীর সাথে প্লুটোনিয়ামের একটি ছোট ভগ্নাংশ (৬%) দ্বারা চালিত হয়েছিল। ইউনিট ১,২,৩,৪ ও ৫ নির্মিত হয়েছিল "মার্ক-১" ধরনের কাঠামো (বাল্ব টোরাস) দ্বারা। জাপানী প্রকৌশলীগণের দ্বারা মার্ক-১ এর প্রতিরোধ কাঠামো সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছিল। ইউনিট-৬ মার্ক-২ ধরনের (উপরে/নিচে) ইউনিট হিসাবে গঠন করা হয়েছিল।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Tags:

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

মিশরবাংলার নবজাগরণঢাকাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সেক্টরসমূহআহসান মঞ্জিলসিপাহি বিদ্রোহ ১৮৫৭জ্ঞানকুরাকাওবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীযুক্তরাজ্যগনোরিয়াবিজয় দিবস (বাংলাদেশ)রামবারো ভূঁইয়াআব্দুল হামিদউমাইয়া খিলাফতকার্বনবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদবিথ্যালাসেমিয়াসহীহ বুখারীইলমুদ্দিনরক্তআযানভূমিকম্পমালয়েশিয়াখালিদ বিন ওয়ালিদঅ্যান মারিমাহরামবাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলশাহ জাহানশাকিব খান অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকাআমার সোনার বাংলাআবু বকরঅসমাপ্ত আত্মজীবনীহস্তমৈথুনের ইতিহাসসূরা নাসআবদুর রহমান আল-সুদাইস৮৭১ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলঈদুল ফিতরমুজিবনগরমূত্রনালীর সংক্রমণআলবার্ট আইনস্টাইনজগদীশ চন্দ্র বসুমানব দেহএস এম শফিউদ্দিন আহমেদজনসংখ্যা অনুযায়ী সার্বভৌম রাষ্ট্র ও নির্ভরশীল অঞ্চলসমূহের তালিকাস্বত্ববিলোপ নীতিজননীতিকুমিল্লাগুপ্ত সাম্রাজ্যনামাজের বৈঠকঅর্থনীতিসেহরিগীতাঞ্জলিমুহাম্মদ ইউনূসখোজাকরণ উদ্বিগ্নতাপদ (ব্যাকরণ)ময়ূরগাঁজা (মাদক)আমআবদুল হামিদ খান ভাসানীছবিছিয়াত্তরের মন্বন্তরআয়িশাআর্জেন্টিনা–ব্রাজিল ফুটবল প্রতিদ্বন্দ্বিতাঋতুবাংলাদেশ রেলওয়েপুঁজিবাদণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধানপ্রাণ-আরএফএল গ্রুপফরাসি বিপ্লবতারেক রহমানপিরামিডজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়শেখ মুজিবুর রহমানসিলেটইউরোপীয় দেশগুলো ও অধীনস্থ ভূভাগের তালিকা🡆 More