ফিফা ব্যালন ডি’অর বা ফিফা বালোঁ দর (ফরাসি: FIFA Ballon d'Or, ফরাসি উচ্চারণ: , সোনালী বল) এক ধরনের ফুটবল পদক যা বিশ্ব ফুটবলের প্রধান সংগঠন ফিফা কর্তৃক পরিচালিত হয়। এটি সাংবার্ষিকভাবে পূর্বের বছরের অসাধারণ ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শনকারী বিশ্বের সবচেয়ে সেরা ফুটবল খেলোয়াড়কে পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয়ে থাকে। পুরুষ বিভাগে বালোঁ দর পদক প্রদান করা হয়ে থাকে। ভোটাভুটির মাধ্যমে বিশ্বের সেরা ফুটবল খেলোয়াড়কে নির্বাচন করা হয়। আন্তর্জাতিক ফুটবল দলগুলোর কোচ ও অধিনায়ক-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রীড়া সাংবাদিকগণ তাদের স্ব-স্ব ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে যোগ্যতম খেলোয়াড়কে খুঁজে বের করে পুরস্কৃত করেন।
ফিফা বালোঁ দর পুরস্কারটি ২০১০ সাল থেকে প্রবর্তিত হয়েছে। ফ্রান্সের দ্বি-সাপ্তাহিক পত্রিকা ফ্রান্স ফুটবল কর্তৃক প্রদেয় বালোঁ দর এবং ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার পদক একীভূত হয়ে ফিফা বালোঁ দর পদক হিসেবে বর্তমানে পরিচিতি লাভ করেছে। তন্মধ্যে বর্তমানে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার পদকটি মহিলাদের মাঝে প্রদান করা হয়। অভিষেক বর্ষেই পুরস্কার পেয়েছিলেন আর্জেন্টিনা তথা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবলার লিওনেল মেসি। স্মর্তব্য যে, তিনি এর পূর্বের বছরও বালোঁ দর পুরস্কারটি পেয়েছিলেন। ২০১১ সালে মেসি পুনরায় এ পদক পেয়ে ধারাবাহিকভাবে ৪র্থবারের মতো বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের মর্যাদা লাভ করেছেন।
বছর | ক্রম | খেলোয়াড় | দল | |
---|---|---|---|---|
২০১০ | ১ম | লিওনেল মেসি | বার্সেলোনা | |
২য় | আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা | বার্সেলোনা | ||
৩য় | জাভি | বার্সেলোনা | ||
২০১১ | ১ম | লিওনেল মেসি | বার্সেলোনা | |
২য় | ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো | রিয়াল মাদ্রিদ | ||
৩য় | জাভি | বার্সেলোনা | ||
২০১২ | ১ম | লিওনেল মেসি | বার্সেলোনা | |
২য় | ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো | রিয়াল মাদ্রিদ | ||
৩য় | ইনিয়েস্তা | বার্সেলোনা | ||
২০১৩ | ১ম | ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো | রিয়াল মাদ্রিদ | |
২য় | লিওনেল মেসি | বার্সেলোনা | ||
৩য় | রিবেরি | বায়ার্ন মিউনিখ | ||
২০১৪ | ১ম | ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো | রিয়াল মাদ্রিদ | |
২য় | লিওনেল মেসি | বার্সেলোনা | ||
৩য় | ম্যানুয়েল নয়্যার | বায়ার্ন মিউনিখ | ||
২০১৫ | ১ম | লিওনেল মেসি | বার্সেলোনা | |
২য় | ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো | রিয়াল মাদ্রিদ | ||
৩য় | নেইমার | বার্সেলোনা |
ক্লাবের নাম | ১ম স্থান | ২য় স্থান | ৩য় স্থান | |
---|---|---|---|---|
১ | এফসি বার্সেলোনা | ৪ (২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫) | ৩ (২০১০, ২০১৩, ২০১৪) | ৪ (২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫) |
২ | রিয়াল মাদ্রিদ | ২ (২০১৩, ২০১৪) | ৩ (২০১১, ২০১২, ২০১৫) | ০ |
৩ | বায়ার্ন মিউনিখ | ০ | ০ | ২ (২০১৩, ২০১৪) |
দেশ | ১ম স্থান | ২য় স্থান | ৩য় স্থান | |
---|---|---|---|---|
১ | আর্জেন্টিনা | ৪ (২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫) | ২ (২০১৩, ২০১৪) | ০ |
২ | পর্তুগাল | ২ (২০১৩, ২০১৪) | ৩ (২০১১, ২০১২, ২০১৫) | ০ |
৩ | স্পেন | ০ | ১ (২০১০) | ৩ (২০১০, ২০১১, ২০১২) |
৪ | ফ্রান্স | ০ | ০ | ১ (২০১৩) |
৫ | জার্মানি | ০ | ০ | ১ (২০১৪) |
৬ | ব্রাজিল | ০ | ০ | ১ (২০১৫) |
খেলোয়াড়ের নাম | ১ম স্থান | ২য় স্থান | ৩য় স্থান | |
---|---|---|---|---|
১ | লিওনেল মেসি | ৪ | ২ | ০ |
২ | ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো | ২ | ৩ | ০ |
৩ | আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা | ০ | ১ | ১ |
৪ | জাভি হার্নান্দেজ | ০ | ০ | ২ |
৫ | ফ্রাংক রিবেরি | ০ | ০ | ১ |
৬ | ম্যানুয়েল নয়্যার | ০ | ০ | ১ |
৭ | নেইমার | ০ | ০ | ১ |
১৯৯০ সালে প্রথমবার ডিয়োগো ম্যারাডোনা কে ব্যালনডোর সম্মান সূচক পুরস্কার দেওয়া হয়। পরে ২০১৪ সালে পেলেকে সম্মানসূচক বালোঁ দর পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। তিনি তিনবার ব্রাজিলকে ফিফা বিশ্বকাপ জয়ে সহায়তা করেন। কিন্তু তিনি ফিফা কর্তৃক ব্যক্তিগতভাবে কোন পুরস্কারে ভূষিত হননি। ঐসময় কেবলমাত্র ইউরোপভিত্তিক দলগুলোর ফুটবলাররা প্রকৃত বালোঁ দর পুরস্কার জয়লাভের জন্য বিবেচিত হতেন।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article ফিফা বালোঁ দর, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.