নেইমার: ব্রাজিলীয় ফুটবলার

নেইমার দা সিলভা সান্তোস জুনিয়র (পর্তুগিজ উচ্চারণ: ; জন্ম ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২), সাধারণত নেইমার নামে পরিচিত, একজন ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবলার, যিনি ফরাসি ক্লাব পারি সাঁ-জেরমাঁ এবং ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে একজন ফরোয়ার্ড বা উইঙ্গার হিসেবে খেলেন। তাকে আধুনিক বিশ্বের উদীয়মান ফুটবলারদের মধ্যে অন্যতম মনে করা হয়। নেইমার ১৯ বছর বয়সে ২০১১ এবং ২০১২ সালে দক্ষিণ আমেরিকার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে নেইমার ফিফা ব্যালন ডি'অরের জন্য মনোনয়ন পান, তবে ১০ম স্থানে আসেন। তিনি ফিফা পুরস্কারও অর্জন করেন। তিনি সর্বাধিক পরিচিত তার ত্বরণ, গতি, বল কাটানো, সম্পূর্ণতা এবং উভয় পায়ের ক্ষমতার জন্য। তার খেলার ধরনের কারণে সমালোচকদের প্রশংসা ও মিডিয়া কাভারেজ পেয়েছেন এবং তাকে সাবেক ব্রাজিলীয় ফুটবলার পেলের সঙ্গে তুলনা করা হয়।

নেইমার জুনিয়র
নেইমার: প্রারম্ভিক জীবন, ক্লাব ক্যারিয়ার, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম নেইমার দা সিলভা সান্তোস জুনিয়র
জন্ম (1992-02-05) ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ (বয়স ৩২)
জন্ম স্থান সাও পাওলো, ব্রাজিল
উচ্চতা ১.৭৫ মিটার (৫ ফুট ৯ ইঞ্চি)
মাঠে অবস্থান আক্রমণভাগের খেলোয়াড়
ক্লাবের তথ্য
বর্তমান দল
আল হিলাল
জার্সি নম্বর ১০
যুব পর্যায়
২০০৩–২০০৯ সান্তোস
জ্যেষ্ঠ পর্যায়*
বছর দল ম্যাচ (গোল)
২০০৯–২০১৩ সান্তোস ২২৩ (১৩৬)
২০১৩–২০১৭ বার্সেলোনা ১৮৬ (১০৫)
২০১৭-২০২২ পি.এস.জি ১৭৩ (১১৮)
২০২৩ আল হিলাল (১)
জাতীয় দল
২০১০–বর্তমান ব্রাজিল ১২৯ (৭৯ )
অর্জন ও সম্মাননা
ফুটবল (পুরুষ)
নেইমার: প্রারম্ভিক জীবন, ক্লাব ক্যারিয়ার, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ব্রাজিল-এর প্রতিনিধিত্বকারী
ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ
বিজয়ী ২০১৩ ব্রাজিল
কোপা আমেরিকা
রানার-আপ ২০২১ ব্রাজিল
অলিম্পিক
স্বর্ণ পদক - প্রথম স্থান ২০১৬ রিউ দি জানেইরু দল
রৌপ্য পদক - দ্বিতীয় স্থান ২০১২ লন্ডন দল
দক্ষিণ আমেরিকান যুব চ্যাম্পিয়নশিপ
বিজয়ী ২০১১ পেরু

স্বাক্ষর
নেইমার: প্রারম্ভিক জীবন, ক্লাব ক্যারিয়ার, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১৭:৫২, ০৮ এপ্রিল ২০২৪ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক।
‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ০৮:০০, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক।

পেলে নেইমার সম্পর্কে বলেন, "একজন অসাধারণ খেলোয়াড়।" অন্যদিকে রোনালদিনহো বলেন, "নেইমার হবে বিশ্বসেরা।" ২০১৫ সালের ফিফা ব্যালন ডি অরের জন্য তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা পান নেইমার, যেখানে তিনি মেসি ও রোনালদোর পরে তৃতীয় হন। নেইমার সান্তোস ফুটবল ক্লাবে (ব্রাজিলীয় ক্লাব) যোগ দেন ২০০৩ সালে। বিভিন্ন মর্যাদাক্রম অতিক্রম করে তিনি মূলদলে নিজের জায়গা করে নেন। তিনি সান্তোসের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেন ২০০৯ সালে। ২০০৯ সালে তিনি কম্পেনাতো পুলিস্তার শ্রেষ্ঠ যুবা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে সান্তোসের ২০১০ কম্পেনাতো পুলিস্তা জয়, নেইমারের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়া এবং ২০১০ কোপা দো ব্রাজিলে ১১ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা পুরস্কার পান। তিনি ২০১০ সাল শেষ করেন ৬০ খেলায় ৪২ গোল করার মাধ্যমে। নেইমার ব্রাজিল অনূর্ধ্ব ১৭, অনূর্ধ্ব ২০ এবং ব্রাজিল মূল দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১২ সালে বার্সেলোনা ক্লাবে যোগ দেন। সেখান থেকে তিনি ২০১৭ সালে পারি সাঁ-জেরমাঁ তে রেকর্ড দামে যোগ দেন।

প্রারম্ভিক জীবন

নেইমার দা সিলভা সান্তোস জুনিয়রের জন্ম ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যের মোজি দাস ক্রুজেস শহরে; সিনিয়র নেইমার দা সিলভা এবং নান্দিনি সান্তোসের ঘরে। তিনি তার পিতার নামের অনুসারে নাম পান, যিনি একজন প্রাক্তন ফুটবলার। নেইমার তার প্রতিভা দেখানো শুরু করার পর থেকেই তার পিতা নেইমারের পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। নেইমার তার পিতার ভূমিকা সম্পর্কে বলেন, “আমার পিতা আমার পাশেই থাকেন সেই ছোটবেলা থেকেই এবং তিনি সবকিছুর খেয়াল রাখেন। তিনিই আমার সব সময়ের সঙ্গী এবং আমার পরিবারের অন্যতম একজন।” ২০০৩ সালে, নেইমার তার পরিবারের সঙ্গে সাঁও ভিসেন্তে চলে আসেন। সেখানে তিনি যুব পর্তুগিসা সানতিস্তাতে খেলা শুরু করেন। ২০০৩ এর শেষে তারা সান্তসে চলে আসেন। সেখানে নেইমার সান্তস ফুটবল ক্লাবে যোগ দেন।

ক্লাব ক্যারিয়ার

সান্তোস (২০০৯–২০১৩)

যৌবন

নেইমার খুব কম বয়সেই ফুটবল খেলা আরম্ভ করেন। খুব অল্প সময়েই তিনি সান্তোস ফুটবল ক্লাব কর্তৃপক্ষের নজরে আসেন। ২০০৩ সালে সান্তোস ফুটবল ক্লাব খেলায় চুক্তিবদ্ধ করেন নেইমারকে। এবং তাকে যুব একাডেমিতে খেলানো হয়। সেখানে তিনি পাওলো হেনরিক গান্সোর সাথে পরিচিত হন এবং খুব অল্প সময়েই তারা ভাল বন্ধুতে পরিণত হন। ১৫ বছর বয়সে তিনি স্পেইনে রিয়েল মাদ্রিদে যোগ দিতে যান, যে সময় রিয়ালে রোনাল্ডো, জিনেদিন জিদান এবং রবিনহোর মত বড় বড় তারাকারা খেলছিলেন।

২০০৯ মৌসুম

নেইমার পেশাদারী ফুটবল খেলা শুরু করেন ৭ মার্চ, ২০০৯ সালে, মাত্র ১৭ বছর বয়সে। তিনি সান্তস বনাম অস্তে-এর খেলায় শেষ ৩০ মিনিট খেলতে নামেন। এই খেলায় সান্তস ২-১ গোলে জয়লাভ করে। একই সপ্তাহে তিনি সান্তসের হয়ে মগি মিরিমের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম গোল করেন। এক মাস পর, ১১-ই এপ্রিল, নেইমার পালমেইরাসের বিপক্ষে জয়সূচক গোল (২-১) করেন চেম্পিওনাতো পৌলিস্তোর সেমি- ফাইনালের প্রথম খেলায়। ফাইনালে যদিওবা করিন্থিয়ান্সের বিপক্ষে দুই ম্যাচে ৪-২ এ হারতে হয়েছিল। নেইমার তার প্রথম মৌসুমে ১৪ গোল করেন ৪৮ টি ম্যাচ খেলে।

২০১০ মৌসুম

নেইমার ২০১০ মৌসুমেও তার প্রতাপের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। ১৫-ই এপ্রিল ২০১০ সালে, ব্রাজিলীয় কাপ বাছাই পর্বে তিনি গুইয়ারানির বিপক্ষে সান্তসের হয়ে ৫ গোল করেন, সান্তসের ৮-১ গোলে জয়লাভ। পরবর্তীতে ২০১০ সালে তিনি ১৯ ম্যাচে ১৪ গোল করেন। সান্তস এই প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করে ফাইনালে সান্ত আন্দ্রের বিপক্ষে দুই ম্যচে ৫-৫ গোলের মাধ্যমে। নেইমারকে প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় পুরস্কার দেওয়া হয়। নেইমারের দুর্দান্ত খেলা তাকে খুব শীঘ্রই অন্যান্য খেলোয়াড়দের তুলনায় এগিয়ে আসেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন রবিনহো এবং ব্রাজিলীয় লেজেন্ড পেলে।

২০১০ সালে তিনি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডের ১২ মিলিয়নের প্রস্তাব এবং চেলসির ২০ মিলিয়নের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। সান্তসের নেইমারকে বিক্রির প্রতি অনিহা এবং স্বয়ং নেইমারের ক্লাব পরিবর্তনের অনিচ্ছা দেখে নেইমারের এজেন্ট ওইয়েগনার রিবেরিও বলেন, "নেইমার বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হতে চায়। কিন্তু, ব্রাজিলের মধ্যে খেলে তাঁর এই সম্ভাবনা শূন্য।" যদিও এক বছর পর নেইমার দৈনিক টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, চেলসির প্রস্তাবটা পেয়ে তিনি খুশিই ছিলেন কারণ ইউরোপে খেলা তার স্বপ্ন। তিনি এবার এটাও বলেন যে, ব্রাজিলে থেকে গিয়ে তিনি ভুল সিদ্ধান্ত নেননি। পরপর দুই মৌসুমের অসাধারণ সফলতার পর, ২০১০ সালে ৬০ ম্যাচে ৪২ গোল করার পর, ক্লাব কর্তৃপক্ষের সাথে তার সমস্যা দেখা দেয়। সমস্যাগুলোর মাঝে উল্লেখযোগ্য হল, হালকা প্রতিহত হলেই খেলা চালিয়ে না গিয়ে গরিয়ে পড়ে যাওয়া, মানসিকতা, ব্যবহার।

২০১১ মৌসুম

নেইমার: প্রারম্ভিক জীবন, ক্লাব ক্যারিয়ার, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার 
২০১১ ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে সান্তোসের হয় এফসি বার্সেলোনা বিরুদ্ধে খেলার সময় নেইমার।
নেইমার: প্রারম্ভিক জীবন, ক্লাব ক্যারিয়ার, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার 
২০১১/এ নেইমার

২০১১ কোপা লিবারতোদাসে নেইমার ৬ গোল করে তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। দুই ম্যাচের ফাইনালে তারা মুখোমুখি হয় উরুগুয়ের ক্লাব পেনারলের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ পেনারলের মাঠে গোলশূন্য ড্র হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে, সান্তসের মাঠে নেইমার ৪৬ মিনিটে গোল করেন। এবং এই ম্যাচে সান্তস ২-১ গোলে জয়লাভ করে এবং নেইমার ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন। এটি ছিল ১৯৬৩ সালের পর সান্তোসের প্রথম কোপা লিবারতোদাস শিরোপা জয়।

২০১১ সালের নভেম্বরে সান্তস নেইমারের সাথে ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করে এবং নেইমারের বেতন ৫০% বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ২০১১ সালে তিনি ফিফা পুস্কাস পুরস্কার লাভ করেন। ৩১-ই ডিসেম্বর, ২০১১ সালে তিনি প্রথমবারের মত দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।

২০১২ মৌসুম

৫-ই ফেব্রুয়ারি ২০১২, ২০ বছর বয়সে তিনি চেম্পিওনাতো পৌলিস্তোয় পালমেইরাসের বিপক্ষে পেশাদারি ফুটবল ক্যারিয়ারের শততম গোলটি করেন। ৭-ই মার্চ, ২০১২ তিনি ইন্তারনেসিওনালের বিপক্ষে কোপা লিবারতোদাসের গ্রুপ পর্বের খেলায় হ্যাট-ট্রিক করেন। ২৯-ই মার্চ তিনি গুয়ারাটিনগুইয়েটার বিপক্ষে জোড়া গোল করেন (৫-০ গোলে সান্তসের জয়)। ২৯-ই এপ্রিল, ২০১২ তিনি সাঁও পাওলোর বিপক্ষে তিনি হ্যাট-ট্রিক করেন (৩-১ সান্তসের জয়)। সান্তস ২০১২ চেম্পিওনাতো পৌলিস্তো খেতাব অর্জন করে। নেইমার এই প্রতিযোগিতায় ২০ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা, সেরা খেলোয়াড় এবং সেরা ফরোয়ার্ড নির্বাচিত হন। একই সময়ে তিনি ৮ গোল করে কোপা লিবারতোদাসের সর্বোচ্চ গোলদাতাও ছিলেন, যদিও সান্তস সেমি ফাইনালে করিন্থিয়ান্সের বিপক্ষে হেরে যায়।

২৫-ই আগস্ট পাল্মেইরাসের বিপক্ষে জোড়া গোল, ব্রাজিলীয় সিরি এ-তে ক্রুজেইরোর বিপক্ষে হ্যাট-ট্রিক। নেইমার ২০১২ রেকোপা সুদামেরিকানার সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। তিনি ব্রাজিলীয় সিরি এ শেষ করেন ১৪ গোল করে এবং সেরা ফরোয়ার্ড নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে। নেইমার ২০১২ মৌসুম শেষ করেন গোল্ডেন বল, আরথার ফ্রেইডেনরেইচ পুরস্কার এবং আরমান্দো নোগুয়েইরা পুরস্কার প্রাপ্ত হয়ে। ফিফা পুস্কাস পুরস্কারে তিনি রানার্স আপ হন। তিনি ২০১২ সালের দক্ষিণ আমেরিকার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে জানতে পারা যায় যে, সান্তস বার্সেলোনা ফুটবল ক্লাবের সাথে নেইমারের ব্যাপারে একটা চুক্তিতে এসেছে। কিন্তু নেইমার মিডিয়াতে এই ধরনের চুক্তির কথা অস্বীকার করেন এবং বলেন, "আমার সাথে বার্সেলোনা বা অন্য কোন ক্লাবের সাথে চুক্তি হয়নি।"

২০১৩ মৌসুম

১৯-ই জানুয়ারি ২০১৩, নেইমার সাঁও বারনারদোর বিপক্ষে জোড়া গোল (সান্তসের ৩-১ এ জয়) দিয়ে মৌসুম শুরু করেন। ১৮-ই মার্চ ২০১৩, নেইমার বলেন, "আমার ইউরোপে বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ এবং চেলসির মত বড় ক্লাবের হয়ে খেলার স্বপ্ন আছে। আমি কখন সান্তস ছাড়বো এই নিয়ে জল্পনা করে কোন লাভ নেই। আমি তখনই সান্তস ছাড়বো যখন আমি চাইব।"

১৩-ই এপ্রিল, ২০১৩, নেইমার চেম্পিওনাতো পৌলিস্তোয় ইউনিয়াও বারবারেন্সের বিপক্ষে ৪ গোল করেন (সান্তসের ৪-০ এ জয়লাভ)। ২৫-ই এপ্রিল, ২০১৩, তার এজেন্ট এবং তার পিতা প্রকাশ করেন যে, নেইমার ২০১৪ বিশ্বকাপের পূর্বে ইউরোপে খেলতে চান। ২৬-ই মে, ২০১৩, নেইমার ফ্লামেঙ্গর বিপক্ষে সান্তসের হয়ে তার শেষ ম্যাচ খেলেন। ব্রাসিলায় খেলা শুরু হওয়ার পূর্বে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হলে তিনি চোখের পানিতে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন এবং অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নেন।

বার্সেলোনা (২০১৩–২০১৭)

নেইমার: প্রারম্ভিক জীবন, ক্লাব ক্যারিয়ার, আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার 
২০১৩ সালে বার্সেলোনার খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম বারের মত জনসন্মুখে প্রদর্শনের সময় নেইমার।

২৪-ই মে, ২০১৩, সান্তস ঘোষণা করে যে তারা নেইমারের জন্য ২টি প্রস্তাব পেয়েছেন। একই দিনে নেইমার ঘোষণা করেন যে, তিনি ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনার সঙ্গে ২৭-ই মে চুক্তিবদ্ধ হবেন এবং ২০১৩ কনফেডারেসান কাপ খেলার পর বার্সেলোনায় যোগ দিবেন। নেইমার এবং ক্লাবগুলো ট্রান্সফার ফি অথবা ব্যক্তিগত শর্তসমূহ প্রকাশ করেননি। শুধু বলেছেন, নেইমার বার্সেলোনার সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি করেছেন। ৩-রা জুন ২০১৩, মেডিক্যাল চেক-আপ এবং অন্যান্য ফর্মালিটি পুরনের পর নেইমারকে দর্শক ও মিডিয়ার সম্মুখে প্রকাশ করা হয়। একজন ব্রাজিলীয় খেলোয়াড়কে স্বাগতম জানাতে ন্যু ক্যাম্পে রেকর্ড পরিমাণ ৫৬,৫০০ দর্শকের সমাগম হয়। ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট জসেফ মারিয়া বারতোমেউ বলেন, "নেইমারের ট্রান্সফার ফি হল ৫৭ মিলিয়ন ইউরো।"

২০১৩-১৪ মৌসুম

৩০-ই জুলাই ২০১৩, এক প্রি-মৌসুম ফ্র্যান্ডলি ম্যাচে বার্সেলোনা লেচিয়া দান্সকের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে। এই ম্যাচে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নেইমার আনঅফিসিয়ালি বার্সেলোনার জার্সি গায়ে অভিষেক ম্যাচ খেলেন। ৭-ই আগস্ট ২০১৩, নেইমার ব্যাংককে অনুষ্ঠিত থাইল্যান্ড জাতীয় দলের বিপক্ষে বন্ধুত্যপূর্ণ ম্যাচে প্রথম গোল করেন। যেটাতে বার্সেলোনা ৭-১ গোলে জয়লাভ করে।

নেইমার বার্সেলোনার হয়ে তার প্রতিযোগিতামূলক অভিষেক ম্যাচ খেলেন ২০১৩-১৪ লা লিগায় লেভান্তের বিপক্ষে ৬৩ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে। এই ম্যাচে বার্সেলোনা ৭-০ গোলে জয়লাভ করে। ২১-ই আগস্ট ২০১৩, সুপার কোপা ডে এস্পানায় অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে তিনি বার্সেলোনার হয়ে প্রথম গোল করেন। ১৮-ই সেপ্টেম্বর তার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিষেক হয় আয়াক্সের বিপক্ষে যা ছিল ২০১৩-১৪ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বার্সেলোনার প্রথম ম্যাচ। এই ম্যাচে তিনি জেরার্ড পিকেকে এসিস্ট করেন একটি গোলে, সেই ম্যাচে বার্সেলোনার ৪-০ তে জয়লাভ করে। ২৪-ই সেপ্টেম্বর তিনি লা লিগায় প্রথম গোল করে ক্যাম্প ন্যু-তে রিয়াল সসিয়েদাদের বিপক্ষে, সেই ম্যাচে বার্সেলোনা ৪-১ গোলে জয়লাভ করে।

২৬-ই অক্টোবর ২০১৩, নেইমার তার অভিষেক এল ক্লাসিকোতে প্রথম গোল করেন, এই ম্যাচে বার্সেলোনা তাদের প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদকে ন্যু ক্যাম্পে হারিয়েছিল ২-১ গোলে। ১১-ই ডিসেম্বর ২০১৩, নেইমার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেলটিকের বিপক্ষে হ্যাট্রিক করেন গ্রুপ পর্বের খেলায়, এই ম্যাচে বার্সেলোনার ১১-১ গোলে জয়লাভ করে|

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

ব্রাজিল অনূর্ধ্ব ১৭ দলের হয়ে ২০০৯ অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে নেইমারের পারফরম্যান্স দেখে, যেখানে তিনি জাপানের বিপক্ষে উদ্বোধনকালীন ম্যাচে গোল করেন, প্রাক্তন ব্রাজিলীয় ফুটবল খেলোয়াড় পেলে এবং রোমারিও তৎকালীন ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ দুঙ্গাকে ঘন ঘন চাপ দিতে থাকেন যাতে নেইমারকে তিনি ২০১০ বিশ্বকাপ স্কয়াডে রাখেন। যদিও নেইমার দুঙ্গার স্কয়াডে জায়গা পাওয়ার উপজুক্ত এই ব্যাপারে সুদূরপ্রসারী মতামত এবং ১৪০০০ স্বাক্ষরকৃত দরখাস্ত জমা হওয়ার পরও, এবং দুঙ্গার উপর নেইমারকে নেওয়ার ব্যাপারে প্রচুর চাপ অবজ্ঞা করে তাকে প্রথম ২৩ জনের বিশ্বকাপের স্কয়াড তালিকা এবং অপেক্ষা তালিকা থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়। যদিও দুঙ্গা নেইমারকে একজন "অসাধারণ প্রতিভা" বলে আখ্যায়িত করেছেন, তিনি দাবি করেন নেইমারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিক্ষা করা হয়নি বিশকাপে খেলতে পারার জন্য এবং তিনি তার নিজের প্রতিভা বিকাশ করতে পারেননি যখন তাকে জাতীয় দলে খেলতে দেওয়া হয়েছিল।

২৬-ই জুলাই ২০১০, নেইমারকে সর্বপ্রথম ব্রাজিল মূল দলে খেলার জন্য ডাকা হয় নতুন কোচ মানো মেনেজেস কর্তৃক নিউ জার্সির ইস্ট রাদারফোর্ডে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। ১০-ই আগস্ট ২০১০, মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি ওই ম্যাচে ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক করেন ম্যাচের শুরু থেকে ব্রাজিলের ১১ নম্বর জার্সি পড়ে। তিনি তার অভিষেক ম্যাচেই ২৮ মিনিটের মাথায় গোল করেন,আন্দ্রে সান্তসের এসিস্ট থেকে হেড করে। ব্রাজিলের ২-০ গোলে জয়লাভ। ১-লা মার্চ ২০১১, নেইমার বলেন, "ব্রাজিল দলের হয়ে খেলতে পারাটা আলাদা একটা সম্মান। এখানে অনেক সেরা সেরা খেলোয়াড় রয়েছেন এবং আমি তাদের মাঝে তাদের সাথে খেলতে পেরে অনেক খুশী।" ২৭-ই মার্চ ২০১১, তিনি আমিরাত স্টেডিয়ামে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জোড়া গোল করে ব্রাজিলকে ২-০ গোলে জয় এনে দেন। ম্যাচ চলাকালীন তাকে উদ্দেশ্য করে মাঠে কলা নিক্ষেপ করা হয় যখন তিনি পেনাল্টি থেকে তার দ্বিতীয় গোলটি করেন। তিনি স্কটল্যান্ড সমর্থকদের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ আনেন। অন্যদিকে স্কটিশ অফিসিয়ালরা এই ব্যাপারে ব্যাখ্যা করে বলেন যে, একা নেইমারকে মাঠে সমর্থকরা অবজ্ঞা করে কারণ তিনি ইঞ্জুরির নাটক করেন। একজন জার্মান ছাত্র, যে কলাটি নিক্ষেপ করেছে, সে বলে, "আমি কোন বর্ণবাদের মানসিকতায় কলাটি নিক্ষেপ করিনি।" এই স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে স্কটিশ সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনার জন্যে স্কটিশ ফুটবল এসোসিয়েশন ক্ষমা চাইতে বলে ব্রাজিলীয় ফুটবল কনফেডারেশনকে। কিন্তু নেইমার ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানান।

২০১১ কোপা আমেরিকা

নেইমার আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকা ২০১১ তে অংশগ্রহণ করেন, সেখানে তিনি প্রথম পর্বের এক ম্যাচে ইকুয়েডরের বিপক্ষে জোড়া গোল দেন। তাকে ম্যান অব দা ম্যাচ নির্বাচিত করা হয়। কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচ ছিল ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে। যা ১-১ গোলে ড্র হয়। ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে বাদ পড়ে যায় প্যারাগুয়ের বিপক্ষে পেনাল্টি শুট আউটে। এই ম্যাচে নেইমারকে ৮০ মিনিটের মাথায় প্রতিস্থাপিত করা হয়েছিল।

২০১২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক

১১-ই মে ২০১২, ব্রাজিল অলিম্পিক ফুটবল দলের হয়ে লন্ডন ২০১২ অলিম্পিক গেইম খেলার জন্য নেইমারকে ডাকা হয়। ২০-জুলাই ২০১২, ব্রাজিলের প্রথম ওয়ার্ম আপ ম্যাচে রিভারসাইড স্টেডিয়ামে স্বাগতিক গ্রেট ব্রিটেনের বিপক্ষে তিনি এক গোল এবং একটি এসিস্ট করেন। এই ম্যাচে ব্রাজিল ২-০ গোলে জয় পায়। ২৬-ই জুলাই ২০১২, নেইমার ২০১২ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের প্রথম গোল করেন ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচ ইজিপ্টের বিপক্ষে। এই ম্যচে ব্রাজিল ৩-২ গোলে জয় পায়। পরবর্তী ম্যাচে বেলারাসের বিপক্ষে নেইমার ২৫ গজ দূর থেকে ফ্রি-কিক থেকে গোল দেন, ডান দিক হতে অ্যালেক্সান্ডার পেতোকে এসিস্ট এবং অস্কারকে ব্যাকহিলের মাধ্যমে এসিস্ট করেন। ব্রাজিল ৩-১ গোলে জয়লাভ করে কোয়ার্টার ফাইনালে নিজেদের জায়গা করে নেয়। ম্যাচের পর নেইমার বলেন, "আমি এক গোল ও দুই এসিস্ট করেছি, আমার পক্ষে থেকে এটা পারফেক্ট ছিল।" ৫-ই আগস্ট ২০১২, কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল মুখোমুখি হয় হনডুরাসের বিপক্ষে। সেইন্ট জেমস পার্কে হওয়া এই ম্যাচে নেইমার পেনাল্টি থেকে এক গোল করেন, লিয়ান্দ্র দামিয়াওকে দ্বিতীয় গোলে এসিস্ট করেন। এবং ব্রাজিলকে ৩-২ গোলে বিজয় ছিনিয়ে আনতে সাহায্য করেন এবং ব্রাজিলকে সেমি ফাইনালে নিয়ে যান।

২০১৩ কনফেডারেশন কাপ

লুইজ ফিলিপে স্কলারির ব্রাজিল স্কোয়াডের হয়ে ঘরের মাটিতে ২০১৩ কনফেডারেশন কাপে খেলার জন্য নির্বাচিত হন। পূর্বের ১১ নম্বর জার্সির পরিবর্তে তাকে ঐতিহাসিক ১০ নম্বর জার্সি পরতে দেওয়া হয়। ১৫-ই জুন ২০১৩, নেইমার প্রতিযোগিতার প্রথম গোল করেন এস্তাদিও নেসিওনাল মানে গারিঞ্চাতে জাপানের বিপক্ষে, ব্রাজিলের ৩-০ গোলে জয়লাভ। ১৯-ই জুন ২০১৩, মেক্সিকোর বিপক্ষে নেইমার ৯-ম মিনিটে গোল করেন এবং জো-কে এসিস্ট করে ব্রাজিলকে ২-০ গোলে জয় এনে দেন। নেইমার প্রতিযোগিতার প্রতিটি ম্যাচে গোল করার ধারাবাহিকতার রেকর্ড বজায় রাখেন। ২২-ই জুন ২০১৩, তিনি ইতালির বিপক্ষে ফ্রি-কিক থেকে গোল করে ব্রাজিলকে ৪-২ গোলে জয় এনে দেন। ৩০-ই জুন ২০১৩, স্পেনের বিপক্ষে ফাইনালে নেইমার ব্রাজিলের দ্বিতীয় গোলটি করেন, ফাইনালে ব্রাজিল ৩-০ গোলে জয়লাভ করে। নেইমারের প্রতিযোগিতায় অসাধারণ পারফর্মেন্সের জন্য তাকে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল দেওয়া হয়। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪ টি গোল করে তিনে ব্রোঞ্জ বুটও অর্জন করেন।

ক্যারিয়ার পরিসংখ্যান

ক্লাব

    *০৮ এপ্রিল ২০২৪ (লিগ) পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।
ক্লাব মৌসুম লিগ কাপ লিগ কাপ মহাদেশীয় অন্যান্য মোট
বিভাগ ম্যাচ গোল ম্যাচ গোল ম্যাচ গোল ম্যাচ গোল ম্যাচ গোল ম্যাচ গোল
সান্তোস ২০০৯ সেরি এ ৩৩ ১০ ১১ ৪৬ ১৪
২০১০ ৩১ ১৭ ১১ ১৯ ১৪ ৬০ ৪২
২০১১ ২১ ১৩ ১৩ ১৩ ৪৭ ২৪
২০১২ ১৭ ১৪ ১৪ ১৬ ২০ ৪৭ ৪৩
২০১৩ ১৮ ১২ ২৩ ১৩
মোট ১০৩ ৫৪ ১৫ ১৩ ২৯ ১৫ ৭৭ ৫৪ ২২৩ ১৩৬
বার্সেলোনা ২০১৩–১৪ লা লিগা ২৬ ১০ ৪১ ১৫
২০১৪–১৫ ৩৩ ২২ ১২ ১০ ৫১ ৩৯
২০১৫–১৬ ৩৪ ২৪ ৪৯ ৩১
২০১৬–১৭ ৩০ ১৩ ৪৫ ২০
মোট ১২৩ ৬৮ ২০ ১৫ ৪০ ২১ ১৮৬ ১০৫
পারি সাঁ-জেরমাঁ ২০১৭–১৮ লিগ ১ ২০ ১৯ ৩০ ২৮
২০১৮–১৯ ১৭ ১৫ ২৮ ২৩
২০১৯–২০ ১৫ ১৩ ২৭ ১৯
২০২০–২১ ১৮ ৩১ ১৭
২০২১–২২ ২২ ১৩ ২৮ ১৩
২০২২–২৩ ২০ ১৩
মোট ১১২ ৮২ ৩৫ ২০ ১৪৫ ১০২
ক্যারিয়ার সর্বমোট ৩৩৮ ২০৪ ৪৪ ৩৫ ১০৪ ৫৬ ৮১ ৫৫ ৫৫৪ ৩৪৪
    টীকা

আন্তর্জাতিক

বছর অনুযায়ী গোল
বছর ম্যাচ গোল
২০১০
২০১১ ১৩
২০১২ ১২
২০১৩ ১৯ ১০
২০১৪ ১৪ ১৫
২০১৫
২০১৬
২০১৭
২০১৮ ১৩
২০১৯
২০২০
২০২১ ১৪
২০২২
২০২৩ মোট ১২৯ ৭৯

সম্মান ও অর্জন

ক্লাব

রানার-আপ: ২০১৮–১৯

জাতীয় দল

ব্যক্তিগত

ব্যক্তিগত জীবন

নেইমার ২০১১ সালের আগস্টে মাত্র ১৯ বছর বয়সে শিশুর বাবা হন। শিশুর মায়ের নাম ক্যারোলিনা দান্তাস, কিন্তু নেইমারের সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই। শিশুর নাম দাভি লুকা যে সাও পাওলোতে জন্মগ্রহণ করে। শিশুর জন্মের পর তিনি বলেন, " প্রথমে আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম, পরে খুশি হলাম। এটা একটা নতুন দায়িত্ব এবং এখন আমি উপভোগ করছি।" নেইমার কিছু সময়ের জন্য ব্রাজিলিয়ান মডেল ব্রুনা মারকুইজিনের সাথে সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন। ২০১৫ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কিন্তু তারা ভাল বন্ধু হিসেবে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।

নেইমার একজন খ্রিষ্ট ধর্ম বিশ্বাসী। রিকার্ডো কাকাকে তিনি ধর্মীয় গুরু মানেন। নিজের বেতনের ১০ শতাংশ চার্চে দান করেন নেইমার।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

This article uses material from the Wikipedia বাংলা article নেইমার, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.

Tags:

নেইমার প্রারম্ভিক জীবননেইমার ক্লাব ক্যারিয়ারনেইমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারনেইমার ক্যারিয়ার পরিসংখ্যাননেইমার সম্মান ও অর্জননেইমার ব্যক্তিগত জীবননেইমার তথ্যসূত্রনেইমার বহিঃসংযোগনেইমারউইকিপিডিয়া:বাংলা ভাষায় পর্তুগিজ শব্দের প্রতিবর্ণীকরণদক্ষিণ আমেরিকাপারি সাঁ-জেরমাঁফরোয়ার্ডফিফাব্রাজিলব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলমধ্যমাঠের খেলোয়াড়

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

হিন্দি ভাষাবাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের তালিকাপারমাণবিক অস্ত্রধারী রাষ্ট্রসমূহের তালিকাব্যাকটেরিয়াবাংলাদেশ ব্যাংকজাযাকাল্লাহবাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার তালিকাউহুদের যুদ্ধবসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রপশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদওয়ালটন গ্রুপফিলিস্তিনজনগণমন-অধিনায়ক জয় হেসিন্ধু সভ্যতামুহাম্মদ ইউনূসশিয়া ইসলামের ইতিহাসআমকারকভারতের রাষ্ট্রপতিদের তালিকারক্তশূন্যতাশুভমান গিলপশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন, ২০২১অর্থ (টাকা)পুরাণ (ভারতীয় শাস্ত্র)হিজড়া (ভারতীয় উপমহাদেশ)বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিসমাসফাতিমাইউসুফইরানওজোন স্তরত্রিপুরামিয়া খলিফাবাংলাদেশের সংবিধানউসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতানদের তালিকাদৈনিক প্রথম আলোবাংলাদেশ আওয়ামী লীগনয়নতারা (উদ্ভিদ)পথের পাঁচালীমোবাইল ফোনসূর্যগ্রহণপূর্ণিমা (অভিনেত্রী)ইউক্রেনে রুশ আক্রমণ (২০২২-বর্তমান)শ্রীকৃষ্ণকীর্তনকুরআনের সূরাসমূহের তালিকাআসমানী কিতাবভারতের ইতিহাসসাহারা মরুভূমিজামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদকালবৈশাখীসৌরজগৎবিদায় হজ্জের ভাষণদারাজএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)ইরাক–ইরান যুদ্ধবেলি ফুলমুস্তাফিজুর রহমানরিয়ান পরাগঅস্ট্রেলিয়াসংস্কৃত ভাষাকিশোরগঞ্জ জেলাবন্ধুত্বসাঁওতালপশ্চিমবঙ্গে ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪কাশ্মীরকাতারনিরাপদ যৌনতাগোলাপধর্ষণমুসাফিরের নামাজতাজউদ্দীন আহমদভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪দুধপিনাকী ভট্টাচার্য২০২৪ আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপআবুল খায়ের গ্রুপবাঙালি মুসলিমদের পদবিসমূহ🡆 More