পোখরা

পোখরা হল নেপাল- এর পশ্চিমাংশের গণ্ডকী অঞ্চলের অন্তর্গত কাস্কী জেলার একটি শহর। শহরটি জনসংখার হিসাবে নেপালের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কাঠমান্ডুর পরেই। শহরটি কাঠমান্ডু থেকে ২০০ কিলোমিটার বা ১২০ মাইল দূরে অবস্থিত। এটি কাঠমান্ডু শহরের পশ্চিমে অবস্থিত। শহরটি পোখরা উপত্যকায় গড়ে উঠেছে। পোখরা উপত্যকার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে শহরটি অবস্থিত। এই উপত্যকা দিয়ে স্বেত গন্ধকি নদী বা সাদা নদী প্রবাহিত হয়েছে। এই শহরটি থেকে ১৫ থেকে ৩৫ কিলোমিটাারের মধ্যেই অন্নপূর্না রেঞ্জ অবস্থিত। বিশ্বের সর্বোচ্চ দশটি পর্বতশৃঙ্গের মধ্যে তিনটি রয়েছে এই পর্বতমালায়, এগুলি হল- ধবলগিরি, অন্নাাপূর্না ১ ও মাকালু। এই শহরে রয়েছে পর্বত আরোহনের বেস ক্যাম্প। এখানে পর্বতারোহীরা আসেন পর্বতে উঠার জন্য। এখানে রয়েছে গোরখা সেনাদের বসবাস। পর্যটন ক্ষেত্র হিসেবে শহরটি খুবই পরিচিত।

পোখরা
ডাকনাম: হ্রদের শহর
পোখরা নেপাল-এ অবস্থিত
পোখরা
পোখরা
স্থানাঙ্ক: ২৮°০৯′ উত্তর ৮৩°৩৫′ পূর্ব / ২৮.১৫° উত্তর ৮৩.৫৮° পূর্ব / 28.15; 83.58
দেশনেপাল
জেলাকাস্কী
উন্নয়ন অঞ্চলপশ্চিম
জোনগণ্ডকী
আয়তন
 • মোট৫৬ বর্গকিমি (২২ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট৩,৫৩,৮৪১

ভূগোল

পোখরা 
ফেওয়া হ্রদে নৌকা

পোখরা শহরটি একটি পার্বত্য উপত্যকায় গড়ে এঠেছে। এই উপত্যকাটি পোখরা উপত্যকা হিসাবে পরিচিত। শহরটি সর্বোচ্চ ১৭৪০ মিটার ও সর্বনিম্ন ৮২৭ মিটার উঁচু। ফলে শহরটিতে মাত্র এক কিলোমিটারের ব্যবধানে উচ্চতার বিরাট পরিবর্তন ঘটে। শহরটি অন্নাপূর্না পর্বত শ্রেনীর একটি অংশে ও হিমালয় পর্বতের মধ্য এলাকায় অবস্থিত। পোখরা ২৮.১৫° উত্তর ও ৮৩.৫৮° পূর্বে অবস্থিত। উচ্চতার বিরাট পার্থক্যের জন্য এখানকার আবহাওয়াও খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়। এই উপত্যকার প্রধান নদী হল স্বেত গন্ধকি। উপত্যকাটিতে এই নদীর বহু উপনদী রয়েছে। নদীটি কিছু জায়গায় মাত্র কয়েক মিটার চওড়া। শহরের কাছেই রয়েছে ফেয়া তাল (৪.৪ বর্গ কিলোমিটার)। এছাড়া এখানে রয়েছে বেঙ্গাস লেক। এই শহরের কাছে অনেকগুলি হ্রদ থাকায় এটি হ্রদের শহর হিসাবে পরিচিত।

জনসংখ্যা

২০১১ সালের জনগণনায় শহরটির মোট জনসংখ্যা হল ৩,৫৩,৮৪১ জন। জনসংখ্যার বিচারে এটি নেপালের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর (প্রথম কাটমান্ডু)। এই শহরের বেশির ভাগ মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বি। জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইতিহাস

শহরটির ইতিহাস খুবই প্রাচীন ও সমৃদ্ধ। শহরটি চীন ও ভারতের প্রাচীন কালের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল। ১৭৮৬ সালে এখানে শাসন করতেন পৃত্থী নারায়ন শাহ। এটি গন্ধকি সাম্রাজ্যের অন্তর্গত ছিল।

শিক্ষা ব্যবস্থা

নেপালের মধ্যে পোখরা শহর কাঠমান্ডুর পর সবচেয়ে বড় শিক্ষা ক্ষেত্র হিসাবে পরিচিত। এখানে মেডিকেল কলেজ ও ইনঞ্জিরিয়ারিং কলেজ রয়েছে। এছাড়া অনেক ডিগ্রি কলেজ আছে এখানে। পর্বতারোহণের জন্য এই শহরে পড়াশোনার ব্যবস্থা রয়েছে।

  • পোখরা মেডিকেল কলেজ
  • পোখরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
  • গণ্ডকী বোর্ডিং স্কুল
  • হিমাচলপ্রদেশ বোর্ডিং স্কুল

যোগাযোগ ব্যবস্থা

নেপালের রেল ব্যবস্থা তেমন ভাল নয়। ফলে এখনো যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হল সড়ক পথ। পোখরা থেকে কাঠমান্ডুতে বাস যোগাযোগ রয়েছে। শহরটি থেকে দেশের অন্য অংশেও সড়ক যোগাযোগ সক্রিয় রয়েছে। এই শহরের বিমান যোগাযোগ ঘটে পোখরা বিমানবন্দর দ্বারা।এখান থেকে কাঠমান্ডু, দিল্লি ও লক্ষনৌউ এ বিমান চলাচল করে।

তথ্যসূত্র

Tags:

পোখরা ভূগোলপোখরা জনসংখ্যাপোখরা ইতিহাসপোখরা শিক্ষা ব্যবস্থাপোখরা যোগাযোগ ব্যবস্থাপোখরা তথ্যসূত্রপোখরাকাঠমান্ডুকাস্কী জেলাগণ্ডকী অঞ্চলনেপাল

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

আব্বাসীয় খিলাফতপশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালদের তালিকাবাংলাদেশের উপজেলার তালিকাশিববাংলাদেশের ইতিহাসইসলামে বিবাহইউরোপবাংলাদেশের পদমর্যাদা ক্রমজাকির নায়েকঈসাআরবি ভাষাসুনামগঞ্জ জেলাবাংলাদেশ পুলিশকুরাসাওকালীঔষধআকবরহিরো আলমবাংলাদেশের অর্থনীতিইসলামের ইতিহাসস্নায়ুতন্ত্রশিয়া ইসলামরুশ উইকিপিডিয়াদক্ষিণ এশিয়াআসসালামু আলাইকুমসতীদাহফাতিমাবিজয় দিবস (বাংলাদেশ)মানব দেহমিয়োসিসসালমান শাহপাকিস্তানবাংলার নবজাগরণক্যান্সারআর্-রাহীকুল মাখতূমবাংলাদেশের একাডেমিক গ্রেডিং পদ্ধতিপর্তুগালসূরা নাসঘূর্ণিঝড়জীবনসুলতান সুলাইমানজাতীয় সংসদের স্পিকারদের তালিকাডিজেল গাছরাম নবমীবাল্যবিবাহপুঁজিবাদহিমালয় পর্বতমালানৈশকালীন নির্গমনসেশেলসচীনগানা ডট কমসূরাশাহরুখ খানবাংলাদেশের জেলাসমূহের তালিকাবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকামহাবিস্ফোরণ তত্ত্বজৈন ধর্মমরিশাসগুগলজেলা প্রশাসককলকাতামরক্কোজীবাশ্ম জ্বালানিকার্বন ডাই অক্সাইডত্রিভুজছয় দফা আন্দোলনভিটামিনআবদুর রব সেরনিয়াবাতযিনাঅধিবর্ষবুধ গ্রহআহ্‌মদীয়ামহাভারতের চরিত্র তালিকাআযানআলবার্ট আইনস্টাইনমরক্কো জাতীয় ফুটবল দলসোমালিয়াক্রোমোজোম🡆 More