পল গোগাঁ (ফরাসি: Paul Gauguin) (জুন ৭, ১৮৪৮ – মে ৮, ১৯০৩) উনিশ শতকের প্রখ্যাত ফরাসি চিত্রকর। ইম্প্রেশোনিজ্ম-উত্তর যুগের চিত্রকলায় তিনি অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেন। জীবনের শেষ বছরগুলো তিনি তাহিতি সহ প্রশান্ত মহাসাগরের প্রত্যন্ত বিভিন্ন দ্বীপে অতিবাহিত করেন।
পল গোগাঁ Paul Gauguin | |
---|---|
জন্ম | ইউজিন হেনরি পল গোগাঁ ৭ জুন ১৮৪৮ |
মৃত্যু | ৮ মে ১৯০৩ আতুওনা, মার্কেসাস দ্বীপপুঞ্জ, ফরাসি পলিনেশিয়া | (বয়স ৫৪)
পরিচিতির কারণ | পেইন্টিং, ভাস্কর্য, সিরামিক, খোদাই |
আন্দোলন | ইম্প্রেশোনিজ্ম |
তাঁর কাজগুলো ফরাসি অ্যাভান্ট-গার্ডে এবং পাবলো পিকাসো এবং হেনরি ম্যাটিসির মতো অনেক আধুনিক শিল্পীর কাছে প্রভাবশালী ছিল। পল গোগাঁ শিল্প হিসাবে মৃত্যুর পরে জনপ্রিয় হয়েছিল। আংশিকভাবে আর্ট ডিলারয়ের অ্যামব্রয়েস ভোলার্ডের প্রচেষ্টায়। যিনি গোগাঁর কাজের প্রদর্শনী পরিচালনা করেছিলেন এবং প্যারিসে দুটি গুরুত্বপূর্ণ মরণোত্তর প্রদর্শনীর আয়োজনে সহায়তা করেছিলেন।
চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, প্রিন্ট মেকার, সিরামিস্ট এবং লেখক হিসাবে গোগাঁ প্রতীকবাদী আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাঁর চিত্রগুলিতে যে বিষয়গুলির অন্তর্নিহিত অর্থের প্রকাশ পায়েছে তা পৌরাণিক। তিনি চিত্রগুলো মূলত কাঠের খোদাই করাই প্রধান ছিলো।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, ফরাসী পলিনেশিয়ায় নির্মিত তাঁর বৈকল্পিক শিল্পকর্মের সমালোচনা এবং অপ্রাপ্ত বয়সী মেয়েদের সাথে তাঁর সম্পর্কের কারণে গোঁগা আর্ট গ্যালারীগুলির বিতর্কিত ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন।
পল গোগাঁ জন্ম ১৮ ই জুন, ১৮৪৮ সালে। তাঁর জন্মের বছরেই পুরো ইউরোপে বিপ্লবী উত্থান শুরু হয়ে যায়। তাঁর বাবা ৩৪ বছর বয়সী উদার সাংবাদিক, তিনি অর্লানসে বসবাসকারী উদ্যোক্তাদের পরিবার থেকে এসেছিলেন। তিনি যে পত্রিকার জন্য লিখেছিলেন সেটিকে ফরাসী সরকারের কর্তৃপক্ষ দ্বারা বন্ধ করা হলে তিনি ফ্রান্স ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন।
পল গোগাঁ ফ্রান্সে La Chapelle-Saint-Mesmin পড়াশুনা করেন। তিনি সেই স্কুলে তিন বছর কাটিয়েছেন। চৌদ্দ বছর বয়সে তিনি প্যারিসের লরিওল ইনস্টিটিউটে একটি নেভাল প্রিপারেটরি স্কুলে পড়াশুনা শুরু করেন। ১৮৭১ সালে, গোগাঁ প্যারিসে ফিরে আসেন যেখানে তিনি স্টকব্রোকার হিসাবে চাকরি অর্জন করেছিলেন।
১৮৭৩ সালে, তিনি একটি ডেনিশ মহিলা Mette-Sophie Gadকে (১৮৫০-১৯২০) বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পরে ১০ বছরে ৫টি সন্তান জন্মে এই দম্পতির ঘরে। গোগাঁ ফুলটাইম চিত্রশিল্পীর জীবন বেছে নেওয়াতে বিয়ের ১১ বছের পরে মধ্যবিত্ত পরিবার এবং বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। ১৮৮৫ সালে তিনি প্যারিসে চলে যান কারণ তার পরিবার তার সাথে থাকতে চান নি। তাদের যোগাযোগ ছিলও ১৮৯১ সাল পর্যন্ত কিন্তু ১৮৯৪ সালে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয় 'তারা আর এক সাথে থাকবে না'।
১৯০৩ সালে তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রচারের সাথে যুক্ত হন। ক্যালভারি নামে একজন তার নামে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ করেন। এরজন্য ১৯০৩ সালের ২ মার্চ ৩ মাসের জন্য গোঁগার কারাদণ্ড হয়। এই সময় পল গোগাঁ অত্যন্ত দুর্বল এবং প্রচন্ড ব্যথায় ছিলেন তারপরে তাকে মরফিন ঔষুধ ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়। ১৯০৩ সালের ৮ ই মে হঠাৎ তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর আগ পর্যন্ত পল গঁগ্যাকে চিত্রশিল্পী হিসেবে কেউ সেভাবে মূল্যায়ন করেনি। কিন্তু ১৯০৩ সালে ফরাসি ‘পোস্ট-ইমপ্রেশনিস্ট’ এই শিল্পীর মৃত্যুর পরই তার কদর বেড়ে যায়। ১৮৯২ সালে অমর তৈলচিত্র ‘নাফেয়া ফা ইপোইপো’ (হোয়েন উইল ইউ ম্যারি) ছবিটি আঁকেন গঁগ্যা। এ ছবিতে তিনি তাহিতি দ্বীপের দুই নারীর প্রতিমূর্তি অঙ্কন করেন। ১৮৯১ সালে প্রথমবারের মতো তাহিতি দ্বীপে গিয়ে এই ছবির রসদ জোগাড় করেছিলেন গঁগ্যা।
২০১৪ সালে সুইস ব্যবসায়ী রুডলফ স্টায়েচলিনের কাছ থেকে নিলামে ২১ কোটি ২০ লাখ ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭৫৭ কোটি টাকার বেশি) ছবিটি কিনে নেয় কাতারের রাজপরিবার।
সাহিত্যিক নারায়ণ সান্যাল তার জীবনের ছায়ায় ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাস 'আবার যদি ইচ্ছা করো' রচনা করেছেন। সেখানে তার নাম গগন পাল। অপর চিত্রকর ভ্যান গখ, পরিচিত হয়েছেন 'চন্দ্রভান গর্গ নামে।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article পল গোগাঁ, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.