পঞ্চ প্রিয়

পঞ্চ প্রিয় (পাঞ্জাবি: ਪੰਜ ਪਿਆਰੇ, পাঞ্জ পেয়ারে, পাঁচ প্রিয়জন) বলতে শিখ ধর্মের অনুসারি খালসা শিখদের একত্রে সমবেত পাঁচ অমৃতধারী (বাপ্তিস্মপ্রাপ্ত) পঞ্চককে বুঝায় যারা বৃহত্তর শিখ সম্প্রদায়ের প্রাতিষ্ঠানিক নেতা হিসাবে কাজ করে।

পঞ্চ প্রিয়
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের এট্টোকের কোট ফাতেহ্ খানের একটি পরিত্যক্ত শিখ সমাধির দেয়ালচিত্রে রূপায়ণ করা হয়েছে গুরু গোবিন্দ সিং কর্তৃক পঞ্চ প্রিয়ের সূচনা দৃশ্যের।

কর্মকাণ্ড

পঞ্চ প্রিয়গণ স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ধরণের বিষয়ে শিখ সম্প্রদায়ের হয়ে মতামত ও বক্তব্য উপস্থাপন করে থাকে। পঞ্চ প্রিয়ের এই পঞ্চকদেরকে সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্য হতে মেধার ভিত্তিতে নির্বাচিত করা হয়।

উত্সব

পঞ্চ প্রিয় 
পাঞ্জ পেয়ারে যুক্তরাজ্যের উলভারহ্যাম্পটনে একটি মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

তারা নগর কীর্তন মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। শিখধর্মের খালসা ক্রমে নতুন সদস্যদের বাপ্তিস্ম দেওয়ার অমৃত সঞ্চার অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্যও পাঞ্জ পেয়ারেদের আবশ্যক। ১৬৯৯ খ্রিস্টাব্দের ভৈশাখী পর্যন্ত শিখ দীক্ষা অনুষ্ঠানটি চরণ পাহুল নামে পরিচিত ছিল। তাদেরকে নবনির্মিত গুরুদ্বারগুলির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কাজে যুক্ত থাকতে হয়।

ঐতিহাসিক ব্যবহার

ঐতিহাসিক অর্থে, ১৬৯৯ সালের ৩০ মার্চ তারিখে ভারতের পাঞ্জাব অঞ্চলের আনন্দপুর সাহিবে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক এবং স্মারক সমাবেশে এই শব্দটি দশম শিখ গুরু গুরু গোবিন্দ সিং - ভাই দয়া সিং, ভাই ধরম সিং, ভাই হিম্মত সিং, ভাই মোহকাম সিং এবং ভাই সাহিব সিং - এই পাঁচজনকে বুঝাতে ব্যবহৃত করেন। (গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ১৭৫২ সালে ১১ দিন এড়িয়ে যায়। তাই, বর্তমান সময়ে, বৈশাখী প্রতি বছর ১৩ এপ্রিলের কাছাকাছি হয়।)

লিঙ্গ

যেহেতু প্রথম পঞ্চ প্রিয়ের পঞ্চকটি যেটি গুরু গোবিন্দ সিং নিজেই নিযুক্ত করেছিলেন তাতে তিনি কেবল পুরুষদেরকেই নিয়েছিলেন ফলে অনেক শিখ বিশ্বাস করেন যে পঞ্চ প্রিয় শুধুমাত্র পুরুষদের নিয়ে গঠিত হতে হবে এবং মহিলাদেরকে প্রতিনিধি হিসাবে দীক্ষিত করা হবে না। যাইহোক, এটি শিখ বিশ্বাস এবং লিঙ্গ সমতার অনুশীলনের বিরুদ্ধে বলে অভিমত দেয়া হয়। তবে, শিখদের থ্রিএইচও সম্প্রদায় বাপ্তিস্মপ্রাপ্ত শিখ মহিলাদেরকেও পঞ্চ প্রিয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করাকে অনুমোদন করে।

আরও দেখুন

  • পাঞ্জ পীর

টীকা

পু্স্তকপঞ্জী

  • "Concepts in Sikhism"। Global Sikh Studies [www.globalsikhstudies.net]। ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ৪, ২০০৬ 

তথ্যসূত্র

  • Singh, Patwant (১৯৮৯)। The Golden Temple। South Asia Books। আইএসবিএন 962-7375-01-2 

বহিঃসংযোগ

Tags:

পঞ্চ প্রিয় কর্মকাণ্ডপঞ্চ প্রিয় ঐতিহাসিক ব্যবহারপঞ্চ প্রিয় লিঙ্গপঞ্চ প্রিয় আরও দেখুনপঞ্চ প্রিয় টীকাপঞ্চ প্রিয় পু্স্তকপঞ্জীপঞ্চ প্রিয় তথ্যসূত্রপঞ্চ প্রিয় বহিঃসংযোগপঞ্চ প্রিয়খালসাপাঞ্জাবি ভাষাশিখশিখধর্ম

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

সাকিব আল হাসানজোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনআরব্য রজনীপ্রাকৃতিক পরিবেশথাইল্যান্ডখিলাফতযোনি পিচ্ছিলকারকসাতই মার্চের ভাষণব্রিক্‌সমোশাররফ করিমক্লিওপেট্রানিজামিয়া মাদ্রাসাবেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরউসমানীয় খিলাফতরক্তশূন্যতাবাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারকবৃন্দমহাভারতপৃথিবীবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলমুতাওয়াক্কিলচট্টগ্রাম বিভাগডায়াচৌম্বক পদার্থবীর্যদীপু মনিভূমণ্ডলীয় উষ্ণতা বৃদ্ধিরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাববাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানবিজ্ঞানভারতের স্বাধীনতা আন্দোলননাহরাওয়ানের যুদ্ধসহীহ বুখারীচাঁদবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিমাদারীপুর জেলাপায়ুসঙ্গমজওহরলাল নেহেরুইউসুফযুক্তরাজ্যপ্রথম বিশ্বযুদ্ধসূরা ফালাকশাকিব খানজীবনানন্দ দাশচিরস্থায়ী বন্দোবস্তগ্রামীণ ব্যাংকবাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিদের তালিকাগাঁজা (মাদক)২০২৪ ইসরায়েলে ইরানি হামলাকারকক্যান্সারশ্রীলঙ্কাবিসিএস পরীক্ষাবাংলাদেশসার্বজনীন পেনশনচট্টগ্রাম জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও দর্শনীয় স্থানজাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদহিন্দুধর্মের ইতিহাসইন্দিরা গান্ধীআইজাক নিউটনসুকুমার রায়রাজা মানসিংহপদ্মা সেতুপশ্চিমবঙ্গে ভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪বাংলাদেশের ইতিহাসমুঘল সাম্রাজ্যগায়ত্রী মন্ত্রআয়তন অনুযায়ী ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহের তালিকাফুসফুসবাংলাদেশের উপজেলার তালিকাশব্দ (ব্যাকরণ)অনাভেদী যৌনক্রিয়াচৈতন্য মহাপ্রভুহারুন-অর-রশিদ (পুলিশ কর্মকর্তা)কমনওয়েলথ অব নেশনস২০২২ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জিম্বাবুয়ে সফরনিউটনের গতিসূত্রসমূহবাংলাদেশের পৌরসভার তালিকামানুষ🡆 More