নার্গেস মোহাম্মাদি: ইরানি মানবাধিকার কর্মী

নার্গেস সাফিয়ে মোহাম্মাদি (ফার্সি: نرگس صفیه محمدی; জন্ম ২১শে এপ্রিল ১৯৭২) একজন ইরানি মানবাধিকার আন্দোলন কর্মী ও ডিফেন্ডার্স অভ দ্য হিউম্যান রাইটস সেন্টার সংস্থার উপপ্রধান, যার প্রধান নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী শিরিন এবাদি। তিনি ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ইরানে নারীদের উপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও সবার জন্য মানবাধিকার ও মুক্তির সমর্থনে কাজ করার জন্য তাকে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ২০১৬ সালের মে মাসে তাকে তেহরানে ১৬ বছরের জন্য কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। মৃত্যদণ্ড রদ করার পক্ষে প্রচারাভিযান চালানো একটি মানবাধিকার আন্দোলন পরিচালনা করার জন্য তাকে এই শাস্তি দেওয়া হয়। ২০২২ সালে তিনি বিবিসি-র ১০০ নারীর তালিকায় স্থান পান।

নার্গেস সাফিয়ে মোহাম্মাদি
نرگس صفیه محمدی
নার্গেস মোহাম্মাদি: পটভূমি, আরো দেখুন, তথ্যসূত্র
জন্ম (1972-04-21) ২১ এপ্রিল ১৯৭২ (বয়স ৫১)
জাঞ্জন, ইরান
জাতীয়তাইরানি
পেশামানবাধিকার আন্দোলনকর্মী
প্রতিষ্ঠানমানবাধিকার কেন্দ্রের রক্ষক
ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর পিস
আন্দোলননব্য-শরীয়তবাদ
দাম্পত্য সঙ্গীতাগি রাহমানি (বি. ২০০১)
সন্তান
পুরস্কারআলেকজান্ডার ল্যাঙ্গার পুরস্কার (২০০৯)
আন্দ্রেই সাখারভ পুরস্কার (এপিএস) (২০১৮)
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার (২০২৩)

পটভূমি

মোহাম্মাদি ২১ এপ্রিল ১৯৭২ সালে জন্মগ্রহণ করেন ইরানের জাঞ্জানে এবং কোরভেহ, কারাজ এবং ওশনাভিয়েহ শহরে বেড়ে ওঠেন। তিনি ইমাম খোমেনি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে একজন পেশাদার প্রকৌশলী হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায়, তিনি শিক্ষার্থীদের সংবাদপত্রে নারীর অধিকার সমর্থনকারী নিবন্ধ লিখেছিলেন এবং রাজনৈতিক ছাত্র গোষ্ঠী তাশাক্কোল দানেশজুয়ি রোশানগারান ("আলোকিত ছাত্র গোষ্ঠী") এর দুটি সভায় গ্রেপ্তার হন। তিনি একটি পর্বতারোহণ গোষ্ঠীতেও সক্রিয় ছিলেন, কিন্তু পরে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে পর্বতারোহণে যোগদান তার জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

মোহাম্মাদি বেশ কয়েকটি সংস্কারপন্থী সংবাদপত্রের সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন এবং দ্য রিফর্মস, দ্য স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড দ্য ট্যাকটিকস("সংস্কার, কৌশল ও চাতুরিসমূহ") নামে রাজনৈতিক প্রবন্ধের একটি বই প্রকাশ করেন। ২০০৩ সালে, তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী শিরিন এবাদির নেতৃত্বে মানবাধিকার কেন্দ্র (ডিএইচআরসি)-তে যোগদান করেন; পরে তিনি সংগঠনের সহ-সভাপতি হন।

১৯৯৯ সালে তিনি সহকর্মী সংস্কারপন্থী সাংবাদিক তাগি রাহমানিকে বিয়ে করেন, যিনি শীঘ্রই প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হন। রহমানি ১৪ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করার পর ২০১২ সালে ফ্রান্সে চলে যান এবং মোহাম্মাদি তার মানবাধিকারের কাজ চালিয়ে যান। মোহাম্মাদি ও রাহমানির যমজ দুটি সন্তান রয়েছে।

আরো দেখুন

  • তাগি রাহমানি

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Tags:

নার্গেস মোহাম্মাদি পটভূমিনার্গেস মোহাম্মাদি আরো দেখুননার্গেস মোহাম্মাদি তথ্যসূত্রনার্গেস মোহাম্মাদি বহিঃসংযোগনার্গেস মোহাম্মাদিফার্সি ভাষাশিরিন এবাদি

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

ফিতরাকলমএম এ ওয়াজেদ মিয়াটাইফয়েড জ্বরনাটকচড়ক পূজাইফতারকার্বনসূর্য সেনচোখব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিজন্ডিসমঙ্গল গ্রহমাহদীবর্ডার গার্ড বাংলাদেশসাপঔষধললিকনপদার্থবিজ্ঞানবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ২০২৩হুমায়ূন আহমেদকাজী নজরুল ইসলামের রচনাবলিগোলাপআহল-ই-হাদীসইতালিনাইট্রোজেনহিমোগ্লোবিনবাংলাদেশ নৌবাহিনীবাংলাদেশী টাকাগাঁজাবিভিন্ন দেশের মুদ্রানিউমোনিয়ামেঘনাদবধ কাব্যকোষ বিভাজনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়রাহুল গান্ধীকম্পিউটারনামাজওবায়দুল কাদেরটাঙ্গাইল জেলাজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ছায়াপথযকৃৎরাজশাহী বিভাগঅণুজীবনারী ক্ষমতায়ননেলসন ম্যান্ডেলাবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাইস্তেখারার নামাজঅকালবোধনপলাশীর যুদ্ধমাশাআল্লাহবাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীউপন্যাসসতীদাহসেহরিজাতিসংঘবাস্তব সংখ্যাকুরআনদ্বিপদ নামকরণমাযহাবজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়রূহ আফজাবাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পময়ূরআব্বাসীয় খিলাফতমানব মস্তিষ্কবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধবাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রআবুল কাশেম ফজলুল হকআল্লাহতাকওয়ামেটা প্ল্যাটফর্মসফোর্ট উইলিয়াম কলেজদিনাজপুর জেলাবাংলাদেশ সেনাবাহিনীবাংলাদেশের উপজেলা🡆 More