ডাউন সিনড্রোম: জেনেটিক রোগ

ডাউন সিনড্রোম (ইংরেজি: Down syndrome)( সংক্ষেপে DS বা DNS), এটা ট্রাইসোমি ২১ নামেও পরিচিত। এটি একটি জেনেটিক রোগ যেখানে ২১ নং ক্রোমোজোমে আরেকটি অতিরিক্ত ক্রোমোজোম বিদ্যমান। এই রোগে শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ও বুদ্ধিমত্তা স্বাভাবিকের তুলনায় কম থাকে। ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত প্রাপ্তবয়স্ক তরুণের গড় আইকিউ (IQ) ৫০ যা ৮-৯ বছরের সুস্থ শিশুর সমান।

ডাউন সিনড্রোম
ডাউন সিনড্রোম: তথ্যসূত্র, বহিঃসংযোগ
ডাউন সিনড্রোম আক্রান্ত একটি শিশু
বিশেষত্বমেডিকেল জেনেটিক্স, পেডিয়েট্রিকস
লক্ষণধীর শারিরীক বৃদ্ধি, বিশেষ মুখের বৈশিষ্ট্য, হালকা থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বুদ্ধিবৃত্তিক অক্ষমতা
কারণক্রোমোজোম২১ এর ৩য় অনুলীপি
ঝুঁকির কারণবয়স্ক মা
আরোগ্যসম্ভাবনাআয়ু ৫০-৬০ (উন্নত বিশ্বে)
সংঘটনের হার৫৪ লাখ (০.১%)
মৃতের সংখ্যা২৬,৫০০(২০১৫)

আক্রান্ত শিশুর পিতামাতা জেনেটিকভাবে স্বাভাবিক থাকে। অতিরিক্ত ক্রোমোজোমের ঘটনা দৈবক্রমে ঘটে থাকে এরকম সন্তান জন্মদানের সম্ভাবনা ২০ বছর বয়সী মায়েদের ক্ষেত্রে ০.১% এরও কম এবং ৪৫ বছর বয়সী মায়েদের ক্ষেত্রে তা ৩% পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এই সম্ভাবনার উপর প্রভাব ফেলতে পারে এরকম আচরণগত কার্যক্রম বা পরিবেশগত বিষয়াবলী সম্পর্কে জানা যায় নি। বাচ্চা গর্ভে থাকা অবস্থায় স্ক্রিনিং পরীক্ষার মাধ্যমে অথবা জন্মের পর সরাসরি পর্যবেক্ষণ ও জেনেটিক পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ শনাক্ত করা যায়। গর্ভাবস্থায় ভ্রুণটি ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হলে গর্ভপাতের পরামর্শ দেয়া হয়। ডাউন সিনড্রোমের রোগীকে সারাজীবন কিছু রোগের স্ক্রিনিং পরীক্ষা করাতে হয়।

এই রোগের কোনো প্রতিকার নেই। শিক্ষা, যথাযথ যত্ন ও ভালোবাসা রোগীর জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। কিছু কিছু ডাউন সিনড্রোমের শিশুকে স্বাভাবিক বিদ্যালয়ের শ্রেনীকক্ষে শিক্ষা দেওয়া গেলেও অন্যের ক্ষেত্রে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা দিতে হয়। কেউ কেউ মাধ্যমিক বিদ্যালয় শেষ করতে পারে, খুব অল্পসংখ্যক উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত যেতে পারে। উন্নত বিশ্বে এই রোগীরা ৫০-৬০ বছর পর্যন্ত বাঁচে

ক্রোমোজোম সংক্রান্ত রোগের মধ্যে ডাউন সিনড্রোম প্রথম সারির একটি রোগ। প্রতিবছর জন্মগ্রহণকারী ১০০০ হাজার শিশুর মধ্যে ১ জন ডাউন সিনড্রোম নিয়ে জন্মায় ২০১৩ সালে ডাউন সিনড্রোমের রোগী ছিল প্রায় ৮.৫ মিলিয়ন এবং মৃত্যুবরণ করে ২৭০০০ জন যেখানে ১৯৯০ সালে মারা গিয়েছিলো ৪৩০০০ জন। জন ল্যাংডন ডাউন (John Langdon Down) নামে একজন ব্রিটিশ ডাক্তার ১৮৬৬ সালে প্রথমবার এই রোগের পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা দেন তাই তার নামে এই রোগের নামকরণ করা হয়। ১৮৩৮ সালে Jean-Étienne Dominique Esquirol ও ১৮৪৪ সালে Édouard Séguin এই রোগ সম্পর্কে অল্পবিস্তর বর্ণনা করেন। Jérôme Lejeune নামে ফ্রান্সের গবেষক ১৯৫৯ সালে আবিষ্কার করেন যে ২১ নং ক্রোমোজোমে দুটির স্থলে তিনটি ক্রোমোজোম বিদ্যমান।

ভিডিও বিশ্লেষণ

তথ্যসূত্র

টেমপ্লেট:Chromosomal abnormalities

Tags:

ডাউন সিনড্রোম তথ্যসূত্রডাউন সিনড্রোম বহিঃসংযোগডাউন সিনড্রোমইংরেজি ভাষাক্রোমোজোম

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ক্রিকেটবাঘসূর্য সেনসামাজিক লিঙ্গ পরিচয়ফেরেশতাঅ্যালবামযোনিপশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালদের তালিকাডিএনএক্রোমোজোমপশ্চিমবঙ্গের জেলামাক্সিম গোর্কিপ্লাস্টিক দূষণফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংপৃথিবীর ইতিহাসনরসিংদী জেলাআডলফ হিটলারঅর্থনীতিজাতীয় সংসদঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রমৌলিক পদার্থমিয়োসিসঅ্যান্টিবায়োটিক তালিকাপাঠশালাবাংলাদেশের স্থল বন্দরসমূহের তালিকাজিৎ অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকানেমেসিস (নুরুল মোমেনের নাটক)তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়সামন্ততন্ত্ররোনাল্ড রসসাহাবিদের তালিকামোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনজোয়ার-ভাটাতাশাহহুদহৃৎপিণ্ডবাঙালি জাতিরেনেসাঁভূগোলশুক্রাণুপ্রধান পাতাউপন্যাসবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিআয়াতুল কুরসিসুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখরতথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডরাজশাহী বিভাগবাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রবাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরদের তালিকাসবচেয়ে বেশি গোলকারী ফুটবলারের তালিকাবুধ গ্রহকুরআনইসলামে যৌনতালাঙ্গলবন্দ স্নানআব্দুল হামিদএস এম শফিউদ্দিন আহমেদসেশেলস জাতীয় ফুটবল দলদুবাইপর্যায় সারণীইউটিউবপেশীদুধআংকর বাটজলবায়ু পরিবর্তনসেশেলসজেলা প্রশাসকবাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীআলীবঙ্গবন্ধু টানেলচিয়া বীজসূরা আল-ইমরানজীবনশাকিব খান অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকাবাংলা টিভি চ্যানেলের তালিকাতিমিআসমানী কিতাব🡆 More