চিরঞ্জীবী: ভারতীয় অভিনেতা

চিরঞ্জীবী (তেলুগু: చిరంజీవి, জন্ম: কনিডেলা শিবশংকর বড়প্রসাদ; ২২ আগস্ট ১৯৫৫) হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, নৃত্যশিল্পী, প্রযোজক, গায়ক, রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারী। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম সফল এবং প্রভাবশালী অভিনেতা হিসেবে বিবেচিত হন। চার দশকেরও বেশি কর্মময় জীবনে তিনি ১৫০টিরও বেশি তেলুগু চলচ্চিত্রের পাশাপাশি কিছু হিন্দি, তামিল, ও কন্নড় ভাষায় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। চিরঞ্জীবী অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার, রঘুপতি ভেঙ্কাইয়া পুরস্কার, তিনটি নন্দী পুরস্কার, এবংআজীবন সম্মাননাসহ নয়টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ অর্জন করেছেন। ২০০৬ সালে, তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণে ভূষিত হন। তাকে ২০১৩ সালে সিএনএন-আইবিএন যারা ভারতীয় সিনেমার চেহারা পাল্টে দিয়েছেন অন্যতম হিসাবে মনোনিত করেছেন। তিনি ভারত সরকারের কেবিনেটের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একজন মন্ত্রী ছিলেন।

চিরঞ্জীবী
চিরঞ্জীবী: প্রাথমিক জীবন ও পরিবার, অভিনয় কর্মজীবন, রাজনৈতিক কর্মজীবন
২০১৩ সালে
মেম্বার অব পার্লামেন্ট - রাজ্যসভা
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৩ এপ্রিল ২০১২ সাল
টুরিজম মন্ত্রণালয় (Independent Charge)
কাজের মেয়াদ
২৮ অক্টোবর, ২০১২ সাল – ১৫ মে, ২০১৪ সাল
পূর্বসূরীSubodh Kant Sahay
উত্তরসূরীShripad Yasso Naik
সদস্য অন্দ্রপ্রদেশ আইন প্রণয়ন পরিষদ জন্য তিরুপতি
কাজের মেয়াদ
২০০৯ সাল – ২০১২ সাল
পূর্বসূরীএম. ভেঙ্কটারামানা
উত্তরসূরীএম. ভেঙ্কটারামানা
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1955-08-22) ২২ আগস্ট ১৯৫৫ (বয়স ৬৮)
নরসাপুরাম, পূর্ব গোদাভরি, অন্দ্র রাজ্য, ভারত
(এখন অন্দ্র প্রদেশ, ভারত)
জাতীয়তাভারতীয়
রাজনৈতিক দলভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (২০১১—বর্তমান)
অন্যান্য
রাজনৈতিক দল
প্রাজা রাজ্যম পার্টি (২০০৮—২০১১)
দাম্পত্য সঙ্গীসুরেখা কোনিডেলা (বি. ১৯৮০)
সন্তানরাম চরণ
সুস্মিতা
শ্রীজা
আত্মীয়স্বজন
বাসস্থানজুবিলী হিলস্‌, হায়দ্রাবাদ, তেলেঙ্গানা, ভারত (স্থায়ী)
নয়া দিল্লী, দিল্লী, ভারত (সরকারি)
প্রাক্তন শিক্ষার্থী
  • মাদ্রাজ ফিল্ম ইন্‌স্টিটিউট
  • অন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়
  • শ্রী ওয়াই এন কলেজ
পেশাচলচ্চিত্র অভিনেতা, রাজনীতিবিদ
ধর্মসনাতন
পুরস্কারপদ্ম ভূষণ

চিরঞ্জীব ১৯৭৮ সালে পুনাদিরাল্লু চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। যদিও এর আগে বক্স অফিসে মুক্তি পায় তার প্রনাম খারেদু। ১৯৮৭ সালে, তিনি স্বয়মক্রুষি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যা রুশ ভাষায় ভাষান্তরিত করা হয়েছিল এবং মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছিল। চিরঞ্জীবী চলচ্চিত্রটিতে অভিনয়ের জন্য ১৯৮৮ সালের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সেরা অভিনেতার পুরস্কার এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য রাজ্য নন্দী পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। ১৯৮৮ সালে, তিনি রুদ্রবীণা চলচ্চিত্র সহ-প্রযোজনা করেন, যা জাতীয় সংহতির উপর শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিল।

চিরঞ্জীবীর ১৯৯২ সালের ঘরানা মোগুডু ছিল প্রথম তেলেগু চলচ্চিত্র, যা বক্স অফিসে ₹১০ কোটিরও বেশি আয় করেছিল। চলচ্চিত্রটি ১৯৯৩ সালের ভারতীয় আন্তঃরাষ্ট্রীয় চলচ্চিত্র মহোৎসবের (আইএফএফআই) মূলধারার বিভাগে প্রদর্শিত হয়। এটি চিরঞ্জীবীকে তৎকালীন সময়ে ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং তাকে ভারতের জাতীয় সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনোগুলো কভার পৃষ্ঠায় তুলে ধরেছিল। তাকে বিনোদনমূলক ম্যাগাজিন ফিল্মফেয়ার এবং ইন্ডিয়া টুডে হিন্দি চলচ্চিত্রের অমিতাভ বচ্চনকে উল্লেখ করে "বচ্চনের চেয়ে বড়" বা "বিগার দ্যান বচ্চন" হিসাবে উল্লেখ করেছে। সংবাদ ম্যাগাজিন দ্য উইক তাকে "নতুন টাকার মেশিন" বলে অভিহিত করে। ১৯৯২ সালের আপাদবান্ধাভুরু চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ₹১.২৫ কোটি রুপি পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন, যা তৎকালীন সময়ের যে কোনো ভারতীয় অভিনেতার জন্য সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক। ২০০২ সালে, চিরঞ্জীবীকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক ১৯৯৯-২০০০ মূল্যায়ন বছরের জন্য সর্বোচ্চ আয়কর প্রদানকারী হিসেবে সাম্মান অ্যাওয়ার্ড বা সম্মান পুরস্কার প্রদান করা হয়।

২০০৮ সালে, চিরঞ্জীবী প্রজা রাজ্যম পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০০৯ সালের অন্ধ্রপ্রদেশ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দলটি ২৯৪টি আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে ১৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিতেছিল এবং পরবর্তীতে ২০১১ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে মিলে একীভূত হয়েছিল। চিরঞ্জীবী ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব নিয়ে পর্যটন মন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হন এবং ২০১৪ মে মাস পর্যন্ত সেই পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২ সালে, তিনি ৫৩তম ভারতীয় আন্তঃরাষ্ট্রীয় চলচ্চিত্র মহোৎসবে আইএফএফআই বর্ষসেরা ভারতীয় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব পুরস্কারে ভূষিত হন।

প্রাথমিক জীবন ও পরিবার

চিরঞ্জীবী ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের পশ্চিম গোদাবাড়ি জেলার মোগলথুর গ্রামে ১৯৫৫ সালে ২২ আগস্ট কনিডেলা শিবশঙ্কর বড়প্রসাদ রাও হিসাবে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা কনিডেলা ভেঙ্কট রাও একজন কনস্টেবল হিসেবে কাজ করতেন এবং প্রায়শই তাকে বদলি হতে হতো। তার শৈশব কেটেছে তার নিজ গ্রামে তার দাদা-দাদীর সাথে।

চিরঞ্জীবী নিদাদাভোলু, গুরাজালা, বাপাটলা, পন্নুর, মঙ্গলাগীরি এবং মোগলথুরে তাঁর পড়াশোনা সম্পন্ন করেছিলেন। তিনি ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পসের (এনসিসি) একজন ক্যাডেট ছিলেন এবং তিনি ৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে নয়াদিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়েছিলেন। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল তার। তিনি ওঙ্গোলের সিএসআর শর্মা কলেজে তার মাধ্যমিক পড়াশোনা সম্পন্ন করেছিলেন। নরসাপুরমের শ্রী ওয়াই এন কলেজ থেকে ব্যবসা বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর, চিরঞ্জীবী চেন্নাইয়ে চলে আসেন এবং অভিনয়ে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ১৯৭৬ সালে মাদ্রাজ চলচ্চিত্র ইনস্টিটিউটে যোগ দেন।

অভিনয় কর্মজীবন

১৯৭৮–১৯৮১: প্রাথমিক কর্মজীবন

যেহেতু তার পরিবার হিন্দু দেবতা অঞ্জনেয়া'র পূজা করতো, তাই তার মা তাকে পর্দার নাম "চিরঞ্জীবী" নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন, যার অর্থ "অমর", যা হিন্দু ধর্মমতে হনুমানের চিরকাল বেঁচে থাকার উপর বিশ্বাস।

চিরঞ্জীবী তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন পুনাধিরাল্লু চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। তবে তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ছিল প্রনাম খারেদু। বাপু পরিচালিত মানা ভুরি পান্ডাভুলু চলচ্চিত্র চিরঞ্জীবীকে তেলুগু দর্শকদের কাছে স্বীকৃতি এনে দিয়েছিল। তিনি তয়ারাম্মা বাঙ্গারায়্যা চলচ্চিত্রে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তিনি কমল হাসান অভিনীত ভায়ু নন্দনা রাওয়ের আই লাভ ইউ এবং কে. বলচাঁদের ইদি কথা কাডু চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে অভিনয় করেন।

কে. বলচাঁদ পরিচালিত তামিল চলচ্চিত্র আভারগালের পুনঃনির্মাণে চিরঞ্জীবী মূল চলচ্চিত্রের রজনীকান্তের করা চরিত্রটি অভিনয় করেন। ১৯৭৯ সালে চিরঞ্জীবীর আটটি বড় চলচ্চিত্র মুক্তি পায় এবং পরবর্তী বছর ১৪টি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। যেগুলোর মধ্যে মোসাগাদু, রানী কাসুলা রাঙ্গাম্মা, ৪৭ নাটকাল/৪৭ রোজুলু, নয়াম কাভালি এবং রানুভা বীরান মতো চলচ্চিত্রগুলোতে প্রধান খল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।

১৯৮২–৮৬: প্রধান চরিত্রে সফলতা

চিরঞ্জীবী কোডি রামকৃষ্ণ পরিচালিত ইনতলো রামাইয়া ভিধিলো কৃষ্ণাইয়া (১৯৮২)-এর মতো চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন, যা বক্স অফিসে ব্যবসায়িকভাবে হিট হয়েছিল। পরে, তিনি কে. বিশ্বনাথ পরিচালিত সুভলেখা (১৯৮২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যা যৌতুক প্রথার মতো সামাজিকব্যাধি নিয়ে নির্মিত, যা তাকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে তার প্রথম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার – তেলুগু এবং কে. বিশ্বনাথকে শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে তৃতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কার – তেলুগু এনে দেয়। এছাড়াও তিনি ইদি পেলানতারা, সীতাদেবী, টিঙ্গু রাঙ্গাডু, বাঁধালু অনুবন্ধলু এবং মন্ডি ঘটামের মতো চলচ্চিত্রগুলোতেও অভিনয় করেন। তিনি পাটনাম ভাচিনা পতিব্রথালু এবং বিল্লা রাঙ্গার মতো বহুতারকা সমৃদ্ধ চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন এবং পরে তিনি মাঞ্চু পল্লকিতে অভিনয় করেন। এরপর তিনি খাইড়ি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যা বক্স অফিসে সফলতা লাভ করে এবং চিরঞ্জীবী এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তারকাখ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৮৪ সালেও তিনি মারপিটধর্মী চলচ্চিত্র চালিয়ে যান। এই সময়ে তিনি বক্স অফিস হিট একটি সিরিজ উপহার দিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে, মন্ত্রী গারি ভিয়াঙ্কুডু, সংঘর্ষনা, গুন্ডা, চ্যালেঞ্জ, হিরো, দোঙ্গা, জ্বালা, আদাভি ডোঙ্গা, কোন্ডাভেটি রাজা, রাক্ষসুদুর মতো চলচ্চিত্র। ১৯৮৫ সালে তিনি বিজেতা চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে তার দ্বিতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কার - তেলুগু অর্জন করেন।

১৯৮৭–২০০৭: ব্যবসায়িক সফলতা

চিরঞ্জীবী ১৯৮৭ সালের কে. বিশ্বনাথ পরিচালিত স্বয়মকৃষি চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসাবে তার প্রথম নন্দী পুরস্কার অর্জন করেন। একই বছরের পাসিবাদি প্রনাম (১৯৮৭), এবং পরের বছরের, ইয়ামুডিকি মোগুডু (১৯৮৮) ও মাঞ্চি ডোঙ্গা (১৯৮৮) বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করে। চিরঞ্জীবী রুদ্রবীণা (১৯৮৮) ছবিতে অভিনয় ও সহ-প্রযোজনা করেন, যা জাতীয় সংহতির উপর শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য জন্য নার্গিস দত্ত, এবং বিশেষ জুরি নন্দী পুরস্কার জিতেছিল। এরপর চিরঞ্জীবী কে. রাঘবেন্দ্র রাও পরিচালিত ও অশ্বিনী দত্ত প্রযোজিত জগদেকা ভিরুডু আথিলোকা সুন্দরীর মতো সামাজিক-কল্পনার এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করেন। এই সময়ে অন্যান্য এক্সপেরিমেন্টাল কাজের মধ্যে রয়েছে কোন্ডাভিটি ডোঙ্গা, যা ৭০মিমি ৬-ট্র্যাক স্টেরিওফোনিক সাউন্ড বা বহুমাত্রিক শব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম তেলেগু চলচ্চিত্র, পশ্চিমা ঘরানার কোডমাসিমহাম এবং সামাজিক সমস্যাজনিত মারপিট চলচ্চিত্র গ্যাং লিডার (১৯৯১), যা বক্স-অফিসে বয়বসায়িকভাবে হিট হয় এবং চিরঞ্জীবীকে "তেলেগু চলচ্চিত্রের বস" হিসেবে গণ্য করা হয়।

চিরঞ্জীবীর প্রতিবন্ধআজ কা গুন্ডা রাজ চলচ্চিত্রে বলিউড অভিনয় প্রশংসিত হয়। আপাদবন্ধুভুডু (১৯৯২) চলচ্চিত্রে তার ভূমিকার জন্য, তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার বিভাগে তার দ্বিতীয় নন্দী পুরস্কার এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসাবে তৃতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কার - তেলুগু পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে মেকানিক আল্লুডু, এস.পি. পরশুরাম, বিগবস এবং রিকশাভোডুর মতো বক্স অফিসে ব্যবসায়িকভাবে খারাপ অবস্থার সঙ্গে চিরঞ্জীবীর ক্যারিয়ারেরও খারাপ সময় দেখা যায়। তবে কিছুটা ব্যতিক্রমও ছিল, যেমন মুথা মেস্ত্রি, যা তাকে সেরা অভিনেতার হিসাবে চতুর্থ ফিল্মফেয়ার পুরস্কার – তেলুগু এনে দেয়, এবং মুগগুরু মোনাগাল্লুআলুদা মাজাকা বক্স অফিসে মাঝারি আকারের ব্যবসা করে। ১৯৯৬ সালে, তিনি কন্নড় ভাষার সিপাই চলচ্চিত্রে একটি অতিথি চরিত্রে উপস্থিত হন। কিছু দিন বিরতি থাকার পর, চিরঞ্জীবী হিটলার, মাস্টার, বাভাগারু বাগুন্নারা?, চুদালানি ভুন্ডি এবং স্নেহাম কোসামের চলচ্চিত্রগুলোর মাধ্যমে ফিরে আসেন। স্নেহাম কোসামের জন্য তিনি তার পঞ্চম ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতা - তেলুগু পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৯৯ সালে, তিনি দুশান গারসি পরিচালনায় ও রমেশকৃষ্ণ মূর্তি প্রযোজিত হলিউড চলচ্চিচত্রে অভিনয় করার কথা ছিল। যেটির তেলেগু সংস্করণ পরিচালনা করেছিলেন সুরেশ কৃষ্ণা। দ্য রিটার্ন অফ দ্য থিফ অফ বাগদাদ নাম ঠিক হওয়া ছবিটির চিত্রগ্রহণ অজানা কারণে স্থগিত করা হয়েছিল।

চিরঞ্জীবীর নতুন দশক শুরু হয় আন্নাইয়া চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। কিছু সংক্ষিপ্ত বিরতির পর, চিরঞ্জীবী ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ইন্দ্র ছবিতে অভিনয় করেন, যা টলিউডের তার আগের সমস্ত বক্স অফিস রেকর্ড ভেঙে দেয় এবং সেরা অভিনেতা হিসাবে তার তৃতীয় নন্দী পুরস্কার এবং ষষ্ঠ ফিল্মফেয়ার - তেলুগু পুরস্কার অর্জন করেন। এরপরে, তিনি অন্তর্নিহিত বার্তা এবং সামাজিক সমস্যাজনিত চলচ্চিত্রগুলোতে অভিনয় করেন, যার মধ্যে ঠাকুর; শঙ্কর দাদা এম.বি.বি.এস, যেটির জন্য তিনি তার সপ্তম এবং সর্বশেষ ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা - তেলেগু পুরস্কার অর্জন করেন; এবং স্ট্যালিন রয়েছে। ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৬ সালে ফিল্মফেয়ার বিশেষ পুরস্কার - দক্ষিণ এবং ২০১১ সালে ৫৮তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার - দক্ষিণে ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার - দক্ষিণে ভূষিত হন।

২০০৮–২০১৬: চলচ্চিত্র কর্মজীবনে বিরতি

রাজনৈতিক কর্মজীবন

মানবৈতিক কর্ম

ব্যক্তিগত জীবন

চিরঞ্জীবী ১৯৮০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তেলেগুর বিশিষ্ঠ কৌতুকাভিনেতা আল্লু রামালিঙ্গাইয়ার কন্যা সুরেখাকে বিয়ে করেন। এই দম্পত্তির দুই মেয়ে, সুস্মিতা এবং শ্রীজা এবং এক ছেলে, রাম চরণ, যিনি নিজেও তেলুগু শিল্পের একজন অভিনেতা।

চিরঞ্জীবীর দুই ভাই। প্রথমজন, নগেন্দ্র বাবু, একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক ও অভিনেতা এবং পবন কল্যাণ, যিনি একজন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ, যিনি জনসেনা পার্টি নামে একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আল্লু অরবিন্দ, তার শ্যালক, যিনিও একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক। চিরঞ্জীবী হলেন অভিনেতা আল্লু অর্জুন, আল্লু সিরিশ, বরুণ তেজ, নীহারিকা, সাই ধর্ম তেজ এবং পাঞ্জা বৈষ্ণব তেজের চাচা।

পুরস্কার, সম্মাননা ও পদমর্যাদা

পুরস্কার

    সিভিলিয়ান সম্মান
    ফিল্মফেয়ার পুরস্কার দক্ষিণ
  • ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সেরা অভিনেতা - শুভলেখা (১৯৮২)
  • ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সেরা অভিনেতা – তেলুগু - ভিজেতা (১৯৮৫)
  • ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সেরা অভিনেতা – তেলুগু - সোয়াম খ্রুশি (১৯৮৭)
  • ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সেরা অভিনেতা – তেলুগু - আপাদবান্দানাভুদু (১৯৯২)
  • ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সেরা অভিনেতা – তেলুগু - মুতা মেস্ত্রি (১৯৯৩)
  • ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সেরা অভিনেতা – তেলুগু - স্নেহা কোসাম (১৯৯৯)
  • ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সেরা অভিনেতা – তেলুগু - ইন্দ্রা (২০০২)
  • ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সেরা অভিনেতা – তেলুগু - শংকর দাদা এমবিবিএস (২০০৪)
  • ফিল্মফেয়ার বিশেষ পুরস্কার - দক্ষিণ কিংবদন্তি কর্মজীবনের অনবদ্য অভিনয়ের জন্য সম্মাননা (২০০৬)
  • ফিল্মফেয়ার বিশেষ পুরস্কার - দক্ষিণ (২০১০)
    নন্দি পুরস্কার
  • নন্দি পুরস্কার সেরা অভিনেতা - সোয়াম খ্রুশি (১৯৮৭)
  • নন্দি পুরস্কার সেরা অভিনেতা - আপাদবান্দানাভুদু (১৯৯২)
  • নন্দি পুরস্কার সেরা অভিনেতা - ইন্দ্রা (২০০২)
    সিমা পুরস্কার
  • ভারতীয় চলচ্চিত্রের আন্তর্জাতিক মুখ - (২০১৪)
    অন্যান্য সম্মাননা

চলচ্চিত্রের তালিকা

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ


টেমপ্লেট:Cabinet of Manmohan Singh টেমপ্লেট:FilmfareTeluguBestActor টেমপ্লেট:Nandi Award for Best Actor টেমপ্লেট:CineMAABestActor

Tags:

চিরঞ্জীবী প্রাথমিক জীবন ও পরিবারচিরঞ্জীবী অভিনয় কর্মজীবনচিরঞ্জীবী রাজনৈতিক কর্মজীবনচিরঞ্জীবী মানবৈতিক কর্মচিরঞ্জীবী ব্যক্তিগত জীবনচিরঞ্জীবী পুরস্কার, সম্মাননা ও পদমর্যাদাচিরঞ্জীবী পুরস্কারচিরঞ্জীবী চলচ্চিত্রের তালিকাচিরঞ্জীবী তথ্যসূত্রচিরঞ্জীবী বহিঃসংযোগচিরঞ্জীবীGovernment of Indiaকর্ণাটকের চলচ্চিত্রতামিল চলচ্চিত্রতেলুগু চলচ্চিত্রতেলুগু ভাষাপদ্মভূষণভারতীয়ভারতের চলচ্চিত্রহিন্দি চলচ্চিত্র

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

পদার্থবিজ্ঞানমরক্কো জাতীয় ফুটবল দলবিটিএসদেশ অনুযায়ী ইসলামমুঘল সাম্রাজ্যউর্ফি জাবেদশুক্রাণুবিধবা বিবাহডিরেক্টরি অব ওপেন অ্যাক্সেস জার্নাল্‌সউৎপল দত্তসিপাহি বিদ্রোহ ১৮৫৭ইসবগুলজলবায়ু পরিবর্তনছবিদর্শনকলকাতাদিনাজপুর জেলাআসমানী কিতাববাংলাদেশের ব্যাংকসমূহের তালিকাআয়নিকরণ শক্তিরামায়ণভারতের রাষ্ট্রপতিজার্মানিউইকিবইজ্বীন জাতিমুজিবনগর সরকারদক্ষিণ এশিয়াভৌগোলিক আয়তন অনুযায়ী সার্বভৌম রাষ্ট্র ও নির্ভরশীল অঞ্চলসমূহের তালিকাগ্রীন-টাও থিওরেমস্ক্যাবিসযাকাতবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানহস্তমৈথুনরোমানিয়াচিকিৎসকএইচআইভিশেখ মুজিবুর রহমানশ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়সূরা নাসবাস্তব সত্যকানাডাচড়ক পূজাগানা ডট কমমামুনুর রশীদপলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমবাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসমাশাআল্লাহসূরা আরাফআওরঙ্গজেবসূরা নাসরক্লিওপেট্রাজানাজার নামাজদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধরুশ উইকিপিডিয়াপ্রতিবেদনছিয়াত্তরের মন্বন্তররামকৃষ্ণ পরমহংসসামাজিক লিঙ্গ পরিচয়সুন্দরবনইংল্যান্ডমহাসাগরতাহাজ্জুদবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ২০২৩লালবাগের কেল্লা০ (সংখ্যা)শিক্ষাযকৃৎবিজয় দিবস (বাংলাদেশ)জাতীয় স্মৃতিসৌধজোয়ার-ভাটাবিশ্ব ব্যাংকটাঙ্গাইল জেলাজগদীশ চন্দ্র বসুইলেকট্রন বিন্যাসউদ্ভিদকোষনরেন্দ্র মোদীসাইবার অপরাধ🡆 More