গর্ভস্রাব

গর্ভস্রাব, স্বতঃস্ফূর্ত গর্ভপাত এবং গর্ভাবস্থার বিনাশ হিসাবেও পরিচিত, এটি স্বাধীনভাবে টিকে থাকার পূর্বে একটি গর্ভস্থ সন্তান বা ভ্রূণের স্বাভাবিক মৃত্যু। কিছুজন গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহের সময়সীমা নির্ধারন করেন, তারপরের সময়ে ভ্রূণের মৃত্যু মৃত সন্তান প্রসব বলে  পরিচিত।  গর্ভস্রাবের সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গ হল ব্যথা বা ব্যথাহীন যোনিপথে রক্তপাত পরবর্তীকালে বিষণ্ণতা, উদ্বেগ এবং অপরাধবোধ প্রায়ই ঘটতে পরে.

টিস্যু এবং ক্লট-এর মতো উপাদানটি গর্ভাশয় থেকে নিঃসৃত হয় এবং বেরিয়ে গিয়ে, যোনীর বাইরে বেরোতে পারে। যখন একজন মহিলার ক্রমাগত গর্ভস্রাব হতে থাকে, বন্ধ্যাত্ব এসে যায়।

গর্ভস্রাব
অ্যানেম্ব্রায়োনিক জেস্টেশন।

গর্ভপাতের ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে অপেক্ষাকৃত বয়স্ক পিতামাতা, পূর্বের গর্ভস্রাব, ধূমপান, অতিস্থূলতা,মধুমেহ, থাইরয়েড সমস্যা এবং ড্রাগের ব্যবহার বা মদ্যপান অন্তর্ভুক্ত। গর্ভধারণের প্রথম ১২ সপ্তাহে(প্রথম ত্রৈমাসিক) প্রায় ৮০% গর্ভস্রাব ঘটে প্রায় অর্ধেক ক্ষেত্রের অন্তর্নিহিত কারণ হল ক্রোমোজোমীয় অসঙ্গতি । গর্ভস্রাবের নির্ণয় পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে যে জরায়ুমুখ খোলা বা বন্ধ আছে কিনা, হিউম্যান কোরিয়নিক গনাডোট্রপিন (এইচসিজি) এর রক্তের মাত্রা পরীক্ষা করা এবং আল্ট্রাসাউন্ড অনুরূপ উপসর্গগুলি তৈরি করতে পারে এমন অন্যান্য অবস্থার মধ্যে পড়ে, অক্টোপিক গর্ভাবস্থা এবং ইমপ্লান্টেশন রক্তস্রাব

সময় থাকতে জন্মপূর্ব যত্নে কখনো কখনো  প্রতিরোধ সম্ভব। মাদকদ্রব্য, অ্যালকোহল, সংক্রামক রোগ এবং বিকিরণ এড়ালে গর্ভস্রাবের ঝুঁকি হ্রাস পেতে পারে। প্রথম ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে সাধারণত কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা প্রয়োজন হয় না। বেশীরভাগ গর্ভস্রাব, অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ ছাড়াই সম্পন্ন হয়। মাঝে মাঝে মিসোপ্রস্টল ঔষধ বা অবশিষ্ট টিস্যু অপসারণ করতে ভ্যাকুয়াম আসপিরেসান নামক একটি পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। যেসব মহিলাদের রক্তের রিসাস নেতিবাচক (Rh নেগেটিভ) আছে তাদের Rho (D) ইমিউন গ্লবুলিন প্রয়োজন হতে পারে। ব্যথা ঔষধ উপকারী হতে পারে।  মানসিক সমর্থন নেতিবাচক আবেগে সহায়ক হতে পারে।

প্রারম্ভিক গর্ভাবস্থায়, গর্ভস্রাব সবচেয়ে সাধারণ জটিলতা । মহিলাদের মধ্যে যারা জানেন তারা গর্ভবতী সেক্ষেত্রে গর্ভস্রাবের হার প্রায় ১০% থেকে ২০% , সকল  নিষিক্তকরণেনর ক্ষেত্রে, প্রায় ৩০% থেকে ৫০% যাদের বয়স ৩৫ এর নিচে ঝুঁকি  ১০% যেখানে, এটা প্রায় ৪৫%, যারা ৪০ বছরের বেশি বয়সের। প্রায় ৩০ বছর বয়স থেকে ঝুঁকি বৃদ্ধি শুরু হয়। প্রায় ৫% নারীদের এই বয়সে পরপর দুবার গর্ভস্রাব হয়। কেউ কেউ পরামর্শ দেন  যাদের একবার গর্ভস্রাব হয়েছে, মর্মপীড়া কম করতে তাঁদের সঙ্গে আলোচনায়  "গর্ভপাত" শব্দ ব্যবহার না করতে।

আরও দেখুন

  • প্রসব
  • গর্ভাবস্থা এবং সন্তান হারানোর স্মরণ দিবস

তথ্যসূত্র

Tags:

কলা (জীববিজ্ঞান)দুঃখমৃত সন্তান প্রসব

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

সুন্দরবনচিরস্থায়ী বন্দোবস্তবেদনোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকাখিলাফতবাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধনীসমূহবাংলাদেশের মেডিকেল কলেজসমূহের তালিকারাজনীতিঅ্যান্টিবায়োটিক তালিকাসোমালিয়াকিশোর কুমারশ্রীকৃষ্ণকীর্তনবাঙালি হিন্দুদের পদবিসমূহআনন্দবাজার পত্রিকাসৌদি রিয়ালবাংলা লিপি১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনবাউল সঙ্গীতফুটবলবাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার তালিকাহোমিওপ্যাথিউসমানীয় খিলাফতবায়ুদূষণচট্টগ্রাম জেলাসজনেএইচআইভি/এইডসআমওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবমুহাম্মাদ ফাতিহগাঁজাসাধু ভাষাজনি সিন্সমৌসুমীনাটকআরবি ভাষাপরমাণুমুঘল সাম্রাজ্যওয়ালটন গ্রুপলগইনইসলামের ইতিহাসআইসোটোপবাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চলক্যান্সারউপন্যাসকুমিল্লা জেলাচর্যাপদচট্টগ্রামবাংলা স্বরবর্ণজাপানআবু হানিফাপ্রোফেসর শঙ্কুবিদায় হজ্জের ভাষণউসমানীয় সাম্রাজ্যভাষামাওলানাবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিমহেন্দ্র সিং ধোনিমানব শিশ্নের আকাররশিদ চৌধুরীফরাসি বিপ্লববঙ্গবন্ধু-১ক্রিকেটবিকাশভাইরাসকালীনরেন্দ্র মোদীগুগলফাতিমারামকৃষ্ণ পরমহংসউৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞানশর্করালিভারপুল ফুটবল ক্লাবটাইফয়েড জ্বরইব্রাহিম (নবী)🡆 More