সুইডেন জাতীয় ফুটবল দল (সুইডীয়: svenska fotbollslandslaget, ইংরেজি: Sweden national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সুইডেনের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম সুইডেনের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা সুয়েডীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯০৪ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯০৮ সালের ১২ই জুলাই তারিখে, সুইডেন প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; সুইডেনের গোথেনবার্গে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে সুইডেন নরওয়েকে ১১–৩ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করেছে।
ডাকনাম | ব্লোগুল্ট (নীল-হলুদ) | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | সুয়েডীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন | ||
কনফেডারেশন | উয়েফা (ইউরোপ) | ||
প্রধান কোচ | ইয়ানে আন্দেরশন | ||
অধিনায়ক | আন্দ্রেয়াস গ্রাঙ্কভিস্ত | ||
সর্বাধিক ম্যাচ | আন্দেশ সভেনসন (১৪৮) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (৬২) | ||
মাঠ | ফ্রেন্ডস এরিনা | ||
ফিফা কোড | SWE | ||
ওয়েবসাইট | svenskfotboll | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ২৬ (২১ ডিসেম্বর ২০২৩) | ||
সর্বোচ্চ | ২ (নভেম্বর ১৯৯৪) | ||
সর্বনিম্ন | ৪৫ (মার্চ ২০১৫, অক্টোবর–নভেম্বর ২০১৫, মার্চ ২০১৭) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৪৬ ১৭ (১২ জানুয়ারি ২০২৪) | ||
সর্বোচ্চ | ২ (মে–জুন ১৯৪৯, অক্টোবর ১৯৪৯, জুলাই ১৯৫০) | ||
সর্বনিম্ন | ৪৮ (সেপ্টেম্বর ১৯৮০, মে ১৯৮১) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
সুইডেন ১১–৩ নরওয়ে (গোথেনবার্গ, সুইডেন; ১২ জুলাই ১৯০৮) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
সুইডেন ১২–০ লাতভিয়া (স্টকহোম, সুইডেন; ২৯ মে ১৯২৭) সুইডেন ১২–০ দক্ষিণ কোরিয়া (লন্ডন, ইংল্যান্ড; ৫ আগস্ট ১৯৪৮) | |||
বৃহত্তম পরাজয় | |||
যুক্তরাজ্য ১২–১ সুইডেন (লন্ডন, ইংল্যান্ড; ২০ অক্টোবর ১৯০৮) | |||
বিশ্বকাপ | |||
অংশগ্রহণ | ১২ (১৯৩৪-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | রানার-আপ (১৯৫৮) | ||
উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ | |||
অংশগ্রহণ | ৭ (১৯৯২-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | সেমি-ফাইনাল (১৯৯২) |
৫৪,৩২৯ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট ফ্রেন্ডস এরিনায় ব্লোগুল্ট নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় সুইডেনের রাজধানী সোলনায় অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন ইয়ানে আন্দেরশন এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন হেলসিংবর্গের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় আন্দ্রেয়াস গ্রাঙ্কভিস্ত।
সুইডেন এপর্যন্ত ১২ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ১৯৫৮ ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছানো, যেখানে তারা ব্রাজিলের কাছে ৫–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। অন্যদিকে, উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সুইডেন এপর্যন্ত ৭ বার অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে উয়েফা ইউরো ১৯৯২-এ সেমি-ফাইনালে পৌঁছানো, যেখানে তারা জার্মানির কাছে ৩–২ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।
আন্দেশ সভেনসন, টমাস রাভেলি, আন্দ্রেয়াস ইসাকসন, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ এবং হেনরিক লারসনের মতো খেলোয়াড়গণ সুইডেনের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
সুইডেন ঐতিহ্যগতভাবে আন্তর্জাতিক ফুটবলের একটি শক্তিশালী দল, যেখানে তারা ১ বার বিশ্বকাপের রানার-আপ এবং অলিম্পিকে ৩টি পদক জয়লাভ করেছে।
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে সুইডেন তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (২য়) অর্জন করে এবং ২০১৫ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ৪৫তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে সুইডেনের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ২য় (যা তারা সর্বপ্রথম ১৯৪৯ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ৪৮। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
২৪ | অস্ট্রিয়া | ১৫৪৬.১ | |
২৫ | অস্ট্রেলিয়া | ১৫৩৯.২২ | |
২৬ | সুইডেন | ১৫৩০.১৯ | |
২৭ | হাঙ্গেরি | ১৫২৫.১৩ | |
২৮ | তিউনিসিয়া | ১৫২৩.২৩ |
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
৪৪ | ১ | চিলি | ১৭০০ |
৪৫ | ৬ | ওয়েলস | ১৬৯৬ |
৪৬ | ১৭ | সুইডেন | ১৬৯৫ |
৪৭ | ৩ | মিশর | ১৬৮৮ |
৪৮ | ১১ | রোমানিয়া | ১৬৭৪ |
ফিফা বিশ্বকাপ | বাছাইপর্ব | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | |
১৯৩০ | অংশগ্রহণ করেনি | আমন্ত্রণের মাধ্যমে উত্তীর্ণ | |||||||||||||
১৯৩৪ | কোয়ার্টার-ফাইনাল | ৮ম | ২ | ১ | ০ | ১ | ৪ | ৪ | ২ | ২ | ০ | ০ | ৮ | ২ | |
১৯৩৮ | ৩য় স্থান নির্ধারণী | ৪র্থ | ৩ | ১ | ০ | ২ | ১১ | ৯ | ৩ | ২ | ০ | ১ | ১১ | ৭ | |
১৯৫০ | ৩য় স্থান নির্ধারণী | ৩য় | ৫ | ২ | ১ | ২ | ১১ | ১৫ | ২ | ২ | ০ | ০ | ৬ | ২ | |
১৯৫৪ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৪ | ১ | ১ | ২ | ৯ | ৮ | ||||||||
১৯৫৮ | রানার-আপ | ২য় | ৬ | ৪ | ১ | ১ | ১২ | ৭ | আয়োজক হিসেবে উত্তীর্ণ | ||||||
১৯৬২ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৫ | ৩ | ০ | ২ | ১১ | ৫ | ||||||||
১৯৬৬ | ৪ | ২ | ১ | ১ | ১০ | ৩ | |||||||||
১৯৭০ | গ্রুপ পর্ব | ৯ম | ৩ | ১ | ১ | ১ | ২ | ২ | ৪ | ৩ | ০ | ১ | ১২ | ৫ | |
১৯৭৪ | দ্বিতীয় পর্ব | ৫ম | ৬ | ২ | ২ | ২ | ৭ | ৬ | ৭ | ৪ | ২ | ১ | ১৭ | ৯ | |
১৯৭৮ | গ্রুপ পর্ব | ১৩তম | ৩ | ০ | ১ | ২ | ১ | ৩ | ৪ | ৩ | ০ | ১ | ৭ | ৪ | |
১৯৮২ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৮ | ৩ | ২ | ৩ | ৭ | ৮ | ||||||||
১৯৮৬ | ৮ | ৪ | ১ | ৩ | ১৪ | ৯ | |||||||||
১৯৯০ | গ্রুপ পর্ব | ২১তম | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ৩ | ৬ | ৬ | ৪ | ২ | ০ | ৯ | ৩ | |
১৯৯৪ | ৩য় স্থান নির্ধারণী | ৩য় | ৭ | ৩ | ৩ | ১ | ১৫ | ৮ | ১০ | ৬ | ৩ | ১ | ১৯ | ৮ | |
১৯৯৮ | উত্তীর্ণ হয়নি | ১০ | ৭ | ০ | ৩ | ১৬ | ৯ | ||||||||
২০০২ | ১৬ দলের পর্ব | ১৩তম | ৪ | ১ | ২ | ১ | ৫ | ৫ | ১০ | ৮ | ২ | ০ | ২০ | ৩ | |
২০০৬ | ১৬ দলের পর্ব | ১৪তম | ৪ | ১ | ২ | ১ | ৩ | ৪ | ১০ | ৮ | ০ | ২ | ৩০ | ৪ | |
২০১০ | উত্তীর্ণ হয়নি | ১০ | ৫ | ৩ | ২ | ১৩ | ৫ | ||||||||
২০১৪ | ১২ | ৬ | ২ | ৪ | ২১ | ১৮ | |||||||||
২০১৮ | কোয়ার্টার-ফাইনাল | ৭ম | ৫ | ৩ | ০ | ২ | ৬ | ৪ | ১২ | ৭ | ২ | ৩ | ২৭ | ৯ | |
২০২২ | অনির্ধারিত | অনির্ধারিত | |||||||||||||
মোট | রানার-আপ | ১২/২১ | ৫১ | ১৯ | ১৩ | ১৯ | ৮০ | ৭৩ | ১৩১ | ৮০ | ২১ | ৩০ | ২৬৭ | ১২১ |
শিরোপা
| অন্যান্য
|
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article সুইডেন জাতীয় ফুটবল দল, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.