স্বরাজ: ভারতের প্রেক্ষাপটে আত্মশাসন

স্বরাজ ভারতে ব্রিটিশ ঔপনেবিশক শাসনের অবসান ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। মহাত্মা গান্ধী ১৯২২ সালে অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলে কংগ্রেসের একদল ত্যাগী ও বিপ্লবী নেতা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সেই সংকটময় মুহূর্তে আন্দোলনের নতুন কর্মসূচিকে সামনে রেখে একটি বিকল্প প্লাটফর্ম হিসেবে ১৯২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ‘‘স্বরাজ দল’’ গঠন করে। ১৯২২-১৯২৫ সাল পর্যন্ত এ দলটি ভারতের রাজনীতিতে বেশ কিছু নতুন ধারা চালু করে।

স্বরাজ: ভারতের প্রেক্ষাপটে আত্মশাসন
মহাত্মা গান্ধী

স্বরাজ দল গঠনের পটভূমি

১.অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার পরবর্তী রাজনৈতিক শূন্যতা:১৯২২ সালের ১২ফেব্রুয়ারি গান্ধীজী অসগযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার করলে সারা দেশে একটি রাজনৈতিক শূন্যতার সৃষ্টি হয়। গান্ধীজী, চিত্তরঞ্জন দাশসহ অনেক নেতাই কারারুদ্ধ থাকায় রাজনীতিতে ঘোরতর অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। মানুষ এ সময় ছিল আন্দোলনমুখী। গান্ধীর সঙ্গে চিত্তরঞ্জন,মতিলাল নেহেরু প্রমুখ নেতাদের মতবিরোধ তখন থেকেই চরম রূপ নেয়। কংগ্রেসের বিভিন্ন অধিবেশনে স্বরাজ প্রতিষ্ঠার মত ও পথ নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি লক্ষ্য করা যায়।

২.কংগ্রেসের বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলন:কলকাতায় ১৯২০ সালে কংগ্রেসের অধিবেশনে মহাত্মা গান্ধী পরিষদে প্রবেশের বিপক্ষে অবস্থান নেন। অন্যদিকে আলীপুর জেলে বন্দি থাকাকালেই চিত্তরঞ্জন দাশ ব্যবস্থাপক পরিষদে যোগদান করে সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগের কর্মসূচির রূপরেখা প্রণয়ন করেন। এ পরিকল্পনায় আইনসভা, স্বশাসিত সংস্থার নির্বাচন বয়কট না করে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সরকারের কার্যক্রম অচল করে দেয়ার মাধ্যমে স্বরাজ আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব ছিল। ১৯২২ সালের মে মাসে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলনে সভানেত্রী রূপে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের স্ত্রী বাসন্তী দেবী তার স্বামীর দেয়া প্রস্তাবের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। চিত্তরঞ্জন ও মতিরাল নেহেরু জুন মাসে কারামুক্ত হয়ে এ প্রস্তাবের পক্ষে জনমত গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। কংগ্রেসের নেতাদের মধ্যে হাকিম আজমল খান, বিটল ভাই,প্যাটেল,জয়াকার প্রমুখ এ মতের সমর্থক ছিলেন।

৩.লক্ষ্মৌ অধিবেশন:কংগ্রেসের লক্ষ্মৌ অধিবেশনে কংগ্রেসের নেতুবৃন্দ মতভেদ আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। রাজাগোপালচারী,ডা. আনসারি ও কস্তুরীঙ্গ আয়েঙ্গার বর্জনের ওপর জোড় দেন। অন্যদিকে চিত্তরঞ্জন, মতিলাল,আজমল আন্দোলন চারিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেন।

৪.গয়া অধিবেশন:এ বিরোধের নিষ্পত্তি হয় ১৯২২ সালের ডিসেম্বর মাসে গয়ায় কংগ্রেসের অধিবেশনে। এর সভাপতি ছিলেন স্বয়ং চিত্তরঞ্জন।

হিন্দস্বরাজ:ইহা গান্ধিজীর নিজ স্বরাজের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে রচিত একটি বই। যা তিনি নিজেই গুজরাটি ভাষায় লিখেছিলেন। যা পরবর্তীকালে অন্যান্য ভাষায়ও অনুবাদ করা হয়।

Tags:

অসহযোগ আন্দোলনভারতমহাত্মা গান্ধী

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

বিজয় দিবস (বাংলাদেশ)ভালোবাসাশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়পূর্ণ সংখ্যাসমাজহিন্দুধর্মের ইতিহাসসূরা ফালাকআইসোটোপবিশেষ্যপদ্মা নদীশাহ জাহানবদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবাদের তালিকাদ্বিতীয় মুরাদবীর্য২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধানসত্যজিৎ রায়খেজুরমাদার টেরিজাঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরজীবনহিমালয় পর্বতমালাজনি সিন্সনওগাঁ জেলা২০২৩জসীম উদ্‌দীনলালবাগের কেল্লাপশ্চিমবঙ্গপহেলা বৈশাখআডলফ হিটলারমিজানুর রহমান আজহারীবাংলাদেশের মন্ত্রিসভাচট্টগ্রাম বিভাগদেশ অনুযায়ী ইসলামদ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকাহোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীব্রিক্‌সআবু হুরাইরাহহেপাটাইটিস বিসূরা বাকারাইউরোরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদবিআবহাওয়া২০১৮–১৯ লা লিগাহরে কৃষ্ণ (মন্ত্র)ময়মনসিংহ বিভাগবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসংস্কৃত ভাষা০ (সংখ্যা)মিয়ানমারখালেদা জিয়াবীর উত্তমইসলামে যৌনতাসুকান্ত ভট্টাচার্যমুনাফিকক্রিকেটবিশ্ব ব্যাংকতরমুজবঙ্গবন্ধু-১আযানফ্রান্সমানব দেহমহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলপথের পাঁচালীমুহম্মদ জাফর ইকবালদুবাইজার্মানিমৌলিক পদার্থের তালিকারজঃস্রাববিবিসি বাংলাহার্দিক পাণ্ড্যঈদুল ফিতর২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপশবনম বুবলিকুষ্টিয়া জেলাকবিতাব্যাংকভীমরাও রামজি আম্বেদকর🡆 More