ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন

ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দেশের স্বাধীনোত্তর ইতিহাসে মোটামুটি সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের নীতিতে পরিচালিত হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ; লাইসেন্স রাজ নামে পরিচিত বহুবিধ বিধি ও লাল ফিতের নীতি; এবং বিশ্ব অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্নতা ছিল এই ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য। স্বাধীনতার পরবর্তী তিন দশকে ভারতে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ১%। ১৯৮০-এর দশকের মধ্যভাগ থেকে অর্থনৈতিক উদারীকরণের মাধ্যমে ভারতের বাজার ধীরে ধীরে খুলে যেতে থাকে। ১৯৯১ সালের মৌলিকতর আর্থিক সংস্কার ও ২০০০-এর দশকে তার নবায়নের ফলে ভারত বাজারভিত্তিক ব্যবস্থা স্থাপনের পথে অগ্রসর হয়।

ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন
ভারতের ত্রিশ কোটি মধ্যবিত্ত জনসংখ্যার বার্ষিক বৃদ্ধির হার ৫%। উপরের চিত্রে মুম্বাই মহানগরীর বসতাঞ্চল
ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন
কোচির কালুরে বহুতল বাণিজ্যিক ভবনের পাশে বস্তি। এই ধরনের দূষিত পরিবেশে বাস করেন কাজের খোঁজে শহরে আসা শত শত শ্রমিক শ্রেণীর মানুষজন।

২০০০-এর দশকের শেষভাগে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির পরিমাণ দাঁড়ায় ৭.৫%, যা দেশের গড় দশকীয় আয়ের দ্বিগুণ। বিশ্লেষক মহলের ধারণা, ভারত আরও বাজার সংস্কারের ক্ষেত্রে আরো কতকগুলি মৌলিক পদক্ষেপ নিলেই এই হার বৃদ্ধি পাবে এবং ২০১১ সালের মধ্যে সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত লক্ষ্যমাত্রা ১০ শতাংশে উপনীত হবে। নিজ নিজ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতীয় রাজ্যগুলির নিজস্ব দায়িত্ব রয়েছে। রাজ্যক্ষেত্রে ১৯৯৮-২০০৮ বর্ষভিত্তিক বৃদ্ধির হার হল : গুজরাত (৮.৮%), হরিয়ানা (৮.৭%), দিল্লি (৭.৪%)। এই হার বিহার (৫.১%), উত্তরপ্রদেশ (৪.৪%) বা মধ্যপ্রদেশ (৩.৫%) রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি। ভারত বিশ্বে দ্বাদশ বৃহত্তম অর্থব্যবস্থা; ক্রয়ক্ষমতা সমতার নিরিখে বিশ্বে চতুর্থ বৃহত্তম ও মাথাপিছু জিডিপি (নমিন্যাল) ও মাথাপিছু জিডিপি (পিপিপি) অনুযায়ী বিশ্বে যথাক্রমে ১২৮তম ও ১১৮তম।

ভারতে জীবনযাত্রার মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও জনসংখ্যার ৭৫.৬ শতাংশের দৈনিক ক্রয়ক্ষমতা সমতা ২ মার্কিন ডলারেরও কম, এবং নমিন্যাল ক্ষেত্রে তা ০.৫ মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। ভারতীয়দের দুই তৃতীয়াংশ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গ্রামাঞ্চলে কৃষিকাজ থেকে জীবিকানির্বাহ করেন। আবার জিডিপির অংশ হিসেবে নগর ও মহানগরগুলি ভারতীয় অর্থনীতির দুই তৃতীয়াংশের গঠনকর্তা।

ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়া অত্যন্ত দ্রুত সারা হচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংকের মতে সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ প্রয়োজন পাবলিক সেক্টর সংস্কার, পরিকাঠামো, কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন, শ্রম আইনের অপসারণ, পিছিয়ে পড়া রাজ্য ও এইচআইভি/এইডস-এর ক্ষেত্রে। ২০০৮ সালের ইজ অফ ডুইং বিজনেস ইনডেক্স অনুসারে ভারতের স্থান ১২০তম। উল্লেখ্য এই ইনডেক্সে গণপ্রজাতন্ত্রী চিনব্রাজিলের স্থান যথাক্রমে ৮৩তম ও ১২০তম।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Tags:

মাথাপিছু আয়সমাজতন্ত্র

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

ছয় দফা আন্দোলনআলেকজান্ডার বোঅ্যান্টিবায়োটিক তালিকাবঙ্গবন্ধু-১জয় চৌধুরীরংপুরস্মার্ট বাংলাদেশরাষ্ট্রবিজ্ঞানশীর্ষে নারী (যৌনাসন)ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনচুয়াডাঙ্গা জেলাজ্ঞানবাংলাদেশের ইউনিয়নের তালিকাইসরায়েল–হামাস যুদ্ধমানব দেহজানাজার নামাজমৌলসমূহের ইলেকট্রন বিন্যাস (উপাত্ত পাতা)ক্লিওপেট্রাতেঁতুলদিনাজপুর জেলাবাংলার ইতিহাসভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০সূর্য (দেবতা)দিল্লিহস্তমৈথুনের ইতিহাস২০২২ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জিম্বাবুয়ে সফরপুলিশনিউমোনিয়াশাকিব খান অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকাসৈয়দ শামসুল হকজয় শ্রীরামখাদ্যব্রিটিশ ভারতদীপু মনিজরায়ুশশাঙ্ক২০২৪ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগফরাসি বিপ্লববাংলাদেশ পুলিশপ্রযুক্তিরামকৃষ্ণ পরমহংসসংযুক্ত আরব আমিরাতবাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনদ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনযুক্তরাজ্যমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়মিশরপাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারগাণিতিক প্রতীকের তালিকাজান্নাতুল ফেরদৌস পিয়ানেপালবাংলাদেশের মেডিকেল কলেজসমূহের তালিকাদ্বিতীয় মুরাদউজবেকিস্তানঅরবরইহামাসহজ্জপারমাণবিক ভরের ভিত্তিতে মৌলসমূহের তালিকাঅকাল বীর্যপাতবাংলাদেশী টাকাব্রাহ্মসমাজভগবদ্গীতাসোনাহার্নিয়াবিন্দুগঙ্গা নদীপ্রিয়তমাজহির রায়হানডায়াচৌম্বক পদার্থসত্যজিৎ রায়হেপাটাইটিস বিরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবতাহসান রহমান খানজাতীয় স্মৃতিসৌধতাপমাত্রাপেশাকক্সবাজারমাহরাম🡆 More