পুকেটপাপা নারী ভোটাধিকার স্মৃতিসৌধ হল একটি আকর্ষণীয় ভাস্কর্য। মহিলাদের ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করা স্বল্প পরিচিত ভোটাধিকারীদের স্মরণ করে এই ভাস্কর্য তৈরি। এটি নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরের থ্রি কিংস শহরতলির রোজ পার্কে অবস্থিত। নিউজিল্যান্ড ছিল বিশ্বের প্রথম স্বশাসিত দেশ যেটি নারীদের প্রতি ভোটাধিকার প্রসারিত করেছিল।
পুকেটপাপা নারী ভোটাধিকার স্মৃতিসৌধ | |
---|---|
শিল্পী | ম্যাথিউ ভ্যান স্টারমার এবং কারমেন সোসিখ |
বছর | ২০১৩ |
ধরন | ওয়েদারিং স্টিল |
অবস্থান | অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড |
স্মৃতিসৌধটি অনুমোদন ও স্থাপন করেছিল পুকেটপাপা স্থানীয় বোর্ড এবং অকল্যান্ড কাউন্সিল। এটির নকশা করেছিলেন শিল্পী ম্যাথিউ ভ্যান স্টারমার এবং কারমেন সোসিখ এবং এর নির্মাতা ছিল এমভিএস স্টুডিও। নকশাটি হল ক্যামেলিয়ার একটি বিমূর্ত প্রতিকৃতি, যা উনবিংশ শতাব্দীতে নিউজিল্যান্ডে ভোটাধিকার আন্দোলনের প্রতীক ছিল। ফুলের গোড়ায় স্থানীয় নারীদের নাম খোদাই করা আছে যাঁরা ১৮৯৩ সালে সংসদে নারীদের ভোট দেওয়ার আবেদনে স্বাক্ষর করেছিলেন।
স্মৃতিসৌধটি উন্মোচন করা হয়েছিল ২০১৩ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর, নিউজিল্যান্ডে মহিলাদের ভোট পাওয়ার ১২০ তম বার্ষিকীতে।
পুকেটপাপা মহিলাদের ভোটাধিকার স্মৃতিসৌধটি ওয়েদারিং স্টিলের তৈরি এবং এর আকার ক্যামেলিয়া ফুলের শৈলীযুক্ত - এটি ছিল ১৮৯০-এর দশকে ভোটের জন্য প্রচারণা চালানো মহিলাদের দ্বারা পরিধান করা ফুল। শিল্পকর্মটি স্থাপন করেছিল পুকেটপাপা স্থানীয় বোর্ড এবং বোর্ডের ইচ্ছাধীন তহবিল থেকে এর জন্য অর্থ প্রদান করা হয়েছিল। মোট খরচ হয়েছিল প্রায় $৬৬,০০০, যার মধ্যে উদ্যানের ভূদৃশ্য এবং অন্যান্য উন্নতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
বোর্ডের সদস্য মাইকেল উড এই প্রকল্পের নেতৃত্বে ছিলেন এবং বলেছেন যে এটি ১২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মাউন্ট রসকিলের (পুকেটপাপা) নাগরিক ও রাজনৈতিক জীবনে মহিলাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে সম্মান করে। মাইকেল উড বলেছেন "১৮৯৩ সালে ভোটাধিকারের জন্য আবেদনপত্রে স্বাক্ষরকারী ৩০ বা তার বেশি স্থানীয় মহিলারা খুব সাহসী ছিলেন। তাঁরা এমন সময়ে সমান অধিকারের জন্য কথা বলেছেন, যখন মহিলাদের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক মনে করা হত। এটি স্বীকৃতির যোগ্য"। স্মৃতিসৌধের চারপাশে ভিত্তি প্রস্তরে তাঁদের নাম খোদাই করা আছে। স্মারকটির নকশা করেছিলেন শিল্পী ম্যাথিউ ভ্যান স্টারমার এবং কারমেন সোসিখ।
কেট শেপার্ডের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ডের ভোটাধিকারীদের একটি বিশাল সংগ্রামের শেষে এই সাফল্য এসেছিল। সাত বছর ধরে প্রচারণা চলাকালীন ৩১,৮৭২টি স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছিল, যার পরিসমাপ্তি ঘটেছিল ১৮৯৩ সালে, একটি ঠেলাগাড়িতে করে নারীদের ভোটাধিকারের জন্য সংসদে পেশ করা আবেদনপত্রে। এটি অস্ট্রালেশিয়ায় সংগ্রহ হওয়া সবচেয়ে বড় আবেদনপত্র ছিল। কেট শেপার্ড নিউজিল্যান্ডের মহিলাদের ভোট দেওয়ার অধিকার জেতার লড়াইয়ের নেতা হিসাবে স্বীকৃত। তিনি এবং অন্যান্য অগ্রগামী মহিলারা এত কার্যকরভাবে প্রচারণা চালান যে ১৮৯৩ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ড বিশ্বের প্রথম স্ব-শাসিত দেশ হয়ে ওঠে যেখানে ২১ বছরের বেশি বয়সী সমস্ত মহিলাদের ভোটদানের অধিকার স্বীকৃত হয়।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article পুকেটপাপা নারী ভোটাধিকার স্মৃতিসৌধ, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.