ইন্দোনেশিয়া–চেক প্রজাতন্ত্র সম্পর্ক

ইন্দোনেশিয়া-চেক প্রজাতন্ত্র সম্পর্ক, ইন্দোনেশিয়া এবং চেক প্রজাতন্ত্র এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। একই সাথে ইন্দোনেশিয়া এবং চেক প্রজাতন্ত্রের মধ্যে বিদ্যমান ঐতিহাসিক সম্পর্কের দিকটিকেও নির্দেশ করে। ১৯৫০ সালে এই দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা ও বাণিজ্য খাতের প্রসার এবং উন্নতির লক্ষ্যে, উভয় দেশই নিজেদের মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীর এবং জোরদার করার ব্যাপারে একমত হয়েছে। চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগ শহরে ইন্দোনেশিয়ার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। অপরদিকে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় চেক প্রজাতন্ত্রের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থিত চেক প্রজাতন্ত্রের এই দূতাবাসের নিকট, একই সাথে ব্রুনাই, পূর্ব তিমুর, সিঙ্গাপুর এবং আসিয়ান এর কূটনৈতিক বিষয়াবলী এবং কার্যক্রম এর দায়িত্ব ন্যস্ত রয়েছে। এছাড়াও বালি, মাকাসসার এবং সুরাবায়াতে অবস্থিত চেক প্রজাতন্ত্রের কনস্যুলেটের নিয়ন্ত্রণও এই দূতাবাসের নিকটেই রয়েছে।

ইন্দোনেশিয়া-চেক প্রজাতন্ত্র সম্পর্ক
মানচিত্র Czech Republic এবং Indonesia অবস্থান নির্দেশ করছে
ইন্দোনেশিয়া–চেক প্রজাতন্ত্র সম্পর্ক
চেক প্রজাতন্ত্র
ইন্দোনেশিয়া–চেক প্রজাতন্ত্র সম্পর্ক
ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়া–চেক প্রজাতন্ত্র সম্পর্ক
ইন্দোনেশিয়া দূতাবাস, প্রাগ

ইতিহাস

চেকোস্লোভাকিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে ১৯৫০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হলেও, এই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও পূর্ব থেকেই বিদ্যমান ছিল। ১৯২৪ সালে, তৎকালীন ডাচ সাম্রাজ্যের উপনিবেশ ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ এর রাজধানী বাটাভাতে (বর্তমান জাকার্তা) চেকোস্লোভাক সরকার একটি কনস্যুলেট স্থাপন করে। ১৯৪৮ সালে, ইন্দোনেশিয়া, প্রাগে, ইন্দোনেশিয়ান ইনফরমেশন সার্ভিস চালু করে। ১৯৫০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চেকোস্লোভাকিয়া, ইন্দোনেশিয়ার সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি প্রদান করে। এরপর, ১৯৫০ সালের ৭ মার্চ চেকোস্লোভাকিয়া ইন্দোনেশিয়ায় কনস্যুলেট স্থাপন করে। ১৯৫৭ সালে এই কনস্যুলেটকে দূতাবাসে উন্নীত করা হয়।

১৯৬৫ সালে, ইন্দোনেশিয়ার কম্যুনিস্ট পার্টির একটি দল ইন্দোনেশিয়ায় অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা চালায়।অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এই দল প্রাগে নির্বাসিত হিসেবে আশ্রয় গ্রহণ করে।

বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ

২০১২ সালের জলাই মাসে, দুই দেশের মধ্যকার আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রমে সহায়তার জন্য, ইন্দোনেশিয়ার, ইন্দোনেশিয়া এক্সিম ব্যাংক এবং চেক প্রজাতন্ত্রের, চেক এক্সপোর্ট ব্যাংক অর্থনৈতিক সমন্বয়ের ব্যাপারে একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষর করে। ২০১১ সালে, দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের মোট পরিমাণ ছিল ৫০০ মিলিয়ন (৫০ কোটি) মার্কিন ডলারের। চেক প্রজাতন্ত্রে, ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস, জুতা, রাবার এবং রাবারজাত পণ্য। অপরদিকে, ইন্দোনেশিয়ায়, চেক প্রজাতন্ত্রের উল্লেখযোগ্য রপ্তানি পণ্য হল, যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক দ্রব্য, শক্তি উৎপাদনের যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি, টেলিযোগাযোগের যন্ত্রপাতি, টেক্সটাইল এবং ভারী যন্ত্রপাতি।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

বহিঃসংযোগ

Tags:

ইন্দোনেশিয়া–চেক প্রজাতন্ত্র সম্পর্ক ইতিহাসইন্দোনেশিয়া–চেক প্রজাতন্ত্র সম্পর্ক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগইন্দোনেশিয়া–চেক প্রজাতন্ত্র সম্পর্ক তথ্যসূত্রইন্দোনেশিয়া–চেক প্রজাতন্ত্র সম্পর্ক আরও পড়ুনইন্দোনেশিয়া–চেক প্রজাতন্ত্র সম্পর্ক বহিঃসংযোগইন্দোনেশিয়া–চেক প্রজাতন্ত্র সম্পর্কআসিয়ানইন্দোনেশিয়াচেক প্রজাতন্ত্রজাকার্তাদ্বিপাক্ষিক সম্পর্কপূর্ব তিমুরপ্রাগবালিব্রুনাইসিঙ্গাপুরসুরাবায়া

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়আওরঙ্গজেবইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসিমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সিফিলিসচোখরক্তশূন্যতাবাংলাদেশশক্তিবসন্ত উৎসবসাইবার অপরাধইহুদি ধর্মপশ্চিমবঙ্গবাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলইংরেজি ভাষাবৌদ্ধধর্মের ইতিহাসভালোবাসাবাংলাদেশের উপজেলার তালিকারশ্মিকা মন্দানাচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়যশোর জেলাএপেক্সবাংলাদেশ আওয়ামী লীগবাংলাদেশের জেলাশীর্ষে নারী (যৌনাসন)শর্করাবৌদ্ধধর্মব্যাংকভাষা আন্দোলন দিবসবাংলার ইতিহাসক্রিয়াপদঅস্ট্রেলিয়াবিশেষ্যসাপমিল্ফআহসান মঞ্জিলরাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামএইচআইভিছিয়াত্তরের মন্বন্তরকোষ বিভাজনযোগাযোগবাংলাদেশ আনসারইসলামের পঞ্চস্তম্ভবাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাতাহাজ্জুদফজলুর রহমান (কিশোরগঞ্জের রাজনীতিবিদ)পশ্চিমবঙ্গের জেলাযৌনসঙ্গমসজনেআলিবাংলাদেশের অর্থনীতিপীযূষ চাওলাযিনাসূরা ফাতিহাজয়নুল আবেদিনবঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)এইচআইভি/এইডসজেলেসুভাষচন্দ্র বসুমুস্তাফিজুর রহমানটেলিটকজাকির নায়েককালো জাদুহরমোনলোহিত রক্তকণিকাসাঁওতাল বিদ্রোহঅধিবর্ষহিন্দুধর্মের ইতিহাসঅর্শরোগতাওরাতভিটামিনমহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রপৃথিবীর বায়ুমণ্ডলআমার দেখা নয়াচীনবাংলা ভাষা আন্দোলনযৌন খেলনাজনসংখ্যা অনুযায়ী সার্বভৌম রাষ্ট্র ও নির্ভরশীল অঞ্চলসমূহের তালিকা🡆 More