আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস

আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস বা বিশ্ব শান্তি দিবস হলো জাতিসংঘ-ঘোষিত একটি আন্তর্জাতিক দিবস, যা প্রতি বছর ২১ সেপ্টেম্বর পালিত হয়। বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঘোষিত দিবসটির উদ্দেশ্য হলো পৃথিবী থেকে যুদ্ধ ও সংঘাত চিরতরে নিরসন; এবং সেই লক্ষ্যে পৃথিবীর যুদ্ধরত অঞ্চলসমূহে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মাধ্যমে সেসব অঞ্চলে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া। দিবসটি ১৯৮১ সালে সর্বপ্রথম উদ্‌যাপিত হয়। বর্তমানে জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামরিক দলের সদস্য এবং বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করে থাকেন।

আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস
আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস
জাতিসংঘের পতাকা
পালনকারীজাতিসংঘের সদস্য সকল দেশ
উদযাপনবিভিন্ন বৈশ্বিক উদ্‌যাপন
তারিখ২১ সেপ্টেম্বর
সংঘটনবার্ষিক
সম্পর্কিতশান্তি আন্দোলন

প্রতিবছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে “শান্তির ঘণ্টা” বাজানোর মধ্য দিয়ে দিবসটির উদ্‌যাপনের সূচনা হয়। বিশ্বব্যাপী (আফ্রিকা মহাদেশ ছাড়া) শিশুদের থেকে সংগৃহীত ধাতব মুদ্রা গলিয়ে নির্মিত এই ঘণ্টা জাপানের কার্যরত জাতিসংঘের সংগঠনসমূহ ১৯৫৪ সালে নিউ ইয়র্কের সদর দপ্তরে উপহার হিসেবে প্রদান করে। এই ঘণ্টা স্মরণ করিয়ে দেয়: “যুদ্ধের পরিণাম মানুষের মৃত্যু”। এছাড়া ঘণ্টাটির পার্শ্ববর্তী সড়কে ইংরেজিতে “স্থিতিশীল বৈশ্বিক শান্তি দীর্ঘজীবী হোক” বাণী খোদাই করা রয়েছে।

সাম্প্রতিককালে আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসের অনুষ্ঠানসমূহের জন্য জাতিসংঘ একটি অনুসন্ধানযোগ্য মানচিত্র প্রকাশ করেছে।

ইতিহাস

১৯৮১ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে একটি যুদ্ধবিহীন বিশ্ব প্রতিষ্ঠার যুক্তরাজ্যকোস্টারিকার একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের গৃহীত প্রস্তাব নম্বর ৩৬/৬৭ অনুসারে প্রতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার দিনটিকে “যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই” স্লোগানে “আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস” হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে, ২০০১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের গৃহীত প্রস্তাব নম্বর ৫৫/২৮২ অনুসারে ২০০২ সাল থেকে প্রতিবছরের ২১ সেপ্টেম্বর তারিখে “আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস” হিসেবে উদ্‌যাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উদ্‌যাপন

আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের মহাসচিব প্রথমে নিউ ইয়র্কে “শান্তির ঘণ্টা” বাজান ও বিশেষ বাণী প্রদান করেন। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এই দিনে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন দেশের শিল্পী, শিক্ষাবিদ ও মানবতাবাদীদের “জাতিসংঘ শান্তিদূত” হিসেবে নিয়োগ করা হয় ও তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড স্মরণ করা হয়ে থাকে।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Tags:

আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস ইতিহাসআন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উদ্‌যাপনআন্তর্জাতিক শান্তি দিবস আরও দেখুনআন্তর্জাতিক শান্তি দিবস তথ্যসূত্রআন্তর্জাতিক শান্তি দিবস বহিঃসংযোগআন্তর্জাতিক শান্তি দিবসজাতিসংঘবিশ্ব শান্তিমানবহিতৈষী সাহায্যযুদ্ধ

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

শ্রীলঙ্কাশিখধর্মচ্যাটজিপিটিটাঙ্গাইল জেলাইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজিঅগ্নিবীণা (কাব্যগ্রন্থ)বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলসমূহের তালিকারঙের তালিকাম্যালেরিয়াবাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাবিতর নামাজমহেরা জমিদার বাড়িভাইরাসভূমিকম্পজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়মৌলিক সংখ্যাবাংলাদেশের সংবিধানবাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনবর্ডার গার্ড বাংলাদেশফুটবলসোডিয়াম ক্লোরাইডবাংলাদেশ নৌবাহিনীসহীহ বুখারীপাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭০বিজ্ঞানআলহামদুলিল্লাহবিশ্বের ইতিহাসবাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানসিফিলিসবাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহগ্রামীণ ব্যাংকতাল (সঙ্গীত)সালোকসংশ্লেষণবাংলার ইতিহাসদ্বিঘাত সমীকরণসেহরিবাংলাদেশের ইতিহাসবাংলাদেশের উপজেলার তালিকামহাবিশ্ববাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলইসলাম ও অন্যান্য ধর্মস্নায়ুতন্ত্রচিয়া বীজকুয়েতজুবায়ের জাহান খানওজোন স্তরবাংলা স্বরবর্ণশর্করা৮৭১ত্রিপুরাবাংলাদেশী টাকাঈদুল ফিতরসোমালিয়ামাদার টেরিজাশুক্রাণুকন্যাশিশু হত্যামসজিদে নববীর‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নমাহদীশিবহোমিওপ্যাথিবাংলা বাগধারার তালিকাখোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরপিরামিডতারেক রহমানসাইবার অপরাধপলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমঅন্নপূর্ণা (দেবী)মাহিয়া মাহিহিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমাবর্ষণআয়নিকরণ শক্তিপূরণবাচক সংখ্যা (ভাষাতত্ত্ব)মিশরবৃহস্পতি গ্রহপ্রশান্ত মহাসাগরআবদুর রব সেরনিয়াবাতআমার সোনার বাংলা🡆 More