আইএসআইএল কর্তৃক শিয়া নিপীড়ন

ইসলামিক স্টেট (বা আইএসআইএল) দ্বারা ২০১৪ সালের জুন মাসে তাদের দখলকৃত ইরাক এবং সিরিয়ায় শিয়া গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল।

আইএসআইএল দ্বারা শিয়া গণহত্যা
স্থানআইএসআইএল কর্তৃক শিয়া নিপীড়ন ইরাক আইএসআইএল কর্তৃক শিয়া নিপীড়ন সিরিয়া
তারিখজুন ২০১৪-ডিসেম্বর ২০১৭
লক্ষ্যশিয়া মুসলিম, বেসামরিক নাগরিক
হামলার ধরনগণহত্যা জনিত ধ্বংস, জাতিগত নির্মূল, জোরপূর্বক রুপান্তর
কারণধর্মীয় নিপীড়ন, মানব পাচার, এবং জোরপূর্বক রুপান্তরs to সুন্নি ইসলাম

ইরাকে শিয়ারা সংখ্যাগুরু হওয়া সত্ত্বেও আইএস কর্তৃক গণহত্যার শিকার হন। ২০১৪ এর জুনে আইএস প্রায় নিয়োগপ্রাপ্ত ১৭০০ শিয়া ইরাকি বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাকে হত্যা করে।. আইএসআইএল শিয়া বন্দিদেরও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে।. প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আইএস মিলিশিয়া কর্তৃক মসুল দখলের পর তারা সুন্নি বন্দিদের থেকে শিয়া বন্দিদের আলাদা করে।. প্রায় সাড়ে ছয় শত শিয়া বন্দিকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় যাদের আর পাওয়া যায় নি।.

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল উত্তর ইরাকে জাতিগত ও ধর্মীয় নিপীড়ন ও নিধনের জন্য আইএসকে দায়ী করেছে।. ২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ এর বিশেষ রিপোর্টে বলা হয় যে আইএস ২০১৪ এর ১০ জুনের পর থেকে তার দখলকৃত এলাকায় অমুসলিমদের বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে এবং তাদের হত্যা ও আহত করে। এসব গোষ্ঠী সহ হাজার হাজার শিয়া অনুসারী তাদের নিজেদের এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। সবথেকে বেশি ক্ষতির শিকার হন নিনেভাহ প্রদেশের তুর্কমেন ও সাবাক শিয়াগণ।

মসুলের পতন (২০১৪)

দখলকৃত মসুল অংশে বসবাসকারী শিয়াদের সম্পত্তি দখল করে নেওয়া হয় এবং তা আইএস এর সমর্থকদের মধ্যে বণ্টন করা হয়। শিয়াদের সবকিছু গণিমত হিসেবে গণ্য করা হয়।. হাজার হাজার তুর্কমেন ও সাবাক শিয়া মুসল ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

বশির - এ শিয়াদের বিরুদ্ধে আক্রমণ

সালাউদ্দিন ও কিরকুক প্রদেশ থেকে সহস্রাধিক শিয়া পাশ্ববর্তী গ্রামে পালিয়ে যান। কিন্তু আইএস সেসব গ্রামে আক্রম করে এবং শিশুসহ অন্তত ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক বশির শহরের কাছে হত্যা করে।

শিয়া মাজার ও উপাসনালয় ধ্বংস

আইএস এর দৃষ্টিতে শিয়া মুসলমানগণ বিপথগামী ও মুশরিক। তাই তারা দখলকৃত এলাকার সকল শিয়া মাজার ও উপসানলয় ধ্বংস করা শুরু করে। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে মুসল ও তেল আরাফ যা আইএস দখলকৃত অংশ, প্রায় ১০ শিয়া মাজার ইমামবাড়া ধ্বংস কিংবা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

গণহত্যা অভিযোগ

১৭ মার্চ ২০১৬, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি সিরীয়া ও ইরাকে শিয়া মুসলাম ও অন্যান্যদের প্রতি আইএস কর্তৃক সৃষ্ট সহিংসতাকে গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করেন।

”আমার মতে, দায়েশ তার নিয়ন্ত্রণাধীন এলকার ইয়াজিদ, খ্রিস্টান, শিয়া গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যার জন্য দায়ী" - জন কেরিএকই সপ্তাহে জন কেরির বিবৃতি মার্কিন হাউসে বিল আকারে তোলা হয় এবং তা ৩৮৩-০ ভোটে পাস হয়।

আরোও দেখুন

  • আইএসআইএল দ্বারা ইয়াজিদদের গণহত্যা
  • আইএসআইএল দ্বারা খিস্টানদের গণহত্যা
  • ইরাক ও সিরীয়ায় গৃহযুদ্ধ

তথ্যসূত্র

Tags:

আইএসআইএল কর্তৃক শিয়া নিপীড়ন মসুলের পতন (২০১৪)আইএসআইএল কর্তৃক শিয়া নিপীড়ন বশির - এ শিয়াদের বিরুদ্ধে আক্রমণআইএসআইএল কর্তৃক শিয়া নিপীড়ন শিয়া মাজার ও উপাসনালয় ধ্বংসআইএসআইএল কর্তৃক শিয়া নিপীড়ন গণহত্যা অভিযোগআইএসআইএল কর্তৃক শিয়া নিপীড়ন আরোও দেখুনআইএসআইএল কর্তৃক শিয়া নিপীড়ন তথ্যসূত্রআইএসআইএল কর্তৃক শিয়া নিপীড়নইরাকইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্টগণহত্যাসিরিয়া

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

কুয়েতআসরের নামাজটেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাইংরেজি ভাষাগাঁজাআলহামদুলিল্লাহলাহোর প্রস্তাবফিতরাসিরাজউদ্দৌলাঘূর্ণিঝড়ফেরদৌস আহমেদলিটন দাসগানা ডট কমবান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়অ্যামিনো অ্যাসিডউপন্যাসফেসবুকআফরান নিশোকেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসন্ধিসেলজুক সাম্রাজ্যযোহরের নামাজভারতভারতীয় জনতা পার্টিতাজমহলশিয়া ইসলামআমমার্কিন ডলারসংস্কৃতিবাস্তব সংখ্যাইফতারপথের পাঁচালীপূর্ণিমা (অভিনেত্রী)সাইবার অপরাধবাংলা ভাষা আন্দোলনবেলজিয়ামমীর মশাররফ হোসেনজয়নুল আবেদিনআইনজীবীইসলামবীর্যনোয়াখালী জেলাআতাকোষ (জীববিজ্ঞান)দীপু মনিটেনিস বলতারাবীহমহাভারতের চরিত্র তালিকাললিকনপ্রযুক্তিহোমিওপ্যাথিগোত্র (হিন্দুধর্ম)সংযুক্ত আরব আমিরাতজানাজার নামাজচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়হার্নিয়াগজআল্লাহর ৯৯টি নামইয়াজুজ মাজুজষাট গম্বুজ মসজিদপশ্চিমবঙ্গের জেলাসুরেন্দ্রনাথ কলেজবাংলাদেশ নৌবাহিনীঅশোক (সম্রাট)কাঠগোলাপআবু বকর২০২২-এ ইউক্রেনে রুশ আক্রমণআযানবাংলার প্ৰাচীন জনপদসমূহদারাজউর্ফি জাবেদধানচতুর্থ শিল্প বিপ্লবরোজাকুমিল্লা জেলাঅতিপ্রাকৃত কাহিনীঅক্সিজেনবিশ্ব দিবস তালিকা🡆 More