হিরাকুদ বাঁধ নির্মিত হয় ভারতের ওড়িশা রাজ্যে, মহানদী নদীর উপরে সম্বলপুর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার (৯.৩ মা) দূরে। বাঁধের পিছনে প্রসারিত রয়েছে একটি হ্রদ, হিরাকুদ জলাধার যা ৫৫ কিমি (৩৪ মা) দীর্ঘ। ভারতের স্বাধীনতার পরে শুরু হওয়া প্রথম বহুমুখী নদী উপত্যকা প্রকল্পগুলির মধ্যে এটি অন্যতম।
হীরাকুদ বাঁধ | |
---|---|
আনুষ্ঠানিক নাম | হীরাকুদ ড্যাম |
অবস্থান | সম্বলপুর থেকে ১৬.৫ কিমি দূরে, ওড়িশা |
স্থানাঙ্ক | ২১°৩৪′ উত্তর ৮৩°৫২′ পূর্ব / ২১.৫৭° উত্তর ৮৩.৮৭° পূর্ব |
নির্মাণ শুরু | ১৯৪৮ |
উদ্বোধনের তারিখ | ১৯৫৭ |
নির্মাণ ব্যয় | ১০১ কোটি রুপি (১৯৫৭ সালে) |
বাঁধ এবং অতিরিক্ত জলনির্গমপথ | |
বাঁধের ধরন | যৌগিক বাঁধ ও জলাধার |
আবদ্ধতা | মহানদী |
উচ্চতা | ৬০.৯৬ মি (২০০ ফু) |
দৈর্ঘ্য | ৪.৮ কিমি (৩ মা) (main section) ২৫.৮ কিমি (১৬ মা) (entire dam) |
অতিরিক্ত পানি নির্গমনের পথ | ৬৪ টি স্লুইস গেট, ৩৪টি ক্রেস্ট গেট |
অতিরিক্ত জলনির্গমপথের ধারণক্ষমতা | ৪২,৪৫০ ঘনমিটার প্রতি সেকেন্ড (১৪,৯৯,০০০ ঘনফুট/সে) |
জলাধার | |
মোট ধারণক্ষমতা | ৫,৮৯,৬০,০০,০০০ মি৩ (৪৭,৭৯,৯৬৫ acre·ft) |
অববাহিকার আয়তন | ৮৩,৪০০ কিমি২ (৩২,২০১ মা২) |
পাওয়ার স্টেশন | |
ঘূর্ণযন্ত্র | Power House I (Burla): 2 x 49.5 MW, 3 x 37.5 MW, 2 x 32 MW Kaplan-type Power House II (Chiplima): 3 x 24 MW |
স্থাপিত ক্ষমতা | ৩৪৭.৫ মেগাওয়েট |
১৯৩৬ এর বিধ্বংসী বন্যার আগে , স্যার এম বিশ্বেসরাইয়া প্রস্তাব দেন একটি বিস্তারিত তদন্তের জন্য যা মহানদী বদ্বীপ অঞ্চলে বন্যা সমস্যার মোকাবেলা করবে। ১৯৪৫ সালে ডঃ বি আর আম্বেদকরের অধীনে লেবারের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নেন মহানদীর উপর বহুমুখী প্রকল্প গড়ে তোলার জন্যে বিনিয়োগ করা হবে। কেন্দ্রীয় জলপথ, সেচ ও ন্যাভিগেশন কমিশন কাজটি গ্রহণ করে. ১৫ই মার্চ ১৯৪৬ সালে, ওড়িশার রাজ্যপাল স্যার Hawthorne লুইস হিরাকুদ বাঁধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৪৭ সালের জুন মাসে এর একটি প্রকল্প প্রতিবেদন দাখিল করা হয় সরকারের কাছে।. পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু প্রথম ব্যাচের কংক্রিট স্থাপনের মধ্যে দিয়ে হিরাকুদ বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১২ই এপ্রিল, ১৯৪৮ তারিখে।
পূর্ণ দৈর্ঘ্য | ২৫.৭৯ কিমি (১৬.০৩ মা) |
প্রধান বাঁধের দৈর্ঘ্য | ৪.৮ কিমি (৩.০ মা) |
কৃত্রিম জলাধার | ৭৪৩ কিমি২ (২৮৭ মা২) |
সেচ সুবিধাভোগী অঞ্চল (রবি ও খারিফ ফসলের জন্যে) | ২,৩৫৫ কিমি২ (২,৩৫,৪৭৭ হেক্টর) |
হারানো এলাকা | ৫৯৬ কিমি২ (১,৪৭,৩৬৩ একর) |
বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা | ৩৪৭.৫ মেগাওয়াট |
মোট ব্যয় (১৯৫৭ সালে) | ₹১,০০০.২ মিলিয়ন (US$১৫.৩২ মিলিয়ন) |
ড্যামের উচ্চ লেভেল | R.L. ১৯৫.৬৮০ মি (৬৪২ ফু) |
এফ আর এল/ এম দাব্লিউ এল | R.L. ১৯২.০২৪ মি (৬৩০ ফু) |
ধারণ ক্ষমতা | R.L. ১৭৯.৮৩০ মি (৫৯০ ফু) |
বাঁধে মোট মাটির কাজ | ১,৮১,০০,০০০ মি৩ (৬৪০×১০ ৬ ঘনফুট) |
কংক্রিটের মোট পরিমাণ | ১০,৭০,০০০ মি৩ (৩৮×১০ ৬ ঘনফুট) |
ক্যাচমেন্ট এলাকা | ৮৩,৪০০ কিমি২ (৩২,২০০ মা২) |
হিরাকুদ বাঁধ একটি যৌগিক কাঠামো; মাটি, কংক্রিট এবং ম্যাসনারি দ্বারা গঠিত।সম্বলপুরের উত্তরে ১০ কিমি (৬.২ মা) মহানদীর উপরে নির্মিত এই বাঁধটি ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী মাটির বাঁধ। ডাইকসহ বাঁধের দৈর্ঘ্য ২৫.৮ কিমি (১৬.০ মা)। প্রধান বাঁধটির সামগ্রিক দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিমি (৩.০ মা) দুটি পাহাড়ের মধ্যে বিস্তৃত; বামদিকে লামদুনগরি এবং ডানদিকে চান্ডিল ডুঙ্গুরি।সাথের জলাধারটি ভারতের অন্যতম বৃহত্তম কৃত্রিম জলাধার, ৭৪৩ কিমি২ (২৮৭ মা২) ক্ষেত্রফল ও ৬৩৯ কিমি (৩৯৭ মা) পরিধি সম্পন্ন। বাঁধের উভয় তীরে দুটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার আছে। একটি "গান্ধী মিনার" এবং অন্যটি "নেহেরু মিনার"। উভয় পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকেই হ্রদটি খুব সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়।
মহানদী নদীর উপরের অববাহিকায় ছত্তিশগড়ের সমভূমিতে যেখানে নিয়মিত খরা পরিস্থিতির উদয় হত, সেখানে নিচের অববাহিকার বদ্বীপ অঞ্চলের নিয়মিত বন্যার ফলে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হত। একটি বিশালাকার জলাধার নির্মাণ ও নদীর গতিপথ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এই বৈসাদৃশ্যপূর্ণ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির জন্যেই হিরাকুদ প্রকল্প শুরু হয়েছিল। বাঁধটি মহানদী নদী প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং কয়েকটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে জলবিদ্যুত উৎপাদন করে। বাঁধটি মহানদী বদ্বীপ অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ বন্যা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ৭৫,০০০ কিমি২ (১৯×১০ ৬ একর) ভূমিতে সেচ প্রদান করে। বাঁধটি মহানদীর নিষ্কাশন এর ৮৩,৪০০ কিমি২ (২০.৬×১০ ৬ একর) নিয়ন্ত্রণ করে। জলাধারের গড় ধারণ ক্ষমতা ৫.৮১৮ কিমি৩ (১.৩৯৬ মা৩) এবং সরবোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ৮.১৩৬ কিমি৩ (১.৯৫২ মা৩)।
এটি ১,৩৩,০৯০ কিমি২ (৩২.৮৯×১০ ৬ একর) এলাকার জল নির্গমন করে যা প্রায় শ্রীলংকার আয়তনের দ্বিগুণ এলাকা। বাঁধ নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত মাটি, কংক্রিট এবং ম্যাসনারি উপকরণের পরিমাণ দ্বারা কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর এবং অমৃতসর থেকে ডিব্রুগড়, আসাম পর্যন্ত ৮ মি (২৬ ফু) চওড়া রাস্তা নির্মাণ সম্ভব। বাঁধ দ্বারা প্রদত্ত সফল সেচ দিয়ে সম্বলপুরের এক বিস্তীর্ণ এলাকায় ধান চাষ হয় এবঙ্গি এই অঞ্চলকে ওড়িশার 'ধানের গোলা' বলা হয়। প্রকল্পটি সম্বলপুর,বোলাঙ্গঙ্গির,বারগড়,সুবর্ণপুর ইত্যাদি জেলাতে রবি ফসলের জন্যে ১,০৮৪ কিমি২ (২,৬৮,০০০ একর) এলাকায় আর খারিফ ফসলের জন্যে ১,৫৫৬ কিমি২ (৩,৮৪,০০০ একর) এলাকায় সেচ প্রদান করে। বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের মাধ্যমে মুক্তি পাওয়া জল দিয়ে মহানদী বদ্বীপের ৪,৩৬০ কিমি২ (১.০৮×১০ ৬ একর) কালচারেবল কম্যান্ড এরিয়া তে সেচ দেওয়া হয়। বাঁধের ডান প্রান্তে বুরলা এবং ডাউনস্ট্রিমেচিপ্লিমায় অবস্থিত দুইটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মাধ্যমে 307.5 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতে পারে। উপরন্তু, কটক এবং পুরি জেলার বদ্বীপ এলাকার ৯,৫০০ কিমি২ (২.৩×১০ ৬ একর) এলাকায় বন্যা সুরক্ষা প্রদান করে হিরাকুদ বাঁধ। ৮০ থেকে ১২০ ফু (২৪ থেকে ৩৭ মি) উচ্চতা থেকে মহানদীর একটি প্রাকৃতিক পতন বিদ্যুত উৎপাদন এর জন্যে ব্যবহৃত হয়। এই জায়গাটিতে বেশিরভাগই জেলেদের বাস রয়েছে, স্থানীয় দেবতা 'ঘন্টেশ্বরী' পএই অঞ্চলের জাগ্রত দেবী। এখানে রাজ্যের পশুসম্পদ খামার ও কৃষি খামার অবস্থিত।
হিরাকুদ বাঁধে তিনটি খাল রয়েছে, যথা বারগড় প্রধান খাল সাসন খাল ও সম্বলপুর খাল। বারগড় প্রধান খালের জল নিষ্কাশনের হার ৪০০০ কিউসেক।
হিরাকুদ বাঁধ থেকে প্রাপ্ত জল পরবর্তী পর্যায়ে বরাদ্দ ছিল বিভিন্ন শিল্পের জন্য প্রাথমিকভাবে খনিজ প্রক্রিয়াকরণ আর ঝাড়সুগদা এবং সম্বলপুর জেলায়.কয়লা চালিত তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র মধ্যে ব্যবহারের জন্যে।
বাঁধ কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, পলি জমে যাওয়ার কারণে বাঁধের জলধারণ ক্ষমতা ২৮% কমে গিয়েছে
জলের প্রধান দ্বন্দ্বের খবর পাওয়া যায় যখন ৩০ হাজারের বেশি কৃষকরা বাঁধের আশেপাশে মানব শৃঙ্খলে আশ্রয় নেয়, শিল্পের জন্য জল বরাদ্দকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এবং জলের নিম্ন স্তরের কারণে খাল ব্যবস্থার জন্য পানি না থাকার কারণে।.।
ভারত এর উচ্চাভিলাষী ভারতীয় নদী আন্তঃ-লিঙ্কের অংশ হিসাবে ওড়িশার জলসম্পদ বিভাগের পরিকল্পনা অনুযায়ী আন্তঃসীমান্ত জল স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে।
এই বাঁধটি ১৯৫৭ সালে সম্পন্ন হওয়ার পর বহু মন্দির জলের নিচে চলে যায় গ্রীষ্মকালে, বাঁধের জল কমে যাওয়ায় কাঠামোগুলি দৃশ্যমান হয়। অনেক বছর পরে, এই মন্দিরগুলি ঐতিহাসিকদের মনোযোগ আকর্ষণ করা হয় এবং এই মন্দিরগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বুঝতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এত বছর ধরে জলের নিচে থাকার ফলে অনেক মন্দির ধ্বংস হয়ে গেছে। যাইহোক, কিছু অবশেষ অপরিবর্তিত আছে পদ্মাপুর গ্রামের পদ্মসেনী মন্দির বলে যেটি কথিত আছে, সেটির মন্দিরগাত্র থেকে লেখার দুটি শিলালিপি ('শিলা লিখন') পাওয়ার পরে পর, এই হারিয়ে যাওয়া মন্দির সম্বন্ধে ঐতিহাসিকরা আগ্রহী হয়েছেন । জলাধার এলাকার অভ্যন্তরে অবস্থিত মন্দিরগুলি তদানীন্তন পদ্মপুরের একটি অংশ ছিল, যা বাঁধের নির্মাণের পূর্বে এই অঞ্চলের সর্বাধিক জনবহুল এবং প্রাচীনতম গ্রাম ছিল। বাঁধ দ্বারা ২০০ টিরও বেশি মন্দির ডুবে যায়, যার মধ্যে ১৫০টি মন্দির ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় বা সম্পূর্ণরূপে জলে নিমজ্জিত হয়ে গেছে আর বাকি ৫০টি মন্দির গ্রীষ্মকালে দৃশ্যমান হয়। হারানো মন্দিরগুলি স্কুবা ডাইভিং উৎসাহীদের জন্য চমৎকার সুযোগ হিরাকুদ জলাধারের অভ্যন্তর ঘুরে দেখার জন্যে। সাধারণভাবে মে জুন মাসে নদীতে নৌকাযোগে পরিভ্রমণের সময় দর্শকদের কাছে মন্দিরগুলি দৃশ্যমান হয়।
ক্যাটল আইল্যান্ড হিরাকুদ জলাধারের প্রান্তিক সীমার পয়েন্টগুলির একটিতে অবস্থিত, একটি প্রাকৃতিক আশ্চর্য।মানুষের কোন চিহ্ন ছাড়াই, সম্পূর্ণ দ্বীপ টি বন্য গবাদি পশু দ্বারা অধিকৃত। এটি সম্বলপুর থেকে ৯০ কিমি (৫৬ মা), যা বেলপাহাড়-বানরপালি পরিসরের কুমারবন্ধ গ্রামের কাছে অবস্থিত। এটি হিরাকুদ বাঁধ থেকে লঞ্চ (নৌকা) লঞ্চে করে পৌঁছানো যায়, নদীপথে এর দূরত্ব প্রায় ১০ কিমি (৬.২ মা) এর কাছাকাছি।। দ্বীপটি প্রকৃতপক্ষে একটি নিমজ্জিত পাহাড়ের অঙ্গিশ, এবং বাঁধ নির্মাণের আগে এটি একটি উন্নত গ্রাম ছিল। পুনর্বাসনের সময় গ্রামবাসীরা তাদের কিছু গরু পিছনে ফেলে রেখেছিল; যখন বাঁধ নির্মাণ শেষ হয়, গবাদি পশুরা পাহাড় পর্বতএর উপর বসতি স্থাপন করে এবঙ্গি সময়ের সাথে সাথে অভি্যোজিত হয়ে বন্য প্রকৃতির হয়ে ওঠে। মানবজাতির কাছ থেকে দূরে থাকায়, গবাদি পশুগুলি এখন অত্যন্ত দ্রুতগামী এবং সহজে ধরা যায় না। ঘন বনের মধ্যে পর্বতমালায় বাস করার ফলে, তাদের আকৃতি সাধারণ গৃহপালিত গবাদি পশুর চেয়ে বড়, প্রায় সবার গায়ের রঙ সাদা। কাছাকাছি অধিবাসীরা সময় থেকে এইসব প্রাণীদের শিকার করার চেষ্টা করে, কিন্তু এই শিকার খুব কমই সফল হয়েছে। এই প্রাণীগুলি বন্য পশুর জীবন ফিরে যাওয়া পশুর বংশের একটি বিপরীত চিত্র প্রদান করে।
চ্যানেল সহ বাঁধ বন্যপ্রাণী্র জন্য একটি আদর্শ পরিবেশ প্রদান করে। ডেব্রিগড় বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এখানে অবস্থিত। শীতকালে প্রচুর প্রজাতির পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণাগার পরিদর্শন করে। প্রায় ২০-২৫টি প্রজাতির পাখি জলাধারে দেখা যায় এবং তাদের মধ্যে প্রচলিত সাধারণ পোচারড, রেড-ক্রেস্টেড পোচারড, গ্রেট ক্রেস্টেদ গ্রেব এবং অন্য অনেকগুলি।.
হিরাকুদ বাঁধের মূল উদ্দেশ্য ছিল বন্যার বিস্তৃতি আটকানো, যা উপকূলীয় উড়িষ্যার একটি বড় অংশকে প্রভাবিত করেছিল। কিন্তু, বাঁধ নির্মাণ ব্যাপকভাবে ওড়িশার পশ্চিম অংশ আদিবাসী মানুষজনকে প্রভাবিত করেছে। হিরাকুদ প্রকল্পে প্রায় ১৫০,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ২২,০০০ পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়।
২9 শে অক্টোবর 1979 তারিখে পোস্ট বিভাগের দ্বারা হিরাকুদ বাঁধের ছবি সংবলিত স্মারক স্ট্যাম্পটি মুক্তি পায়, যার মূল্য ৩০ পয়সা (0.46 মার্কিন ডলার), ৩,০০০,০০০ ডাকটিকিট জারি করা হয়। ২6 শে ডিসেম্বর 1960 তারিখে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর এইচ.ভি.আর. আয়েনগার দ্বারা একটি একশ টাকার নোট প্রকাশিত হয়। এই নোটের আকার ১০৯ মিমি × ১৭২ মিমি (৪.৩ ইঞ্চি) এই নোটের পেছনের দিকে হিরাকুদ বাঁধ এবং হাইড্রো-ইলেকট্রিক স্টেশনের একটি ছবি সহ ১৩ টি আঞ্চলিক ভাষায় বর্ণনা রয়েছে।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article হীরাকুদ বাঁধ, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.