হস্তমৈথুনের ইতিহাস: ইতিহাসের বিভিন্ন দিক

মানব যৌনতার ইতিহাসে হস্তমৈথুনের ইতিহাস হলো নৈতিকতা, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি, বৈজ্ঞানিক অধ্যয়ন এবং শৈল্পিক দিক দিয়ে সামাজে হস্তমৈথুনের অবস্থানের ধারাবাহিক পরিবর্তনগুলোর বর্ণনা।

হস্তমৈথুনের ইতিহাস: প্রাচীন ইতিহাস, আধুনিক সমাজে হস্তমৈথুন, হস্তমৈথুন বিহীন সংস্কৃতি
প্রাগের যৌনকল জাদুঘরে (সেক্স মেশিন মিউজিয়ম) সংরক্ষিত হস্তমৈথুনের বিকল্প ব্যবহার্য একটি যন্ত্র

নিজের যৌনাঙ্গে নিজে থেকে যৌনতৃপ্তি উপভোগ করা তথা হস্তমৈথুন বা স্বমেহনকে বিভিন্ন ধর্মে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং এটি এখন আইন, সামাজিক বিতর্ক, অ্যাক্টিভিজম, পাশাপাশি যৌনতত্ত্বের বৌদ্ধিক অধ্যয়নের বিষয় হয়ে উঠেছে। হস্তমৈথুন ট্যাবু সম্পর্কিত সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বিভিন্ন সংস্কৃতিতে এবং ইতিহাসে বিভিন্নরকম।

প্রাচীন ইতিহাস

প্রাচীনকাল থেকেই হস্তমৈথুন মানব সমাজের একটি অঙ্গ হয়ে আছে। বিশ্বজুড়ে প্রাগৈতিহাসিক কালে পাথরে আঁকা চিত্র অর্থাৎ শিলাচিত্রে নারী ও পুরুষদের হস্তমৈথুনের চিত্র অঙ্কিত রয়েছে। বেশিরভাগ আদিম মানুষ মনে করত যে মানব যৌনতা প্রকৃতির প্রাচুর্যের সাথে সংযুক্ত। চতুর্থ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মাল্টার একটি মন্দিরে হস্তমৈথুনরত একজন নারীর একটি মাটির মূর্তি পাওয়া গিয়েছে। তবে প্রাচীন বিশ্বে নারীর তুলনায় পুরুষদের হস্তমৈথুনের চিত্র অনেক বেশি দেখা যায়।

সর্বপ্রাচীন রেকর্ডগুলোর মধ্যে প্রাচীন সুমেরীয়রা যৌনতার প্রতি খুব স্বচ্ছন্দ মনোভাব রেখেছিল। সুমেরীয়রা বেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতো যে হস্তমৈথুন পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই যৌন ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তারা প্রায়শই একা কিংবা তাদের সঙ্গীর সাথে হস্তমৈথুনে রত হতো। পুরুষরা হস্তমৈথুনের সময় মাঝেমধ্যেই পুরু-তেল ব্যবহার করতেন, এটি একপ্রকার বিশেষ তেল যাতে সম্ভবত চূর্ণীকৃত লোহা আকর মিশ্রিত করা হয়েছিলো ঘর্ষণ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে। হস্তমৈথুনও দৈবিক সৃষ্টির একটি মাধ্যম ছিল এবং সুমেরীয় উপকথায় (পৌরাণিক কাহিনী) বিশ্বাস করা হতো যে দেবতা এনকি তাদের খালি নদীর তীরে হস্তমৈথুন করেন এবং বীর্যপাত করে টাইগ্রিস এবং ইউফ্রেতিস নদী তৈরি করেছিলেন।

পুরুষদের হস্তমৈথুন প্রাচীন মিশরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল। এটিকে তারা একটি শিল্প ও সৃজনশীলতা হিসেবে নিয়েছিলো এবং তখন মনে করা হত যে দেবতা আতুম হস্তমৈথুনের মাধ্যমে পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। তখনকার ফারাওদের নীলনদে বছরের একটি বিশেষ সময়ে হস্তমৈথুন করা বাধ্যতামূলক ছিল।

হস্তমৈথুনের ইতিহাস: প্রাচীন ইতিহাস, আধুনিক সমাজে হস্তমৈথুন, হস্তমৈথুন বিহীন সংস্কৃতি 
খ্রিস্টপূর্ব ৫৬০-৫৫০ অব্দের দিকের একটি ক্রেটারের বিবরণ; একজন স্যাটার হস্তমৈথুন করছে। প্রাচীন গ্রিক মৃৎশিল্পে এটা খুবই সাধারণ দৃশ্য।

6060০-৫৫০ খ্রিস্টাব্দের একটি ক্রেটারের বিবরণ, অনেক প্রাচীন গ্রিক মৃৎশিল্প চিত্রগুলির মধ্যে একটি দৃশ্যাবলী হস্তমৈথুন করা দেখানো a

প্রাচীন গ্রীকরা হস্তমৈথুনকে যৌনতৃপ্তি উপভোগের অন্যান্য উপায়গুলোর মতোই একটি স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যকর বিকল্প পদ্ধতি হিসাবে বিবেচনা করতো। হস্তমৈথুন সম্পর্কে প্রাচীন গ্রিসের বেশিরভাগ তথ্য বর্তমানকাল পর্যন্ত টিকে থাকা প্রাচীন গ্রিক কমেডি এবং মৃৎশিল্পের কাজগুলো থেকে পাওয়া গেছে। অ্যারিস্টোফেনসের বেঁচে থাকা কৌতুকগুলিতে হস্তমৈথুনকে প্রায়শই উল্লেখ করা হয়েছে, যা এই বিষয়টিতে প্রাচীন গ্রিক দর্শনের তথ্যের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ উৎস। প্রাচীন গ্রিক মৃৎশিল্পে অহরহই স্যাটারদের হস্তমৈথুনের বিষয়টি চিত্রিত হয়েছে।

খ্রিস্টাব্দ তৃতীয় শতাব্দীর জীবনীবিদ ডায়োজিনিস লার্টিয়াসের প্রখ্যাত দার্শনিকদের জীবন ও মতামত (Lives and Opinions of Eminent Philosophers) অনুসারে, খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীর সিনিক দার্শনিক ডায়োজিনিস অভ সিনোপ প্রায়শই প্রকাশ্যে হস্তমৈথুন করতেন, যা নিন্দনীয় বলে বিবেচিত হতো। লোকেরা যখন তাকে এটা নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন করত, তখন তিনি বলতেন "(হস্তমৈথুনের মতো) কেবল যদি আমার পেট ঘষে ক্ষুধা দূর করা তত সহজ হত"। ডায়োজিনিস রসিকতার সাথে হস্তমৈথুন আবিষ্কারের জন্য দেবতা হার্মিসকে কৃতিত্ব দিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেছিলেন যে- "দেবতা হার্মিস তার পুত্র পানের প্রতি দয়া করেছিলেন, ইকোর প্রতি পান কামার্থ ছিলো কিন্তু তাকে প্ররোচিত করতে অক্ষম হয়েছিলো। পুত্রকে এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে হস্তমৈথুনের কৌশল শিখিয়েছিলেন দেবপিতা হার্মিস। পান পরবর্তীতে তরুন মেষপালকদের এই অভ্যাসটি শিখিয়েছিলো।"

প্রাচীন রোমান যৌনতার উৎসগুলিতে হস্তমৈথুন খুবই কম লক্ষ্য করা যায়। কবি মার্শাল এটিকে কৃতদাসদের দ্বারা চালুকৃত যৌন তৃপ্তির একটি নিকৃষ্ট রূপ বলে মনে করতেন। উল্লেখের পরিমাণটি কম হলেও লাতিন বিদ্রূপরচনা বা স্যাটায়ারের দীর্ঘকালীন প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো হস্তমৈথুন। রোমের প্রথম দিককার স্যাটায়ার ধারার লেখক লুসিলিয়াসের কয়েকটি টিকে থাকা স্যাটায়ারলিখনের টুকরোর মধ্যে হস্তমৈথুনের উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। রোমানরা হস্তমৈথুনের জন্য বাম হাতকে বেছে নিয়েছিল।

আধুনিক সমাজে হস্তমৈথুন

প্রণোদিত স্বমেহন

২০০৯ সালে নেদারল্যান্ড ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের সাথে যুক্তরাজ্যেও বয়সন্ধিকালীন ছেলে-মেয়েদের কমপক্ষে প্রতিদিন হস্তমৈথুন করার জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয়। রাগমোচনকে শরীরের জন্য উপকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে শিশু গর্ভবতীর ও যৌন সংক্রামক রোগের হারের প্রাপ্ত উপাত্ত লক্ষ্য করে, তা কমিয়ে আনতে এই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়, এবং এটিকে একটি ভালো অভ্যাস হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

২০০৯ সালে যুক্তরাজ্যে শেফিল্ডে ন্যাশনাল হেলথ সারভিস থেকে একটি লিফলেট প্রচার করা হয়েছিলযার স্লোগান ছিল, "দিনে একবার রাগমোচন ডাক্তারদেরকে দূরে রাখে"। এখানে আরও বলা হয়েছিল, "স্বাস্থ্যগত প্রচারে দিনে পাঁচবার ফল ও সবজি খেতে বলা হয়, সপ্তাহে তিনবার ত্রিশ মিনিট করে শরীরচর্চা করতে বলা হয়, কিন্তু সপ্তাহে দুইবার যৌনসঙ্গম বা স্বমেহন করতে কেন বলা হয় না?" এই লিফলেটটি পিতামাতা, শিক্ষক ও তরুণ কর্মীদেরকে দেয়া হয়, ও সেইসাথে উচ্চ শ্রেণীর শিক্ষার্হীদেরকে উপভোগ্য যৌনতার উপকারিতা জানানোর জন্য যৌনশিক্ষার হালনাগাদ করতে বলা হয়। এই লিফলেটের লেখকগণ বলেছিলেন, অনেক দিন ধরেই বিশেষজ্ঞগণ "নিরাপদ যৌনতা" ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সম্পর্ক এর প্রয়োজনীয়তার দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন, যেখানে তারা মূল কারণকেই অবহেলা করে এসেছেন যা হল মানুষ যৌনক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। এই লিফলেটের শিরোনাম ছিল "Pleasure"। এর লেখকদের একজন বলেছিলেন, "টিনেজ যৌনতার পরিবর্তে এটি তরুণ তরুণিদেরকে কুমারীত্ব হারাতে দেরি করতে উৎসাহিত করতে পারত, যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা নিশ্চিন্ত না হত যে তারা এই অভিজ্ঞতাটি উপভোগ করবে।"

২০০৯ সালে স্পেইনের এক্সত্রেমাদুরা অঞ্চলে একটি কর্মসূচীর সূচনা করা হয় যেখানে ১৪ থেকে ১৭ বছরের কিশোর কিশোরীদেরকে "যৌন আত্ম-আবিষ্কার এবং আত্ম-সন্তুষ্টির আবিষ্কারকে" উৎসাহিত করা হয়। ১৪,০০০ ইউরো এর এই অভিযানে লিফলেট, ফ্লাইয়ার ও একটি "ফ্যানজিন" এর ব্যবহার ছিল, এবং সেই সাথে তরুণদের জন্য কর্মশালার ব্যবস্থাও ছিল যেখানে তারা স্বমেহনের উপায় সম্পর্কিত নির্দেশনাবলি এবং নিরোধের ও আত্ম মর্যাদা রক্ষার জন্য বিভিন্ন উপদেশ দেয়া হয়। এই উদ্যোগের স্লোগান ছিল, "তোমার নিজেদের হাতেই আছে সন্তুষ্টি" ("Pleasure is in your own hands")। এই স্লোগানটি স্থানীয় দক্ষিণপন্থী রাজনীতিবিদদেরকে রাগিয়ে দেয় এবং গতানুগতিক রোমান ক্যাথলিক মতাদর্শের জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল। পাশের অঞ্চল আন্দালুসিয়া এর কর্তৃপক্ষ এরকম আরেকটি কর্মসূচী পালনের আগ্রহ প্রকাশ করে।

Palliative care nursing: quality care to the end of life নামক পাঠ্যপুস্তকে বলা হয়, "মৃত্যুসহ্যায় থাকা ব্যক্তি এবং সাধারণ ব্যক্তিদের মধ্যে স্বমেহন অভ্যাস নিয়ে কোন পার্থক্য থাকে না। যেসকল সেবিকা উপশমক যত্নের সাথে জড়িত (Palliative care practitioners) তাদেরকে রোগীদেরকে নিয়মিতভাবে জিজ্ঞেস করা উচিত যে, তাদের স্বমেহন সক্ষমতায় কোন কিছু বাঁধাদান করছে কিনা, এবং যদি কোন সমস্যা পাওয়া যায় তাহলে তাদেরকে রোগীর সেই সমস্যার উপশম করতে হবে।"

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ

ধর্মে হস্তমৈথুন নিয়ে নানা মত আছে, যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ (রোমান ক্যাথলিক) থেকে শুরু করে একে উৎসাহদান ও পরিশুদ্ধকারী হিসেবে আখ্যাদান (উদাহরণস্বরূপ, কতিপয় নতুন "তন্ত্র" ও তাওবাদী যৌনচর্চা) পর্যন্ত হতে পারে।

হস্তমৈথুন বিহীন সংস্কৃতি

আফ্রিকান কঙ্গো অববাহিকার আকা এবং নাগান্দু জাতিগোষ্ঠীর সকলেরই তাদের ভাষায় হস্তমৈথুনের জন্য নির্ধারিত কোনো শব্দ নেই এবং হস্তমৈথুনের ধারণাও অস্পষ্ট।

স্বাস্থ্যগত উপযোগিতা

চিকিৎসকগণ ঐকমত্যে পৌঁছেছেন যে, হস্তমৈথুন একটি স্বাস্থ্যকর এবং স্বাভাবিক মানসিক যৌন আচরণ। মের্ক ম্যানুয়েল অব ডায়াগনসিস & থেরাপি অনুসারে, "হস্তমৈথুন তখনি অস্বাভাবিক বলে পরিগণিত হবে, যখন এটি সঙ্গীর চাহিদার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে, এই আচরণ সর্বসম্মুখে প্রদর্শন করা হবে অথবা এর প্রতি অনিয়ন্ত্রিতভাবে আসক্ত হওয়ার দরুণ এটি একটি মানসিক সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে"।

যুক্তরাষ্ট্রে, ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত ডিএসএম ২ এর অধীনে এই যৌনক্রিয়াকে, নির্ণয়যোগ্য মানসিক অবস্থা (diagnosable psychological condition) বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। পরবর্তীয়ে বিশেষজ্ঞদের সম্মতিক্রমে মার্কিন মনস্তাত্ত্বিক সংগঠন (American Medical Association) হস্তমৈথুনকে স্বাভাবিক যৌনাচরণ বলে ঘোষণা দেয়।

হস্তমৈথুন এর জন্য কখনোই একজন ব্যক্তির শরীরের শক্তি নিঃশেষিত হয় না বা এটি অকাল বীর্যপাত এর কারণ হয় না।

সাধারণ উপকারিতা

যৌন থেরাপিষ্টরা তাদের মহিলা রোগীদের অনেকসময় রাগমোচনে পৌঁছাবার জন্য সময় নিয়ে স্বমেহন করতে বলেন। থেরাপিষ্টদের মতে এটি যৌন স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে, কোন জিনিসটি নারীর জন্য যৌন তৃপ্তিদায়ক তা নির্ণয় করতে সাহায্য করে এবং পারস্পরিক স্বমেহন আরও বেশি যৌনতৃপ্তি ও সন্তুষ্টি দিতে পারে ও অন্তরঙ্গতাও বৃদ্ধি করতে পারে।

অনেক মানসিক স্বাস্থ্য চক্র থেকে দেখা গিয়েছে স্বমেহন হতাশাকে দূর করে এবং আত্মবিশ্বাসকে বহুগূণে বৃদ্ধি করে। স্বমেহন সম্পর্কের ক্ষেত্রেও উপকারী বটে- বিশেষ করে যখন কোন জুটির একজন আরেকজনের চেয়ে বেশি যৌনক্রিয়া আশা করে তখন স্বমেহন একটি ভারসাম্য তৈরি করে ও একটি ভাল সম্পর্ক বজায় রাখে।

পারস্পরিক স্বমেহন এমন একধরনের ক্রীড়া, যেখানে দুই বা ততোধিক সঙ্গী উপস্থিত থেকে একে অপরকে উত্তেজিত করে। পারস্পরিক স্বমেহনের সময় একজন সঙ্গী অপর সঙ্গীর মৈথুন দেখে বুঝতে পারে, সঙ্গীর যৌনসুখের কেন্দ্র কোথায়। এরফলে সে বুঝতে পারে ঠিক কীভাবে ও কোন জায়গায় তার স্পর্শ সঙ্গীকে কামোদ্দীপ্ত করবে। সবসময় যৌন সংগম করা সহজ হয় না এবং তার কিছু অসুবিধাও থাকতে পারে। কিন্তু পারস্পরিক স্বমেহনের ফলে দুইজনই চিত্তপ্রসাদ লাভ করে এবং এর কোনো ঝুঁকিও তৈরী হয় না।

২০০৩ সালে দ্য ক্যানসার কাউন্সিল অস্ট্রেলিয়া এর গ্রাহাম গাইলসের নের্তৃত্বে অস্ট্রেলীয় গবেষকরা একটি গবেষণা করেন। তারা দেখেন পুরুষের নিয়মিত হস্তমৈথুন প্রস্টেট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে। ২০ থেকে ২৯ বছরের যেসব পুরুষ সপ্তাহে ৫ বা তারও অধিক বীর্যপাত করে, তাদের প্রস্টেট ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পায়। অবশ্য তারা স্বমেহনের সাথে প্রোস্টেক ক্যানসার হ্রাসের প্রত্যক্ষ কার্যকারণ সম্পর্ক দেখাতে পারেন নি। এই গবেষণাটি আরও নির্দেশ করছে যে স্বমেহনের ফলে বীর্যপাতের বৃদ্ধি যৌন সংগমের চেয়ে অধিকতর শ্রেয়, কারণ যৌন সঙ্গমের এর ফলে যৌন সংক্রামক রোগ হতে পারে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। যাইহোক, এই উপকারিতা বয়সের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। ২০০৮ সালে হওয়া একটি গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ঘনঘন বীর্যপাত প্রস্টেট ক্যান্সার তৈরীতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। পক্ষান্তরে, একই গবেষণায় দেখা গিয়েছে ৫০ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে ঘনঘন বীর্যপাত ক্যান্সার তৈরীর ঝুঁকি হ্রাস করে।

১৯৯৭ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় পাওয়া যায়, করোনারি হৃদরোগে মৃত্যু এবং রাগমোচনের হারের মধ্যে একটি বিপরীতমুখী সম্পর্ক আছে, অর্থাৎ রাগমোচনের হার বৃদ্ধি পেলে করোনারি হৃদরোগে মৃত্যুর হার কমে যায়, যদিও যৌনক্রিয়ার ফলে মায়োকার্ডিয়াল ইশেমিয়া ও মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন এর ঝুঁকি দেখা যেতে পারে।

প্রতিবছর রাগমোচনের সংখ্যার সাথে প্রত্যেক রেসপন্ড ক্যাটাগরির মধ্যবিন্দু এর তুলনা করে রাগমোচনের হার এবং সকল কারণে মৃত্যুর হারের মধ্যকার সম্পর্কও পরিমাপ করা হয়। প্রতি বছর ১০০টি রাগমোচন বৃদ্ধির ফলে এজ এডজাস্টেড অড রেশিও ০.৬৪ পরিমাণ বৃদ্ধি পায় (০.৪৪ থেকে ০.৯৫ হয়)।

অর্থাৎ, দুজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে মরণশীলতার ভিন্নতা দেখা যাবে যদি একজন আরেকজনের চেয়ে সপ্তাহে দুইবার বেশি বীর্যপাত করেন। বিস্তৃত পরিসরের নমুনা নিয়ে পাওয়া পুরুষের গড় বীর্জপাত হচ্ছে সপ্তাহে ৩ থেকে ৫ বার, যদি এটাই ধরে নিয়ে মন্তব্য টানা হয়, তাহলে প্রতি সপ্তাহে ৫ থেকে ৭ বার বীর্জপাতই মানুষের মরণশীলতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে। এই কথাটি ২০০৩ সালের প্রোস্টেট ক্যানসারের বিরুদ্ধে সুবিধা নিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রচারিত প্রবন্ধটির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই সম্পর্কের শক্তি বীর্জপাতের হার বৃদ্ধির সাথে আরও বৃদ্ধি পায়।

২০০৮ সালে তাবরিজ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের করা গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে, বীর্যপাত নাকের রক্ত পরিবাহীগুলোর ফুলে যাওয়া কমিয়ে দেয় এবং এর মাধ্যমে সাধারণ শ্বাস প্রশ্বাসের রাস্তা বিমুক্ত করে। এর কারণ হচ্ছে সিম্প্যাথিক নারভাস সিস্টেমকে দীর্ঘসময় ধরে উদ্দীপিত করা। এই গবেষণা দলের প্রধান গবেষক জানিয়েছেন, "রোগী তার বন্ধ নাক জনিত সমস্যার লক্ষণগুলো দেখে যৌন সঙ্গম বা স্বমেহন কতক্ষণ করবে; তা নিজের মত করে নির্ধারণ করে নিতে পারে। এই ধরনের যৌনক্রিয়া বন্ধ নাককে মুক্ত করতে সহায়তা করে।"

একক স্বমেহন হচ্ছে এমন এক ধরনের যৌনক্রিয়া যার ফলে যৌন সংক্রামক রোগ হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই থাকে না। একাধিক ব্যক্তি একত্রে মিলে স্বমেহনের ফলে যৌন রোগ হবার সম্ভাবনা শূন্য হয়ে যায় একথা বলা যাবে না। তবে যৌন রোগ হওয়ার সম্ভাবনা যৌন অনুপ্রবেশের তুলনায় পারস্পরিক স্বমেহনে অনেক কম। এরকম দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করার জন্য এবং স্বমেহনকে যুক্তরাষ্ট্রের যৌনশিক্ষার পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভূক্তকরণের ফলে ক্লিন্টন প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সার্জন জেনারাল জোসেলিন এল্ডারকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু রাষ্ট্রের যৌনশিক্ষার পাঠ্যক্রমে স্বমেহনকে উৎসাহিত করা হয়।

যৌন চরমসুখ স্বমেহনের দ্বারাই আসুক বা অন্য কোনভাবেই আসুক, এর ফলে ব্যক্তি একধরনের সন্তোষজনক অবস্থা ও নিরুত্তেজ অবস্থায় (রিলাক্সড) পৌঁছান। এর ফলে প্রায়ই তন্দ্রা বা নিদ্রা আসে, বিশেষ করে ব্যক্তি যদি বিছানায় স্বমেহন করেন।

কিছু পেশাদার স্বমেহনকে কার্ডিওভাস্কুলার বেয়াম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। যদিও এই বিষয়ে স্বল্প গবেষণা হয়েছে, তবে যারা হৃদরোগের সমস্যায় ভোগেন (বিশেষ করে যারা মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন অথবা হার্ট এটাক এর সমস্যা থেকে সেড়ে উঠছেন) তাদের এই শারীরিক ক্রিয়া (যৌন সঙ্গম এবং স্বমেহন সহ) ধীরে ধীরে চালিয়ে যাওয়া উচিত। তবে এধরনের যৌন আচরণ করার সময় শরীর কতটা নিতে পারছে সেবিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। ফিজিকাল থেরাপি দেয়ার সময় এই সীমিত আচরণের বেলায় উৎসাহিত করা যেতে পারে। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণা অনুসারে সাধারণত প্রকৃত যৌন সঙ্গম শক্তির খরচ কিছুটা বৃদ্ধি করে।

যৌনসঙ্গম ও স্বমেহন উভয়ই রক্তচাপ কমায়। একটি গবেষণা অনুসারে যেসব ব্যক্তি সাম্প্রতিক সময়ে কোনো যৌন ক্রীড়া করে নি, তাদের তুলনায় যারা হস্তমৈথুন করেছেন তাদের রক্তচাপ কম।

ঝুঁকি

যারা স্বমেহনের সময় কোনো বস্তুকে প্রবিষ্ট করায়, সেই বস্তুর অভ্যন্তরে আটকে পরার একটি ঝুঁকি থাকে (দেখুন পায়ুতে বহিঃবস্তু)। নারী পুরুষ উভয়ই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। একজন নারী জার্মানীর হাসপাতালে গিয়েছিলেন কারণ তার মুত্রথলীতে দুইটি পেন্সিল আটকে গিয়েছিল। স্বমেহনের সময় এই পেন্সিল ভেতরে প্রবেশ করালে এই দুটো তার মুত্রনালীকে বিদ্ধ করে।

গর্ভধারণ

একক স্বমেহন বা সমলিঙ্গের দুইজন মানুষ এর স্বমেহনের ফলে কখনোই গর্ভাধান হওয়া সম্ভব নয়। একজন নারী ও একজন পুরুষের মধ্যে হস্তমৈথুন হতে হবে এবং তখনি নারী গর্ভবতী হবেন; যদি পুরুষের বীর্য নারীর যোনিতে প্রবেশ করে।

পুরুষের জন্য সমস্যা

পুরুষের শিশ্ন যদি তীব্র পীড়নের মধ্য দিয়ে যায়, অনেক বেশি বাঁকানো হয় বা স্বমেহন বা সঙ্গমের সময় অন্য কোন ধরনের আঘাতপ্রাপ্ত হয় কখনও কখনও শিশ্ন চীড় অথবা পেয়রোনি রোগ হতে পারে। ফাইমোসিস হচ্ছে শিশ্নের অগ্রভাগের চামড়ার সংকুচিত অবস্থা, যার ফলে চামড়াকে পেছনের দিকে টেনে নামালে ব্যাথাজনিত সমস্যার সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে লিঙ্গে বলপূর্বক যে কোনো টান (স্বমেহনে যেমনটা হয়),সমস্যা তৈরি করতে পারে।

পুরুষের একটি ক্ষুদ্র অংশ পোস্টঅর্গাসমিক ইলনেস সিন্ড্রোমে (পিওআইএস) ভোগে যার ফলে বীর্যপাতের পরপরই পুরো শরীরের মাংসপেশীতে তীব্র ব্যথা অনুভুত হয় এবং অন্যান্য লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে, তা স্বমেহনের পরেই হোক বা যৌনসঙ্গমের পরেই হোক। এই উপসর্গগুলো এক সপ্তাহ যাবৎ থাকতে পারে। এই ধরনের লক্ষণ এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। কিছু চিকিৎসক অনুমান করেছেন যে পাঠ্যপুস্তকে পিওআইএস যে পরিমাণের কথা উল্লেক রয়েছে, এর ভুক্তভোগীর সংখ্যা এর চেয়েও বেশি হতে পারে, এবং বেশিরভাগ পিওআইএসে আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ নির্ণয় করা হয় না।

বাধ্যকারী স্বমেহন

বাধ্যকারী স্বমেহন এবং অন্যান্য বাধ্যকারী আচরণ আবেগীয় সমস্যার চিহ্ন হতে পারে, যার ফলে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের শরনাপন্ন হওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। যেকোন "স্নায়বিক অভ্যাসের" ক্ষেত্রেই এরকম বাধ্যয়ারী আচরণের কারণ অনুসন্ধানই স্বমেহনকে বন্ধ করতে চেষ্টা করার চেয়ে অধিকতর সাহায্যকারী হয়ে থাকে।

কিশোরদের বেলায় স্বমেহন তাদের যৌন তাড়না নিয়ন্ত্রণের বিকাশে অবদান রাখে, এবং বয়োসন্ধির পূর্বে ও পরে শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে এর ভূমিকা রয়েছে। শিশুরা যেভাবে তাদের কান বা বৃদ্ধাঙ্গুলি নিয়ে খেলা করে, একইভাবে তাদের জননাঙ্গ নিয়েও খেলা করে। কিন্তু শিশু কেবল যদি জননাঙ্গ নিয়েই খেলা করে তবে এর কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি হয়ে পড়ে, যেমন শিশুটি কি কোনরকম উদ্বিগ্নতায় ভুগছে যে তার আরাম দরকার, বা অন্যেরা শিশুটির এই আচরণ দেখে অতিপ্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বলে শিশুটির এই অভ্যাসটি শক্তিশালী হচ্ছে। আবার এটি মুত্রনালীর সমস্যা বা জননাঙ্গে ছত্রাকের সংক্রমণের কারণেও হতে পারে। শিশুটি এর ফলে অতিউদ্দীপিত হতে পারে এবং এর ফলে তার প্রশমন দরকার, আবার অবউদ্দীপিত এবং বিষণ্নও হতে পারে।

অন্য অনেকরকম বিষয় যেমন চিকিৎসাশাস্ত্রগত সাক্ষ্যপ্রমাণ, বয়স-অনুপযোগী যৌনজ্ঞান, যৌনকৃত খেলা এবং অকালপক্ব বা যৌন-আবেদনময় আচরণ ইত্যাদির কারণে অতিরিক্ত স্বমেহন দেখা যেতে পারে, আবার যৌন নিপীড়নের কারণেও অতিরিক্ত স্বমেহন দেখা যেতে পারে।

নিষিদ্ধতা (ট্যাবু)

১৯০৫ সালে, সিগমন্ড ফ্রয়েড তার থ্রি এসেস অন দ্য থিওরি অভ সেক্সুয়ালিটিতে (Three Essays on the Theory of Sexuality) হস্তমৈথুন সম্পর্কে আলোকপাত করেছিলেন এবং এটিকে অভ্যাসগত বা আসক্তিকর বিষয়গুলোর সাথে সংযুক্ত করেছিলেন। তিনি চার বছর বয়সে নার্সিংয়ের সময়কালে এবং বয়ঃসন্ধিতে শিশুদের হস্তমৈথুনের বিষয়টি বর্ণনা করেছিলেন।

১৯১০ সালে, ভিয়েনার মনোবিশ্লেষক চক্রের সভায় হস্তমৈথুনের নীতিগত বা স্বাস্থ্যগত প্রভাবগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছিল তবে এর প্রকাশনাটি চাপা পড়েছিল।

২০ শতকের শুরুতে হস্তমৈথুনের প্রতি চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তিত হতে শুরু করে যখন ১৮৯৭ সালে এইচ. হ্যাভলক এলিস তার যৌনতার মনস্তত্ত্ব গবেষণায় (Studies in the Psychology of Sex) প্রজনক কাজে টিসোটদের পূর্বানুমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। টিসোট হলো এমনসব পুরুষ যারা স্বপ্রণোদিতভাবে হস্তমৈথুন করেন যেসব রোগের কারণ হিসেবে হস্তমৈথুনকে দায়ী বলে চিহ্নিত করা হয় সেসব কারণগুলোকে ভুল প্রমাণ করার জন্য। তিনি লিখেছিলেন "আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে স্বাস্থ্যবান ও সুজাত ব্যক্তিদের মধ্যে পরিমিত হস্তমৈথুনের ক্ষেত্রে গুরুতর ক্ষতিকারক ফলাফল অকাট্যভাবে লক্ষ্য করা যায় না।"

দ্য স্কাউট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা রবার্ট ব্যাডেন পাওয়েল ১৯১৪ সালে বালক স্কাউটিং (স্কাউটিং ফর বয়েজ) নীতিমালায় হস্তমৈথুনের বিপদগুলি সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য একটি অনুচ্ছেদ যুক্ত করেছিলেন। এই অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে যে ব্যক্তির এমন কোনো শারীরিক ক্রিয়া সম্পাদন থেকে দূরে থাকা উচিত যা ব্যক্তিকে ক্লান্ত করতে পারে, যার ফলে হস্তমৈথুন করা বিধিবহির্ভূত। তবে ১৯৩০ সালে দ্য স্কাউটার-এর সম্পাদক ড. এফ. ডাব্লিউ. ডাব্লিউ. গ্রিফিন রোভার স্কাউটসের জন্য একটি বইয়ে লিখেছিলেন যে হস্তমৈথুন করার প্রলোভনটি "উন্নয়নের এক প্রাকৃতিক পর্যায়" এবং এলিসের কাজের বরাত দিয়ে বলেছিলেন যে "এই কাজটি সম্পূর্ণ পরিহার করা খুব গুরুতর ত্রুটি ছিল। "

"হস্তমৈথুনের নির্দিষ্ট ধরণগুলো সংক্রান্ত" (Concerning Specific Forms of Masturbation) হলো অস্ট্রিয়ান মনোচিকিৎসক এবং মনোবিশ্লেষক উইলহেম রিচের ১৯২২ সালে লেখা একটি প্রবন্ধ। সাড়ে সাত পৃষ্ঠার এই প্রবন্ধে রিচ অচেতন কল্পনার ভূমিকা এবং পরবর্তীকালে উদীয়মান অপরাধবোধের ভূমিকা সম্পর্কে প্রচলিত ধারণাগুলি গ্রহণ করেছেন যা তিনি কেবল অভিনয় থেকেই উদ্ভূত হিসাবে দেখেছেন।

অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে

বিস্তৃত পরিসরের প্রাণীর মধ্যে স্বমেহনের আচরণ লক্ষ্য করা গেছে। কিছু কিছু প্রাণীকে স্বমেহনের জন্য সরঞ্জাম তৈরি করেও লক্ষ্য করা গেছে।

তথ্যসূত্র

Tags:

হস্তমৈথুনের ইতিহাস প্রাচীন ইতিহাসহস্তমৈথুনের ইতিহাস আধুনিক সমাজে হস্তমৈথুনহস্তমৈথুনের ইতিহাস হস্তমৈথুন বিহীন সংস্কৃতিহস্তমৈথুনের ইতিহাস স্বাস্থ্যগত উপযোগিতাহস্তমৈথুনের ইতিহাস নিষিদ্ধতা (ট্যাবু)হস্তমৈথুনের ইতিহাস অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যেহস্তমৈথুনের ইতিহাস তথ্যসূত্রহস্তমৈথুনের ইতিহাসমানব যৌনতার ইতিহাসহস্তমৈথুন

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

টুইটারজোয়ার-ভাটাহরে কৃষ্ণ (মন্ত্র)নগরায়নসুন্দরবনভারত বিভাজনঘূর্ণিঝড়বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসভারতীয় দর্শনগ্রামীণফোননিপুণ আক্তারজালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমিচর্যাপদশিলাউপসর্গ (ব্যাকরণ)ইরাকমিয়ানমারকালেমানিউমোনিয়াবাংলাদেশের জনমিতিপাল সাম্রাজ্যভিন্ন জগৎ পার্কগর্ভধারণসানি লিওনগাঁজাপানিজগদীশ চন্দ্র বসু০ (সংখ্যা)সাতই মার্চের ভাষণসিরাজউদ্দৌলাজাতিসংঘের মহাসচিবময়মনসিংহবাংলাদেশের ইউনিয়নবাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকাচিয়া বীজগেরিনা ফ্রি ফায়ারজীববৈচিত্র্যঅশ্বত্থতাপ সঞ্চালনগৌতম বুদ্ধজিএসটি ভর্তি পরীক্ষাবাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সদস্যদের তালিকাজান্নাতজনসংখ্যা অনুযায়ী সার্বভৌম রাষ্ট্র ও নির্ভরশীল অঞ্চলসমূহের তালিকাকাশ্মীর১ (সংখ্যা)বাঙালি হিন্দুদের পদবিসমূহমাহরামঅসমাপ্ত আত্মজীবনীতুরস্কবঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)সমাজকক্সবাজার সমুদ্র সৈকতবিভক্তিকমলাকান্ত ভট্টাচার্যইউক্যালিপটাসআবু বকরভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন২০২২–২৩ নিউজিল্যান্ড পুরুষ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর (ডিসেম্বর ২০২২)নরেন্দ্র মোদীগজলরাজকুমার (২০২৪-এর চলচ্চিত্র)বিজয় দিবস (বাংলাদেশ)আডলফ হিটলারনিউটনের গতিসূত্রসমূহমাথিশা পাথিরানামহাত্মা গান্ধীসূর্যচুম্বকমহাদেশ অনুযায়ী সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং নির্ভরশীল অঞ্চলসমূহের তালিকাবাঙালি হিন্দু বিবাহইউরোবাংলাদেশ ছাত্রলীগএরিস্টটলবাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাচট্টগ্রামহারুন-অর-রশিদ (পুলিশ কর্মকর্তা)🡆 More