ভারতের রাজনীতি: ভারতীয় রাজনৈতিক পদ্ধতি

ভারতের রাজনীতি ব্রিটিশ ওয়েস্টমিনিস্টার ব্যবস্থার পরে একটি কেন্দ্রীয় সংসদীয় বহু দলীয় গনতন্ত্রী প্রজাতন্ত্রের একটি কাঠামোতে স্থান গ্রহণ করে আদল করে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী সরকারের প্রধান, ভারতের রাষ্ট্রপতির সময় দেশের আনুষ্ঠানিক প্রধান এবং বিপুল ভবিষ্যত সঞ্চয় অধিকার, স্থাপন তাকে ধরে অথবা ব্রিটিশ রাজা হিসেবে আন্দাজ একই অবস্থানে তার। কার্যকরী অধিকার সরকারের দ্বারা অনুশীলন করা হয়। কেন্দ্রীয় আইনের ক্ষমতা উভয় সরকারে অর্পণ করা হয় এবং ভারতীয় সংসদের দুই কক্ষ। বিচারবিভাগ কার্যকরী এবং আইনসভার স্বাধীন।যুক্তরাষ্ট্রীয় স্তরে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। স্বাধীনতার পর অধিকাংশ সময়ই ভারতের শাসনকর্তৃত্ব ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের কুক্ষিগত ছিল। অন্যদিকে রাজ্যগুলির রাজনীতিতে প্রাধান্য বিস্তার করে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) (সিপিআই(এম)) প্রভৃতি জাতীয় দল ও একাধিক আঞ্চলিক পার্টি। দুটি সংক্ষিপ্ত সময়কালকে বাদ দিলে ১৯৫০ সাল থেকে ১৯৯০ সাল অবধি জাতীয় কংগ্রেস সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের মর্যাদা ভোগ করেছে। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ঘোষিত অবস্থার কারণে জন-অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ মধ্যবর্তী সময়ে কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করে জনতা পার্টি সরকার গঠন করে। ১৯৮৯ সালে জনতা দলের নেতৃত্বে জাতীয় ফ্রন্ট বামফ্রন্টের সহযোগিতায় নির্বাচনে জয়লাভ করে দু-বছর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকে। ১৯৯১ সালে কোনও পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ না করতে পারায় কংগ্রেস পি ভি নরসিমা রাওয়ের প্রধানমন্ত্রিত্বে একটি সংখ্যালঘু সরকার গঠন করে। এই সরকার অবশ্য পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সক্ষম হয়।

ভারতের রাজনীতি: ভারতীয় রাজনৈতিক পদ্ধতি
শাসকদল অনুযায়ী ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রাসিত অঞ্চল
  বিজেপি (১২)
  অন্যান্য এনডিএ দল (৫)
  অন্যান্য ইন্ডিয়া দল (৭)
  অন্যান্য দল (৩)

১৯৯৬-১৯৯৮ সালটি যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের অস্থিরতার যুগ। এই সময় একাধিক স্বল্পসময়ের জোট কেন্দ্রে সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ সালে সংক্ষিপ্ত সময়কালের জন্য বিজেপি সরকার গঠন করে। তারপর কংগ্রেস ও বিজেপি বিরোধী যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৮ সালে বিজেপির নেতৃত্বে ন্যাশানাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) ক্ষমতা দখল করে। এই সরকারই ভারতের প্রথম পূর্ণ সময়কালের অকংগ্রেসি সরকার। ২০০৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (ইউপিএ) লোকসভায় বিপুল সংখ্যক আসনে জয়লাভ করে এবং বিজেপি-বিরোধী বাম সাংসদদের সহায়তায় সরকার গঠন করে। ইউপিএ ২০০৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে পুনরায় ক্ষমতায় আসে। অবশ্য, জোটের মধ্যে বামপন্থী পার্টির প্রতিনিধিত্ব গুরুত্বপূর্ণভাবে কমেছে।

২০১৪-এ বিজেপি-র নেতৃত্বে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) পুনরায় কেন্দ্রীয় ক্ষমতায় এসেছে এবং এর ফলে নরেন্দ্র মোদী ভারতের চতুর্দশ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৯ সালে মোদী দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Tags:

ইন্দিরা গান্ধীওয়েস্টমিনিস্টার ব্যবস্থাজনতা পার্টিপি ভি নরসিমা রাওবামফ্রন্টভারতীয় জনতা পার্টিভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসভারতে জরুরি অবস্থা (১৯৭৫-১৯৭৭)ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

সুকুমার রায়জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়াআর্কিমিডিসের নীতিগোপাল ভাঁড়ভাষা আন্দোলন দিবসপ্যারাচৌম্বক পদার্থতাসনিয়া ফারিণময়ূরী (অভিনেত্রী)নোরা ফাতেহিতরমুজপর্নোগ্রাফিকানাডাবিভিন্ন ধর্ম ও বিশ্বাসের তালিকাকিশোরগঞ্জ জেলাবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সেক্টরসমূহসরকারি বাঙলা কলেজআল্লাহসুনামগঞ্জ জেলাসুফিয়া কামালসার্বজনীন পেনশনমোশাররফ করিমসমাসমূল (উদ্ভিদবিদ্যা)ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহগজনভি রাজবংশফুটবলজলাতংকজাতিসংঘহস্তমৈথুনপর্যায় সারণিপেশামানব দেহভারতের রাষ্ট্রপতিদের তালিকারামচট্টগ্রাম জেলামহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলবারো ভূঁইয়ামুহাম্মাদের স্ত্রীগণরুমানা মঞ্জুরহজ্জমহাত্মা গান্ধীবিশেষ্যকারকঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)উদ্ভিদকোষ২৫ এপ্রিলবাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্রভিটামিনবাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার তালিকাদেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীনোয়াখালী জেলাহিন্দুধর্মের ইতিহাসআসমানী কিতাবশীর্ষে নারী (যৌনাসন)কম্পিউটার কিবোর্ডথাইল্যান্ডশিব নারায়ণ দাসবাংলাদেশ সরকারঅমর্ত্য সেনখলিফাদের তালিকাবাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চলহেপাটাইটিস বিদৈনিক যুগান্তরবাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকলকাতা নাইট রাইডার্সযোনিজাতিসংঘের মহাসচিববাংলাদেশের মেডিকেল কলেজসমূহের তালিকাদুরুদধর্মীয় জনসংখ্যার তালিকাউৎপাদন ব্যয় হিসাববিজ্ঞানদৌলতদিয়া যৌনপল্লিমূত্রনালীর সংক্রমণবাস্তুতন্ত্রদেব (অভিনেতা)বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরদের তালিকা🡆 More