বিচারক

বিচারক আদালত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি মামলার নিষ্পত্তি করেন। তিনি একা অথবা আরও বিচারকদের সাথে নিয়ে বিচারবিভাগীয় প্যানেল গঠন করেও আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন। অধিক্ষেত্র অনুযায়ী বিচারকের ক্ষমতা, কার্যাবলী, নিয়োগ পদ্ধতি, আইনকানুন ও প্রশিক্ষণ ভিন্ন হয়ে থাকে। বিচারক সাধারণত ভরা আদালতে নিরপেক্ষভাবে বিচার কাজ পরিচালনা করে থাকে। বিচারক সকল সাক্ষীর জবানবন্দী শুনেন এবং ব্যারিস্টারের দাখিলকৃত মোকাদ্দমার প্রমাণাদির সত্যতা ও নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করেন, এবং বাদী-বিবাদী দুই দলের যুক্তি উত্থাপনের পর আইনানুযায়ী সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার বিচারকের ক্ষমতা জুরিদের সাথে বন্টিত হয়। অপরাধের তদন্তের বিচার বিভাগীয় তদন্ত পদ্ধতিতে বিচারক তদন্তকারী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

বিচারক
বিচারক
স্যার লাইমান ডাফ, পিসি, জিসিএমজি, কানাডার সুপ্রীম কোর্ট-এর প্রধান বিচারপতি (১৯৩৩–৪৪)
পেশা
নামবিচারক, ন্যায় বিচারক, ও বিচারপতি ম্যাজিস্ট্রেট
পেশার ধরন
পেশা
প্রায়োগিক ক্ষেত্র
আইন, ন্যায় বিচার
বিবরণ
শিক্ষাগত যোগ্যতা
আইন বিষয়ক ডিগ্রী এবং উকিল হিসেবে অভিজ্ঞতা
কর্মক্ষেত্র
আদালত
সম্পর্কিত পেশা
ব্যারিস্টার, অভিশংসক

দাপ্তরিক প্রতীক

বিচারক 
১৭শ শতাব্দীর গাউন পরিহিত স্পেনীয় বিচারক, এঁকেছেন ভালেজকোয়েজ।

এই পেশার সাথে কিছু ঐতিহ্য জড়িয়ে গেছে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিচারকেরা লম্বা আলখাল্লা (কালো বা লাল) পরিধান করেন এবং বিচারের দিন (বেঞ্চ নামেও পরিচিত) উঁচু মঞ্চে উপবেশন করেন।

কোন কোন দেশে, বিশেষ করে কমনওয়েলথ রাষ্ট্রসমূহে, বিচারক পরচুলা পরিধান করেন। বড় পরচুলা এখন শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতার ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়, যা পূর্বের শতাব্দীতে আদর্শ পোশাক হিসেবে গণ্য হত। ব্যারিস্টারদের ছোট পরচুলা পড়ার একটি রীতি ছিল। বর্তমানে এই ঐতিহ্য যুক্তরাজ্যের অ-ফৌজদারি আদালত থেকে ওঠে গেছে।

মার্কিন বিচারকগণ প্রায়ই কালো আলখাল্লা পরিধান করেন। তাদের হাতে হাতুড়ি থাকে। যদিও আদালতে মার্কিন বিচারকদের সহকারী বা পেয়াদা থাকে, আদালত অবমাননার বিরুদ্ধে শালীনতা বজায় রাখার ভার তাদের হাতেই ন্যস্ত থাকে। পশ্চিম যুক্তরাষ্ট্রে, বিশেষ করে ক্যালিফোর্নিয়ায়, বিচারকগণ সবসময় আলখাল্লা পরিধান করেন না বরং তারা প্রাত্যাহিক পোশাকই পরিধান করেন। আজকাল সুপ্রীম কোর্টের কিছু সদস্য, যেমন ম্যারিল্যান্ড কোর্ট অফ আপীল, বিভিন্ন ধরনের পোশাক পরিধান করেন।

ইতালি ও পর্তুগালে বিচারক এবং উকিল উভয়ই এক ধরনের কালো আলখাল্লা পরিধান করেন।

চীনে বিচারকগণ ১৯৮৪ সালের পূর্ব পর্যন্ত প্রাত্যহিক পোশাকই পরিধান করতেন। ১৯৮৪ সালের পর থেকে তারা সামরিক-বাহিনীর উর্দির মত এক ধরনের পোশাক পরিধান করতে শুরু করে। এই ধরনের পোশাক পড়ার মূল কারণ হল তাদের কর্তৃত্ব প্রকাশ করা। ২০০০ সালের মধ্যে এই পোশাক পরিবর্তন করে বিশ্বের বাকি দেশসমূহের সাথে মিল রেখে কালো আলখাল্লা পরিধান করা শুরু করে।

ওমানে বিচারকগণ লম্বা ডোরাকাটা ধরনের (লাল, সবুজ, সাদা) পোশাক পরিধান করেন, এবং এটর্নিগণ কালো গাউন পরিধান করেন।

নাম ও সম্বোধন

ইউরোপ

    আয়ারল্যান্ড

আয়ারল্যান্ডের সুপ্রীম আদালত ও উচ্চ আদালতে বিচারকদের দ্য অনারেবল মিস্টার, দ্য অনারেবল মিসেস বা দ্য অনারেবল মিস জাস্টিস, বা সংক্ষেপে মিস্টার জাস্টিস, মিসেস জাস্টিস, বা মিস জাস্টিস বলে সম্বোধন করা হয় এবং আদালতকে নাম ও ধরন অনুযায়ী দ্য কোর্ট বা শুধু জজ বলে সম্বোধন করা হয়। কিছু ব্যারিস্টার পুরনো ঐতিহ্য অনুসারে মাই লর্ড নামেও সম্বোধন করতেন, যা ২০০৬ সালের পর থেকে নিষেধ করা হয়। আইনি প্রতিবেধনে আয়ারল্যান্ডের প্রধান বিচারপতির নামের পরে সিজে, উচ্চ আদালতের সভাপতি নামের পরে পি এবং অন্যান্য বিচারকদের নামের পরে জে যুক্ত করা হয়; যেমন স্মিথ জে.।

সার্কিট আদালতের বিচারকদের হিজ অনার জজ বা হার অনার জজ নামে ডাকা হয় এবং আদালতে জজ বলে সম্বোধন করা হয়। ২০০৬ সালের পূর্বে তাদের মাই লর্ড বলে সম্বোধন করা হত। আইনি প্রতিবেধনে জজ লেখা হয়।

জেলা আদালতের বিচারকদের জজ নামে ডাকা হয় এবং আদালতেও জজ বলে সম্বোধন করা হয়। ১৯৯১ সালের পূর্বে জেলা আদালতের বিচারকেরা জেলা বিচারপতি নামে পরিচিত ছিল এবং তাদের ইউর ওরশিপ বলে সম্বোধন করা হত।

    ইতালি

ইতালিতে আদালতে অধিষ্ঠিত বিচারককে সিন্নোর প্রেসিদেন্তে দেলা কোর্তে ("আদালতের সভাপতি") বলে সম্বোধন করা হয়।

    জার্মানি

জার্মানিতে বিচারকদের হার ভর্সিট্‌জেন্দার ("মিস্টার চেয়ারম্যান") বা ফ্রাউ ভর্সিট্‌জেন্দে ("ম্যাডাম চেয়ারওম্যান") অথবা হহেস গেরিখ্‌ট নামে সম্বোধন করা হয়।

    নেদারল্যান্ড

নেদারল্যান্ডে অধিষ্ঠিত যেকোন লিঙ্গের বিচারকদের, লিখিত ভাষায়, প্রাথমিক আদালতের বিচারকদের এদেলাচ্‌তবার ("ইউর অনার"), আপীল বিভাগীয় আদালতের বিচারকদের এদেলগ্রুতাচ্‌তবার ("ইউর গ্রেট অনার"), এবং নেদারল্যান্ডের উচ্চ কাউন্সিলের (সুপ্রীম আদালত) বিচারকদের এদেলহুগাচ্‌তবার ("ইউর হাই অনার") বলে সম্বোধন করা হয়।

    পর্তুগাল

পর্তুগালে অধিষ্ঠিত বিচারকদের শুনানির সময় পুরুষ বিচারকদের মেরেতিসিমো হুইজ এবং নারী বিচারকদের মেরেতিসিমা হুইজা (অর্থাৎ "সবচেয়ে যোগ্য বিচারক") বা কোন লিঙ্গ উল্লেখ না করলে ভসা এক্সিলেন্সিয়া ("ইউর এক্সিলেন্সি") বলে সম্বোধন করা হয়।

    পোল্যান্ড

পোল্যান্ডে যেই লিঙ্গেরই হোক না কেন অধিষ্ঠিত বিচারককে ওয়াইসকি সাদজিয়ে ("উচ্চ আদালত") বলে সম্বোধন করা হয়।

    ফিনল্যান্ড

ফিনল্যান্ডে অধিষ্ঠিত পুরুষ বিচারকদের হেরা পুহিনইয়োহতাইয়া ("মিস্টার চেয়ারম্যান") এবং অধিষ্ঠিত নারী বিচারকদের আর্ভোইসা পুহিনইয়োহতাইয়া ("এস্টিমড্ চেয়ার") বলে সম্বোধন করা হয়। তবে দ্বিতীয় সম্বোধনটি পুরুষ বিচারকদের ক্ষেত্রেও করা যায়, কারণ ফিনীয় শব্দ "পুহিনইয়োহতাইয়া" কোন লিঙ্গ নির্দেশ করে না। ফিনীয় আদালতে কোন আলখাল্লা পরিধান করা হয় না।

    ফ্রান্স

ফ্রান্সে আদালতে অধিষ্ঠিত বিচারককে মসিঁয়ে লে প্রেসিদেন্ত বা মাদাম লে প্রেসিদেন্ত বলে ডাকা হয়, এবং সহকারী বিচারকদের মসিঁয়ে এল'আসেসিঁয়ে বা মাদাম এল'আসেসিঁয়ে বলে ডাকা হয়। আদালতের বাইরে বিচারকগণ মসিঁয়ে লে জজ বা মাদাম লে জজ বলে ডাকা হয়।

    বুলগেরিয়া

বুলগেরিয়ায় ১৯৮৯ সালের পূর্বে সমাজতান্ত্রিক শাসনামলে বিচারকদের দ্রুগারিয়ো (другарю, অর্থাৎ "কমরেড") নামে ডাকা হত এবং ১৯৮৯ সালের পরে গসপোদিন সুঁদিয়া (господин, অর্থাৎ "মিস্টার জজ") বা গসপোঝো সুঁদিয়া (госпожо съдия, অর্থাৎ "ম্যাডাম জজ") নামে ডাকা হয়।

    যুক্তরাজ্য

ইংল্যান্ড ও ওয়েলস - ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের আদালতের সুপ্রীম আদালতের বিচারকদের সুপ্রীম আদালতের বিচারপতি ডাকা হয়। সুপ্রীম আদালতের বিচারপতিদের লর্ড বা লেডি বলে সম্বোধন করা হয়। আইনি প্রতিবেদনে, সুপ্রীম আদালতের বিচারপতিদের লর্ড/লেডি এন বলা হয়, যদিও সাপ্তাহিক আইনি প্রতিবেদনে বিচারকদের নামের পরে জেএসসি (যেমন, লেডি স্মিথ জেএসসি) লেখা হয়। আদালতের সভাপতি ও উপ সভাপতিকে তাদের নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পিএসসি এবং ডিপিএসসি লেখা হয়। শুধুমাত্র অভিজ্ঞ ব্যারিস্টার বা মোক্তারগণই সাধারণত বিচারক হতে পারেন।

উচ্চ আদালত ও আপীল বিভাগীয় আদালতের বিচারকদের মাই লর্ড বা মাই লেডি অথবা ইউর লর্ডশিপ বা ইউর লেডিশিপ বলে সম্বোধন করা হয়। আপীল বিভাগীয় আদালতের বিচারকদের লর্ড জাস্টিস অফ আপীল বলা হয় এবং তাদের লর্ড জাস্টিস এন বা লেডি জাস্টিস এন বলে সম্বোধন করা হয়। লেখার ক্ষেত্রে লর্ড জাস্টিস অফ আপীলদের নামের পরে এলজে বসে, যেমন স্মিথ এলজে।

যখন উচ্চ আদালতের বিচারকগণ উপস্থিত না থাকেন, তখন তাদের সম্বোধনের জন্য মিস্টার/মিসেস/মিস জাস্টিস এন ব্যবহার করা হয়। আইনি প্রতিবেদনে তাদের নামের পরে জে লেখা হয়, যেমন স্মিথ জে। উচ্চ আদালতের প্রধানদের মাস্টার বলে অভিহিত করা হয়।

যুক্তরাজ্যে সার্কিট বিচারক ও রেকর্ডারদের ইউর অনার বলে সম্বোধন করা হয়। সার্কিট বিচারকদের হিজ/হার অনার জজ এন বলা হয়। তাদের নামের শেষে এইচএইচজে বা এইচ এইচ জজ এন লেখা হয়, তবে আইনি প্রতিবেদনে নয়। জেলা বিচারক ও ট্রাইবুনাল বিচারকদের স্যার/ম্যাডাম বলে সম্বোধন করা হয়।

ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের লে ম্যাজিস্ট্রেটদের এখনো কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইউর ওরশিপ বলে সম্বোধন করা হয়, যদিও ইংল্যান্ডের উত্তরাংশে উকিলগণ ইউর অনার বলেই বেশি সম্বোধন করেন। লে ম্যাজিস্ট্রেটদের স্যার/ম্যাডাম বলে সম্বোধন করা হয়।

স্কটল্যান্ড - স্কটল্যান্ডের আদালতে আদালত চলাকালীন উচ্চ আদালত ও শেরিফ আদালতে বিচারকদের মাই লর্ড বা মাই লেডি এবং ইউর লর্ডশিপ বা ইউর লেডিশিপ বলে সম্বোধন করা হয়।

শান্তি আদালতের বিচারকদের ইউর অনার বলে সম্বোধন করা হয়।

উত্তর আয়ারল্যান্ড - উত্তর আয়ারল্যান্ডের আইনি ব্যবস্থা ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মতই এবং উচ্চ আদালতের বিচারকদের ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মতই সম্বোধন করা হয়। নিম্ন আদালতে কিছু ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়।

উত্তর আয়ারল্যান্ডের সার্কিট বিচারকের সমমর্যাদার হলে কাউন্টি বিচারক এবং তাদের ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের সার্কিট বিচারকদের মতই সম্বোধন করা হয়। কাউন্টি আদালতের ঊর্ধ্বতন বিচারকদের বেলফাস্টে রেকর্ডার অফ বেলফাস্ট এবং ডেরিতে রেকর্ডার অফ লন্ডনডেরি বলে হয়, কিন্তু কাউন্টি আদালতের বিচারকদের মতই সম্বোধন করা হয়। কাউন্টি আদালতের অধিষ্ঠিত জেলা বিচারকদের ইউর অনার বলে সম্বোধন করা হয়।

ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জেলা বিচারকদের ইউর ওরশিপ বলে সম্বোধন করা হয়। লে ম্যাজিস্ট্রেটকে তাদের বর্তমানে ইউর ওরশিপ বলে সম্বোধন করা হয় এবং তাদের নামের শেষে এলএম যুক্ত করা হয়, যেমন জন স্মিথ এলএম।

    রাশিয়া

রাশিয়ায় অপরাধ মামলায় একজন বিচারকের সভাপতিত্বে ভাসা চেস্ত (Ваша Честь, অর্থাৎ "ইউর অনার") বলে সম্বোধন করা হয়। ফৌজধারী, বাণিজ্যিক ও অপরাধ মামলায় বিচারকদের প্যানেলের প্রধানকে "রেসপেক্ট দ্য কোর্ট" বলে সম্বোধন করা হয়।

    সুইডেন

সুইডেনে আদালতে অধিষ্ঠিত বিচারককে সাধারণত হার অর্ডফোরান্দে ("মিস্টার চেয়ারম্যান") বা ফ্রু অর্ডফোরান্দে ("ম্যাডাম চেয়ারওম্যান") নামে ডাকা হয়।

    স্পেন

স্পেনে সুপ্রীম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট, ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারকদের সু সিনরিয়া ("ইউর লর্ডশিপ") বলে সম্বোধন করা হয়। আনুষ্ঠানিকতায় সুপ্রীম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটদের ভুয়েস্ত্রা সেনোরিয়া এক্সিলেন্তিসিমা বা এক্সিলেন্তিসিমো সিনর/এক্সিলেন্তিসিমা সিনরা ("ইউর রাইট অনারেবল লর্ডশিপ"), অন্যান্য ক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটদের ভুয়েস্তা সিনরিয়া ইলুস্ত্রিসিমা বা ইলুস্ত্রিসিমো সিনর/ইলুস্ত্রিসিমা সিনরা ("ইউর অনারেবল লর্ডশিপ"); অথবা সরলভাবে ইউর লর্ডশিপ বলে সম্বোধন করা হয়।

    হাঙ্গেরি

হাঙ্গেরিতে আদালতে অধিষ্ঠিত পুরুষ বিচারকদের তিস্‌জতেল্‌ত বিরো উর ("মহামান্য মিস্টার জজ") এবং নারী বিচারকদের তিস্‌জতেল্‌ত বিরোনো ("মহামান্য ম্যাডাম জজ") বলে সম্বোধন করা হয়। আদালতকে তিস্‌জতেল্‌ত বিরোসাগ ("মহামান্য আদালত) বলে সম্বোধন করা হয়।

উত্তর আমেরিকা

    কানাডা

প্রাদেশিক ভিত্তিতে কানাডীয় বিচারকদের আদালতে সরাসরি মাই লর্ড, মাই লেডি, ইউর অনার বা জাস্টিস বলে সম্বোধন করা হয় এবং আদালতের বাইরে "দ্য অনারেবল মিঃ (বা ম্যাডাম) জাস্টিস 'নামের প্রথম ও শেষ অংশ'" ডাকা হয়। অন্যত্র ঊর্ধ্বতন আদালতের বিচারকদের "জজ 'নামের শেষ অংশ'" না ডেকে "জাস্টিস 'নামের শেষ অংশ'" বলে ডাকা হয়। আদালতের কোন আজ্ঞার বিষয় তুলে ধরতে তাদের নামের শেষ জে লেখা হয়, যেমন জাস্টিস স্মিথকে স্মিথ জে হিসেবে লেখা হয়। কিছু ঊর্ধ্বতন আদালতের বিচারকদের মাই লর্ড বা মাই লেডি বলে ডাকা হয়। ওন্টারিওতে বিচারকদের কখনো মাই লর্ড বা মাই লেডি বলে সম্বোধন করে না, বরং তারা ওন্টারিওর বিচার বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন আদালত-এ ইউর অনার বলে সম্বোধন করে।

সাধারণত, "জজ" শব্দটি শুধুমাত্র অজ্ঞাত বা সাধারণ অবস্থানজ্ঞাপক, যেমন "ট্রায়াল জজ" বা নিম্ন আদালত বা প্রাদেশিক আদলতের কোন সদস্যকে সম্বোধনের প্রয়োগ করাটা যুক্তিযুক্ত। ব্যতিক্রম হল সিটিজেনশিপ জজ, তাদের ডিপার্টমেন্ট অফ সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন-এর স্বাধীন সিদ্ধান্ত প্রণয়নকারী হিসেবে নিয়োগ অনুসারে জজ 'নামের শেষ অংশ' বলে সম্বোধন করা হয়।

কমনওয়েলথের অন্যান্য সদস্য দেশের মত জাস্টিস অফ পীসকে ইউর ওরশিপ এবং ঊর্ধ্বতন আদালতের প্রধানদের মাস্টার বলে সম্বোধন করা হয়।

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
বিচারক 
ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালতে একজন বিচারক সভাপতিত্ব করছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজ্যে আদালতে সভাপতিত্ব করা বিচারকদের ইউর অনার বা জজ বলে সম্বোধন করা হয়। এটর্নি ও কর্মচারীগণ সাধারণত জজ বলে সম্বোধন করে, অন্যদিকে বাদী ও বিবাদীরা ইউর অনার বা জজ যেকোন নামেই সম্বোধন করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ একত্রিত পরীক্ষণ আদালত লস অ্যাঞ্জেলেসের ঊর্ধ্বতন আদালতের নিয়মানুযায়ী বিচারকদের শুধুমাত্র ইউর অনার বলেই সম্বোধন করতে হবে, জজ, জজ (নাম), ম্যাম বা স্যার নয়। জজ, জজ (নাম), বা এই ধরনের সম্বোধন অন্য আদালতে সম্বোধনের যোগ্য এবং সম্মানজনক হলেও এই আদালতে তা অস্বাভাবিক।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রীম আদালত এবং যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজ্যের সুপ্রীম আদালতের বিচারকদের জাস্টিস বলে ডাকা হয়। যুক্তরাস্তের সুপ্রীম আদালত ও অন্য আদালতের বিচারপতিদের "জাস্টিস (নাম)" বলে সম্বোধন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতিকে মিঃ চীফ জাস্টিস বলে সম্বোধন করা হয় কিন্তু মাঝে মাঝে তাকে চীফ জাস্টিস (নাম) বলেও সম্বোধন করা হয়।

সুপ্রীম আদালতের বিচারপতিগণ অন্য বিচারকদের চেয়ে বড় অফিসে বসেন। কিছু বিচারকার্যে পুলিশি আদালতের বিচারক জাস্টিস অফ দ্য পীস ও ছোট অভিযোগ আদালতও সুপ্রীম আদালতের অন্তর্ভুক্ত থাকে। নিউ ইয়র্ক রাজ্যে এর উল্টা হয়ে থাকে। এই রাজ্যে প্রাথমিক পরীক্ষণ আদালতকে নিউ ইয়র্কের সুপ্রীম আদালত বলা হয় এবং বিচারকদের জাস্টিস বলে ডাকা হয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আদালত হল সুপ্রীম আদালতের আপীল বিভাগ। এখানেও বিচারকদের জাস্টিস বলে ডাকা হয়। যাই হোক, নিউ ইয়র্কের সর্বোচ্চ আদালত হল নিউ ইয়র্ক আপীল আদালত, যার সদস্যদের জজ বলে ডাকা হয়।

নিউ ইয়র্কের যেসব বিচারক অভিভাবকত্ব, অছি, জমিজমার মোকাদ্দমা চালায় তাদের সারোগেট আদালত বলা হয়।

মার্কিন রীতিতে একজন ঊর্ধ্বতন বিচারক অবসরে যাওয়ার পূর্বে তার সকল সরকারি মোকাদ্দমার ভার অন্যদের হাতে ন্যস্ত করে যান। যুক্তরাষ্ট্রের আইনি রীতিতে অধস্তন বিচারকার্যের বিচারকদের ম্যাজিস্ট্রেট ডাকা হয়। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাজিস্ট্রেট জজ বলে ডাকা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আইনি রীতিতে অধস্তন বিচারকদের মোকাদ্দমার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিশেষ করে সেই সব মোকাদ্দমায় যেখানে বেশি পরিমাণ তথ্য যাচাইয়ের প্রয়োজন, তাদের মাস্টার বা স্পেশাল মাস্টার বলে ডাকা হয় এবং মোকাদ্দমার ভিত্তিতে তাদের কর্তৃত্ব প্রদান করা হয়।

বিশেষ বিচারকার্যের আদালত, যেমন - দেউলিয়া আদালত বা কিশোর অপরাধ আদালত, এর বিচারকদের রেফারি বলা হত, কিন্তু বর্তমানে এই নামে সম্বোধন করা হয় না। সাধারণ আইন ব্যবস্থায় নিরপেক্ষ আদালতে অধিষ্ঠিত বিচারকদের (ডেলাওয়্যার) চ্যান্সেলর ডাকা হয়।

মার্কিন রীতিতে বিচারিক দায়িত্বে নিয়োজিত যারা বিচার বিভাগের অংশ না হয়ে নির্বাহী শাখার কর্মকর্তার নিকট রিপোর্ট করেন, তাদের "প্রশাসনিক আইনি বিচারক" বলা হয়। তারা পূর্বে শুনানি পরীক্ষক হিসেবে পরিচিত ছিল। তারা সাধারণত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, সরকারী সুবিধার গ্রহণের যোগ্যতা, নিয়ন্ত্রক বিষয়াবলী, এবং অভিবাসন নির্ধারণ বিষয়ের প্রাথমিক কাজ করে থাকেন।

যেসব বিচারকদের ক্ষমতা সরকার থেকে প্রাপ্ত না হয়ে চুক্তিভিত্তিক দল থেকে হয় তাদের নিষ্পত্তিকারী বলে। তারা সাধারণত সম্মানসূচক সম্বোধন লাভ করে না এবং তারা সরকারীভাবে নিযুক্ত বিচারক দায়িত্ব পালন করে না। যাইহোক, ইহা নিষ্পত্তিকারী হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের জন্য এখন বহুল প্রচলিত এবং তার নামের শেষে "(অবঃ.)" বা "অবসরপ্রাপ্ত" লিখে, যাতে মনে হয় তারা এখনো বিচারক পদে নিযুক্ত আছে।

সামরিক আইন প্রচলিত আছে এমন দেশসমূহের কিছু আদালতে বৈধ প্রশিক্ষিত পেশাদার বিচারক এবং লে বিচারক যাদের বৈধ প্রশিক্ষণ নেই ও পেশাদার হিসেবে তার পেশা বিচারক নয় এমন বিচারকদের প্যানেলের প্রায় সমমর্যাদা রয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের আইনি ব্যবস্থায় (বেশিরভার অ্যাংলো-আমেরিকান আইনি ব্যবস্থা) কোন মোকাদ্দমার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ও কারা জুরি বোর্ডের সদস্য হবে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে পেশাদার বিচারক ও লে বিচারকদের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। বেশির ভাগ যুক্তরাষ্ট্রের বিচারকদের আইনজীবী হিসেবে পেশাদার প্রত্যয়পত্র রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে আইনজীবী নয় এমন বিচারকদের নির্বাচিত করা হয় এবং তারা জাস্টিস অফ পীস বা গ্রাম্য আদালতের খন্ডকালীন বিচারকের দায়িত্ব পান। তাদেরও আইনজীবীদের মধ্যে যারা বিচারক এবং একই অফিস ও একই নামে সম্বোধন করা হয় তাদের মত সম অধিকার ও দায়িত্ব রয়েছে।

এশিয়া

    ইসরায়েল

ইসরায়েলে বিচারকদের শোফেত নামে ডাকা হয় এবং আদালতে তাদের স্যার বা ম্যাডাম (אדוני/גבירתי) অথবা ইউর অনার (כבודו/כבודה) বলে সম্বোধন করা হয়। কিছু সময় অন্তর অন্তর হাশোফেত শব্দটি শোনা যায়, যার অর্থ হল বিচারক

    জাপান

জাপানে বিচারকদের সাইবাঞ্চো (裁判長, অর্থাৎ "প্রধান বিচারপতি") বা সাইবাঙ্কান (裁判官, অর্থাৎ "বিচারক") নামে সম্বোধন করা হয়।

    দক্ষিণ কোরিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিচারকদের পানসা নামে ডাকা হয়। আদালতকক্ষে বিচারকদের সম্বোধনকালে লিঙ্গ নিরপেক্ষ পানসা-নিম হিসেবে সম্বোধন করা হয়।

    পাকিস্তান

পাকিস্তানে সুপ্রীম আদালতের বিচারকদের ব্রিটিশ শাসনামলের ঐতিহ্য অনুযায়ী ইউর লর্ডশিপ বা মাই লর্ড এবং ইউর লেডিশিপ বা মাই লেডি নামে সম্বোধন করা হয়। ধর্মীয় বিধিনিষেধ থাকা স্বত্ত্বেও এখনো এই ঐতিহ্য প্রচলিত আছে। নিম্ন আদালতে বিচারকদের স্যার, ম্যাডাম, অথবা উর্দু ভাষায় জনাব নামে ডাকা হয়।

    ভারত
বিচারক 
১৭৫৮ সালের চিত্রকর্ম থেকে নেয়া, বাম থেকে ডানে, উপরে: ১. অনুবাদক, রোওয়াঙ্গী সেওয়াগী। ২. হিন্দু আইনের বিচারক, আন্তবা ক্রুস্তনাগী পণ্ডিত। ৩. হিন্দু অফিসার, লেলাথাত চাট্টা ভুট্ট। বাম থেকে ডানে, নিচে: ৪. মুরেম্যানের অফিসার, মাহমুদ আকরাম। ৫. মুসলিম আইনের বিচারক, কাজী হুসন। ৬. হাবিলদার, মাহমুদ ইসমাইল।

ভারতে সুপ্রীম কোর্টের বিচারক ও উচ্চ আদালতের বিচারকদের ব্রিটিশ শাসনামলের ঐতিহ্য অনুযায়ী ইউর লর্ডশিপ বা মাই লর্ড এবং ইউর লেডিশিপ বা মাই লেডি নামে সম্বোধন করা হয়। ২০০৬ সালের এপ্রিলে ভারতের বার কাউন্সিল কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অ্যাডভোকেট অ্যাক্টের ৪৯ (১) (ঞ) অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়। এই ধারা অনুযায়ী উকিলগণ বিচারকদের ইউর অনার এবং আদালতকে মহামান্য আদালত বলে সম্বোধন করতে পারেন। যদি তা উপ আদালত হয় তাবে উকিলগণ জনাব বা আঞ্চলিক যে কোন সম্বোধনে ডাকতে পারেন। এই বিষয় সম্পর্কে বার কাউন্সিল মাই লর্ডইউর লর্ডশিপ "উপনিবেশিক অতীতের ধ্বংসাবশেষ" বলে উল্লেখ করেন। এই সিদ্ধান্ত সকল রাজ্যের কাউন্সিল ও সুপ্রীম আদালতে প্রেরণ করা হয়।

২০০৯ সালের অক্টোবরে অভূতপূর্ব ব্যাপার ছিল, মাদ্রাজের উচ্চ আদালতের একজন বিচারক, বিচারপতি কে চান্দ্রু তার আদালতে মাই লর্ডইওর লর্ডশিপ সম্বোধন করায় একজন উকিলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।

    মালয়েশিয়া

মালয়েশিতে উপ আদালতের বিচারকদের তুয়ান বা পুয়ান ("স্যার" বা "ম্যাডাম") অথবা ইউর অনার বলে সম্বোধন করা হয়। উচ্চ আদালতের বিচারকদের ইয়াং আরিফ ("বিজ্ঞ ব্যক্তি") বা মাই লর্ড" বা "মাই লেডি" এবং উচ্চ আদালতে ইংরেজিতে ইউর লর্ডশিপ" বা মাই লেডিশিপ" বলে সম্বোধন করা হয়।

    শ্রীলঙ্কা

শ্রীলঙ্কা বেশিরভাগ আদালতের বিচারকদের ইউর অনার বলে সম্বোধন করা হয় এবং প্রধান বিচারপতিদের ইউর লর্ডশিপ বলে সম্বোধন করা হয়। সুপ্রীম ও আপীল আদালতের বিচারকদের দ্য অনারেবল বলে সম্বোধন করা হয়।

    হংকং

হংকংয়ে ইংরেজি বা ক্যান্টনীয় উপভাষায় আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সেখানে বিচারকদের নিম্ন আদালতে ইউর ওরশিপ এবং জেলা আদালতে ইউর অনার বলে সম্বোধন করা হয়। চূড়ান্ত আদালত ও উচ্চ আদালতে বিচারকদের ব্রিটিশ শাসনামলের ঐতিহ্য অনুযায়ী ইউর লর্ডশিপ বা মাই লর্ড এবং ইউর লেডিশিপ বা মাই লেডি নামে সম্বোধন করা হয়।

লিখিত ভাষায়, চূড়ান্ত আদালত স্থায়ী বিচারকদের নামের পরে পিজি এবং অস্থায়ী বিচারকদের নামের পরে এনপিজি ব্যবহৃত হয়। উচ্চ আদালতে জেএ দিয়ে জাস্টিস অফ আপীল বুঝানো হয় এবং শুধু জে দিয়ে প্রাথমিক আদালতের বিচারক বুঝানো হয়। উচ্চ আদালতের প্রধানদের মাস্টার বলে সম্বোধন করা হয়।

যুক্তরাজ্য থেকে চীনের সার্বভৌমত্ব আদায় হওয়ার পর থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত চীনা ভাষায় আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হলে, বিচারকদের ক্যান্টনীয় ভাষায় ফাত গুন দাই ইয়ান (法官大人, অর্থাৎ "জজ, ইউর লিডারশিপ") এবং ফাত গুন গোক হা (法官閣下, অর্থাৎ "জজ, ইউর অনার"); ফাত গুন (法官) মানে হল "বিচারক"।

ওশেনিয়া

    অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার উচ্চ আদালতসহ অস্ট্রেলিয়ায় সকল অধিক্ষেত্রে নিয়োজিত বিচারক এবং ২০০৭ সাল থেকে ম্যাজিস্ট্রেটদের ইউর অনার বলে সম্বোধন করা হয়। আইনি প্রতিবেদনে, তাদের ক্ষেত্রে হিজ/হার অনার এবং ঊর্ধ্বতন আদালতের বিচারকদের ক্ষেত্রে দ্য অনারেবল জাস্টিস (নামের শেষ অংশ) এবং নিম্ন আদালতের বিচারকদের ক্ষেত্রে হিজ/হার অনার জজ (নামের শেষ অংশ) লেখা হয়। আইনি প্রতিবেদনের বাইরে, তাদের পুইজন বিচারপতিদের ক্ষেত্রে জজ এবং প্রধান বিচারপতিদের ক্ষেত্রে চীফ জাস্টিস লেখা হয়।

বেশির ভাগ পুইজন বিচারকদের জাস্টিস ডাকা হয় এবং আইনি প্রতিবেদনে নামের শেষে জে লেখা হয়, যেমন নামের শেষের অংশ জে। উচ্চ আদালত ও রাজ্যের সুপ্রীম আদালতের প্রধান বিচারপতিদের চীফ জাস্টিস ডাকা হয় এবং আইনি প্রতিবেদনে নামের শেষে সিজে লেখা হয়। রাজ্যের সুপ্রীম আদালতে ভিন্ন আপীল বিভাগীয় আদালতের (নিউ সাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়া, কুইন্সল্যান্ড ও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া) বিচারকদের জাস্টিস/জজ অফ আপীল বলা হয় এবং নামের শেষে জেএ লেখা হয়। অন্যদিকে আপীল বিভাগীয় আদালতের সভাপতিদের প্রেসিডেন্ট বলা হয় এবং নামের শেষে পি লেখা হয়।

    নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ডের উচ্চ আদালত এবং ঊর্ধ্বতন আদালতের বিচারকদের হিজ/হার অনার জাস্টিস (নামের শেষ অংশ) বলে সম্বোধন করা হয় এবং লেখার ক্ষেত্রে নামের শেষের অংশ জে লেখা হয়। জেলা আদালত ও অন্যান্য বিধিবদ্ধ আদালতের বিচারকদের হিজ/হার অনার জজ নামের শেষের অংশ বলে সম্বোধন করা হয় এবং লেখার ক্ষেত্রে নামের শেষ অংশ ডিসিজে বা জজ নামের শেষের অংশ লেখা হয়। উচ্চ আদালতে কার্টরাইট জের নিয়োগের পর মিঃ জাস্টিস থেকে মিঃ বাদ দেওয়া হয়। আদালতে সকল বিচারকদের ইউর অনার বা স্যার/ম্যাডাম বলে সম্বোধন করা হয়।

দক্ষিণ আমেরিকা

    ব্রাজিল

ব্রাজিলে পুরুষ বিচারকদের হুইজ এবং নারী বিচারকদের হুইজা বলে সম্বোধন করা হয় এবং ঐতিহ্য অনুসারে ভসা এক্সিলেন্সিয়া ("ইউর এক্সিলেন্সি") বা মেরিতিসিমো ("মহামান্য") বলে ডাকা হয়। রাষ্ট্রীয় আদালতের প্যানেল বা ফেডারেল আদালতের বিচারকদের দেসেম্বার্গাদোরস বলে ডাকা হয়। উচ্চ আদালতের (সুপ্রীম টাইবুনাল ফেডারেল, সুপিরিয়র ট্রাইবুনাল দে জাস্টিস, ট্রাইবুলনা সুপেরিয়র দো ট্রাবালহো, সুপেরিয়র ট্রাইবুনাল মিলিটারি ও ট্রাইবুনাল সুপিরিয়র এলেইতরাল) বিচারকদের মিনিস্ত্রো বা মিনিস্ত্রা অথবা ভসা এক্সিলেন্সিয়া বলে ডাকা হয়।

আন্তর্জাতিক আদালত

আন্তর্জাতিক আদালত, বিচারকদের তাদের নিজেদের দেশে যেই নামে সম্বোধন করা হয় সেই নামে সম্বোধনই করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারকদের জজ বলে ডাকা হয়।

বাইবেলে উল্লেখিত বিচারক

বাইবেলে উল্লেখিত বুক অফ জজেস এক শ্রেণীর নেতার কথা উল্লেখ করা আছে। বিচারক (হিব্রু ভাষায় שופטים) হিসেবে পরিচিত এই নেতারা তাদের বিচার বিভাগীয় কাজের পাশাপাশি তাদের সম্প্রদায়ের যুদ্ধের নেতৃত্ব দিত। এই শব্দ সমসাময়িক ইসরায়েলে অন্যান্য আধুনিকে রাষ্ট্রের মত বিচারকদের কার্যাবলী এবং কর্তৃত্ব বুঝানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Tags:

বিচারক দাপ্তরিক প্রতীকবিচারক নাম ও সম্বোধনবিচারক বাইবেলে উল্লেখিত বিচারক আরও দেখুনবিচারক তথ্যসূত্রবিচারক বহিঃসংযোগবিচারকআদালতজুরি

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

সংযুক্ত আরব আমিরাতবাংলাদেশের জেলাসমূহের তালিকামানবজমিন (পত্রিকা)দৈনিক প্রথম আলোগর্ভধারণঝড়বৈষ্ণব পদাবলিধর্ষণইউটিউবতাসনিয়া ফারিণ২০২২–২৩ নিউজিল্যান্ড পুরুষ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফর (এপ্রিল ২০২৩)বিশেষণবাংলাদেশের বিমানবন্দরের তালিকামৃণালিনী দেবীইসরায়েল–হামাস যুদ্ধবদরের যুদ্ধইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়মাহিয়া মাহিআশারায়ে মুবাশশারাসুকুমার রায়বিশ্ব ব্যাংকসন্ধিআডলফ হিটলারভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসভারতের সংবিধাননরসিংদী জেলাআওরঙ্গজেববইমুতাওয়াক্কিলবাংলাদেশের বন্দরের তালিকালালনকারকগজলইরানআহসান মঞ্জিলইমাম বুখারীযক্ষ্মাসূর্যগ্রহণক্রিস্তিয়ানো রোনালদোমুসাফিরের নামাজমালয়েশিয়াবিরসা দাশগুপ্তমিয়া খলিফাইসলামের ইতিহাসইন্দিরা গান্ধীভারতে নির্বাচনআইজাক নিউটনশ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়হিসাববিজ্ঞানগৌতম বুদ্ধসাইবার অপরাধসমাজবিজ্ঞানবাল্যবিবাহউদ্ভিদপ্রথম বিশ্বযুদ্ধদীপু মনিনামাজের নিয়মাবলীহরপ্পামানব শিশ্নের আকারবাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চলআতিকুল ইসলাম (মেয়র)হিরণ চট্টোপাধ্যায়অর্থ (টাকা)আরব্য রজনীটুইটারএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)চৈতন্যচরিতামৃতসত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রমুসালোহিত রক্তকণিকাযতিচিহ্নতুরস্কজনগণমন-অধিনায়ক জয় হেপ্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণ১৮৫৭ সিপাহি বিদ্রোহমাওয়ালিমাইকেল মধুসূদন দত্ত🡆 More