বার্নি স্যান্ডার্স

বার্নার্ড স্যান্ডার্স (জন্ম ৮ই সেপ্টেম্বর, ১৯৪১) একজন মার্কিন রাজনীতিবিদ ও বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেটের একজন সদস্য (সিনেটর)। তিনি গণমাধ্যমে সাধারণভাবে বার্নি স্যান্ডার্স নামেই বেশি পরিচিত। তিনি ২০০৬ সালে ভার্মন্ট অঙ্গরাজ্যের একজন সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হন এবং এরপর আরও দুইবার (২০১২ ও ২০১৬ সালে) পুনর্নির্বাচিত হন।

বার্নি স্যান্ডার্স
বার্নি স্যান্ডার্স
বার্নি স্যান্ডার্সের অনুমোদিত প্রতিকৃতি
ভার্মন্ট থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনেট
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
৩ জানুয়ারি ২০০৭
সাথে ছিলেন প্যাট্রিক লীহি
পূর্বসূরীজিম রেফর্স
Chairman of the Senate Committee on Veterans' Affairs
কাজের মেয়াদ
৩ জানুয়ারি ২০১৩ – ৩ জানুয়ারি ২০১৫
পূর্বসূরীPatty Murray
উত্তরসূরীJohnny Isakson
-নির্বাচিত সদস্য
At-large জেলা থেকে
কাজের মেয়াদ
৩ জানুয়ারি ১৯৯১ – ৩ জানুয়ারি ২০০৭
পূর্বসূরীPeter Smith
উত্তরসূরীPeter Welch
Mayor of Burlington
কাজের মেয়াদ
৬ এপ্রিল ১৯৮১ – এপ্রিল ১৯৮৯
পূর্বসূরীGordon Paquette
উত্তরসূরীPeter Clavelle
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মবার্নার্ড স্যান্ডার্স
(1941-09-08) ৮ সেপ্টেম্বর ১৯৪১ (বয়স ৮২)
ব্রুকলিন, নিউ ইয়র্ক,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র.
জাতীয়তামার্কিন
রাজনৈতিক দলনির্দলীয় (caucuses with the Democratic Party)
অন্যান্য
রাজনৈতিক দল
লিবার্টি ইউনিয়ন পার্টি (১৯৭১–১৯৭৯)
ভার্মন্ট প্রোগ্রেসিভ পার্টি (affiliated)
দাম্পত্য সঙ্গীডেবোরা শিলিং (১৯৬৪–১৯৬৬)
জেন ড্রিসকল (১৯৮8–অদ্যাবধি)
সন্তানলিভাই (সুজান মটের সাথে)
৩টি সৎসন্তান
প্রাক্তন শিক্ষার্থীশিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়
ধর্মইহুদি
স্বাক্ষরবার্নি স্যান্ডার্স
ওয়েবসাইটসিনেট ওয়েবসাইট
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনী ওয়েবসাইট

স্যান্ডার্স নিউ ইয়র্ক শহরের ব্রুকলিন এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। উচ্চশিক্ষার্থে তিনি প্রথমে ব্রুকলিন কলেজে পড়াশোনা করেন ও পরবর্তীতে ১৯৬৪ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক উপাধি লাভ করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি মার্কিন নাগরিক অধিকার আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি ভার্মন্ট অঙ্গরাজ্যে বাস করা শুরু করেন এবং সেখানে ১৯৭০-এর দশকে বেশ কয়েকবার তৃতীয় দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, যদিও সফল হননি। ১৯৮১ সালে তিনি ভার্মন্টের বৃহত্তম শহর বার্লিংটনের নগরপাল বা মেয়র নির্বাচিত হন এবং এরপর একই পদে আরও তিনবার নির্বাচিত হন (১৯৮৯ সাল পর্যন্ত)। এরপর তিনি ১৯৯০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৬ বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নিম্নকক্ষ তথা হাউস অফ রেপ্রেজেন্টেটিভ্‌সের একজন সদস্য বা রেপ্রেজেন্টেটিভ ছিলেন।

দলীয় দৃষ্টিকোণ থেকে বার্নি স্যান্ডার্স একজন নির্দলীয়, স্বাধীন সাংসদ ও কোনও দলের অনুগত নন। তিনি মার্কিন ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করা নির্দলীয় সাংসদ। তবে কর্মক্ষেত্রে তিনি প্রায়শই সিনেটের ডেমোক্র্যটিক পার্টির সংসদীয় দলের সাথে একত্রে কাজ করেন। এমনকি ২০১৫-২০১৬ সালে তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির একজন সদস্যও ছিলেন। ২০১৬ সালে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী মনোনয়ন পর্বে অংশগ্রহণ করেন এবং সেখানে নিজেকে একজন গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী হিসেবে উপস্থাপন করেন। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী মনোনয়নের অভ্যন্তরীণ "প্রাইমারি" নির্বাচনে তিনি আশাতীত সাফল্য অর্জন করেন। বিশেষ করে তরুণ ভোটার শ্রেণী ও শ্রমিক শ্রেণীর ভোটারদের কাছে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রায় ৪৩% ডেলিগেট বা প্রতিনিধির ভোট অর্জন করেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়নের দৌড়ে হিলারি ক্লিনটনের কাছে হার স্বীকার করেন; হিলারি ৫৫% ডেলিগেটের ভোট অর্জন করেছিলেন।

২০১৬ সালে বার্নি স্যান্ডার্সের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড বেশ কয়েকটি কারণে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তিনি তার নির্বাচনী তহবিল গঠনের ক্ষেত্রে বৃহৎ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তথা কর্পোরেশন, আর্থিক সংগঠন যেমন ব্যাংক, এবং যেকোন ধরনের “সুপার প্যাক” (অতিরিক্ত নির্বাচনী তহবিল গঠনকারী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডমূলক সমিতি)-এর কাছ থেকে সব ধরনের বড় অঙ্কের টাকার অনুদান প্রত্যাখান করেন। তিনি দাবী করেন যে তার নির্বাচনী প্রচারণা কর্মকাণ্ড একটি “রাজনৈতিক বিপ্লব” শুরু করেছে, যেখানে বিশাল অঙ্কের অনুদানের টাকা উপঢৌকন দিয়ে রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা আদায় করার স্থান নেই।

বার্নি স্যান্ডার্স নিজেকে একজন প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন। শ্রমিকের অধিকার বৃদ্ধি এবং মার্কিন সমাজের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ তার লক্ষ্য। তিনি জনগণের করের টাকায় চালিত ও সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটিমাত্র সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, সন্তান জন্মদানজনিত কারণে মাতাপিতার বেতনসহ ছুটিভোগের ব্যবস্থা এবং সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিনামূল্যে উচ্চশিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা প্রণয়নের পক্ষে একজন সরব প্রবক্তা। বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে স্যান্ডার্স সামরিক খরচ কমানো, কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক চুক্তিগুলি আলোচনার সময় শ্রমিকদের অধিকার ও পরিবেশের উপর বাণিজ্যের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় নেওয়ার পক্ষপাতী।

২০১৯ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি তারিখে বার্নি স্যান্ডার্স ২০২০ সালের মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য আবারও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হবার লক্ষ্যে দলের অভ্যন্তরীণ “প্রাইমারি” নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দেন।

তথ্যসূত্র

Tags:

ভার্মন্টমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৮ই সেপ্টেম্বর

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

বাংলাদেশের বিভাগসমূহপৃথিবীর ইতিহাসইহুদিপশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থাঅমলা পলবৃক্ষআসামকালো জাদুশিবাজীবনলতা সেন (কবিতা)নৃত্যরোমানিয়াচোল সাম্রাজ্যবিভিন্ন ধর্ম ও বিশ্বাসের তালিকাপ্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকশ্রীকৃষ্ণকীর্তনমোশাররফ করিমপর্নোগ্রাফিগণতন্ত্রযোনিলেহনশ্রাদ্ধবঙ্গভঙ্গ আন্দোলনফিলিস্তিনরিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব১৪৪ ধারারবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টিকর্মনেপোলিয়ন বোনাপার্টসানি লিওনএস এম শফিউদ্দিন আহমেদটটেনহ্যাম হটস্পার ফুটবল ক্লাবভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহঅর্থনীতিসালমান শাহপৃথিবীকম্পিউটারজীববৈচিত্র্যকাজী নজরুল ইসলামআল হাইআতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশপরমাণুসালমান খানবাংলাদেশের অর্থনীতিঅসহযোগ আন্দোলন (ব্রিটিশ ভারত)কুমিল্লা জেলাকক্সবাজার জেলাইউক্রেনবাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সমিয়ানমারজনি সিন্সইউরোমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসচারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়প্রেম প্রীতির বন্ধনযুক্তফ্রন্টহস্তমৈথুনের ইতিহাসঐশ্বর্যা রাইঋতুমুহম্মদ জাফর ইকবালপদ্মা সেতুবঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাবঙ্গবন্ধু-১বাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাশামসুর রাহমাননেইমারকলকাতা উচ্চ আদালতবেদকালীহোয়াটসঅ্যাপবাংলাদেশ বিমান বাহিনীজীবনানন্দ দাশহার্ডকোর পর্নোগ্রাফিমাম্প্‌সইসলামের ইতিহাসগায়ত্রী মন্ত্রউপন্যাসসাদিয়া জাহান প্রভাঢাকা বিভাগবাংলা সাহিত্যের ইতিহাস🡆 More