বর্ত্তমান ভারত মডার্ন ইডিয়া বা প্রেজেন্ট ডে ইন্ডিয়া হল স্বামী বিবেকানন্দের লেখা একটি প্রবন্ধ। এটি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের একমাত্র বাংলা মুখপত্র উদ্বোধন পত্রিকার মার্চ ১৮৯৯ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। ১৯০৫ সালে প্রবন্ধটি বই আকারে প্রকাশিত হয়। পরে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা সংকলনের ষষ্ঠ খণ্ডের অন্তর্ভুক্ত হয়। এই প্রবন্ধে বিবেকানন্দ ভারতের সম্পূর্ণ ইতিহাস আলোচনা ও ব্যাখ্যা করেছেন এবং শূদ্র অংশের অভ্যুত্থানের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। ভারতের দরিদ্র ও অবহেলিত মানুষের জন্য তিনি এই প্রবন্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। এই প্রবন্ধেই তিনি ভারতবাসীকে নর্ণনির্বিশেষে সবাইকে ভাই মনে করার আহ্বান জানান।
লেখক | স্বামী বিবেকানন্দ |
---|---|
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
বিষয় | দর্শন |
প্রকাশক | উদ্বোধন কার্যালয় |
প্রকাশনার তারিখ | ১৮৯৯ (প্রবন্ধ) ১৯০৫ (বই) |
১৮৯৭ সালে পাশ্চাত্য থেকে ফিরে আসার পর বিবেকানন্দ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ভ্রমণ করেন। ১৮৯৯ সালের জানুয়ারি মাসে, তিনি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের বাংলা মুখপত্র উদ্বোধন পত্রিকা চালু করেন। এই পত্রিকার জন্য তিনি ভাববার কথা, বর্ত্তমান ভারত, পরিব্রাজক ও প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য প্রবন্ধগুলি রচনা করেন। ১৮৯৯ সালের মার্চ মাসের উদ্বোধন পত্রিকায় বাংলা নিবন্ধ বর্ত্তমান ভারত প্রকাশিত হয়।
এই প্রবন্ধে বিবেকানন্দ সংক্ষেপে বৈদিক পুরোহিত-সমাজপতিদের যুগ থেকে ব্রিটিশ শাসন পর্যন্ত ভারতের সমগ্র ইতিহাসের স্মৃতিচারণা ও ব্যাখ্যা করেছেন। তবে তার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল সমসাময়িক ভারতের কথা বলা।
প্রথম দিকে বৈদিক ব্রাহ্মণ পুরোহিতেরা কীভাবে সমাজকে শাসন করতেন, তারপর কীভাবে ক্ষমতাশালী যোদ্ধারা সমাজের নেতৃস্থানে এলেন এবং শেষে কীভাবে বৈশ্যদের ক্ষমতা বাড়ল, এই সব আলোচনার পর লেখক বলেছেন যে, চক্রাকার পথে বৈশ্যের পর ভারতীয় সমাজ শূদ্রের অধীনে আসতে বাধ্য।
তিনি ভারতবাসীদের বলেন সকল ভারতবাসীর সঙ্গে মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করতে এবং আর্থিক অসংগতির জন্য কাউকে হেয় না করতে। তার মতে সীতা, সাবিত্রী ও দময়ন্তী হলেন ভারতীয় নারীর আদর্শ। তিনি ভারতবাসীকে ভারতের মাটিকে স্বর্গ মনে করতে এবং ভারতের কল্যাণকে নিজের কল্যাণ ভাবতে বলেন। পাশ্চাত্যের অনুকরণ না করারও কথা বলেন।
এই প্রবন্ধের শেষাংশটি এখন স্কুল কলেজের পাঠ্য।
প্রবন্ধটি প্রথম উদ্বোধন পত্রিকার মার্চ ১৮৯৯ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। ১৯০৫ সালে উদ্বোধন কার্যালয় থেকে এটি বই আকারে প্রকাশিত হয়। স্বামী সারদানন্দ এই বইয়ের ভূমিকা লিখে দেন।
স্বামী জিতাত্মানন্দের মতে এই প্রবন্ধে বিবেকানন্দ ভারত সংস্কারের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। টিচার ইন এমার্জিং ইন্ডিয়ান সোসাইটি বইয়ের লেখক শ্রীবাস্তব বলেছেন, এই প্রবন্ধে বিবেকানন্দ বলেছেন যে আমাদের শিক্ষাব্যাবস্থার একটি উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানবতার সেবা করা।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article বর্ত্তমান ভারত, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.