বড়দিনের প্রাক্কাল

বড়দিনের প্রাক্কাল বলতে বড়দিনের আগের দিন, বিশেষত বড়দিনের আগের সন্ধ্যাটিকে বোঝানো হয়। বড়দিন হল যিশুখ্রিস্টের জন্ম উদযাপনকারী দিবস, যা সারা বিশ্ব জুড়ে পালন করা হয়। যিশুখ্রিস্ট ঠিক কোন্‌ তারিখে জন্ম নিয়েছিলেন, তা নিয়ে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ৩৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে পুণ্যপিতা (পোপ) ১ম জুলিয়াসের নির্দেশ অনুযায়ী খ্রিস্টান মন্ডলীগুলি ২৫শে ডিসেম্বর তারিখের দিবসটিকে প্রতীকীভাবে খ্রিস্টের জন্মবার্ষিকী তথা বড়দিন হিসেবে পালন করে আসছে। বড়দিনের প্রাক্কাল হল ২৪শে ডিসেম্বর। অনেক দেশে বড়দিনের প্রাক্কালটিকেও পূর্ণ বা আংশিক ছুটির দিন হিসেবে পালন করা হয়। খ্রিস্টীয় ধর্মাবলম্বীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই দুইটি দিনকে একত্রে সাংস্কৃতিক দৃষ্টিতেও পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব-পর্ব হিসেবে গণ্য করা হয়।

বড়দিনের প্রাক্কাল
বড়দিনের প্রাক্কাল
ক্রিসমাস ইভ, ১৮৭৮ সালে অঙ্কিত রঙচিত্র, জে হুভার অ্যান্ড সন
পালনকারীখ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীগণ
বহু অ-খ্রিস্টান
ধরনখ্রিস্টান, সাংস্কৃতিক
তাৎপর্যযিশুখ্রিস্টের জন্মদিনের (বড়দিন) আগের দিন বা সন্ধ্যা
পালনউপহার ক্রয়, উপহার প্রদান, ছুটির শুভেচ্ছা সম্ভাষণ, মধ্যরাত্রির খ্রিস্টযোগ, অন্যান্য গির্জা সেবা, ভোজ, বড়দিনের জন্য প্রস্তুতি
তারিখ
  • ২৪শে ডিসেম্বর (পশ্চিমা মণ্ডলীসমূহ এবং পূর্বী প্রথানুবর্তী মণ্ডলীসমূহ যেগুলি পরিমার্জিত জুলিয়ান বর্ষপঞ্জি ব্যবহার করে)
  • ৫ই জানুয়ারি (আর্মেনীয় বাণীপ্রচারণাকারী মণ্ডলী)
  • ৬ই জানুয়ারি (পূর্বী প্রথানুবর্তী মণ্ডলীসমূহ যেগুলি পুরাতন জুলিয়ান বর্ষপঞ্জি ব্যবহার করে এবং সিংহভাগ প্রাচ্যদেশীয় প্রথানুবর্তী মণ্ডলীসমূহ)
  • ১৮ই জানুয়ারি (জেরুসালেমের আর্মেনীয় মহামহাবিশপের গির্জা)
সংঘটনবার্ষিক
সম্পর্কিতবড়দিন, বড়দিনের পর্ব, নববর্ষের প্রাক্কাল (গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি)

খ্রিস্টধর্মের পশ্চিমী ধারাগুলিতে বহুদিন ধরেই বড়দিনের প্রাক্কালেই বড়দিনের উৎসব শুরু হওয়ার চল। এর একটি কারণ হল খ্রিস্টীয় যাজকীয় দিবস সূর্যাস্তের সাথে সাথেই শুরু হয়ে যায়; সূর্যাস্তের সাথে সাথে দিবস শুরু করার এ প্রথাটি ইহুদী ঐতিহ্য থেকে এসেছে। এছাড়া খ্রিস্টধর্মের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলে বিশ্বসৃষ্টির যে কাহিনী আছে, তাতে বলা হয়েছে "সন্ধ্যা হল এবং এরপর সকাল হল। এই হল প্রথম দিন।" খ্রিস্টধর্মের অনেক মন্ডলী বড়দিনের প্রাক্কালেই গির্জার ঘণ্টা বাজিয়ে থাকে ও সেই সন্ধ্যাতেই বিশেষ প্রার্থনাসভার আয়োজন করে থাকে। খ্রিস্টীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী যিশু রাত্রিতে জন্মগ্রহণ করেন। এ কারণে বড়দিনের প্রাক্কালে মধ্যরাত্রিতে বিশেষ প্রার্থনা তথা মাঝরাতের খ্রিস্টযোগ অনুষ্ঠিত হয়। বড়দিনের প্রাক্কালকে অনেক ভাষাতেই পবিত্র রাত্রি বা পুণ্য রাত্রি (যেমন জার্মান ভাষায় "হাইলিগে নাখ্‌ট" Heilige Nacht; স্পেনীয় ভাষায় "নোচেবুয়েনা" Nochebuena) নামে ডাকা হয়। ইংরেজি ভাষাতে একে সাধারণত "ক্রিসমাস ইভ" (Christmas Eve) নামে ডাকা হয়।

খ্রিস্টধর্মের প্রাক্কালে অনেক সাংস্কৃতিক প্রথার প্রচলন আছে। যেমন ঐ সন্ধ্যায় পরিবার ও বন্ধুবান্ধবেরা একত্রিত হয়, বড়দিনের স্তবগান গাওয়া হয়, বড়দিনের বৃক্ষ, আলোকসজ্জা ও অন্যান্য অলঙ্করণ করা হয়। এদিন পরিবার ও বন্ধুবান্ধব একে অপরকে মোড়কবন্দী উপহার প্রদান করে থাকে, যেগুলি সবার সামনে খুলে গ্রহণ করা হয়।

তথ্যসূত্র

Tags:

বড়দিন

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

পথের পাঁচালী (চলচ্চিত্র)উহুদের যুদ্ধশেংগেন অঞ্চললালবাগের কেল্লাবিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ভগবদ্গীতা৬৯ (যৌনাসন)সত্যজিৎ রায়বিসিএস পরীক্ষাময়মনসিংহঢাকা বিভাগমাহরামমুঘল সম্রাটইসলামউপসর্গ (ব্যাকরণ)মুহাম্মাদের স্ত্রীগণএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)আসসালামু আলাইকুমগাণিতিক প্রতীকের তালিকাফিলিস্তিনের ইতিহাসদ্য কোকা-কোলা কোম্পানিকৃষ্ণচূড়াপাট্টা ও কবুলিয়াতঋতুভারতের ইতিহাসবিদায় হজ্জের ভাষণ১৮৫৭ সিপাহি বিদ্রোহবাংলাদেশ পুলিশবাংলাদেশের একাডেমিক গ্রেডিং পদ্ধতিজনসংখ্যা অনুযায়ী সার্বভৌম রাষ্ট্র ও নির্ভরশীল অঞ্চলসমূহের তালিকাঅর্থনীতিআব্বাসীয় খিলাফতমাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহহিন্দুধর্মআল-মামুনঈদুল আযহালক্ষ্মীপুর জেলাপশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থাওয়ালাইকুমুস-সালামদুর্নীতি দমন কমিশন (বাংলাদেশ)বিরাট কোহলিভারতে নির্বাচনসূর্যশিক্ষাজন্ডিসআবু হানিফাআয়করজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়মুসাসামাজিক কাঠামোভারতের জনপরিসংখ্যানমৌলসমূহের ইলেকট্রন বিন্যাস (উপাত্ত পাতা)মূত্রনালীর সংক্রমণগাজীপুর জেলাআলিরামকৃষ্ণ পরমহংসকলকাতালিওনেল মেসিনওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানীমুখমৈথুনযৌনসঙ্গমউপজেলা পরিষদআয়াতুল কুরসিবিদ্রোহী (কবিতা)ক্রিকেটতামান্না ভাটিয়াছয় দফা আন্দোলনইসরায়েলের ইতিহাসদ্বাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যদের তালিকাহানিফ সংকেতশুক্রাণুজলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবপরীমনিভূমি পরিমাপকমনওয়েলথ অব নেশনসমোবাইল ফোন🡆 More