পংকোথাই চন্দ্রহাসান (জন্ম ১৯৮০) একজন শ্রীলঙ্কান চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং মানবাধিকার কর্মী। পংকোথাই পুরস্কার জয়ী সিনেমাটোগ্রাফার পিসি শ্রীরামের ২০০৪ সালে নির্মিত চলচ্চিত্র ভানাম ভাসপাদুমে অভিনয় করেছেন। এটি ছিল আধুনিক হাই ডেফিনিশন ফর্ম্যাটে ধারণ করা ভারতের প্রথম চলচ্চিত্র।
পংকোথাই শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম স্যামুয়েল চেলভনয়াকাম চন্দ্রহসান এবং মায়ের নাম অ্যানে নির্মলা নে নাগানাথন। ১৯৮৩ সালে তার পরিবার যখন ভারতে চলে আসে তখন তার বয়স ছিল মাত্র তিন বছর। তিনি স্যাক্রেড হার্ট কনভেন্টে পড়ালেখা করেন[কোথায়?] এবং সেখান থেকে ইংরেজিতে বি.এ ডিগ্রি, যোগাযোগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং চলচ্চিত্র নির্মাণে ডিপ্লোমা অর্জন করেন। এরপর, পিসি শ্রীরাম যখন ভানাম ভাসাপাদুম এবং চেতন শাহ চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করছিলেন তখন পংকোথাই তার অধীনে ওয়াশিংটন ডিসির ক্রোনকাইট এবং ওয়ার্ডে শিক্ষানবীস হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
পংকোথাই হলেন শ্রীলঙ্কার রাজনীতিবিদ এবং ফেডারেল পার্টির (টিইউএলএফ) নেতা এস.জে.ভি চেলভনায়াকামের নাতনী। তার নানা, ডা. ই.এম.ভি নাগানাথন ছিলেন একজন সিনেটর এবং ফেডারেল পার্টির সম্পাদক। এছাড়াও ই.এম.ভি নাগানাথন জাফনার রাজপরিবারের বংশধর।
পংকোথাই বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র এবং ডকুমেন্টারি শর্টস রচনা এবং পরিচালনা করেছেন যেগুলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে। এর মধ্যে রেফিউজি টু দ্য রেসকিউ, শ্রীলঙ্কা স্ট্রাগলিং টু স্টে আফলয়েট, দ্য ওয়েভস অফ দ্য ওয়েভস এবং মাই আইল্যান্ড ব্লিডিং প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। তার চলচ্চিত্রগুলি সাধারণত রাজনৈতিক প্রকৃতির এবং এগুলোতে মানবাধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়।
এছাড়া, পংকোথাই বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা নিয়েও কাজ করে থাকেন। ২০০৪ সালে তিনি অফের (OfERR)-এর মাধ্যমে শরণার্থী সম্প্রদায়ের সাথে কাজ শুরু করেছিলেন। অফের হল ১৯৮৪ সালে পংকোথাইয়ের বাবার প্রতিষ্ঠিত একটি বেসরকারি সংস্থা। তিনি মূলত শরণার্থী সম্প্রদায়ের মহিলা এবং শিশুদের নিয়েই কাজ করে থাকেন।
পংকোথাই শরণার্থী শিশুদের আঁকা ছবিগুলো প্রদর্শনের জন্য সানশাইন ইন এ টিয়ার ড্রপ নামে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন। এতে ভারতের ১১৭টি শরণার্থী শিবির থেকে পাঁচ থেকে পনেরো বছর বয়সী পাঁচ শতাধিক শরণার্থী শিশু অংশ গ্রহণ করেছিল। অঙ্কণের বিষয় হিসাবে "আমার জীবন", "একটি ঘটনা যা আমাকে প্রভাবিত করেছে" এবং "শান্তি" নির্ধারণ করা হয়েছিল। ডেকান ক্রনিকলের কাছে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন: "এই প্রদর্শনীর প্রধান উদ্দেশ্য হল যুদ্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নিরীহ মানুষদের করুণ অবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া। আমরা সবাই যুদ্ধের রাজনৈতিক দিকটি দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু মানুষের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কি ভাবছি?" এরপর, পংকোথাই এবং একজন ভারতীয় চিত্রগ্রাহককে নিয়ে শরণার্থী শিবিরগুলিতে যান এবং বাচ্চাদের ছবি তোলেন। প্রতিটি শিশুর আঁকা ছবি, ফটোগ্রাফ এবং পঞ্চাশ শব্দের বক্তব্য প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হয়। তিনি বলেন, "সংবাদে দেখতে পাই এতগুলো বাঘ মারা গেছে, বহু সেনা নিহত হয়েছে এ জাতীয় খবর। কিন্তু আমরা অনাহারী বেসামরিক মানুষের চেহারা, বাবা-মা হারানো শিশুদের বেদনা -এগুলোর দিকে ভ্রুক্ষেপই করছি না।" তিনি আরো বলেন, "একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর জন্য যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল তা এখন এই শিশুদের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি হিসেবে কাজ করছে। এটি দেখাচ্ছে, তাদের কাছে যুদ্ধ কোনও বিমূর্ততা নয়। এগুলো তাদের দুর্ভোগের গল্প ও ব্যক্তিগত ক্ষয়-ক্ষতির কাহিনী ফুটিয়ে তুলেছে"
পংকোথাই গৃহহীন পোষা প্রাণী গ্রহণের পক্ষে এবং পোষা প্রাণী বিক্রির বিরুদ্ধে কথা বলতেন। এমনকি, তার উদ্ধারকারী কুকুর বাম্বিকে পেটা-র "অ্যাডাপ্ট আ হোমলেস ডগ" নামক বিজ্ঞাপনে চলচ্চিত্র তারকা তৃষা কৃষ্ণনের সাথে দেখা গিয়েছিল।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article পংকোথাই চন্দ্রহাসান, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.