দাতব্য সংস্থা হল এক ধরনের অলাভজনক সংস্থা। এটি অন্যান্য অলাভজনক সংস্থা থেকে আলাদা কারণ এটি মূলত জনসেবামূলক উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে, পাশাপাশি সামাজিক মঙ্গল (যেমনঃ শিক্ষা, ধর্ম, বা অন্যান্য কার্যক্রম যার লক্ষ্য জনস্বার্থ বা জনসাধারণের ভাল) নিয়েও কাজ করে।
দাতব্য সংস্থার (এবং দানের) আইনি সংজ্ঞা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম এবং কিছু ক্ষেত্রে তা নির্ভর করে সেই এলাকার উপর যেখানে সংস্থাটি তার কার্যক্রম চালায়। নিয়মকানুন, কর ব্যবস্থা, এবং দাতব্য আইন দাতব্য সংস্থার উপর কি প্রভাব রাখবে তাও পরিবর্তনশীল।
আর্থিক পরিসংখ্যান (যেমনঃ কর ফেরত, চাঁদা থেকে আয়, পণ্য ও সেবা থেকে আয় বা বিনিয়োগ থেকে আয়) একটি দাতব্য সংস্থা আর্থিকভাবে কতটা টেকসই তা যাচাই করার গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশক, বিশেষ করে দাতব্য মূল্যায়কদের কাছে। এই তথ্য দাতা এবং সমাজের কাছে দাতব্য সংস্থার সুনামের ব্যাপারে প্রভাব ফেলতে পারে, ফলশ্রুতিতে, দাতব্য সংস্থার আর্থিক অগ্রগতিকেও।
দাতব্য সংস্থাগুলো অনেক সময় অনুদানের জন্য লাভজনক সংস্থার উপর কিছুটা নির্ভর করে। দাতব্য সংস্থাকে দেওয়া এই অনুদানগুলো কর্পোরেট জনসেবামূলক কাজের একটি বিশাল অংশকে প্রতিনিধিত্ব করে।
অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝ পর্যন্ত, মূলত জেলার অন্তর্গত যাজকীয় বিভাগের ত্রাণ (যেমনঃ ইংলিশ পুওর লওস অফ ১৬০১), গির্জা, ভিক্ষাগৃহ এবং ধনীদের দানের মাধ্যমে দাতব্য কার্যক্রম চালানো হত। এছাড়াও দাতব্য সংস্থাগুলোর উপর দায়িত্ব ছিল শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ও এমনকি কারাগারেরও। মধ্যযুগের শুরুর দিকে ইউরোপের সর্বত্র ভিক্ষাগৃহ তৈরি করা হয় দরিদ্র, বয়স্ক ও দুস্থ মানুষদের থাকার জায়গা করে দেবার জন্য - প্রথম ভিক্ষাগৃহের যে প্রমাণ পাওয়া যায় সেটি তৈরি করেন রাজা অ্যাথেলস্ট্যান দশম শতাব্দীতে, সেটি ইয়র্ক-এ অবস্থিত ছিল।
নবজাগরণের যুগে স্বেচ্ছাসেবী সমিতি এবং ধনী হিতকারীদের মাঝে দাতব্য এবং জনসেবামূলক কার্যক্রম করার সাংস্কৃতিক অভ্যাস ব্যাপকহারে গড়ে উঠে। সংঘ, ভদ্রলোকদের সমিতি, এবং পারস্পরিক সমিতি ইংল্যান্ডে সমৃদ্ধি লাভ করতে থাকে এবং উচ্চবিত্তরা আরো বেশি পরিমাণে অনগ্রসরদের দিকে একটি জনসেবামূলক মনোভাব গ্রহণ করে। এই নতুন সামাজিক সক্রিয়তা দাতব্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা করবার পথ সুগম করে; শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে এটি ব্যাপক আকার ধারণ করে।
উচ্চবিত্তদের জনসেবামূলক কাজ করার এই নতুন অভ্যাসের উত্থানের ফলে তৈরি হয় প্রথম দাতব্য সংস্থা। থমাস কোরাম, লন্ডনের রাস্তায় বসবাসকারী পরিত্যক্ত শিশুদের সংখ্যা দেখে হতবাক হয়ে, ১৭৪১ সালে ল্যাম্বস কানডুয়েট ফিল্ডস, ব্লুমসবেরিতে ফাউন্ডিং হসপিটাল প্রতিষ্ঠা করেন এইসব অযাচিত এতিমদের দেখাশোনা করার জন্য। পৃথিবীতে এধরনের দাতব্য সংস্থা এটিই প্রথম ছিল এবং এটি সর্বত্র দাতব্য সংস্থার ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে কাজ করেছে।
জোনাস হ্যানওয়ে, সেই সময়কার আরেকজন উল্লেখযোগ্য জনসেবক ১৭৫৬ সালে সমুদ্রে ভ্রমণকারীদের প্রথম দাতব্য সংস্থা দি মেরিন সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন, নৌবাহিনীতে পুরুষদের যোগদানকে উৎসাহিত করতে। ১৭৬৩ সালের মধ্যে, এই সোসাইটি ১০,০০০ এর উপর পুরুষকে নিয়োগ দেয় এবং ১৭৭২ সালে এটি সংসদের আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। হ্যানওয়ে যৌনকর্মীদের পুনর্বাসনের জন্য ম্যাগডেলেন হসপিটাল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এইসব প্রতিষ্ঠান চাঁদা দিয়ে এবং স্বেচ্ছাসেবী সমিতি হিসাবে চলত। তারা তাদের কার্যক্রমের ব্যাপারে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করত জনপ্রিয় পত্রিকার মাধ্যমে এবং সাধারণত সমাজে উচ্চ মর্যাদার সাথে দেখা হত - কিছু দাতব্য সংস্থা রয়্যাল চার্টার পাবার মাধম্যে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়।
দাতব্য সংস্থাগুলো প্রচারণার ভূমিকাও পালন করা শুরু করে, যেখানে তারা কোনো একটি বিষয়কে তুলে ধরে এবং সরকারকে আইনি পরিবর্তন করার জন্য প্রভাবিত করে। এর মধ্যে আছে পশুদের ও শিশুদের প্রতি দুর্ব্যবহার বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রচারণা এবং সেই প্রচারণা যেটি শেষ পর্যন্ত উনবিংশ শতাব্দীর দিকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সর্বত্র এবং উল্লেখযোগ্যভাবে এর প্রভাবের ভিতরের অঞ্চলে দাস ব্যবসা বন্ধ করতে সফল হয়। যদিও এই প্রক্রিয়াটি ছিল সময়সাপেক্ষ ১৯৬২ সালে সৌদি আরবে দাসপ্রথা বিলুপ্ত করার মাধ্যমে অবশেষে এটি শেষ হয়।
এই সময়ে একটি ক্রমবর্ধমান দার্শনিক বিতর্কও দেখা যায় দুটি দলের মাঝে, একদল রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপকে সমর্থন করেন এবং অন্যরা বিশ্বাস করতেন বেসরকারি দাতব্য সংস্থাগুলো কল্যাণ সরবরাহ করবে। থমাস ম্যালথাস, রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ, অর্থনৈতিক ও নৈতিক কারণ দেখিয়ে নিঃস্বদের জন্য যে দরিদ্র ত্রাণ আছে তার সমালোচনা করেন এবং দান সংক্রান্ত কাজ সম্পূর্ণভাবে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেবার প্রস্তাব দেন। তার মতামতগুলো খুব প্রভাবশালী ছিল এবং দরিদ্রদের জন্য রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপে ভিক্টোরিয়ান অবাধ-নীতি মনোভাব চালু করে।
উনবিংশ শতাব্দীতে, During the 19th century, বস্তিতে শ্রমিক শ্রেণীদের ভয়াবহ অবস্থার অবসান ঘটানোর জন্য প্রচুর পরিমাণ দাতব্য সংস্থা গড়ে উঠে। ১৮৩০ সালে যুক্তরাজ্যে লর্ড সাফটসবেরি শ্রমিক শ্রেণীদের উন্নতির জন্য লেবারারস ফ্রেন্ড সোসাইটি গঠন করেন। এর ভিতর ছিল "ক্ষুদ্র কৃষিকাজ"-এর জন্য শ্রমিকদের মাঝে জমি বরাদ্দ দেওয়া, যা পরবর্তীতে বরাদ্দ আন্দোলনে রূপ নেয়। ১৮৪৪ সালে এটি প্রথম মডেল ডুয়েলিংস কোম্পানিতে রূপ নেয় - সংস্থাগুলো নতুন বাড়ি তৈরির মাধ্যমে শ্রমিক শ্রেণীর আবাসন ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে চায়, সাথে সাথে তাদের বিনিয়োগের যথাযথ লাভ পেতে চায়। এটি ছিল প্রথম আবাসন ব্যবস্থার সমিতির একটি, একটি জনসেবামূলক কার্যক্রম যেটি মধ্যবিত্তদের উন্নতির মাধ্যমে উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে বিকাশ লাভ করে। পরবর্তীকালের সমিতিগুলোর মাঝে রয়েছে পিবডি ট্রাস্ট এবং গিনেস ট্রাস্ট। পুঁজিবাদী লাভসহ জনসেবামূলক কার্যক্রমের নীতিকে "পাঁচ শতাংশ জনসেবা" হিসাবে আখ্যা দেওয়া হয়।
পৌর দাতব্য সংস্থাগুলো খুব দ্রুত বেড়ে উঠে। দি ব্রুম কমিশন নেতৃত্ব দেয় মিউনিসিপাল কর্পোরেশনস অ্যাক্ট ১৮৩৫-এর, যেটি স্থানীয় দাতব্য সংস্থাগুলোকে একক সত্ত্বা স্থানীয় সরকারের তত্ত্বাবধানে আনার মাধ্যমে স্বীকৃতি দেয়।
চ্যারিটি অর্গানাইজেশন সোসাইটি-সহ (স্থাপিত ১৮৬৯)সেই সময়ের দাতব্য সংস্থাগুলো 'যোগ্য দরিদ্র' যাঁদের উপযুক্ত ত্রাণ দেওয়া হবে এবং 'অযোগ্য' বা 'অপব্যয়ী দরিদ্র' যারা তাদের অলসতার কারণে আজ দুর্দশায় ভুগছে, এই দুইয়ের মাঝে বৈষম্য করত। তারা রাষ্ট্রীয় সাহায্যের বিরোধিতা করত, এর মনোবল ভেঙ্গে দেবার প্রভাব-এর কারণে। যদিও ন্যূনতম রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ ছিল সেই যুগের প্রধান দর্শন, তবুও সংবিধিবদ্ধ আইনের আকারে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ ছিল এবং ছিল সীমিত তহবিল।
ব্রিটেন ও আমেরিকার মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে জনসেবা খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠে। সামাজিক আবাসনের উন্নয়নে অক্টাভিয়া হিল ও জন রাসকিন খুব গুরুত্বপূর্ণ শক্তি ছিলেন এবং অ্যান্ড্রু কার্নেগী শিল্পসমৃদ্ধ আমেরিকার নব্য ধনীদের ব্যাপক জনসেবার মাঝে উদাহরণ সৃষ্টি করেন। গসপেল অফ ওয়েলথ -এ (১৮৮৯), কার্নেগী বিশাল সম্পত্তির দায়িত্ব এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের গুরুত্ব সম্পর্কে লেখেন। তিনি ইংরেজি ভাষাভাষী দেশগুলোতে গণ পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করেন, পাশাপাশি বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় অঙ্কের সাহায্য প্রদান করে।
শতাব্দীর শেষ দিকে নব্য উদারতাবাদ-এর আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে এবং চার্লস বুথ-এর লন্ডন-এ শ্রমিক শ্রেণীর জীবন তুলে ধরার ক্ষেত্রে যে প্রশংসনীয় কাজ করেন তা দারিদ্র্যের প্রতি মনোভাব পরিবর্তন করতে শুরু করে, যার ফলে প্রথম সামাজিক উদার কল্যাণ সংস্কার শুরু হয়, সাথে সাথে বয়স্কভাতা এবং বিনামূল্যে বিদ্যালয় খাবার। বিংশ শতাব্দীর সময়, অক্সফ্যাম-এর (স্থাপিত ১৯৪৭) মত দাতব্য সংস্থাগুলো ব্যাপক প্রসার লাভ করে, বড়, বহুজাতিক, বিশাল তহবিলের বেসরকারি সংস্থা হিসাবে গড়ে উঠে।
মেয়াদোত্তীর্ণ তথ্যের কারণে এই নিবন্ধটির অংশসমূহের (যেগুলো section সাথে সম্পর্কিত) তথ্যভিত্তিক সূক্ষ্মতা আপোসকৃত অবস্থায় থাকতে পারে।।(July 2013) |
অস্ট্রেলিয়ায় দানের সংজ্ঞা ইংরেজি সাধারণ আইন পাওয়া যায়, মূলত চ্যারিটেবল ইউজেস অ্যাক্ট ১৬০১ থেকে, এবং তারপর কয়েক শতাব্দীর পুরাতন আইনি মামলার উপর ভিত্তি করে। ২০০২ সালে, কেন্দ্রীয় সরকার দানের সংজ্ঞার ব্যাপারে একটি তদন্ত চালু করে। তদন্তটি প্রস্তাব করে যে সরকারের উচিত দানের সংজ্ঞা আইনের দ্বারা নির্দিষ্ট করা, পুরাতন আইনি মামলার মাধ্যমে যে নীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার ভিত্তিতে। এর ফল হিসাবে পাওয়া যায় চ্যারিটিজ বিল ২০০৩। এই বিলে অনেকগুলো বিধান রয়েছে, যেমনঃ রাজনৈতিক প্রচারণায় যুক্ত দাতব্য সংস্থার উপর সীমাবদ্ধতা, যেটিকে অনেক দাতব্য সংস্থা আইনি মামলা থেকে অনভিপ্রেত প্রস্থান হিসাবে দেখে। এরপর সরকার করব্যবস্থা তদন্ত বোর্ড গঠন করে বিলটির ব্যাপারে দাতব্য সংস্থাগুলোর সাথে আলোচনার জন্য। দাতব্য সংস্থাগুলোর ব্যাপক সমালোচনার ফলে, সরকার বিলটি পরিত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর ফলে, সরকার এমন একটি বিষয় উন্মোচন করে যা চ্যারিটেবল পারপোজ অ্যাক্ট ২০০৪ এর বর্ধিত অংশ হিসাবে যুক্ত হয়। এই বিলটি দাতব্য উদ্দেশ্যকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করেনা; এটি শুধু এটাই স্পষ্ট করতে চায় যে কিছু নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য আসলেই দাতব্য ছিল, যাদের দাতব্য অবস্থার ব্যাপারে আইনি সন্দেহ ছিল। এগুলো ছিলঃ শিশুদের যত্ন, আত্মনির্ভর দল, বদ্ধ / চিন্তাশীল ধর্মীয় আদেশ।
জনগণের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করার জন্য, অস্ট্রেলিয়ার দাতব্য সংস্থাগুলোকে অধিক্ষেত্রে নিবন্ধিত হতে হয় যার ভিতরে থেকে তারা তহবিল সংগ্রহ করতে চায় এবং প্রতিটি প্রদেশে অবশ্যই নিবন্ধিত হতে হবে যেখান থেকে তারা অর্থ সংগ্রহ করতে চায়। যেমন, কুইন্সল্যান্ডে দাতব্য সংস্থাগুলোকে অবশ্যই কিউএলডি অফিস অফ ফেয়ার ট্রেডিং-এ নিবন্ধিত হতে হবে। কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াতে নিবন্ধিত একটি দাতব্য সংস্থা হল সানি কিডজ যেখানে সানি কিডজ দাতব্য উদ্দেশ্যে জনগণের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করতে পারবে, যেখানে এই অনুদান অস্ট্রেলিয়ার সকল প্রদেশে এবং অঞ্চলে শুল্কমুক্ত - যদিও তহবিল শুধুমাত্র কিউএলডি থেকে সংগ্রহ করা যাবে কারণ দাতব্য সংস্থাটি শুধুমাত্র এই প্রদেশ থেকে তহবিল সংগ্রহের জন্য নিবন্ধিত। দাতব্য সংস্থাটিকে অস্ট্রেলিয়ার অন্য সাতটি রাজ্য ও অঞ্চল থেকে তহবিল সংগ্রহের জন্য, এটিকে প্রতিটি রাজ্য ও অঞ্চলে আলাদাভাবে নিবন্ধিত হতে হবে। এমনকি, এমন দাতব্য সংস্থা যারা অনলাইনে তহবিল সংগ্রহ করে তাদের তহবিল সংগ্রহের জন্য অনুমতি নিতে হতে হবে অস্ট্রেলিয়ার যে যে রাজ্যে ও অঞ্চলে এর বিধান আছে। যেমনঃ ডোনেট ইওর ডে লিমিটেড, যেটি নিউ সাউথ ওয়েলস-ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা কিন্তু সত্যিকার অর্থে একটি অনলাইন দাতব্য সংস্থা। এটিকে অবশ্যই সকল রাজ্য ও অঞ্চলের আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত হতে হবে যেখানে এর প্রয়োজন আছে, বর্তমানে সেগুলো হলঃ নিউ সাউথ ওয়েলস, কুইন্সল্যান্ড, ভিক্টোরিয়া, তাসমেনিয়া, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটোরি।
এটি বলার অপেক্ষা অপেক্ষা রাখে না যে বহু অস্ট্রেলিয়ান দাতব্য সংস্থা কেন্দ্রীয়, রাজ্য ও অঞ্চলের সরকারকে একীভূত আইন তৈরি করতে বলছে যেটি দাতব্য সংস্থাগুলোকে একটি মাত্র রাজ্য বা অঞ্চলে নিবন্ধন করলেও অস্ট্রেলিয়ার আটটি রাজ্য ও অঞ্চল থেকে তহবিল সংগ্রহের অনুমতি দিবে।
কানাডার দাতব্য সংস্থাগুলোকে অবশ্যই কানাডা রেভেনিউ এজেন্সির চ্যারিটিজ ডিরেক্টরেট-তে নিবন্ধিত হতে হবে। কানাডা রেভেনিউ এজেন্সি অনুযায়ীঃ
একটি নিবন্ধিত দাতব্য সংস্থা হল এমন একটি সংস্থা যেটি দাতব্যের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ও পরিচালিত হয়, এবং অবশ্যই এটির সম্পদকে দাতব্য কার্যক্রমে নিয়োজিত করবে। সংস্থাটিকে অবশ্যই কানাডাতে অবস্থিত হতে হবে, এবং এর আয়কে এটির সদস্যদের সুবিধা দেবার জন্য ব্যবহার যাবে না। দাতব্য সংস্থাকে জনসাধারণের সুবিধা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে, সংস্থাটিকে অবশ্যই দেখাতে হবে যেঃ
সিঙ্গাপুরে আইনি অবস্থা নিয়ন্ত্রিত হয় সিঙ্গাপুর চ্যারিটিজ অ্যাক্ট (অনুচ্ছেদ ৩৭)। সিঙ্গাপুরের দাতব্য সংস্থাগুলোকে অবশ্যই মিনিস্ট্রি অফ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট, ইয়ুথ অ্যান্ড স্পোর্টস-এর চ্যারিটিজ ডিরেক্টরেট-এ নিবন্ধিত হতে হবে। You can also find specific organisations in the সিঙ্গাপুরের স্বেচ্ছাসেবী কল্যাণ সংগঠনের তালিকা যেকোনো নির্দিষ্ট সংস্থাকে খুঁজে পাওয়া যাবে যারা ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ সোশ্যাল সার্ভিস (এনসিএসএস)-এর সদস্য যেটি মিনিস্ট্রি অফ সোশ্যাল অ্যান্ড ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট দ্বারা পরিচালিত হয়.
যুক্তরাজ্যে (১) ইংল্যান্ড ও ওয়েলস, (২) স্কটল্যান্ড এবং (৩) উত্তর আয়ারল্যান্ড-এ ভিন্ন ভিন্ন দাতব্য আইন আছে, কিন্তু মূলনীতিগুলো একই। বেশিরভাগ সংস্থা যেগুলো দাতব্য তাদের বৈধতার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে নিবন্ধিত হতে হবে, কিন্তু উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম রয়েছে সেই সব সংস্থার জন্য যেগুলো প্রকৃত দাতব্য সংস্থা কিন্তু প্রকাশ্য তথ্যতালিকায় আসে না। তথ্যতালিকাগুলো চ্যারিটি কমিশন ফর ইংল্যান্ড ও ওয়েলস দ্বারা পরিচালিত হয় এবং স্কটল্যান্ডের জন্য অফিস অফ দা স্কটিশ চ্যারিটি রেগুলেটর দ্বারা। চ্যারিটি কমিশন ফর নর্দান আয়ারল্যান্ড যথাসময়ে একটি তথ্যতালিকা পরিচালনা করবে (নিন্মে দেখুন)। যে সকল সংস্থা আবেদন করছে তাদের কিছু আইনি শর্ত অবশ্যই পূরণ করতে হবে সেগুলো নিন্মে দেওয়া হল, এবং কর্তৃপক্ষের শর্ত পূরণের পর, তারা পরিদর্শন বা অন্যান্য ধরনের পর্যালোচনার জন্য বিবেচিত হবে। যুক্তরাজ্যের প্রাচীনতম দাতব্য সংস্থা হল দা কিংস স্কুল, ক্যান্টেরবেরি, যেটি ৫৯৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
চ্যারিটিজ অ্যাক্ট ২০১১-এর অনুচ্ছেদ ১-এ ইংল্যান্ড ও ওয়েলস-এ দাতব্য সংস্থার সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে:
চ্যারিটিজ অ্যাক্ট ২০১১ দাতব্য উদ্দেশ্যের নিন্মলিখিত তালিকা সরবরাহ করেঃ
দাতব্য সংস্থাকে অবশ্যই একটি জনসাধারণের সুবিধা প্রদান করতে হবে।
চ্যারিটিজ অ্যাক্ট ২০০৬ এর আগে, যেটি ২০১১ অ্যাক্টে এখন যে সংজ্ঞা আছে সেটি প্রদান করে, দাতব্য সংস্থার সংজ্ঞাটি আসে চ্যারিটিবল ইউজেস অ্যাক্ট ১৬০১ (স্টেচুট অফ এলিজাবেথ হিসাবেও পরিচিত)-এর দাতব্য উদ্দেশ্যের তালিকা থেকে, যেগুলোকে ব্যাখ্যা ও বৃদ্ধি করা হয় একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার আইনে। কমিশন ফর স্পেশাল পারপসেস অফ ইনকাম ট্যাক্স ভি. পেমসেল (১৮৯১)-তে, লর্ড ম্যাকনোটেন চার ধরনের দাতব্য সংস্থা শনাক্ত করেন যেগুলো চ্যারিটিবল ইউজেস অ্যাক্ট থেকে বের করা যায় এবং যেগুলো চ্যারিটিজ অ্যাক্ট ২০০৬-এর আগেই দাতব্য হিসাবে অনুমোদিত ছিল।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলস-এর দাতব্য সংস্থাগুলো - যেমনঃ এইজ ইউকে, রয়্যাল সোসাইটি ফর দা প্রোটেকশন অফ বার্ডস [আরএসপিবি] এবং রয়্যাল সোসাইটি ফর দা প্রোটেকশন অফ এনিমেলস [আরএসপিসিএ] (www.rspca.org.uk) -কে অবশ্যই ২০১১ এর অ্যাক্টের পরিচালনার বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে যেমনঃ দাতব্য প্রতিবেদন এবং হিসাব ও তহবিল সংগ্রহ।
২০১১-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], ইংল্যান্ড ও ওয়েলস-এ দাতব্য সংস্থার কয়েক ধরনের আইনি কাঠামো রয়েছে।
অনিগমিত সমিতি হল ইংল্যান্ড ও ওয়েলস-এর স্বেচ্ছাসেবী ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি প্রচলিত। একটি অনিগমিত সমিতি হল একাধিক ব্যক্তির মাঝে একটি চুক্তিভিত্তিক ব্যবস্থা যাঁরা একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যের জন্য একটি সংস্থা তৈরিতে একমত হয়েছেন। সাধারণত একটি অনিগমিত সমিতির নিজস্ব পরিচালনা নথি থাকবে, একটি সংবিধান বা কিছু নিয়ম, যেটি অফিস ধারকদের নিয়োগ এবং সদস্যপদ পরিচালনার নিয়মের মত ব্যাপারগুলো দেখবে। যদিও সংস্থাটি নিজে কোনো আইনি সত্তা না। তাই এটি কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবে না, এটি অর্থ ধার করতে পারবে না, এবং এটি নিজের নামে কোনো চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারবে না। এছাড়াও কর্মকর্তারা ব্যক্তিগতভাবে দায়ী থাকবেন যদি দাতব্য সংস্থাটির বিরুদ্ধে মামলা হয় বা কোনো ঋণ থাকে।
ট্রাস্ট হল মূলত তিন পক্ষের মধ্যে একটি সম্পর্ক, কিছু সম্পদের দাতা, ট্রাস্টি যারা সম্পদ রাখা, সুবিধাভোগীরা (সেইসব মানুষ ছাড়া যারা দাতব্য থেকে উপকার লাভ করার উপযুক্ত)। যখন ট্রাস্টের দাতব্য উদ্দেশ্য থাকে, এবং একটি দাতব্য সংস্থা, তখন তাকে দাতব্য ট্রাস্ট বলা হয়। পরিচালনা নথি হল ট্রাস্ট নথি বা ট্রাস্টের ঘোষণাপত্র, যেটি একবার সব ট্রাস্টির দ্বারা স্বাক্ষরিত হবার পর কার্যকর হয়। একটি ট্রাস্টের প্রধান অসুবিধা হল যে, একটি অনিগমিত সমিতি সঙ্গে যেমন, এটির একটি পৃথক আইনি সত্তা নেই এবং ট্রাস্টিদের নিজস্ব সম্পত্তির মালিক হতে হবে এবং চুক্তিতে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়াও ট্রাস্টিরা দায়ী থাকবে যদি দাতব্য সংস্থাটির বিরুদ্ধে মামলা হয় বা দায় দ্বারা আবদ্ধ হয়।
জামানতসহ কোম্পানি লিমিটেড একটি বেসরকারি সংস্থা যেখানে সদস্যদের দায় সীমিত। একটি জামানত কোম্পানির কোনো অংশ মূলধন নেই, কিন্তু এর পরিবর্তে সদস্যরা আছে যারা অংশীদারদের পরিবর্তে জামানতকারি। যদি কোম্পানি কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সদস্যরা নামমাত্র অর্থ দিতে সম্মত আছেন যা হতে পারে £১ এর মত সামান্য। জামানতসহ কোম্পানি লিমিটেড দাতব্য সংস্থার জন্য একটি দরকারী কাঠামো যেখানে ট্রাস্টিদের জন্য সীমিত দায় থেকে রক্ষা করা কাম্য। এছাড়াও, দাতব্য সংস্থাটির আইনি বৈশিষ্ট্য আছে, চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারে, যেমন তার নিজের নামে কর্মসংস্থান চুক্তি।
কিছু সংখ্যক দাতব্য সংস্থা মিলে হয় রয়্যাল চার্টার, একটি নথি যা একটি আইনি সত্ত্বাসহ নিগম তৈরি করে (বা কিছু ক্ষেত্রে, কোম্পানির মত নিগমিত দাতব্য সংস্থাকে বদলিয়ে রয়্যাল চার্টার-এর নিগমিত দাতব্য সংস্থা করে)। রাজকীয় সম্মতি পাবার আগেই চার্টারটিকে অবশ্যই প্রিভি কাউন্সিল দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। যদিও যেসকল দফা দেওয়া হওয়া হয়েছে তার উপর নির্ভর করে দাতব্য সংস্থার প্রকৃতি পরিবর্তিত হতে পারে, সাধারণত রয়্যাল চার্টার একটি দাতব্য সংস্থাকে একটি কোম্পানির মত একই সীমাবদ্ধ দায় এবং চুক্তিতে আবদ্ধ হবার ক্ষমতা দিবে।
চ্যারিটিজ অ্যাক্ট ২০০৬ নিগমিত সংস্থার জন্য নতুন রূপের একটি আইন প্রণয়ন যেটি দাতব্য সংস্থার জন্য বিশেষভাবে তৈরি, নিগমিত দাতব্য সংস্থা, কোম্পানির মত একই ক্ষমতাসম্পন্ন কিন্তু কোম্পানি হিসাবে নিবন্ধিত হবার প্রয়োজন ছাড়া। ২০০৩ সাল থেকে সি.আই.ও. হওয়া চালু হয়, বিভিন্ন তারিখে, সর্বোচ্চ লেনদেনের দাতব্য সংস্থাদের আগে সুযোগ দিয়ে।
ফাউন্ডেশন শব্দটি সাধারণত ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস-এ ব্যবহার করা হয় না। মাঝেমাঝে, দাতব্য প্রতিষ্ঠান তার নামের অংশ হিসাবে ফাউন্ডেশন শব্দটি ব্যবহার করে যেমনঃ ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন, কিন্তু এর কোন আইনগত তাৎপর্য নেই এবং দাতব্য সংস্থাটির কাজ বা এটির আইনি কাঠামো সম্পর্কে কোনো তথ্য সরবরাহ করে না। সংস্থাটির কাঠামো উপরে বর্ণিত কাঠামোগুলোর একটি হবে।
যেসকল দাতব্য সংস্থার আয় £৫০০০ এর বেশি, এবং যাদের জন্য ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের আইন প্রযোজ্য, তাদের অবশ্যই চ্যারিটি কমিশন ফর ইংল্যান্ড ও ওয়েলস-এ নিবন্ধিত হতে হবে, যদি না তারা একটি "অব্যাহতিপ্রাপ্ত" বা "বহির্ভূত" দাতব্য সংস্থা হয়. কোম্পানীর জন্য, সাধারণত ইংল্যান্ড ও ওয়েলস-এর আইন প্রযোজ্য হবে যদি কোম্পানীটি ইংল্যান্ড ও ওয়েলস-এ নিবন্ধিত হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে, শাসক নথি যদি এটা স্পষ্ট না করে, তাহলে সংস্থাটি যে দেশের সাথে সবথেকে সম্পৃক্ত সেই দেশের আইন প্রযোজ্য হবে।
যখন দাতব্য সংস্থার আয় £৫০০০ অতিক্রম করে না, এটি চ্যারিটি কমিশন ফর ইংল্যান্ড ও ওয়েলস-এ দাতব্য সংস্থা হিসাবে নিবন্ধিত হতে পারবে না। যদিও, এটি এইচএম রেভেনিউ অ্যান্ড কাস্টমস-এ শুধুমাত্র কর উদ্দেশ্যের জন্য দাতব্য সংস্থা হিসাবে নিবন্ধিত হতে পারবে। চ্যারিটিজ অ্যাক্ট ২০০৬-এ বাধ্যতামূলক নিবন্ধন স্তর £৫০০০ বৃদ্ধির ফলে, ছোট দাতব্য সংস্থাগুলো এইচ.এম.আর.সি.-এর উপর নির্ভর করতে পারে তাদের দাতব্য উদ্দেশ্যের স্বীকৃতি এবং তাদের না-লাভ নীতি নিশ্চিত করার জন্য।
কিছু দাতব্য সংস্থা যাদের অব্যাহতি দাতব্য সংস্থা বলা হয় তাদের চ্যারিটি কমিশন-এ নিবন্ধন করার প্রয়োজন হয় না এবং অন্য কোনো চ্যারিটি কমিশন-এর তদারকি ক্ষমতার অন্তর্ভুক্ত নয়। এই দাতব্য সংস্থাগুলোর অন্তর্ভুক্ত হল অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় জাদুঘর এবং কিছু অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অন্যান্য দাতব্য সংস্থার নিবন্ধন করা প্রয়োজন বহির্ভূত করা হয়েছে, কিন্তু তারা চ্যারিটি কমিশন-এর তদারকি ক্ষমতার অন্তর্ভুক্ত থাকে। যদিও চ্যারিটিজ অ্যাক্ট ২০০৬-এ বহির্ভূত দাতব্য সংস্থার উপর আইনপরিবর্তন করা হয়েছে। অধিকাংশ বহির্ভূত দাতব্য সংস্থা হল ধর্মীয় দাতব্য সংস্থা।
উত্তর আয়ারল্যান্ড-এর দাতব্য সংস্থাগুলো ইউকে এইচএম রেভেনিউ অ্যান্ড কাস্টমস-এ নিবন্ধিত। চ্যারিটি কমিশন ফর নর্দান আয়ারল্যান্ড প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালে এবং ৭০০০ এর বেশি সংস্থার নাম এবং বিস্তারিত সংগ্রহ করেছে যাদের পূর্বে কর উদ্দেশ্যের জন্য দাতব্য অবস্থা মঞ্জুর করা হয়েছে। এইসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি নতুন ও অস্থায়ী তালিকাতে যুক্ত করার প্রক্রিয়া চালু আছে, তালিকাটির নাম "পূর্বে দাতব্য সংস্থা হিসাবে পরিচিত ছিল যে প্রতিষ্ঠানগুলো"। এই তালিকা নতুন তথ্যতালিকা নয়, কিন্তু সিসিএনআই ওয়েবসাইটে এটি সার্বজনীনরূপে উপলব্ধ করা হবে।
স্কটল্যান্ড-এর প্রায় ২৪,০০০ বা তার কাছাকাছি দাতব্য সংস্থা অফিস অফ দা স্কটিশ চ্যারিটি রেগুলেটর (ওএসসিআর)-এ নিবন্ধিত, যারা এছাড়াও দাতব্য সংস্থার একটি তথ্যতালিকা অনলাইনে প্রকাশ করে।
দাতব্য সংস্থাগুলো, এমনকি দাতব্য ট্রাস্টগুলোও, ইউকে-তে করব্যবস্থা থেকে জটিল ধরনের পরিত্রাণ ও অব্যাহতি পাবার যোগ্য। এর মধ্যে আছে আয় কর, মূলধনী কর, উত্তরাধিকার কর, স্ট্যাম্প শুল্ক, ভূমি কর ও মূল্য সংযোজন কর থেকে পরিত্রাণ ও অব্যাহতি। এই কর অব্যাহতির ব্যাপারে সমালোচনা আছে যে বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো সত্যিকার অর্থে দাতব্য কোনো কাজ করার থেকে তাদের দাতব্য অবস্থা ব্যবহার করতে পারছে কর ফাঁকি দেবার কৌশল হিসাবে।
আয়ারল্যান্ড-এ দাতব্য সংস্থার নিবন্ধনের জন্য কোনো আইনি কাঠামো নেই। অফিস অফ দা রেভেনিউ কমিশনারস-এর দাতব্য বিভাগ সংস্থাগুলোর উপাত্তভাণ্ডার দেখাশোনা করে যাদের তারা দাতব্য কর অব্যাহতির অনুমতি দিয়েছে। কর অব্যাহতির অনুমতি দেবার ক্ষেত্রে, দাতব্য বিভাগ সংস্থাকে একটি সিএইচওয়াই রেফারেন্স নম্বর দেয়। যাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাদের সম্পূর্ণ তালিকা রাজস্ব কমিশনারের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা আছে।
আইরিশ ননপ্রফিটস নলেজ এক্সচেঞ্জ (আইএনকেএক্স) আইরিশ অলাভজনক সংস্থার উপাত্তভাণ্ডার তৈরি করে যাতে সেটি আইরিশ জনসাধারণের সুবিধার লক্ষ্যে করা অলাভজনক সংস্থাগুলোর নিয়ন্ত্রক এবং স্বেচ্ছায় প্রকাশ তথ্যের ভাণ্ডার হিসাবে কাজ করে। সংস্থাটি তাদের সেবা প্রদান অব্যাহত রাখার জন্য বর্তমানে সরকারি অর্থায়ন খুঁজছে।
যুক্তরাষ্ট্রে, দাতব্য সংস্থা হল একটি সংস্থা যেটি জনস্বার্থের জন্য উপকারী এমন উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। বিভিন্ন ধরনের দাতব্য সংস্থা আছে। প্রতিটি যুক্তরাষ্ট্র ও বিদেশি দাতব্য সংস্থা যেগুলো -এর অনুচ্ছেদ ৫০১ (গ) (৩) অনুযায়ী কর অব্যাহতির যোগ্যতা অর্জন করে তাদের "বেসরকারি ফাউন্ডেশন" হিসাবে গণ্য করা হয়, যদি না এটি আইআরএস-এ দেখায় যে এটি অন্য বিষয়শ্রেণীর মধ্যে পড়ে। সাধারণত, কোনো সংস্থা যেটি বেসরকারি ফাউন্ডেশন না (যেমনঃ এটা অন্য কিছু হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করে) ইন্টারনাল রেভিনিউ কোড-এর ৫০৯ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সেটি হল একটি জনসাধারণের দাতব্য।
এছাড়াও, বেসরকারি ফাউন্ডেশন সাধারণত এর প্রধান তহবিল সংগ্রহ করে ব্যক্তি, পরিবার, কর্পোরেশন, বা অন্য কোনো একক উৎস থেকে এবং।র থেকে বেশি সময় এবং জনগণের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহের অনুরোধ করে না। অন্য দিকে, একটি ফাউন্ডেশন বা জনসাধারণের দাতব্য সাধারণত ব্যক্তি, সরকার ও বেসরকারি ফাউন্ডেশন থেকে অনুদান পায়, এবং যদিও কিছু জনসাধারণের দাতব্য অনুদান প্রদানের কর্মকান্ডে নিয়োজিত, বেশিরভাগ সরাসরি সেবা প্রদান করে বা অন্যান্য কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এটি আরেকটি পার্থক্য সৃষ্টি করে, ফাউন্ডেশন যেগুলো মূলত অনুদান প্রদান করে (যেমনঃ এগুলো তাদের সম্পদ অন্য সংস্থাকে অনুদান দেবার জন্য ব্যবহার করে, যার বদলে ঐ সংস্থা পরোক্ষভাবে ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য পূরণে কাজ করে) সেগুলোকে সাধারণত "অনুদান প্রদানকারী" বা "অ-সক্রিয়" ফাউন্ডেশন বলা হয়। অবশ্যই এগুলো হয় বেসরকারি ফাউন্ডেশন, কিন্তু কিছু বেসরকারি ফাউন্ডেশন (এবং বেশিরভাগ সরকারি দাতব্য সংস্থা) তাদের প্রাপ্ত তহবিল সরাসরি "নিজস্ব" সেবা কার্যক্রম এবং লক্ষ্য পূরণে ব্যবহার করে।
অ-সক্রিয় বেসরকারি ফাউন্ডেশনের উদাহরণ হলঃ রকেফেলার ফাউন্ডেশন এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
সক্রিয় ফাউন্ডেশন বা সরকারি দাতব্য সংস্থার উদাহরণের মাঝে আছেঃ লাভ ফর দা এল্ডারলি, এলিজাবেথ গ্লেসার পেডিয়াট্রিক এইডস ফাউন্ডেশন, আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি, মেইক এ উইশ ফাউন্ডেশন, ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড, এবং হ্যান্ডস ফর মিউজিক ফাউন্ডেশন।
দাতব্য সংস্থা গঠনের শর্ত ও প্রক্রিয়া রাজ্যভেদে ভিন্ন হয়, এমনকি দাতব্য সংস্থা যেগুলো দাতব্য কার্যক্রম করে, দাতব্য অবদানের অনুরোধ করে, বা পেশাদার তহবিল সংগ্রহকারী ভাড়া নিয়োগ দেয় সেগুলোর নিবন্ধন এবং জমার শর্তও ভিন্ন হয়। তাই বাস্তবে "দাতব্য সংস্থার" বিস্তারিত সংজ্ঞা নির্ধারিত হয় যেখানে দাতব্য সংস্থাটি কার্যক্রম পরিচালনা করে সেই রাজ্যের আইনের শর্ত, এবং আইআরএস-এর কেন্দ্রীয় কর মুক্তির শর্ত দ্বারা।
ইউএস দাতব্য সংস্থাগুলোর ব্যাপারে তথ্য, এমনকি ক্রম সম্পর্কে জানার ব্যবস্থা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় কর আইন অলাভজনক সংস্থাগুলোকে কর সুবিধা দেয় যা ইন্টারনাল রেভিনিউ কোড (আইআরসি)-এর অনুচ্ছেদ ৫০১ (গ) (৩) অনুযায়ী কেন্দ্রীয় আয় কর থেকে অব্যাহতি দেয়। অনুচ্ছেদ ৫০১ (গ) (৩)-এর সুবিধার মধ্যে আছে কেন্দ্রীয় আয় কর থেকে অব্যাহতি পাশাপাশি কর মুক্ত দাতব্য সাহায্য গ্রহণের ক্ষমতা। অনুচ্ছেদ ৫০১ (গ) (৩)-এর সুবিধাটি পাবার জন্য অধিকাংশ সংস্থাকে অবশ্যই ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিস (আইআরএস) বরাবর আবেদন করতে হবে।
অনুচ্ছেদ ৫০১ (গ) (৩)-এর সুবিধাটি পাবার জন্য দাতব্য সংস্থাকে কয়েকটি শর্ত অবশ্যই পূরণ করতে হবে। এর মধ্যে আছে সংস্থাটিকে নিগম হিসাবে, ট্রাস্ট, বা অনিগমিত সমিতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে, এবং সংস্থা প্রতিষ্ঠার নথি (যেমনঃ নিগম এর নিয়মাবলী, ট্রাস্ট এর নথি, বা সমিতির নিয়মাবলী) যাতে অবশ্যই এর উদ্দেশ্য দাতব্যের মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখে, এবং স্থায়ীভাবে দাতব্য উদ্দেশ্যে তার সম্পদ নিয়োজিত করে। সংস্থাকে অন্যান্য কার্যক্রম করা থেকে বিরত থাকতে হবে যেমনঃ স্থানীয়, রাজ্যের, কিংবা কেন্দ্রীয় অফিসের কোনো প্রার্থীর রাজনৈতিক প্রচারণায় অংশগ্রহণ, এবং অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে এটির আয় দ্বারা কোনো একক বাক্তি লাভবান হবে না। অধিকাংশ কর অব্যাহতি সংস্থাকে রাজ্যে এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন (আইআরএস ফর্ম ৯৯০) জমা দিতে হয়। একটি কর অব্যাহতি সংস্থার ৯৯০ এবং আরো কিছু ফর্ম খতিয়ে দেখার জন্য জনগণের কাছে উপলব্ধ করা হয়।
দাতব্য সংস্থার ধরন যেগুলো আইআরএস জনসাধারণের সুবিধার জন্য গঠিত বলে মনে করেঃ
কিছু সংখ্যক অন্যান্য সংস্থা, যেগুলো সংগঠিত হয়েছে ধর্মীয়, বৈজ্ঞানিক, সাহিত্যিক এবং শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে, এমনকি যেগুলো জনগণের নিরাপত্তা পরীক্ষা এবং জাতীয় বা আন্তর্জাতিক অপেশাদার ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিকাশের জন্য, এবং শিশু বা প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা রোধের জন্য, সেগুলোও অব্যাহতি পাবার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।
টেমপ্লেট:Charity
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article দাতব্য সংস্থা, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.