থমাস ইয়ং

থমাস ইয়ং (১৩ জুন ১৭৭৩ - ১০ মে ১৮২৯) একজন ইংরেজ বহুবিদ্যাবিশারদ ছিলেন চাক্ষুষ জ্ঞান, সলিড মেকানিক্স, শক্তি, শারীরিক শিক্ষা, ভাষা, সুর এবং ইজিপ্টটলজি বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন। তিনি "বেশ কিছু সংখ্যক অকৃত্রিম ও অন্তদৃষ্টিপূর্ণ আবিষ্কার করেছিলেন।" তিনি জিন-ফ্রান্সোইস চ্যাম্পলিয়ন অবশেষে নিজের কাজের ব্যাপ্তি ঘটানোর পূর্বেই মিশরীয় হিয়েরোগ্লাফিক রহস্যোদ্ধার করেন(বিশেষ করে রোসেটা প্রস্তর ফলক) ।

Thomas Young
থমাস ইয়ং
জন্ম(১৭৭৩-০৬-১৩)১৩ জুন ১৭৭৩
Milverton, Somerset, England
মৃত্যু১০ মে ১৮২৯(1829-05-10) (বয়স ৫৫)
London, England
মাতৃশিক্ষায়তনUniversity of Edinburgh Medical School
University of Göttingen
Emmanuel College, Cambridge
পরিচিতির কারণWave theory of light
Double-slit experiment
Astigmatism
Young–Helmholtz theory
Young temperament
Young's Modulus
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রPhysicsPhysiologyEgyptology
স্বাক্ষর
থমাস ইয়ং

ইয়ংকে "শেষ ব্যক্তি যে সব জানত" হিসেবে বর্ণনা করা হয়। উনার কাজ পরবর্তী উইলিয়াম হার্শেল, হারম্যান ভন হেলহোল্টজ, জেমস ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল এবং অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের কাজকে প্রভাবিত করে। ইয়ংকে আলোর তরঙ্গ তত্ত্বের আবিষ্কারক বলা হয়, যা নিউটনের আলোর কণা তত্ত্বের বিপরীত। ইয়ং-এর কাজ পরবর্তীতে অগস্টিন-জিন ফ্রেসনেলের কাজের ভিত্তি হয়ে দাড়ায়।

জীবনী

ইয়ং সমারসেট, মিলভেন্তনের একটি কোয়াকার পরিবারের ছিলেন। তিনি ১৭৭৩ সালে, দশ সন্তানের জোষ্ঠ হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। চৌদ্দ বছর বয়সে তিনি গ্রীক ও ল্যাটিন শিখেন।

১৭৯২ সালে লন্ডনের সেইন্ট. বর্থমেলো হসপিটালে ইয়ং চিকিৎসাবদ্যায় অধ্যয়ন শুরু করেন, ১৭৯৪ সালে এডিনবার্গ মেডিকেল স্কুলে স্থানান্তর করেন, এবং এক বছর পরে জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনিতে অবস্থিত গ্যাটিনজেনে যান, যেখানে তিনি ১৭৯৬ সালে গ্যাটিনজেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিসিনের ডাক্তার ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৭৯৭ সালে কেমব্রিজের এমমানুয়েল কলেজে প্রবেশ করেন। একই বছরে তিনি দাদু-মামা রিচার্ড ব্রকলসবির উত্তরাধিকারে প্রাপ্ত সম্পত্তি তাকে আর্থিকভাবে অনির্ভরশীল করে তুলে এবং ১৭৯৯ সালে তিনি নিজেকে লন্ডনের ৪৮ ওয়েলব্যাক স্ট্রীটে(বর্তমানে একটি নীল প্লাকের মাধ্যমে লিপিবদ্ধ) একজন চিকিৎসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ইয়ং চিকিৎসক হিসেবে নিজের খ্যাতি বজায় রাখতে নিজের প্রথম কিছু একাডেমিক নিবন্ধ বেনামে প্রকাশ করেন।

১৮০১ সালে, ইয়ংকে রয়েল ইনস্টিটিউশনে প্রাকৃতিক দর্শনের(মুলত পদার্থবিজ্ঞান) অধ্যাপক হিসেবে নিয়জিত করা হয়। দুই বছরে তিনি ৯১ টি লেকচার প্রদান করেন। ১৮০২ সালে, তিনি রয়েল সোসাইটি-এর পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে নিয়োজিত হন, যেখানেই তিনি একটি সদস্য হিসেবে ১৭৯৪ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৮০৩ সালে অধ্যাপনা থেকে অবসর গ্রহণ করেন, এই ভয়ে যে এটি উনার চিকিৎসাবিদ্যা অনুশীলনে হস্তক্ষেপ করবে। উনার লেকচার গুলো ১৮০৭ সালে প্রাকৃতিক দর্শন উপর লেকচার কোর্স -এ প্রকাশিত হয় এবং এতে তার পরবর্তী তত্ত্বের বেশ কিছু ধারণা আছে।

১৮১১ সালে, ইয়ং সেন্ট জর্জ হাসপাতালের একটি চিকিৎসক হিসেবে নিয়োজিত হন এবং ১৮১৪ সালে লন্ডনের - - - - - - -। ১৮১৬ সালে তিনি সেকেন্ড দোলকের নির্ভুল দৈঘ্য নির্ণয়ের কাজে যুক্ত একটি কমিশনের সচিব ছিলেন এবং ১৮১৮ সালে তিনি বোর্ড অফ লংজিটুডের সচিব হন এবং এইচএম নটিক্যাল আলমানাক অফিসের সুপারিনটেনডেন্ট হন।

ইয়ংকে ১৮২২ সালে আমেরিকান একাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের ফরেইন অনরারি মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। মৃত্যুর কয়েক বছর পূর্বে তিনি জীবনবীমার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেন এবং ১৮২৭ সালে তিনি ফ্রেঞ্চ একাডেমী অফ সায়েন্সের আটজন বিদেশি সহযোগীর মধ্যে একজন হিসেবে নির্বাচিত হন। একই বছরে তিনি বাহিরে থেকেই নেদারল্যান্ডসের রয়েল ইনস্টিটিউটের প্রথম শ্রেণীর সংশ্লিষ্ট সদস্য হন। ১৮২৮ সালে তিনি রয়্যাল সুইডিশ বিজ্ঞান একাডেমির বিদেশি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

ইয়ং ১৮০৪ সালে এলিযা মাক্সওয়েলকে বিবাহ করেন। তাদের কোনো সন্তান ছিল না।

মৃত্যু, উত্তরাধিকার এবং খ্যাতি

থমাস ইয়ং ১৮২৯ সালের ১০ মে লন্ডনে নিজের ৫৬তম বর্ষে মৃত্যুবরণ করেন, - - - - - -। - - - - -।

পবিত্র সৃতিতে থমাস ইয়ং, এম. ডি., ফ্রান্সের জাতীয় বিশ্ববিদালয়ের রয়েল সোসাইটি-এর সদস্য ও পররাষ্ট্র সচিব; মানব জ্ঞানের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই সমভাবে বিশিষ্ট, নিরবচ্ছিন্ন শ্রমের ভোগী, স্বজ্ঞাত দৃষ্টিভঙ্গির দক্ষতায় সমৃদ্ধ, যিনি, ভাষা ও বিজ্ঞানের সবচেয়ে দুর্বোধ্য তদন্তে সমান দক্ষতা লাভ করেছেন, সর্বপ্রথম আলোর তরঙ্গ তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত করেন, এবং সর্বপ্রথম সেই অস্পষ্টতাকে ভেদ করতে সক্ষম হন যা মিশরীয় হায়ারোগ্লিফসকে বহুদিন যাবত আচ্ছাদিত করে রেখেছিল। গার্হস্থ্য গুনাবলির জন্য বন্ধুদের কাছে প্রিয়, অদ্বিতীয় অর্জনের জন্য বিশ্বের কাছে সম্মানিত, তিনি - - - - আশায় মৃত্যুবরণ করেন। — ১৩ই জুন ১৭৭৩ সালে মিলভেন্তনের সমারসেটে জন্মগ্রহণ। ১৮২৯ সালের ১০ মে লন্ডনে ৫৬তম বর্ষে মৃত্যুবরণ।

ইয়ং নিজের বন্ধু এবং সহকর্মী দ্বারা অত্যন্ত গণ্য ছিলেন। তিনি কখনো নিজের জ্ঞান অন্যদের উপর চাপিয়ে দিতেন না, কিন্তু জিজ্ঞেস করা হলে সবচেয়ে কঠিন বৈজ্ঞানিক প্রশ্নের উত্তরও সহজে দিতে পারতেন। অনেক জ্ঞাত হওয়ার পরেও তিনি মাঝে মাঝে নিজের জ্ঞান প্রকাশে জটিলতার সম্মুখীন হতেন। একজন বলেছিলেন যে, “ উনার শব্দগুলো পরিচিত ভাষার বহির্ভূত ছিল, এবং তাঁর ধারণার বিন্যাস খুব কমই কথার বিন্যাসের মত হতো। এজন্যেই তিনি আমার চেনা মানুষদের মধ্যে জ্ঞান প্রকাশে সবচেয়ে কম দক্ষ ছিলেন।

পরবর্তী বিজ্ঞানী এবং বিশেষজ্ঞরা ইয়ং-এর কাজের প্রশংসা করেছেন যদিও তাঁরা উনাকে কেবল নিজেদের ক্ষেত্রে করা অবদানের মাধ্যমে চেনে। তাঁর সমকালীন স্যার জন হার্শেল উনাকে ‘সত্যই আসল প্রতিভাবান’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। আইজাক নিউটনের অপটিক্স বইয়ের একটি সংস্করণের ভূমিকায় আলবার্ট আইনস্টাইন উনার প্রশংসা করেন। অন্যান্য প্রশংসকদের মধ্যে পদার্থবিজ্ঞানী লর্ড রেলেইগ এবং নোবেলজয়ী ফিলিপ অ্যান্ডারসন অন্তর্ভুক্ত।

থমাস ইয়ং-এর নাম অনুযায়ী লন্ডন ভিত্তিক থমাস ইয়ং সেন্টার। এটি বস্তুর তত্ত্ব ও সিমুলেশনে নিযুক্ত একাডেমিক রিসার্চ গ্রুপের একটি সহায়ক। তাঁর সম্মানে গ্রিনল্যান্ডের ইয়ং সাউন্ডের নাম ছিল উইলিয়াম স্কোরসবি(১৭৮৯-১৮৫৭)।

গবেষণা

আলোর তরঙ্গ তত্ত্ব

ইয়ং-এর নিজের মত অনুসারে, তাঁর সকল অর্জনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল আলোর তরঙ্গ তত্ত্ব। এটি করার জন্য, উনাকে শতাব্দী পুরাতন ধারণাকে কাটিয়ে উঠতে হয়, নিউটনের বিখ্যাত অপটিক্স-এ প্রকাশিত ধারণা যে আলো হলো একটি কণা। যাহক, উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ইয়ং আলোর তরঙ্গ তত্ত্বকে সমর্থন করে বেশ কিছু তাত্ত্বিক যুক্তি একত্রিত করেন, এবং এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে তিনি দুইটি শক্তিশালী উদাহরণ তৈরি করেন। তিনি রিপল ট্যাঙ্কের সাহায্যে পানির ঢেউ দ্বারা ব্যাতিচারের ধারণা ব্যাখা করেন। আর ইয়ং-এর দ্বি-চির পরীক্ষায় বাতিচারের মাধ্যমে আলোকে তরঙ্গ হিসেবে বর্ণনা করা হয়।

থমাস ইয়ং 
Plate from "Lectures" of 1802 (RI), pub. 1807

ইয়ং-এর গুণাঙ্ক

থমাস ইয়ং 
Young's Mathematical Elements of Natural Philosophy

ইয়ং-ল্যাপলেস সমীকরণ

ইয়ং-এর সমীকরণ এবং ইয়ং-ডুপ্রে সমীকরণ

চিকিৎসা

ভাষা

মিশরীয় হায়ারোগ্লিফস

সংগীত

ধার্মিক মতামত

নির্বাচিত লেখনী

Tags:

থমাস ইয়ং জীবনীথমাস ইয়ং মৃত্যু, উত্তরাধিকার এবং খ্যাতিথমাস ইয়ং গবেষণাথমাস ইয়ং নির্বাচিত লেখনীথমাস ইয়ং

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

মদিনামল্লিকা সেনগুপ্তস্বামী স্মরণানন্দফিলিস্তিননেপোলিয়ন বোনাপার্টমৌলসমূহের ইলেকট্রন বিন্যাস (উপাত্ত পাতা)বেদরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়দুর্গাপূজাক্যাসিনোচট্টগ্রামজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতাপিনাকী ভট্টাচার্যনরেন্দ্র মোদীশাহরুখ খানলালবাগের কেল্লাছিয়াত্তরের মন্বন্তরসিলেট বিভাগদ্বিতীয় মুরাদরবীন্দ্রসঙ্গীতমাইটোসিসহোমিওপ্যাথিরামকৃষ্ণ মিশনমহেন্দ্র সিং ধোনিঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনঅসমাপ্ত আত্মজীবনীরাধাবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকা২০১৮–১৯ লা লিগাজনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)কৃষ্ণচন্দ্র রায়যুক্তরাজ্যমুহাম্মাদ ফাতিহবিভিন্ন দেশের মুদ্রাপাবনা জেলাসোমালিয়াশবে কদরমিয়ানমারফিফা বিশ্বকাপ ফাইনালের তালিকাবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলঠাকুর অনুকূলচন্দ্রমাশাআল্লাহদাজ্জালশেখ হাসিনাঅ্যান্টিবায়োটিকবাংলা ভাষা আন্দোলনদ্বৈত শাসন ব্যবস্থামানিক বন্দ্যোপাধ্যায়কোটিআংকর বাটবাংলার ইতিহাসবিতর নামাজছয় দফা আন্দোলননাটকমূলদ সংখ্যাঅর্থ (টাকা)প্রথম বিশ্বযুদ্ধশ্রীকৃষ্ণকীর্তনগাজওয়াতুল হিন্দগাঁজা (মাদক)জাকির নায়েকমুজিবনগরচর্যাপদমূত্রনালীর সংক্রমণইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগওমানসংস্কৃত ভাষাবাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসরংপুর বিভাগযতিচিহ্নপ্রেমপারারবীন্দ্রনাথ ঠাকুরজালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমিবাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলজাতিসংঘবসন্ত🡆 More