জিওফ ডাইমক: অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার

জিওফ্রে ডাইমক (ইংরেজি: Geoff Dymock; জন্ম: ২১ জুলাই, ১৯৪৫) কুইন্সল্যান্ডের মেরিবোরায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮০ সময়কালে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ২১ টেস্ট ও ১৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে কুইন্সল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন জিওফ ডাইমক। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন।

জিওফ ডাইমক
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজিওফ্রে ডাইমক
জন্ম (1945-07-21) ২১ জুলাই ১৯৪৫ (বয়স ৭৮)
মেরিবোরা, কুইন্সল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৬৮)
২৬ জানুয়ারি ১৯৭৪ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৮ মার্চ ১৯৮০ বনাম পাকিস্তান
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ২১)
৩০ মার্চ ১৯৭৪ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ ওডিআই২০ আগস্ট ১৯৮০ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৭১–১৯৮২কুইন্সল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ২১ ১৫ ১২৬ ৪১
রানের সংখ্যা ২৩৬ ৩৫ ১৫১৮ ৯৭
ব্যাটিং গড় ৯.৪৩ ১১.৬৬ ১৪.৪৫ ৯.৭০
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ১/৩ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৩১* ১৪* ১০১* ১৫*
বল করেছে ৫৫৪৫ ৫৫৪৫ ২৭৭২৬ ২২০২
উইকেট ৭৮ ১৫ ৪২৫ ৫৫
বোলিং গড় ২৭.১২ ২৭.৪৬ ২৬.৯১ ২২.০৩
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৩
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৭/৬৭ ২/২১ ৭/৬৭ ৫/২৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১/– ১/– ৪১/– ৭/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৯ মার্চ ২০১৮

২৬ জানুয়ারি, ১৯৭৪ তারিখে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে জিওফ ডাইমকের। অ্যাডিলেড ওভালে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট লাভের গৌরব অর্জন করেন। ঐ টেস্টে তার দল জয় পেয়েছিল।

টেস্টের ইতিহাসে তৃতীয় বোলার হিসেবে খেলায় প্রতিপক্ষের এগারো খেলোয়াড়কে আউট করতে পেরেছেন। এছাড়াও ছয়জন খেলোয়াড়ের একজনরূপে এ অবিশ্বাস্য অর্জনের সাথে নিজনামকে স্মরণীয় করে রেখেছেন তিনি।

ঘরোয়া আসরের ক্রিকেটে ১৯৮০ থেকে ১৯৮২ সময়কালে কুইন্সল্যান্ডের ৯টি খেলায় দলের অধিনায়কত্ব করেন।

গিডিওন হেইয়ের ভাষ্যমতে,

জিওফ ডাইমক এমন এক যুগে খেলেছিলেন যখন অস্ট্রেলিয়া দলে তুলনামূলকভাবে কম প্রতিভাধর ফাস্ট-বোলার ছিল ও আরও অধিক টেস্ট খেলতে পারতেন। সম্ভবতঃ নিজের অনাগ্রহতার কারণেই বুশরেঞ্জার্স দাড়িওয়ালা ক্রীড়াপ্রতিভা ৩৪ বছরবয়সে ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে খেলার জগৎ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখেন। ভারতে এবং নিজদেশে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্টইন্ডিজের বিপক্ষে তিনি বামহাতি সিমারের অপূর্ব দক্ষতার নিদর্শন স্বাক্ষর রেখেছেন। তাঁর অবিশ্রান্ত পরিশ্রমের ফসল।

ঘরোয়া ক্রিকেট

১৯৭১-৭২ মৌসুমে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে জিওফ ডাইমকের। দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় তিনি ৪/৩৪ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করিয়েছিলেন। পরের মৌসুমে ২৬.০৮ গড়ে ২৪ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে ১৯.৮৮ গড়ে ৫১ উইকেট সংগ্রহ করে সুন্দর ঘরোয়া মৌসুম উদ্‌যাপন করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

১৯৭৩-৭৪ মৌসুমের গ্রীষ্মকালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় তার। অ্যাডিলেডে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে টনি ডেলের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার দল নির্বাচকমণ্ডলী অনেক নতুন খেলোয়াড়কে পরীক্ষামূলকভাবে খেলায় অন্তর্ভুক্তি ঘটায়। ফলশ্রুতিতে, অ্যালান হার্স্টঅ্যাশলে উডককের সাথে তারও একযোগে অভিষেক ঘটে। খেলায় তিনি ২/৪৪ ও ৫/৫৮ লাভ করেন। অস্ট্রেলিয়া দল খুব সহজেই ইনিংস ও ৫৭ রানে জয় পায়।

নিউজিল্যান্ড সফর

১৯৭৪ সালে নিউজিল্যান্ড সফরের জন্য জিওফ ডাইমককে দলের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সিরিজের প্রথম টেস্টে তিনি ৩/৭৭ লাভ করেছিলেন।

দ্বিতীয় টেস্টে তাকে বেশ প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। খেলায় তিনি ৩/৫৯ ও ৯/৮৪ লাভ করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তার ক্রীড়াশৈলী বেশ দূর্বলমানের হিসেবে প্রতীয়মান হয়। খেলায় নিউজিল্যান্ড দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট জয় করতে সক্ষম হয়েছিল। এরফলে ডাইমককে তৃতীয় টেস্টে খেলানো হয়নি।

১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্তিতে সম্মুখসারিতে অবস্থান করছিলেন জিওফ ডাইমক।

গ্রীষ্মের শুরুতে ১৬.৮০ গড়ে ২০ উইকেট পেয়েছিলেন। তন্মধ্যে, সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট সংগ্রহ করার কৃতিত্ব দেখান। তবে, দল নির্বাচকমণ্ডলী ডেনিস লিলি, জেফ থমসনম্যাক্স ওয়াকারকে তার তুলনায় প্রাধান্য দিয়েছিলেন। ঐ গ্রীষ্মে ২৩.৯৫ গড়ে ৪৬টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, জেফ থমসন আঘাত পাওয়ায় সিরিজের ৬ষ্ঠ টেস্টে তাকে দলে নেয়া হয়। তবে, ডাইমক ১/১৩০ পেলে অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের ব্যবধানে পরাভূত হয়েছিল।

১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে ধীরগতিতে অগ্রসর হন জিওফ ডাইমক। ৩১.৮৬ গড়ে ২২ উইকেট লাভ করেন। ফলে লিলি, থমসন, ওয়াকার ও গ্যারি গিলমোরের ন্যায় তারকা সমৃদ্ধ বোলারের অস্ট্রেলিয়া দলে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ পাননি। তবে, পরবর্তী গ্রীষ্মকালে ২৪.৬৫ গড়ে ৩৪ উইকেট পান। তন্মধ্যে, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫/২৪ লাভের প্রেক্ষিতে ১৯৭৭ সালের অ্যাশেজ সিরিজে গিলমোরের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি।

অ্যাশেজ সিরিজ

ইংল্যান্ডে অবস্থানকালে জানা যায় যে, ক্যারি প্যাকারের ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে অংশগ্রহণের বাইরে থাকা সফরকারী দলের চারজন সদস্যের একজন ছিলেন তিনি। তাসমানিয়ায় ক্রিকেট খেলার জন্য প্রস্তাবনা পান। কিন্তু, গ্যারি কোজিয়ার ও থমসনের বিজ্ঞাপনী উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান রেডিও স্টেশন ফোরআইপি থেকে প্রস্তাবনা পেলে তিনি তাসমানিয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।

এ সফরের শুরুতে ৩১.২০ গড়ে ১৫ উইকেট পেলেও একমাত্র পেস বোলার হিসেবে তাকে কোন টেস্ট খেলানো হয়নি।

১৯৭৭-৭৮ মৌসুমের গ্রীষ্মকালে জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলী কর্তৃক উপেক্ষিত হন। সফরকারী ভারত দলের বিপক্ষে কোন টেস্টে খেলানো হয়নি। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্যও তাকে মনোনীত করা হয়নি।

১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে বেশ ভালোভাবে যাত্রা শুরু করেন। ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে ৫/৪৫ পান তিনি। এরফলে, দ্বিতীয় টেস্ট খেলার জন্য ডাইমককে মনোনীত করা হয়। তবে, খেলায় তিনি ১/৭২ ও ১/৫৩ পান। কিন্তু, তৃতীয় খেলায় তুলনামূলকভাবে ভালো করেন। ৩/৩৮ ও ২/৩৭ লাভের প্রেক্ষিতে অস্ট্রেলিয়ার জয়ে কিছুটা ভূমিকা রাখতে সমর্থ হন তিনি।

চতুর্থ টেস্টে ০/৩৪ ও ০/৩৫ পান তিনি। ফলশ্রুতিতে, পঞ্চম টেস্টে দলের বাইরে অবস্থান করতে হয় তাকে।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক খেলার জন্য রডনি হগের স্থলাভিষিক্ত হন। দ্বিতীয় ওডিআইয়ে খেলার শুরুতেই ২/২১ নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে খেলায় জয়লাভে প্রভূতঃ সহায়তা করেন। খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

শেফিল্ডের খেলায় ৬৭ তুলে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান সংগ্রহ করেন তিনি।

পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের মাধ্যমে পুনরায় জাতীয় দলে ফিরে আসেন। খেলায় তিনি ৩/৬৫ ও ১/৭২ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিজয়ে কিছুটা ভূমিকা রাখতে সমর্থ হন।

ভারত সফর

১৯৭৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলের অন্যতম সদস্যরূপে মনোনীত হন। তবে, পাকিস্তানের বিপক্ষে পরাজিত হয়ে গ্রুপ পর্বে তার দলকে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল।

এরপর তিনি দলের সাথে ভারত গমন করেন। প্রথম টেস্টে ০/৬৫ পান তিনি। তবে তার ব্যাটিংয়ের কল্যাণে অস্ট্রেলিয়া দল টেস্ট ড্র করতে সমর্থ হয়েছিল।

দ্বিতীয় টেস্টে দলের বাইরে অবস্থান করেন। কিন্তু তৃতীয় টেস্টে ৫/৯৯ ও ৭/৬৭ নিয়ে দলকে জয় এনে দেন। এরফলে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের তৃতীয় বোলার হিসেবে প্রতিপক্ষের ১১ ব্যাটসম্যানের সকলকে আউট করার বিরল কৃতিত্ব প্রদর্শনে সক্ষমতা দেখান। তার পূর্বে ১৯৫৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংরেজ অফ স্পিনার জিম লেকার ও পরবর্তীতে ১৯৬৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতীয় অফ স্পিনার শ্রীনিবাসরাঘবন ভেঙ্কটরাঘবন এ কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।

চতুর্থ টেস্টে ৪/১৩৫ ও অপরাজিত ৩১ রান তুলেন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হয়েছিল। পঞ্চম টেস্টে ২/৫৬ ও ৪/৬৩ ও ষষ্ঠ টেস্টে ২/৯৫ পেয়েছিলেন। ভারত সফরে তিনি ২৩.০৬ গড়ে ৩২টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পেয়েছিলেন।

বিশ্ব সিরিজ পরবর্তী ক্রিকেট

বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট থেকে ফিরে আসার ডেনিস লিলি, জেফ থমসন ও লেন পাস্কো’র ন্যায় বোলার ফিরে আসলে ডাইমকের স্থানচ্যূতির সমূহ সম্ভাবনা দেখা দেয়। তবে, ঘরোয়া ক্রিকেটে চমৎকার ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপনার প্রেক্ষিতে গ্রেগ চ্যাপেলের নেতৃত্বাধীন টেস্ট দলে তাকে রাখা হয় ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলার সুযোগ পান।

শুরুতে দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে তাকে রাখা হলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে খেলার সুযোগ পান। খেলায় তিনি ৩/৫২ ও ৬/৩৪ লাভ করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টেও তাকে রাখা হয়। খেলায় তিনি ৪/১০৬ পান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ৪/৪২ ও ৩/৩৮ পান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে ২/৭৪ ও ৫/১০৪ লাভ করেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ১/৫৪ ও ০/৩০ পান।

পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড সফর

১৯৮০ সালে পাকিস্তান সফরের জন্য জিওফ ডাইমক মনোনীত হন। স্পিন সহায়ক প্রথম টেস্টে তিনি মাত্র সাত ওভার বোলিং করেছিলেন। দ্বিতীয় টেস্টে ১/৪৯ ও তৃতীয় টেস্টে ০/৬৬ পান।

১৯৮০ সালে ইংল্যান্ড সফরে যান। এটিই তার সর্বশেষ টেস্ট ছিল। শতবার্ষিকী টেস্টে খেলার জন্য মনোনীত হন। কিন্তু খেলায় তাকে নেয়া হয়নি। এর বিপরীতে দুইজন স্পিনারকে দলে অন্তর্ভুক্ত করে অস্ট্রেলিয়া দল। তবে, ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করেন তিনি।

অবসর

১৯৮০-৮১ মৌসুমের শুরুতে ডাইমক ৩৫ বছর বয়সে পদার্পণ করেন। ঐ গ্রীষ্মে ৩৩.৬০ গড়ে ৩৩ উইকেট পেয়েছিলেন। তবে, টেস্ট পর্যায়ে লিলি, হগ, জিওফ লসনলেন পাস্কো সমৃদ্ধ বোলার থাকায় তাকে উপেক্ষা করা হয়। গ্রেগ চ্যাপেলের অনুপস্থিতিতে কুইন্সল্যান্ডের অধিনায়কত্ব করতেন তিনি।

বর্ণবাদের কারণে তৎকালীন নিষিদ্ধঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যক্তিগত ক্রিকেট সফরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের আপত্তি থাকায় এ সফরটি বাতিল ঘোষিত হয়। ঐ সময়ে এসিবির সাথে চুক্তিবদ্ধ ১৮জন খেলোয়াড়ের অন্যতম ছিলেন তিনি।

১৯৮১-৮২ মৌসুমে কুইন্সল্যান্ডের খেলোয়াড়-ব্যবস্থাপক হিসেবে মনোনীত হন। ব্রিসবেনের স্যামফোর্ডে স্থানান্তরিত হলে দূরত্বজনিত কারণে প্রশিক্ষণ ও খেলায় বিরূপ প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তবে, তিনি স্বাভাবিকভাবে খেলতে থাকেন ও গ্রেগ চ্যাপেলের অনুপস্থিতিকালীন দলের নেতৃত্ব দিতেন। এ সময়ে তার বোলিং অনেকাংশেই অকার্যকর হতে থাকে। ৪১.৭৭ গড়ে ২২ উইকেট পান তিনি। ঐ মৌসুম শেষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে বিদায় নেন জিওফ ডাইমক।

ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর তার উপার্জনের তেমন কোন ক্ষেত্র ছিল না। এমনকি বিদ্যালয় শিক্ষক হবারও সময় গত হয় তার। ১৯৮৩ সালে অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া পদকে ভূষিত করা হয়। এএলপি’র পক্ষ থেকে অ্যাশগ্রোভ আসনে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হলেও সফলতার মুখ দেখেননি।

কুইন্সল্যান্ড রাজ্য দলের ব্যবস্থাপকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। ১৯৮৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ১৯৮৫ সালে ইংল্যান্ড সফরে সহকারী ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯৪ সালে কুইন্সল্যান্ড দলের কোচের জন্য আবেদন করলেও তা প্রত্যাখ্যাত হয়।

২০০৬ সালে ব্যাগি গ্রিন ক্যাপ নিলামে তোলার চেষ্টা চালান। কিন্তু, চাহিদামাফিক মূল্যে বিক্রয়ের জন্য ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে পারেনি। ডাইমক কোচিং ক্লিনিক পরিচালনা করছেন।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Tags:

জিওফ ডাইমক ঘরোয়া ক্রিকেটজিওফ ডাইমক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটজিওফ ডাইমক নিউজিল্যান্ড সফরজিওফ ডাইমক অ্যাশেজ সিরিজজিওফ ডাইমক ভারত সফরজিওফ ডাইমক বিশ্ব সিরিজ পরবর্তী ক্রিকেটজিওফ ডাইমক পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড সফরজিওফ ডাইমক অবসরজিওফ ডাইমক তথ্যসূত্রজিওফ ডাইমক বহিঃসংযোগজিওফ ডাইমকঅস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দলইংরেজি ভাষাএকদিনের আন্তর্জাতিকটেস্ট ক্রিকেট

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

পশ্চিমবঙ্গনীল বিদ্রোহশ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ঈদুল ফিতরবাংলা লিপিদশাবতারকুলম্বের সূত্রপাঞ্জাব, ভারতজীবাশ্ম জ্বালানিভাষাজোয়ার-ভাটাবাংলাদেশের অর্থনীতিসালোকসংশ্লেষণহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরইস্তেখারার নামাজরামপদার্থের অবস্থাবাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজিবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানআল্প আরসালানভারত বিভাজনপাল সাম্রাজ্যর‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকক্সবাজারকালো জাদুগাঁজা (মাদক)নোরা ফাতেহিগর্ভধারণত্রিপুরাবাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষনাইট্রোজেনইলমুদ্দিনগাণিতিক প্রতীকের তালিকাফাতিমামরিশাসমাটিআংকর বাটবাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়মৌলিক পদার্থবাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের তালিকাইরানখ্রিস্টধর্মকাবা২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপজীবনবুধ গ্রহশর্করানিরাপদ যৌনতা২০২৩ ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপওবায়দুল কাদেরতারেক রহমানইশার নামাজবাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্রদেশ অনুযায়ী ইসলামবাংলাদেশ পুলিশইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনবাংলাদেশের রাজনৈতিক দলসমূহের তালিকাকম্পিউটারশুক্রাণুমক্কানরেন্দ্র মোদীজন্ডিসরূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রমূত্রনালীর সংক্রমণমহাসাগরআসরের নামাজবাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষকভূগোলমোবাইল ফোনগেরিনা ফ্রি ফায়ারবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সেক্টরসমূহগ্রীন-টাও থিওরেমতায়াম্মুমআফরান নিশোময়মনসিংহ জেলাপদ্মা সেতুচর্যাপদআহসান মঞ্জিল🡆 More