শাস্ত্রীয় বা ধ্রুপদী আরবি (আরবি: ٱلْعَرَبِيَّةُ ٱلْفُصْحَىٰ, প্রতিবর্ণীকৃত: আল-আরাবিয়াহ আল-ফুসহা) বা কুরআনীয় আরবি হল আরবি ভাষার প্রমিত সাহিত্যিক রূপ যা সপ্তম শতক থেকে শুরু করে সমগ্র মধ্যযুগ ব্যাপী ব্যবহৃত হয়েছে, বিশেষত উমাইয়া ও আব্বাসীয় খেলাফতকালীন সাহিত্যলেখনীসমূহে যেমন কবিতা, উচ্চমানের গদ্য ও বক্তৃতা, এবং পাশাপাশি এটি ইসলামের উপাসনামূলক ধর্মীয় ভাষা।
কুরআনীয় আরবি | |
---|---|
দেশোদ্ভব | ঐতিহাসিকভাবে মধ্যপ্রাচ্য |
যুগ | খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দী থেকে ৯ম শতাব্দী পর্যন্ত; ইসলাম এর একটি ধর্মীয় ভাষা হিসাবে চলমান থাকে, একটি আধুনিক উচ্চারণ সহও কথা বলা হয়। |
আফ্রো-এশিয়াটিক
| |
পূর্বসূরী | পুরনো আরবি |
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-৩ | – |
গ্লোটোলগ | নেই |
আল-আরাবিয়াহ নামক এই আরবির প্রথম বিশদ বিবরণ পাওয়া যায় সিবাওয়াইহ'র আল কিতাব নামক গ্রন্থে, যা একটি কাব্যসংকলনের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছিল, পাশাপাশি এতে ছিল কুরআন ও বেদুঈন তথ্যদাতাদের কথা যাদেরকে তিনি শাস্ত্রীয় আরবির নির্ভরযোগ্য বক্তা হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। আধুনিক আদর্শ আরবি হল এর সরাসরি উত্তরসূরী, যা আজ সারা আরব বিশ্বে লেখনী এবং আনুষ্ঠানিক কথোপকথনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, উদাহরণস্বরূপ উপস্থিত বক্তৃতা, কিছু রেডিও সম্প্রচার এবং অ-বিনোদন সামগ্রী। যদিও আধুনিক প্রমিত/আদর্শ আরবির শব্দভাণ্ডার এবং শৈলীবিদ্যা ধ্রূপদী আরবি থেকে আলাদা, তবুও এর শব্দতত্ত্ব এবং বাক্যতত্ত্ব মূলত অপরিবর্তিত রয়েছে (যদিও আধুনিক আদর্শ আরবিতে শাস্ত্রীয় আরবির বাক্য কাঠামোকে আংশিকভাবে ব্যবহার করা হয়)। আরব বিশ্বে ধ্রুপদী আরবি এবং আধুনিক আদর্শ আরবির মধ্যে সামান্য পার্থক্য করা হয় এবং উভয়কেই সাধারণত আরবীতে আল-ফুসহা (আরবি: الفصحى) বলা হয়, যার অর্থ 'বাকপটু'।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article কুরআনীয় আরবি, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.