গ্রিস জাতীয় ফুটবল দল (গ্রিক: Εθνική Ελλάδος, Ethniki Ellados, ইংরেজি: Greece national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে গ্রিসের প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম গ্রিসের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা হেলেনিক ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯২৭ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৫৪ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা উয়েফার সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯২৯ সালের ৭ই এপ্রিল তারিখে, গ্রিস প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; গ্রিসের অ্যাথেন্সে অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে গ্রিস ইতালির কাছে ৩–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।
ডাকনাম | এথনিকি (জাতীয়) গালানোলেফকি (নীল-সাদা) | ||
---|---|---|---|
অ্যাসোসিয়েশন | হেলেনিক ফুটবল ফেডারেশন | ||
কনফেডারেশন | উয়েফা (ইউরোপ) | ||
প্রধান কোচ | ইয়ন ভান্ট স্খিপ | ||
অধিনায়ক | আনাস্তাসিওস বাকাসেতাস | ||
সর্বাধিক ম্যাচ | গিয়র্গস কারাগুনিস (১৩৯) | ||
শীর্ষ গোলদাতা | নিকোস আনাস্তাপুলোস (২৯) | ||
মাঠ | অ্যাথেন্স অলিম্পিক স্টেডিয়াম | ||
ফিফা কোড | GRE | ||
ওয়েবসাইট | www | ||
| |||
ফিফা র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৪৭ (২১ ডিসেম্বর ২০২৩) | ||
সর্বোচ্চ | ৮ (এপ্রিল ২০০৮, অক্টোবর ২০১১) | ||
সর্বনিম্ন | ৬৬ (সেপ্টেম্বর ১৯৯৮) | ||
এলো র্যাঙ্কিং | |||
বর্তমান | ৩৯ ৫ (১২ জানুয়ারি ২০২৪) | ||
সর্বোচ্চ | ৭ (আগস্ট ২০০৪) | ||
সর্বনিম্ন | ৭৮ (মে ১৯৬৩, নভেম্বর ১৯৬৩) | ||
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা | |||
গ্রিস ১–৩ ইতালি (অ্যাথেন্স, গ্রিস; ৭ এপ্রিল ১৯২৯) | |||
বৃহত্তম জয় | |||
গ্রিস ৮–০ সিরিয়া (অ্যাথেন্স, গ্রিস; ২৫ নভেম্বর ১৯৪৯) | |||
বৃহত্তম পরাজয় | |||
হাঙ্গেরি ১১–১ গ্রিস (বুদাপেস্ট, হাঙ্গেরি; ২৫ মার্চ ১৯৩৮) | |||
বিশ্বকাপ | |||
অংশগ্রহণ | ৩ (১৯৯৪-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | ১৬ দলের পর্ব (২০১৪) | ||
উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ | |||
অংশগ্রহণ | ৪ (১৯৮০-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | চ্যাম্পিয়ন (২০০৪) | ||
কনফেডারেশন্স কাপ | |||
অংশগ্রহণ | ১ (২০০৫-এ প্রথম) | ||
সেরা সাফল্য | গ্রুপ পর্ব (২০০৫) |
৬৯,৬১৮ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট অ্যাথেন্স অলিম্পিক স্টেডিয়ামে এথনিকি নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় গ্রিসের রাজধানী অ্যাথেন্সে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন ইয়ন ভান্ট স্খিপ এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন আলানিয়াস্পোরের আক্রমণভাগের খেলোয়াড় আনাস্তাসিওস বাকাসেতাস।
গ্রিস এপর্যন্ত ৩ বার ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে, যার মধ্যে সেরা সাফল্য হচ্ছে ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপের ১৬ দলের পর্বে পৌঁছানো, যেখানে তারা কোস্টা রিকার সাথে ১–১ গোলে ড্র করার পর পেনাল্টিতে ৫–৩ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। অন্যদিকে, উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রিস অন্যতম সফল দল, যেখানে তারা ১টি (২০০৪) শিরোপা জয়লাভ করেছে।
গিয়র্গস কারাগুনিস, থেওদরোস জাগোরাকিস, কোনস্তান্তিনোস কাতসুরানিস, আঙ্গেলোস খারিস্তেয়াস এবং থেওফানিস গেকাসের মতো খেলোয়াড়গণ গ্রিসের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
বড় ধরনের ফুটবল প্রতিযোগিতায় গ্রিস তেমন সফলতা লাভ করতে পারেনি। তবে, দলটি ফিফা বিশ্বকাপ ও উয়েফা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বে যথাক্রমে ১৯৯৪ ও ১৯৮০ সালে অংশ নিতে পেরেছে। কিন্তু ২০০৪ সালের উয়েফা ইউরো প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়বারের মতো অংশগ্রহণ ও শিরোপা লাভ করে সকলকে তাক লাগিয়ে দেয়। জুয়াড়ীরা প্রতিযোগিতা শুরুর পূর্বে ৮০–১ থেকে ১৫০–১ দর ধরে। পূর্বতন চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স এবং স্বাগতিক পর্তুগালকে সম্ভাব্য শিরোপালাভে আশাবাদ ব্যক্ত করা হলেও উভয় দলকেই উদ্বোধনী ও চূড়ান্ত খেলায় পরাভূত করেছিল। এ বিজয়ের পর থেকেই গ্রিস ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ও বিশ্বকাপ বাদে সকল বড় ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়াও দলটি ২০১২ সালের ইউরো কাপে কোয়ার্টার-ফাইনালে অংশ নিয়েছে। ২০০৪ সালের পর থেকে চার মাস ছাড়া ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ২০ দলে ঠাঁই পায়। এপ্রিল-জুন, ২০০৮ এবং অক্টোবর, ২০১১ সালে দলটি সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং ৮-এ পৌঁছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ১৯৯৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপে গ্রিস দল চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। উয়েফা বাছাইপর্ব থেকে দলটি অপরাজিত অবস্থায় রাশিয়া দলকে পাশ কাটিয়ে শীর্ষস্থান লাভ করে। চূড়ান্ত পর্বে ডেথ গ্রুপ নামে পরিচিত ডি গ্রুপে অবস্থান করে আর্জেন্টিনার কাছে ৪–০, বুলগেরিয়ার কাছে ৪–০ ও নাইজেরিয়ার কাছে ২–০ ব্যবধানে পরাভূত হয়। এ বিশ্বকাপে কোচ আলকেতাস পানাগোলিয়াস তিন খেলায় তিনজন গোলরক্ষককে মাঠে নামান যা বেশ দুর্লভ ঘটনা।
২০১০ সালের উয়েফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ২নং গ্রুপে গ্রিস দল দ্বিতীয় স্থান লাভ করে ও বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ২০০৯ সালের ৪ঠা নভেম্বর তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ড্র অনুষ্ঠানে আর্জেন্টিনা, নাইজেরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া দলের সাথে বি গ্রুপে অবস্থান করে। গ্রিস তাদের উদ্বোধনী খেলায় কোরিয়ার কাছে ২–০ ব্যবধানে পরাজিত হয় ও নাইজেরিয়াকে ২–১ গোলে হারায়। কিন্তু শেষ খেলায় শক্তিশালী আর্জেন্টিনা দলেরসাথে ৭৭ মিনিট পর্যন্ত ০–০ ড্র রাখলেও শেষ পর্যন্ত ২–০ গোলে হেরে যায়। বিশ্বকাপ শেষে গ্রিস ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৩ থেকে ১২ অবস্থানে চলে আসে।
আর্জেন্টিনার কাছে হেরে যাবার পর গ্রিক দলের ম্যানেজোর অতো রেহাগেলকে বরখাস্ত করা হয়। এর আট দিন পর হেলেনিক ফুটবল ফেডারেশন ফের্নান্দো সান্তোসকে গ্রিক ফুটবলের নতুন ম্যানেজাররূপে নিযুক্ত করে।
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে, ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে গ্রিস তাদের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সর্বোচ্চ অবস্থান (৮ম) অর্জন করে এবং ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে তারা ৬৬তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে গ্রিসের সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ৭ম (যা তারা ২০০৪ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ৭৮। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
৪৫ | স্লোভাকিয়া | ১৪৬৫.৭৩ | |
৪৬ | ক্যামেরুন | ১৪৬৩.০৬ | |
৪৭ | গ্রিস | ১৪৫৩.৯৫ | |
৪৮ | কানাডা | ১৪৫৩.৭৬ | |
৪৯ | ১ | কোত দিভোয়ার | ১৪৪৭.৬৫ |
অবস্থান | পরিবর্তন | দল | পয়েন্ট |
---|---|---|---|
৩৭ | ২ | তিউনিসিয়া | ১৭৩৫ |
৩৮ | ৩ | সেনেগাল | ১৭৩২ |
৩৯ | ৫ | গ্রিস | ১৭২৯ |
৪০ | ১৫ | পোল্যান্ড | ১৭১০ |
৪০ | ৯ | স্লোভেনিয়া | ১৭১০ |
ফিফা বিশ্বকাপ | বাছাইপর্ব | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
সাল | পর্ব | অবস্থান | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | |
১৯৩০ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||||||||
১৯৩৪ | উত্তীর্ণ হয়নি | ১ | ০ | ০ | ১ | ০ | ৪ | ||||||||
১৯৩৮ | ৩ | ২ | ০ | ১ | ৫ | ১২ | |||||||||
১৯৫০ | অংশগ্রহণ করেনি | অংশগ্রহণ করেনি | |||||||||||||
১৯৫৪ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৪ | ২ | ০ | ২ | ৩ | ২ | ||||||||
১৯৫৮ | ৪ | ০ | ১ | ৩ | ২ | ৯ | |||||||||
১৯৬২ | ৪ | ১ | ০ | ৩ | ৩ | ৮ | |||||||||
১৯৬৬ | ৬ | ২ | ১ | ৩ | ১০ | ১৪ | |||||||||
১৯৭০ | ৬ | ২ | ৩ | ১ | ১৩ | ৯ | |||||||||
১৯৭৪ | ৪ | ০ | ০ | ৪ | ৫ | ১১ | |||||||||
১৯৭৮ | ৪ | ১ | ১ | ২ | ২ | ৬ | |||||||||
১৯৮২ | ৮ | ৩ | ১ | ৪ | ১০ | ১৩ | |||||||||
১৯৮৬ | ৬ | ১ | ২ | ৩ | ৫ | ১০ | |||||||||
১৯৯০ | ৬ | ১ | ২ | ৩ | ৩ | ১৫ | |||||||||
১৯৯৪ | গ্রুপ পর্ব | ২৪তম | ৩ | ০ | ০ | ৩ | ০ | ১০ | ৮ | ৬ | ২ | ০ | ১০ | ২ | |
১৯৯৮ | উত্তীর্ণ হয়নি | ৮ | ৪ | ২ | ২ | ১১ | ৪ | ||||||||
২০০২ | ৮ | ২ | ১ | ৫ | ৭ | ১৭ | |||||||||
২০০৬ | ১২ | ৬ | ৩ | ৩ | ১৫ | ৯ | |||||||||
২০১০ | গ্রুপ পর্ব | ২৫তম | ৩ | ১ | ০ | ২ | ২ | ৫ | ১২ | ৭ | ৩ | ২ | ২১ | ১০ | |
২০১৪ | ১৬ দলের পর্ব | ১৩তম | ৪ | ১ | ২ | ১ | ৩ | ৫ | ১২ | ৯ | ২ | ১ | ১৬ | ৬ | |
২০১৮ | উত্তীর্ণ হয়নি | ১২ | ৫ | ৫ | ২ | ১৮ | ১০ | ||||||||
২০২২ | অনির্ধারিত | অনির্ধারিত | |||||||||||||
মোট | ১৬ দলের পর্ব | ৩/২১ | ১০ | ২ | ২ | ৬ | ৫ | ২০ | ১২৮ | ৫৪ | ২৯ | ৪৫ | ১৫৯ | ১৭১ |
শিরোপা
| অন্যান্য
|
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article গ্রিস জাতীয় ফুটবল দল, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.