অভিনেতা গোবিন্দা: ভারতীয় অভিনেতা

গোবিন্দা (জন্মনাম গোবিন্দ অরুন আহুজা, জন্ম ২১ ডিসেম্বর ১৯৬৩) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, বলিউডে অভিনয়ের জন্য পরিচিত। একজন প্রাক্তন রাজনীতিবিদ, গোবিন্দা ১২ বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছেন, এবং তিনি ফিল্মফেয়ার বিশেষ পুরস্কার এবং ফিল্মফেয়ার সেরা কমেডিয়ান অভিনেতা পুরস্কার অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি চারবার জি সিনেমা পুরস্কার জিতেছেন। ১৯৮৬ সালে ইলযাম সিনেমার মাধ্যমে তার অভিষেক ঘটে, তিনি ১৪০ টির বেশি হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। ১৯৯৯ সালের জুনে, বিবিসি নিউজ অনলাইনের সদস্যদের দ্বারা বিগত হাজার বছরের সেরা দশজন তারকার একজন নির্বাচিত হন।

গোবিন্দা
অভিনেতা গোবিন্দা: শৈশব, অভিনয় জীবন, অন্যান্য অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের যৌথ অভিনয়
২০১৩ সালে গোবিন্দা
উত্তর মুম্বাই, ভারত আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
জুন ৩, ২০০৪ – ২০০৯
পূর্বসূরীরাম নায়েক
উত্তরসূরীসঞ্জয় নিরুপম
সংসদীয় এলাকাউত্তর মুম্বাই
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মগোবিন্দা অরুন আহুজা
(1963-12-21) ২১ ডিসেম্বর ১৯৬৩ (বয়স ৬০)
ভিরার, মহারাষ্ট্র, ভারত
নাগরিকত্বভারত
রাজনৈতিক দলভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস
দাম্পত্য সঙ্গীসুনিতা আহুজা (১৯৮৭-বর্তমান)
সন্তাননারমাদা আহুজা (জন্ম ১৯৮৯)
যশবর্ধন আহুজা
পিতামাতাঅরুন আহুজা
(বাবা, মৃত)
নির্মলা দেবী
(মা, মৃত)
বাসস্থানজুহু, মুম্বাই, ভারত
প্রাক্তন শিক্ষার্থীআন্নাসাহেব ভার্তক কলেজ, মহারাষ্ট্র
জীবিকাঅভিনেতা
নৃত্যশিল্পী
টেলিভিশন উপস্থাপক
কমেডিয়ান
রাজনীতিবিদ
ধর্মহিন্দু
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ অনুযায়ী
উৎস: Lok Sabha

১৯৮০’র দশকের শুরুতে তিনি বিভিন্ন ধরনের সিনেমা যেমন, পারিবারিক নাট্য, অ্যাকশন এবং রোমান্টিক সিনেমায় অভিনয় করেন। ১৯৯০’র দশকে, তিনি প্রয়াত পভিনেত্রী দিব্যা ভারতীর বিপরীতে শোলে অর শবনম (১৯৯২) রোমান্টিক সিনেমায় একজন তরুণ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (এনসিসি) ক্যাডেটের চরিত্রে অভিনয়ে মাধ্যমে একজন কমিক অভিনেতা হিসেবে স্বীকৃতি পান। এরপর একই দশকে তিনি বহু বাণিজ্যিকভাবে সফল কমেডি সিনেমায় প্রধান অভিনেতা’র চরিত্রে অভিনয় করেন। এসব সিনেমার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, আখেন্ (১৯৯৩),রাজা বাবু (১৯৯৪),কুলি নাম্বার ওয়ান (১৯৯৫), হিরো নাম্বার ওয়ান (১৯৯৭) এবং হাসিনা মান জায়েগী (১৯৯৯)। তিনি হাসিনা মান জায়েগী (১৯৯৯) সিনেমায় অভিনয়ের জন্য ফিল্মফেয়ার সেরা কমেডিয়ান পুরস্কার এবং সাজান চালে শ্বাশুরাল সিনেমার জন্য ফিল্মফেয়ার বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি জেন্টেলম্যান (১৯৮৯),জান সে পেয়ারী (১৯৯২),আখেন্ (১৯৯৩),হত্যাকারী (১৯৯৫),বাড়ে মিয়া ছোটে মিয়া (১৯৯৮),আনাড়ি নাম্বার ওয়ান (১৯৯৯),ওয়াহ্‌! তেরা কেয়া কেহনা (২০০২) এবং স্যান্ডউইচ (২০০৬) এর মতন সিনেমায় সফলভাবে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেন। দ্বৈত চরিত্রের পাশাপাশি, তিনি হাদ কার দি আপনে (২০০০) সিনেমায় সফলভাবে ছয়টি চরিত্রে অভিনয় করেন। চরিত্রগুলো হল, রাজু, রাজুর মা, রাজুর বাবা, রাজুর বোন, রাজুর দাদী এবং রাজুর দাদা।

গোবিন্দার ডাকনাম নাম্বার ওয়ান কারণ, তিনি তিনি সিনেমার শিরোনামের শেষাংশ নাম্বার ওয়ান বিশিষ্ট সিনেমা সিরিজে তিনি অভিনয় করেছেন, যেমন নাম্বার ওয়ান বিশিষ্ট সিনেমাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, কুলি নাম্বার ওয়ান, হিরো নাম্বার ওয়ান, আন্টি নাম্বার ওয়ান, আনাড়ি নাম্বার ওয়ান, বেটি নাম্বার ওয়ান এবং জোড়ি নাম্বার ওয়ানঅক্ষয় কুমারের পর গোবিন্দাই একমাত্র অভিনেতা যিনি একটি বিশেষ শিরোনাম সম্পন্ন সিনেমা সিরিজে অভিনয় করেছেন। অক্ষয় কুমার খিলাড়ি সিরিজের ৮ টি এবং গোবিন্দ নাম্বার ওয়ান সিরিজের ৬ টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

২০০০ দশকের একটি নির্দিষ্ট সময় বক্স অফিসে অসফলতার পর, তার সাম্প্রতিক বাণিজ্যিক সফল সিনেমাগুলো হল, ভাগাম ভাগ, (২০০৬),পার্টনার (২০০৭),লাইফ পার্টনার (২০০৯), এবং রাবণ (২০১০) এবং এর ফলে হিন্দি সিনেমায় তিনি নিজেকে অন্যতম প্রধান অভিনেত্রা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।

২০১৩ সালে, তিনি গোরী তেরে ন্যায়না নামের একটি গানের এলবাম বের করেন। ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর, এই এলবামের প্রচারণার অংশ হিসেবে তাকে জনপ্রিয় কালার টিভি অনুষ্ঠান কমেডি নাইটস উইথ কপিল এ উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।

চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি, তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পার্টির একজন সদস্য ছিলেন। ২০০৪ সালে ভারতের ১৪ তম লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্র প্রদেশ থেকে উত্তর মুম্বাইয়ের সপ্তম সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন, এই নির্বাচনে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির রাম নায়েককে হারান। ২০০৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে, তিনি চলচ্চিত্র অভিনয়ে মনোনিবেশ করার জন্য রাজনীতি পরিত্যাগ করেন।

শৈশব

গোবিন্দার বাবা, অরুন আহুজা, ১৯১৭ সালের ২৬ জানুয়ারী ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের (বর্তমানে পাকিস্তান), অভিবক্ত গুরজানওয়ালায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লাহোরের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াশোনা করেন। বর্ষীয়ান প্রযোজক মেহবুব তাকে ১৯৩৭ সালে এক হি রাস্তা সিনেমায় প্রধান অভিনেতার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য মুম্বাইয়ে নিয়ে আসেন। মেহবুব খানের ওরাত (১৯৪০) সিনেমায় অভিনয়ে জন্য তিনি পরিচিতি লাভ করেন। গোবিন্দার মা, নাজিম যিনি ইসলাম ধর্ম থেকে হিন্দু ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে নির্মলা দেবী নাম গ্রহণ করেন। অরুন এবং নির্মলা্র সাভেরা সিনেমায় অভিনয়ের সময় প্রথম দেখা হয় যেখানে তারা একে অপরের বিপরীতে অভিনয় করেন। তারা ১৯৪১ সালে বিয়ে করেন।

অরুন আহুজার প্রযোজিত একটি মাত্র সিনেমা অসফল ছিল। এই ক্ষতি বহন করতে না পেরে, তার শারীরিক অবস্থার অবনিতি ঘটে। তার পরিবার, মুম্বাইয়ের আপমার্কেট কার্টার রোডের একটি বাংলোতে বসবাস করতেন, পরবর্তীতে তারা উত্তর মুম্বাইয়ের একটি শহরতলী, ভিরারে স্থানান্তরিত হন, যেখানে গোবিন্দা জন্মগ্রহণ করেন। ছয় সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট সন্তান ছিলেন গোবিন্দা, তার ডাকনাম ছিল চি চি অর্থাৎ পাঞ্জাবী ভাষায় সর্ব কনিষ্ঠ আঙ্গুল। তারা পাঞ্জাবী ভাষায় কথা বলতেন। তার বাবা কর্মে অক্ষম হবার পর, তার মা তাদের লালন পালনের দায়িত্ব নেন, ফলে তারা মুম্বাইয়ে অনেক কঠিন সময় কাটান। তার উচ্চতা পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চি।

অভিনয় জীবন

১৯৮৬–৯০: অভিষেক এবং জনপ্রিয়তা লাভ

অভিনেতা গোবিন্দা: শৈশব, অভিনয় জীবন, অন্যান্য অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের যৌথ অভিনয় 
(বাম-ডানে), ডেভিড ধাওয়ান, গোবিন্দা এবং চাংকি পান্ডে ববি দেউলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে

তিনি মহারাষ্ট্রের ভাসাইয়ে অবস্থিত আন্নাসাহেব ভার্তাক কলেজে পড়াশুনা করেন। তিনি বাণিজুএ স্নাতক সম্পন্ন করেন। তার বাবা তাকে চলচ্চিত্রে সহযোগী হিসেবে কাজ করার পরামর্শ দেন। এই সময়ে, গোবিন্দা ডিস্কো ড্যান্সার সিনেমাটি দেখেন এবং নাচের প্রতি তার উৎসাহেত্র জন্ম নেয়। তিনি বহু ঘণ্টাব্যপী নাচের অনুশীলন করেন এবং ভিএইচএস (VHS) ক্যাসেটে তার নাচের একটি নমুনা রেকর্ড করেন। ফলে তিনি হায়দ্রাবাদ আল্‌ওয়ুইন এর একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করার সুযোগ পান, এবং পরিশেষে তিনি তার সর্বপ্রথম সিনেমা তান-বদন এ প্রধান অভিনেতার চরিত্রে অভিনয় করেন, যা পরিচালক ছিল তার চাচা আনন্দ। ১৯৮৫ সালে তিনি তার পরবর্তী সিনেমা লাভ ৮৬ এর কাজ শুরু করেন। একই বছরের মধ্য জুলাইয়ে, তিনি আরো ৪০ টি সিনেমায় অভিনয়ে জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা হল ইলজাম (১৯৮৬), এটি একটি বক্স অফিস সফল সিনেমা এবং ১৯৮৬ সালে পঞ্চম সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র। এই সিনেমার গান স্ট্রিট ডান্সার একটি ভগ্ন নৃত্য, যা তাকে একজন নৃত্য তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে এবং তাকে জনপ্রিয় করে তোলে। এরপর তিনি বিভিন্ন সিনেমায় কাজ করেন, যা মোটামুটি সফল। তার সবচেয়ে বেশি সিনেমা মুক্তি পায় ১৯৮০’র দশকে, যা অ্যাকশন, রোমান্স অথবা পারিবারিক নাট্য ধরনের সিনেমা। তিনি প্রায় নিলাম কোঠারীর বিপরীতে অভিনয় করেন, এবং তাদেরকে বিভিন্ন সিনেমা যেমন, লাভ ৮৬ (১৯৮৬), খুদগার্জ (১৯৮৭) এবং তার ভাইয়ের পরিচালত, হত্যা সিনেমায় তাদের একসাথে অভিনয় করতে দেখা যায়। পারিবারিক নাট্য সিনেমায় তার সফল সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল দরিয়া দিল (১৯৮৮),জিতে হ্যায় শান সে (১৯৮৮) এবং হাম (১৯৯১), অ্যাকশনধর্মী সিনেমার উল্লেখযোগ্য হল, মারতে দাম তাক (১৯৮৭) এবং মেরি জাং (১৯৮৯)। তিনি ডেভিড ধাওয়ানের সাথে প্রথম কাজ করেন ১৯৮৯ সালে,তাকাত্বার সিনেমায়। এছাড়া তিনি রজনীকান্ত এবং শ্রীদেবীর সাথে একই বছর একসাথে কাজ করেন গের কানুনী সিনেমায়।

১৯৯০-১৯৯৯: সমালোচিত এবং বাণিজ্যিক সাফল্য

অভিনেতা গোবিন্দা: শৈশব, অভিনয় জীবন, অন্যান্য অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের যৌথ অভিনয় 
(l-r) Anil Kapoor,Govinda and Govinda's wife at green carpet of IIFA 2014

গোবিন্দা ১৯৯০’র দশকের বহু সমালোচিত এবং বাণিজ্যিক সফল সিনেমা দেখা যায় এবং এই যুগে তিনি অন্যতম সুপারস্টার হয়ে উঠেন। ১৯৯০ সালে তিনি ক্লাসিক সিনেমা আওয়ার্গী তে কাজ করেন। এই সিনেমায় অনিল কাপুর, গোবিন্দা এবং মিনাক্ষী শীর্ষাদ্রী প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। অন্যান্য সিনেমা যেমন স্বর্গ এবং মহা সংগ্রাম তেও তিনি ভাল অভিনয় করেন। ১৯৯২ সালে তাকে সমালোচক কর্তৃক প্রসংশিত সিনেমা জুলুম কু হুকুমাত সিনেমায় দেখা যায়, যা দ্য গডফাদার সিনেমার ভারতীয় পুনঃনির্মাণ, যেখানে তার অভিনয় প্রচুর প্রসংশিত হয়। ১৯৯২ সালে আরেকটি সিনেমা ডেভিড ধাওয়ান পরিচালিত শোলে অর শবনম, যা বক্স অফিসে সুপারহিট হয়। এরপর তারা আখেন্ সিনেমায় একসাথে কাজ করেন। আখেন্ সিনেমাটি সে বছরের সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমা এবং সর্বকালের সর্ববৃহত ব্লকবাস্টার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর তার এবং ডেভিড ধাওয়ানের সাথে একটি সফল জুটি নির্মাণ করেন এবং তারা একসাথে ১৭ টি সিনেমায় কাজ করেন এবং যার অধিকাংশই কমেডি সিনেমা এবং সফল। তাদের উল্লেখযোগ্য সফল সিনেমাগুলো হল, তাকাত্বার (১৯৮৯),স্বর্গ (১৯৯০),শোলে অর শবনম (১৯৯২),আখেন্ (১৯৯৩), রাজা বাবু (১৯৯৪), কুলি নাম্বার ওয়ান (১৯৯৫), সাজানা চালে শ্বশুরাল (১৯৯৬), বানারশী বাবু (১৯৯৭), দিওয়ানা মাস্তানা (১৯৯৭), হিরো নাম্বার ওয়ান (১৯৯৭), বারে মিয়া ছোটে মিয়া (১৯৯৮) এবং হাসিনা মান জায়েগী (১৯৯৯), কুওয়ারা (২০০০), জোড়ি নাম্বার ওয়ান (২০০১), এক অর এক এগার (২০০৩), পার্টনার (২০০৭) এবং ডু নট ডিস্টার্ব (২০০৯)। আখেন্ (১৯৯৩) সে বছরের সর্বোচ্চ সিনেমা এবং সর্বকালের সর্ববৃহৎ ব্লকবাস্টার এবং এই সিনেমার রেকর্ড ভাঙ্গে পার্টনার (২০০৭) সিনেমা। তিনি দুলারা সিনেমায় মেরি প্যান্ট বি সেক্সি এবং শোলে অর শবনম সিনেমায় গোরি গোরি গান তিনি নিজ কন্ঠে গান। ধাওয়ান এবং অন্যান্য পরিচালকের সিনেমায় তিনি বিভিন্ন অভিনেত্রী যেমন, কারিশমা কাপুর, জুহি চাওলা এবং রাভীনা টেন্ডনের সাথে ১৯৯০’র দশকের সিনেমায় অভিনয় করেন।

২০০০-০৫: অসফলতা এবং চলচ্চিত্র থেকে অব্যাহতি

অভিনেতা গোবিন্দা: শৈশব, অভিনয় জীবন, অন্যান্য অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের যৌথ অভিনয় 
গোবিন্দা (বামে) অক্ষয় কুমারের সাথে ভাগাম ভাগ সিনেমার সেটে

২০০০ দশকের শুরুতে তার কিছু সিনেমা বাণিজ্যিক অসফল হয়, তাই তার বক্স অফিস লেখচিত্র নিম্নমুখী ছিল। যদিও এই সময়ে তার কিছু সিনেমা হিট হয়, যেমন কুওয়ারা হাদ কার দি আপনে জোড়ি নাম্বার ওয়ান কিউ কি ম্যায় ঝুট নাহিন্‌ বোলতা এবং এক অর এক এগার.

এছাড়া তিনি কুওয়ারা, জোড়ি নাম্বার ওয়ান, কিউ কি ম্যায় ঝুট নাহিন্‌ বোলতা এবং আখিয়োন্‌ সে গোলি মারে সিনেমার জন্য ফিল্মফেয়ার সেরা কমেডিয়ান পুরস্কারেরে জন্য মনোনীত হন। কিন্তু ২০০২ সাল থেকে, তার অধিকাংশ সিনেমা বক্স অফিসে সফলতার মুখ দেখে নি। তিনি শিকারী (২০০০) সিনেমায় প্রথমবারের মত খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন। যদিও সিনেমাটি বাণিজ্যিকভাবে সফল হয় নি, কিন্তু এই সিনেমায় মানসিক জ্বরাগ্রস্ত একজন খুনীর চরিত্রে তার অভিনয় সমালোচক কর্তৃক প্রসংশিত হয়। তিনি তাল, গাদ্দার: এক প্রেম কথা সিনেমায় অভিনয় করা থেকে অব্যাহতি নেন, যা সফলতা লাভ করে।

তার অভিনয় ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয় যখন তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলে যোগ দেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং উত্তর মুম্বাই থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি এই নির্বাচনে গত পাঁচ বারের সংসদ সদস্য এবং খনিজ মন্ত্রী রাম নায়েককে ৫০,০০০ এর বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজীত করেন ২০০৪ সংসদ নির্বাচনে।

গোবিন্দা ২০০৩-০৫ সাল পর্যন্ত চলচ্চিত্রে অভিনয় থেকে বিরত থাকেন। ২০০৪ এবং ২০০৫ সালে তার কোন নতুন সিনেমা মুক্তি পায় নি, কিন্তু এই সময় তার কিছু পূর্ব বিলম্বিত সিনেমা যেমন, খুল্লাম খুল্লা পেয়ার কারে (২০০৫), তার নিজ নির্মিত সিনেমা সুখ (২০০৫) এবং স্যান্ডউইচ মুক্তি পায় এবং যা বক্স অফিসে সাড়া জাগায়।

২০০৬-০৯: অভিনয়ে পুনরাগমন এবং খ্যাতি পুরুদ্ধার

অভিনেতা গোবিন্দা: শৈশব, অভিনয় জীবন, অন্যান্য অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের যৌথ অভিনয় 
Govinda with Amrita Rao at Life Partner success party

গোবিন্দা ২০০৬ সালের শেষের দিকে প্রিয়দর্শন পরিচালিত ভাগাম ভাগ কমেডি সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পুনরগমন করেন, এই সিনেমায় তিনি অক্ষয় কুমার এবং লারা দত্তের সাথে অভিনয় করেন। এইটি প্রথম সিনেমা যেখান অক্ষয় এবং গোবিন্দা প্রথমবারের মত একসাথে অভিনয় করেন। এই সিনেমাটি বক্স অফিসে প্রচুর সাড়া জাগায় এবং এই সিনেমাকে সুপার হিট ঘোষণা করা হয় এবং এখনো এই সিনেমাকে ২০০০ দশকে অন্যতম সুন্দর কমেডি সিনেমা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

২০০৭ সালে তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম বড় বাজেটের সিনেমা হল সালাম-ই-ইস্ক: এ ট্রিবিউট টু লাভ। এই সিনেমায় বিশাল তারকার দল অভিনয় করে, তাদের মধ্যে, গোবিন্দা, , সালমান খান, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, অনিল কাপুর, জুহি চাওলা, অক্ষয় খান্না, আয়েশা তাকিয়া, জন আব্রাহাম, বিদ্যা বালান, সোহেল খান এবং ইশা কপিকার অন্তর্ভুক্ত। গোবিন্দা এই সিনেমায় রাজু নামের একজন ট্যাক্সি চালকের চরিত্রে অভিনয় করেন, যে কিনা একজন কৌশিয়ান নারীর সান্নিধ্যে আসেন, স্টিফাইন (শান্নন এশ্রা), রাজু যার সাথে বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে সাথে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করতে এবং আস্তে আস্তে রাজু তার প্রমে পড়ে যায়। যদিও এই সিনেমাটি বক্স অফিসে তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি, তবুও গোবিন্দার অভিনয় যথেষ্ট প্রশংসা কুড়ায়।

২০০৭ সালে তার দ্বিতীয় মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা হল ডেভিড ধাওয়ানের কমেডি সিনেমা পার্টনার, এই সিনেমায় গোবিন্দার সাথে অভিনয় করেন সালমান খান, ক্যাটরিনা কাইফ, এবং লারা দত্ত। এই সিনেমাটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহে ভারতে মোট ৩০০ মিলিয়ন রুপি আয় করে, এরপর থেকে এটি ভারতে নিজ দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রথম সপ্তাহে আয়কারী সিনেমা। এই সিনেমাকে বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার হিট সিনেমা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। গোবিন্দা এই সিনেমার জন্য অনেক পুরস্কার অর্জন করেন যার মধ্যে আইফা (IIFA) সেরা কমেডিয়ান পুরস্কার এবং জি সিনেমা সেরা সহ-অভিনেতা পুরস্কার অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া তাকে জাহান্‌ জায়েগা হামে পায়েগা সিনেমায় দেখা যায় যদিও এর সিনেমাটি বহু আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। এই সিনেমাটি বক্স অফিসে চূড়ান্ত অসফলতার সম্মুখীন হয়। এছাড়া গোবিন্দাকে ওম শান্তি ওম সিনেমায় দিওয়াঙ্গী দিওয়াঙ্গী গানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হতে দেখা যায়।

২০০৮ সালে, তাকে মানি হ্যায় তো হানি হ্যায় সিনেমায় দেখা যায়। এই সিনেমাটি পরিচালনা করেন বিখ্যাত বলিউড নৃত্যপরিকল্পনাকারী গণেশ আচার্য্য। এই সিনেমাটি বক্স অফিসে তেমন সাড়া জাগাতে পারে নি। এরপর গোবিন্দাকে দেখা যায় টি.কে.রাজীব কুমার পরিচালিত কমেডি সিনেমা চাল চালা চাল এ, এই সিনেমায় গোবিন্দার অভিনয় প্রসংশিত হয় এবং বক্স অফিসে ভাল অবস্থানে থাকে। একই বছর, সালমান খান তাদের সিনেমা পার্টনার এর সাফল্যের জন্য তার অনুষ্ঠান ১০ কা দম এ গোবিন্দাকে এবং ডেভিড ধাওয়ানকে আমন্ত্রণ জানায়।

২০০৯ সালে, তিনি একটি সফল সিনেমা লাইফ পার্টনার এ দেখা যায়, যেখানে গোবিন্দা একজন উকিলের চরিত্রে অভিনয় করেন এবং তার অভিনয় সমালোচক কর্তৃক প্রসংশিত হয়। এই সিনেমাটি বক্স অফিসে হিট হিসেবে ঘোষিত হয়। এরপর গোবিন্দা তার বিখ্যাত ত্রি-জুটি ডেভিড ধাওয়ান, ভাশু ভাগনানী এবং তিনি নিজে একটি সিনেমার মাধ্যমে পুনরাগমণ করেন, ডু নট ডিস্টার্ব সিনেমার মাধ্যমে। এই সিনেমাটি সমালোচক কর্তৃক প্রসংশিত হলেও, বক্স অফিসে সাড়া জাগাতে অক্ষম হয়।

২০১০-বর্তমান: সাম্প্রতিক কাজ

২০১০ সালে, গোবিন্দা মনি রতন দোভাষিক চলচ্চিত্র প্রকল্প রাবণ এ, বিক্রম, অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বরিয়া রায়ের সাথে অভিনয় করেন। গোবিন্দা এই সিনেমায় এক বনবিভাগের কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেন, যে কিনা বনে বিক্রমের চরিত্রের মাধ্যমে অপরাধীদের খুজেন। প্রথমে সবাই মনে করেছিলেন এই চরিত্রটি অনেক হনুমান সমসাময়িক চরিত্র, কিন্তু গোবিন্দ এই ধারনাটি পালটে দেন। Despite having a small role in the film, Govinda was appreciated for his performance.

২০১১ সালে, গোবিন্দাকে জগমোহন মুদ্রার প্রাপ্ত বয়স্কদের কমেডি সিনেমা নটি @ ৪০ সিনেমায় দেখা যায়। যদিও এই সিনেমাটি ফ্লপ, তবুও গোবিন্দের অভিনয় প্রশংসা কুড়ায়। এছাড়া তাকে আরেকটি কমেডি সিনেমা লুট এ দেখা যায়, এর পরিচালক রাজনিশ ঠাকুর এবং এই সিনেমাটিও বক্স অফিসে ফ্লপ। এছাড়া গোবিন্দা অ্যানিমেশন সিনেমা দিল্লী সাফারী সিনেমার 'বাজরাঙ্গী' চরিত্রে কন্ঠদান করেন।

২০১৩ সালে, গোবিন্দা কে.সি. বোকাদিয়ার দিওয়ানা ম্যায় দিওয়ানা সিনেমায় দেখা যায়, এই সিনেমায় তার সাথে অভিনয় করেন প্রিয়াঙ্কা চোপরা, যা পুনরায় বক্স অফিসে ফ্লপ। এই সিনেমাটি বহু বছর আগে নির্মিত। প্রায় দশ বছর পূর্বে এই সিনেমার শুটিং শেষ হয়। এই সিনেমাটি ভিনসেন্ট সেল্ভা পরিচালিত তামিল প্রিয়ামুদান সিনেমার হিন্দি পুনঃনির্মাণ। বহু বিলম্বে মুক্তি পেলেও, এই সিনেমায় গোবিন্দার অভিনয় প্রশংসা অর্জন করে। এছাড়া গোবিন্দা বাংলা সিনেমায়ও করেন। দিপক স্যান্নালের সমাধী সিনেমায় তিনি ডেপুটি ইনেসপেক্টর জেনেরালের চরিত্রে অভিনয় করেন, এই সিনেমায় আরো অভিনয় করেন গ্রেসি সিং এবং সায়ালী ভাগাত, যা বক্স অফিসে তেমন সাড়া জাগাতে পারে নি।

অভিনেতা গোবিন্দা: শৈশব, অভিনয় জীবন, অন্যান্য অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের যৌথ অভিনয় 
Govinda (2nd from right) with Johny Lever (extreme left) at ICFPA concert in 2013

২০১৪ সালে, তাকে কিছু সিনেমায় দেখা যাবে, তাকে হ্যাপি এন্ডিং সিনেমায় সাইফ আলী খান এবং ইলেনা ডি’ক্রুজের পাশাপাশি দেখা যাবে। গোবিন্দা এই সিনেমায় একজন সুপারস্টারের চরিত্রে অভিনয় করবেন। এই গোবিন্দা এবং সাইফ আলী খান একসাথে অভিনয় করবেন। এছাড়া তাকে এ.আর. মুরুগাদোশের হলিডে: এ সোলজার ইজ নেভার অফ ডিউটি সিনেমায় অক্ষয় কুমার এবং সোনাক্ষী সিনহার সাথে অভিনয় করতে দেখা যাবে। এই সিনেমাটি থুপ্পাক্কী সিনেমার হিন্দি পুনঃনির্মাণ। যদিও এই সিনেমায় তিনি অনেক ছোট্ট একটা চরিত্রে অভিনয় করবেন কিন্তু সে চরিত্রটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ভাগাম ভাগ সিনেমার পর এইটি গোবিন্দা ও অক্ষয় কুমারের যৌথ অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা। এছাড়া তিনি যশ রাজ ফিল্মের শাদ আলী পরিচালিত কিল দিল সিনেমায়ও অভিনয় করবেন। এই সিনেমায় আরো অভিনয় করবেন রণবীর সিং, পারিনিতি চোপরা এবং রানী মুখার্জী। গোবিন্দা এবং রানী মুখার্জী সর্বশেষ একসাথে অভিনয় করেন শিকারী সিনেমায় ২০০০ সালে। এই সিনেমাটি রানী মুখার্জী এবং গোবিন্দার যৌথ অভিনীত চতুর্থ সিনেমা। পূর্বে তারা একসাথে অভিনয় করেছেম হাদ কার দি আপনে, পেয়ার দিওয়ানা হোতা হ্যায় এবং চালো ইস্‌ক লাড়াইয়ে সিনেমায়। এছাড়া তাকে অনুরাগ বসুর জাগা জোশ সিনেমায় রণবীর কাপুরের সৎ পিতার চরিত্রে দেখা যাবে। তিনি ক্যাটরিনা কাইফের সাথেও অভিনয় করেছেন। গোবিন্দা এবং ক্যাটরিনা কাইফ সর্বশেষ একসাথে অভিনয় করেন পার্টনার ২০০৭ সিনেমায়। এই সিনেমার কাজ শুরু হবে ২৯ মে ২০১৫। তাকে দেখা যাবে পঙ্কজ নিহালানীর অভতার সিনেমায়, যেখানে তিনি একজন ফুটবল প্রশিক্ষকের চরিত্রে অভিনয় করবেন। এই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য গোবিন্দার ২৮ কেজি ওজন কমাতে হবে এবং তার চুল পুনঃস্থাপন করতে হবে। এই সিনেমায় সানি দেউল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। গোবিন্দা এবং সানি দেউল এই প্রথম সিনেমায় একসাথে অভিনয় করবেন। এছাড়া গোবিন্দা আফ্রা আফ্রি সিনেমায় অভিনয় করবেন, যেখান আরো অভিনয় করবেন সুনীল শেঠী, যুভিকা চৌধুরী, আরইয়া বাবর এবং মুগ্ধ ঘোষ এবং এর পরিচালক থাকবেন হাদী আবরার। গোবিন্দা অভিনারী চক্র নামে একটি সিনেমার প্রযোজনাও করছেন, যা ২০১৪ সালে মুক্তি পাবে। এই সিনেমায় তিনি একজন নিরাপত্তা কর্মী হিসেবেও অভিনয় করেছেন। এই সিনেমায় আরো অভিনয় করবেন আশুতোষ রানা, মকরন্দ দেশপান্ডে, হরিশ কুমার, এবং প্রাক্তন মিসেস ওয়ার্ল্ড রিচা শর্মা। হত্যা এবং সুখ সিনেমা প্রযোজনার পর অভিনারী চক্র গোবিন্দা প্রযোজিত তৃতীয় সিনেমা। গোবিন্দা মীরা নাইয়ের সাথেও অভিনয় করেছেন। মীরা নাইরের সাথে গোবিন্দা অদূর ভবিষ্যতে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা সিনেমা দ্য বেঙ্গলী ডিটেক্টিভ এ শিরোনাম ভূমিক্যায় অভিনয় করবেন। প্রথমদিকে গুঞ্জন উঠেছিল যে, এই সিনেমায় শাহরুখ খান অভিনয় করবেন। কিন্তু মীরা গোবিন্দা এই সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা কথা নিশ্চিত করেন। শাহরুখ খান এই সিনেমায় কোন অংশে অভিনয় করবেন না। ২০১৩ সালের ২১ ডিসেম্বর টাইমস অব ইন্ডিয়া কলকাতা’কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, “এই সিনেমায় গোবিন্দার অপেক্ষা কেউ ভাল অভিনয় করতে পারবেন না। এই সিনেমায় রানী মুখার্জীও অভিনয় করবেন। দ্য বেঙ্গলী ডিটেক্টিভ সিনেমার নির্মাণকাজ শুরু হবে ২০১৪ সালের অক্টোবরে শুরু হবে এবং ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে মুক্তি পাবে। গোবিন্দা আরো জানায় যে, তিনি মারাঠী সিনেমায় অভিষেক করবেন। তিনি মেক-আপ ম্যান রমেশের মাধ্যমে মারাঠী সিনেমায় অভিনয়ের জন্য যাচ্ছেন এবং তিনি দাদা কন্দো্‌ক এর চরিত্রে অভিনয় করবেন। ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারী, একটি খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে যে, গোবিন্দা মহেশ মাঞ্জেকারের মারাঠী সিনেমা শিক্ষাঞ্চা আইচা ঘো সিনেমার পুনঃনির্মিত সিনেমা অভিনয় করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বলিউডে এই সিনেমার প্রযোজক বলিউড নায়ক সালমান খান। সালমান খান বলেন যে, গত তিন বছর ধরে তিনি গোবিন্দাকে এই সিনেমায় অভিনয় করার জন্য বলেন। গোবিন্দা বলেন যে, তিনি এই সিনেমায় কাজের অস্বীকৃতি আরো তিনি বছর আগে জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন যে, তিনি স্ক্রিপ্টে কিছু পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন, যাতে লেখক রাজী হয় নি।

এছাড়া গোবিন্দা সুবাশ ঘাইয়ের ১৯৮৩ সালের সিনেমা হিরো এর পুনঃনির্মিত ২০১৪ সালের সিনেমা হিরো তে কাজ করছেন। এই সিনেমার মাধ্যমে আদিত্য পাঞ্চোলীর ছেলে সূর্য্য পাঞ্চোলী অভিষেক হবে এবং এতে আরো অভিনয় করবেন সুনীল শেঠীর মেয়ে আথ্যিয়া শেঠী। এই সিনেমাটি প্রযোজনা করবেন সালমান খান। এই সিনেমাটি ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে।

তার বিলম্বকৃত সিনেমা বান্দা ইয়েহ্‌ বিন্দাস হ্যায় এবং রান ভোলা রান মুক্তি পেতে পারে।

অন্যান্য অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের যৌথ অভিনয়

অভিনেতা

অভিনেতা গোবিন্দা: শৈশব, অভিনয় জীবন, অন্যান্য অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের যৌথ অভিনয় 
Govinda with Sanjay Dutt (left) at the Launch of The Book Mr And Mrs Dutt

শক্তি কাপুর

গোবিন্দা অন্যান্য অভিনেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিনয় করেছেন শক্তি কাপুরের সাথে। তারা একসাথে ৪২ টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তাদের সর্বশেষ সিনেমা নটি @ ৪০

কাদের খান

শক্তি কাপুরের পর, গোবিন্দা সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন কাদের খানের সাথে। তারা একসাথে ৪০ টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। গোবিন্দা এবং কাদের খানকে একসাথে সর্বশেষ দেখা যায় দিওয়ানা ম্যায় দিওয়ানা সিনেমায়, যা নির্মাণের দশ বছর পর মুক্তি পায়। শারীরীক অবস্থার অবনতির জন্য কাদের খান এখন প্রায় কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছেন। ২০০০ সালের মধ্যভাগের পর, কাদের খান সামান্য কিছু সিনেমায় ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করেছেন। গোবিন্দা এবং শক্তি কাপুর অথবা কাদের খানের সাথে ৯০’র এবং ২০০০ দশকের প্রায় সকল সিনেমায় একসাথে কাজ করেছেন। এই তিনজন একসাথে ২২ টি সিনেমায় অভিওয় করেছেন।

জনি লিভার

গোবিন্দা জনি লিভারের সাথেও একসাথে বহু সিনেমায় অভিময় করেছেন। গোবিন্দা এবং জনি লিভারকে একসাথে ২২ টি সিনেমায় দেখা গেছে। জনি বেশিরভাগ সিনেমায় কমিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

সতীশ কৌশিক

গোবিন্দা সতীশ কৌশিকের সাথে ১৪ টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তারা একসাথে ২০০৯ সালে সর্বশেষ ডু নট ডিস্টার্ব সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

পরেশ রাওয়াল

গোবিন্দা পরেশ রাওয়ালের সাথে ১৪ টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।

সঞ্জয় দত্ত

গোবিন্দা এবং সঞ্জয় দত্ত একসাথে ৭ টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এগুলো হল, জিতে ম্যায় শান সে, তাকাত্বার, দো কয়েদি, আন্দোলন, হাসিনা মান জায়েগী, জোড়ি নাম্বার ওয়ান এবং এক অর এক এগারো

অভিনেত্রী

নিলম

গোবিন্দা নিলাম সাথে ৮০’র দশকের প্রায় সিনেমায় কাজ করেছেন। তারা একসাথে ১০ টি সিনেমায় কাজ করেছেন, যার মধ্যে গোবিন্দের অভিষেক সিনেমা ইলজাম ও অন্তর্ভুক্ত। তাদের অভিনীত সিনেমাগুলো হল, ইলজাম, লাভ ৭৮৬, খুদ্গার্জ, ঘার ম্যায় গলি ম্যায় শ্যাম, হত্যা, তাকাত্বার, দো কয়েদী, দোস্ত গারিবোন্‌ কা, ফার্য কি জাং এবং বিল্লু বাদশাহ্

গোবিন্দা এবং নিলম, তারা উভয়ই নৃত্য খুব পারদর্শী এবং তাই তারা নৃত্যজুটি হিসেবে ভাল অবস্থানে ছিল। এখনো বলা হয় যে, এই জুটিটি বলিউডের সেরা নৃত্যশিল্পী জুটি।

কারিশমা কাপুর

৯০’র দশকে, গোবিন্দা প্রায় কারিশমা কাপুরের সাথে বহু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তারা একসাথে ১০ টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এগুলো হল,মুকাবেলা, প্রেম শক্তি, রাজা বাবু, দুলারা, খুদ্দার, কুলি নাম্বার ওয়ান, সাজান চালে শ্বশুরাল, হিরো নাম্বার ওয়ান, হাসিনা মান জায়েগী এবং শিকারী

রাভীনা টেন্ডন

গোবিন্দা রাভীনা টেন্ডনের সাথেও অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তারা একসাথে ৯ টি সিনেমায় কাজ করেছেন। এগুলো হল, আন্টি নাম্বার ওয়ান, দুলহে রাজা, বাড়ে মিয়া ছোটে মিয়া, পারদেশি বাবু, রাজাজী, আনাড়ি নাম্বার ওয়ান, আখিয়োন্‌ সে গুলি মারে, ওয়াহ! তেয়া কেয়া কেহ্‌না, এবং স্যান্ডউইচ

জুহি চাওলা

অভিনেতা গোবিন্দা: শৈশব, অভিনয় জীবন, অন্যান্য অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের যৌথ অভিনয় 
Govinda with Juhi Chawla at the Indian Princess finals 2014

গোবিন্দা জুহি চাওলার সাথেও অনেক সিনেমায় কাজ করেছেন। তারা একসাথে ৮ টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এগুলো হল, স্বর্গ, ভাবী, কার্জ চুকানা হ্যায়, রাধা কা সঙ্গম, ভাগ্যবান, দিওয়ানা মাস্তানা, আমদানী আঠানী খরচা রুপিয়া, এবং সালাম-ই-ইস্ক: এ ট্রিবিউট টু লাভ। এবং তার একটি কেমিও উপস্থিতি আন্দাজ আপনা আপনা সিনেমায়।

রাণী মুখার্জী

গোবিন্দা রানী মুখার্জীর সাথে ৫ সিনেমায় কাজ করেছেন, যার মধ্যে দুইটি ভবিষ্যতে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা। পূর্বে তারা একসাথ হাদ কার দি আপনে, পেয়ার দিওয়ানা হোতা হ্যায় এবং চালো ইস্‌কে লাড়ায় সিনেমায় একসাথে কাজ করেছেন। তাদের পরবর্তী সিনেমা যশ রাজ ফিল্মের কিল দিল এবং মীরা নায়ারে দ্য বাঙালী ডিকেক্টিভ

লারা দত্ত

গোবিন্দা লারা দত্তের সাথে ৪ টি সিনেমায় কাজ করেছেন, এগুলো হও, ভাগাম ভাগ, পার্টনার, ডু নট ডিস্টার্ব এবং পূর্ব নির্মিত কিন্ত এখনো মুক্তি না পাওয়া বান্দে ইয়ে বিন্দাস হ্যায় সিনেমা।

রাজনৈতিক জীবন

অভিনেতা গোবিন্দা: শৈশব, অভিনয় জীবন, অন্যান্য অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের যৌথ অভিনয় 
২০০৮ সালে ক্যাটরিনা কাইফের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গোবিন্দ

২০০৪ সালে গোবিন্দা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন, এবং লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচিত হন। তিনি এই নির্বাচনে পূর্বে পাচবারে সংসদ সদস্য এবং প্রাক্তন খনিজ মন্ত্রীকে ৫০০০০ এর বেশি ভোটের ব্যবধান হারান। নির্বাচনে তার মূলমন্ত্র ছিল প্রাওয়াশ (যোগাযোগ),স্বাস্থ্য এবং জ্ঞান (শিক্ষা)

সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথম দশ মাসের মধ্যে, গোবিন্দ স্থানীয় উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত ২০ মিলিয়ন রুপির কোন অংশ খরচ করেন নি। যখন সংবাদপত্রে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, তখন থেকে তিনি এই অর্থ ব্যবহার করা শুরু করেন। থানা জেলা উৎসকারীদের প্রতিবেদনের আলোকে, গোবিন্দ ৭ মিলিয়ন রুপি ব্যয় করেছেন অঙ্গনবদী, সমাজ মন্দির এবং ভাসাই এবং ভিরায় বসবাসকারী নাগরিকদের পানীয় সমস্যা দূরীকরনে। যাহোক, এই প্রকল্পগুলোর কাজ শুরু হয় নি (২০০৫ এর আগস্ট অনুসারে), কারণ প্রশাসনিক অনুমতি প্রাপ্তিতে বিলম্ব হয়।

সমালোচনা

সংসদ সদস্য হিসেবে, গোবিন্দা তার এলাকার জনগণের সাথে সম্পর্ক না থাকায় সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। বিশেষ করে, বর্ষাকালে (২০০৫ সালের ২৬ জুলাই শুরু), যাতে মুম্বাইয়ে ৪৫০ জন মানুষ মারা গিয়েছিল। এই বৃষ্টির পর, তিনি যখন টেলিভিশন চ্যানেলে কথা বলছিলেন, গোবিন্দা দাবি করে যে, তিনি সোনিয়া গান্ধী থেকে ১৫০ মিলিয়ন রুপি পেয়েছেন বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য। যাহোক, তার নিজের দলের সহকর্মীরা এর প্রতিবাদ জানায়। মোহন অধিকারী, পালঘর কংগ্রেস ইউনিটের সভাপতি, তিনি এক রেকর্ডে বলেন যে, "not a single paisa had been received"

সংসদ সদস্য হিসেবে কর্মরত থাকাবস্থায়, তার সহ-অভিনেতা শক্তি কাপুর একটি স্টিং অপারেশনে ধরা পড়ে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে যে, তিনি এক টেলিভিশন প্রতিবেদনকারীকে বলিউডে যৌন উত্তেজক কাজের জন্য প্রস্তাব দেয়। যার ফলে গোবিন্দার দ্বারা কংগ্রেস বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখীন হয়। গোবিন্দার বিরুদ্ধে একটি ড্যান্স বার নিষিদ্ধ করার অভিযোগ উঠে, যা ভারতীয় কংগ্রেস-জাতীয় কংগ্রেস দল, নেতৃত্বে থাকা গণতান্ত্রিক দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে, যে দলকেও নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করা হয়।

সংসদ সদস্য হিসেবে তার বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন না করার অভিযোগ উঠে। তিনি লোকসভায় সবচেয়ে বেশি অনুপস্থিত ছিলেন। এছাড়া তিনি সংবিধান সংশ্লিষ্ট কোন বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিতেন না।

২০০৮ সালের ২০ জানুয়ারী, তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে বলিউডে তার অভিনয়ে মনোনিবেশ করার জন্য তিনি রাজনীতি পরিত্যাগ করবেন।

ব্যক্তিগত জীবন

অভিনেতা গোবিন্দা: শৈশব, অভিনয় জীবন, অন্যান্য অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের যৌথ অভিনয় 
Govinda with daughter Narmmadaa at Bright Advertising Awards announcement

গোবিন্দার বাবা অরুন আহুজা ১৯৪০’র দশকের একজন অভিনেতা ছিলেন এবং তার মা নির্মলা আহুজাও একজন অভিনেত্রীর পাশাপাশি একজন কণ্ঠশিল্পীও ছিলেন। তার, কৃতি কুমার একজন অভিনেতা, প্রযোজক এবং পরিচালক। তার বোন, কামিনী খান্না একজন লেখক, সঙ্গীত পরিচালক, কন্ঠশিল্পী, উপস্থাপক এবং 'Beauty with Astrology' এর প্রতিষ্ঠাতা। গোবিন্দার ছয়জন ভাগ্নে ভাতিজা এবং দুইজন ভাগ্নি ভাতিজি বিনোদন শিল্পের সাথে জড়িতঃ অভিনেতা বিনয় আনন্দ, ক্রুশনা অভিষেক, আর্যা ন, অর্জুন সিং, রাগিনী খান্না, অমিত খান্না, আরতি সিং এবং জন্মেদ্র কুমার আহুজা। গোবিন্দার শ্যালক, দেবেন্দ্র শর্মাও হিন্দি সিনেমার অভিনেতা।

গোবিন্দার মামা আনন্দ সিং, যিনি পরিচালক ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের সহকারী, তাকে নিয়ে তান বদন নামের একটি সিনেমারও কাজও চলছে। আনন্দের স্ত্রী’র বোন সুনীতা তান বদন সিনেমায় মহরতের সময় গোবিন্দার প্রেমে পড়ে যান। তারা ১৯৮৭ সালের ১১ মার্চ বিয়ে করেন। তাদের বিয়ে চার বছর গোপনে রাখা হয়। এই দম্পতির দুই সন্তান, নর্মধা এবং যশবর্ধন।

১৯৯৪ সালের ৫ জানুয়ারী খুদ্দার (১৯৯৪) সিনেমার শুটিং চলাকালে গোবিন্দা সামান্যের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে বেচে যান। সিনেমার দৃশ্যে দেখান হয় যে, নায়কের গাড়ি অন্য একটি গাড়ির সাথে ধাক্কা খায়, আর এই অংশটি শুটিং করতে গিয়ে গোবিন্দা মাথায় শুরুতরভাবে ব্যথা পান। যদিও রক্তক্ষরণ হয়েছিল, গোবিন্দা তবুও শুটিং সমাপ্ত করেন নি। ডাক্তারকে দেখানো পর, তিনি মধ্যরাত পর্যন্ত শুটিং করেন।

২০০৪ সালে, গোবিন্দা রাজনীতিতে প্রবেশের মাধ্যমে তার কর্মজীবনের এক নতুন ইনিংস শুরু করেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি, তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস পার্টির একজন সদস্য ছিলেন। ২০০৪ সালে ভারতের ১৪ তম লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্র প্রদেশ থেকে উত্তর মুম্বাইয়ের সপ্তম সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে গোবিন্দা ভারতীয় জাতীয় কনগ্রেসে যোগ দেন, এবং লোক সভা নির্বাচনে নির্বাচিত হন। তিনি এই নির্বাচনে পূর্বে পাচবারে সংসদ সদস্য এবং প্রাক্তন খনিজ মন্ত্রীকে ৫০০০০ এর বেশি ভোটের ব্যবধান হারান। নির্বাচনে তার মূলমন্ত্র ছিল প্রাওয়াশ (যোগাযোগ),স্বাস্থ্য এবং জ্ঞান (শিক্ষা)।সংসদ সদস্য হিসেবে, গোবিন্দা তার এলাকার জনগণের সাথে সম্পর্ক না থাকায় সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। বিশেষ করে, বর্ষাকালে (২০০৫ সালের ২৬ জুলাই শুরু), যাতে মুম্বাইয়ে ৪৫০ জন মানুষ মারা গিয়েছিল।

২০০৮ সালের ২০ জানুয়ারী, তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে বলিউডে তার অভিনয়ে মনোনিবেশ করার জন্য তিনি রাজনীতি পরিত্যাগ করেন।

অন্যান্য কাজ

টেলিভিশন

অভিনেতা গোবিন্দা: শৈশব, অভিনয় জীবন, অন্যান্য অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের যৌথ অভিনয় 
Govinda launches his music album 'Gori Tere Naina' in 2013

১৯৯৯ সালে, গোবিন্দা তার স্ত্রী এবং কারিশমা কাপুরের সাথে টিভি অনুষ্ঠান জীনা ইসি কা নাম হ্যায় তে উপস্থিত হয়, যার উপস্থাপক ছিলেন বলিউড অভিনেতা সুরেশ ওবেরয়।

২০০১ সালে, গোবিন্দা জীতো চাপ্পার ফাড় কে নামে একটি টিভি খেলার অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন, যা সনি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হয়। এই অনুষ্ঠানটির প্রথম পর্ব খুব বিখ্যাত হয় এবং যা বড় মিয়া ছোটে মিয়া সিনেমার তার সহ-অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের কৌন বনেগা ক্রোড়পতি অনুষ্ঠানের টার্গেট রেটিং পয়েন্টের (TRP) চেয়ে বেশি। কিন্তু নিম্ন টার্গেট রেটিং পয়েন্টের (TRP) জন্য এই অনুষ্ঠানটি মাত্র ১৩ পর্বের পরেই শেষ করে দেওয়া হয়।

২০০৩ সালে, গোবিন্দা তার স্ত্রী সুনিতার সাথে, Rendezvous with Simi Garewal নামে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়, যার উপস্থাপক সিমি গারেওয়াল।

২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর, তাকে জনপ্রিয় কালারস টিভি অনুষ্ঠান কমেডী নাইটস উইথ কপিলপূজা বোসের সাথে তার এলবামের প্রচারণা দেখা

গোবিন্দা একটি অনুষ্ঠানে শিরোনাম সঙ্গীত "গোরী তেরে ন্যায়না" গানের কয়েক লাইন পরিবেশন করেন, বলিউডের কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী লতা মঙ্গেশকর এর প্রশংসা করেন। উক্ত পর্বটি অনেক হিট হয়, কারণ বলিউডের কোন অভিনেতা বহু দিন পর এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফিরে এসেছিল।

২০১৪ সালে, গোবিন্দা স্টার প্লাস চ্যানেলে প্রচারিত অনুষ্ঠান ম্যাড ইন ইন্ডিয়া তে কারিশমা কাপুরের সাথে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তার সিনেমার কয়েকটি জনপ্রিয় গানে কারিশমার সাথে নৃত্য পরিবেশন করেছিলেন।

২০২১ সালে বাংলা টেলিভিশন জি বাংলা চ‍্যানেলে প্রচারিত জনপ্রীয় ড‍্যান্স রিয়ালিটি শো ড‍্যান্স বাংলা ড‍্যান্স সিজন ১১ তে প্রধান বিচারক ছিলেন তিনি।

সম্মান এবং স্বীকৃতি

অভিনেতা গোবিন্দা: শৈশব, অভিনয় জীবন, অন্যান্য অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের যৌথ অভিনয় 
গোবিন্দার আন্তর্জাতিক মাদার তেরেসা পুরস্কার গ্রহণ, (বাম-ডান) লাছমান চাতনানী, রাম চাতনানী, রাম জ্বহরনী, অ্যান্থনী আরুন বিশ্বাস, পলাজ নিহালানী, গোবিন্দ এবং চন্দু পাঞ্জাবী
  • ১৯৯৯ - বিবিসি নিউজ অনলাইন এর সদস্যদের দ্বারা বিগত হাজার বছরের সেরা দশজন তারকার একজন হিসেবে ভোটপ্রাপ্ত।
  • ২০১১ - মুম্বাইয়ে 'ওর্লি মহোৎসব' অনুষ্ঠানে মাদার তেরেসা আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্তি

সঙ্গীত পরিচালক এবং সঙ্গীতশিল্পী

গোবিন্দা সঙ্গীত পরিচালক আনন্দ মিলিন্দ, আনন্দ রাজ আনন্দ এবং প্লেব্যাক সঙ্গীতশিল্পী উদিত নারায়ণের সাথে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন। উদিত নারায়ণ তার ৪০টির বেশি সিনেমায় গান গেয়েছেন। খুব কম সিনেমায় আছে যেখানে তিনি একজন নির্দিষ্ট অভিনেতার কন্ঠে প্লেব্যাকে গান করে নি। গোবিন্দার পরবর্তী কিল বিল সিনেমায়ও উদিত কন্ঠ দিয়েছেন। অন্যান্য সঙ্গীত শিল্পী যাদের সাথে গোবিন্দা কাজ করেছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, কুমার শানু, বিনোদ রাথোড়, অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য এবং সনু নিগম। ছোটবেলায় গোবিন্দা ক্যালিসিক্যাল সঙ্গীত শিখেছিলেন।

২০১৩ সালের নভেম্বরে, গোবিন্দা টিভি অভিনেত্রী পুজা বোসের সাথ তার গানের এলবাম গোরী তেরে ন্যায়না বের করেছেন এবং এই এলবামের সব গানে তিনি কন্ঠ দিয়েছেন। এটা গোবিন্দার দ্বিতীয় এলবাম

তার প্রথম এলবাম গোবিন্দা বের হয় ১৯৯৮ সালে। এই এলবামটি মোটামুটি হিট হয়

চলচ্চিত্র

পুরস্কার এবং মনোনয়ন

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

বহিসংযোগ


Tags:

অভিনেতা গোবিন্দা শৈশবঅভিনেতা গোবিন্দা অভিনয় জীবনঅভিনেতা গোবিন্দা অন্যান্য অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের যৌথ অভিনয়অভিনেতা গোবিন্দা রাজনৈতিক জীবনঅভিনেতা গোবিন্দা ব্যক্তিগত জীবনঅভিনেতা গোবিন্দা অন্যান্য কাজঅভিনেতা গোবিন্দা সম্মান এবং স্বীকৃতিঅভিনেতা গোবিন্দা সঙ্গীত পরিচালক এবং সঙ্গীতশিল্পীঅভিনেতা গোবিন্দা চলচ্চিত্রঅভিনেতা গোবিন্দা পুরস্কার এবং মনোনয়নঅভিনেতা গোবিন্দা আরও দেখুনঅভিনেতা গোবিন্দা তথ্যসূত্রঅভিনেতা গোবিন্দা বহিসংযোগঅভিনেতা গোবিন্দাফিল্মফেয়ার পুরস্কারবলিউডবিবিসিরাজনীতিবিদ

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

বাংলাদেশের জেলাসমূহের তালিকাকালেমাদ্বিঘাত সমীকরণবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ২০২৩৮৭১কাবাপাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারআর্যনামাজের নিয়মাবলীবাংলাদেশের সংবিধানের সংশোধনীসমূহমাযহাবগোত্র (হিন্দুধর্ম)ইন্দিরা গান্ধীকাতারআল পাচিনোখাদ্যবাংলাদেশের উপজেলার তালিকাজয়নুল আবেদিনআধারবাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীপাঠান (চলচ্চিত্র)সূরা বাকারাছারপোকাউসমানীয় সাম্রাজ্যহনুমান (রামায়ণ)উইকিবইবাজিবাংলাদেশ সরকারবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়অযুঠাকুর অনুকূলচন্দ্রভারতের রাষ্ট্রপতিমহাবিস্ফোরণ তত্ত্বশাহ জাহানবাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধআলবার্ট আইনস্টাইনবর্ডার গার্ড বাংলাদেশঅন্নপূর্ণা (দেবী)ঋগ্বেদদেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীচাশতের নামাজস্বাধীনতাগানা ডট কমসোডিয়াম ক্লোরাইডনাটকরমজান (মাস)ইংল্যান্ডজিৎ অভিনীত চলচ্চিত্রের তালিকাবাংলা ভাষাগাঁজাসূরা ইয়াসীনবিশেষ্যসালোকসংশ্লেষণগ্রীন-টাও থিওরেমইউরোপনামাজরাজনীতিস্নায়ুতন্ত্রহামদোয়ামক্কাবাংলাদেশের মেডিকেল কলেজসমূহের তালিকাইন্সটাগ্রামসাইপ্রাসচাঁদসালমান শাহমিশরনারী ক্ষমতায়নরোজাপর্তুগালরাদারফোর্ড পরমাণু মডেলবিষ্ণুমীর মশাররফ হোসেনবাংলাদেশ পুলিশজীবনানন্দ দাশমুসাশুক্রাণুসূরা🡆 More