গান্ধী জয়ন্তী হল ১৮৬৯ সালের ২রা অক্টোবর জন্মগ্রহণকারী মোহনদাস গান্ধীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভারতে উদযাপিত একটি অনুষ্ঠান। এটি প্রতিবছর ২রা অক্টোবর পালিত হয়, এবং এটি ভারতের তিনটি জাতীয় ছুটির মধ্যে একটি। এই দিনটি সারা দেশে সমান মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়। ২০০৭ সালের ১৫ ই জুন ইউএন সাধারণ পরিষদ ঘোষণা করেছিল যে, এদের গৃহীত একটি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২রা অক্টোবর দিনটি আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসাবে উদযাপিত করা হবে।
গান্ধী জয়ন্তী | |
---|---|
পালনকারী | ভারত |
তাৎপর্য | ভারতের স্বাধীনতায় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর ভূমিকাকে সম্মান জানানো। |
পালন | সম্প্রদায়, ঐতিহাসিক উদ্যাপন। |
তারিখ | ২রা অক্টোবর |
সম্পর্কিত | আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস প্রজাতন্ত্র দিবস স্বাধীনতা দিবস |
প্রতি বছর ২রা অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তী পালিত হয়। এটি ভারতের অন্যতম একটি জাতীয় সরকারি ছুটির দিন, এই দিনটি ভারতের সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়।।
সারা ভারত জুড়ে প্রার্থনা পরিষেবা এবং শ্রদ্ধার মাধ্যমে গান্ধী জয়ন্তী পালিত হয়। বিশেষ করে নতুন দিল্লির রাজ ঘাটে, গান্ধীর স্মৃতিস্তম্ভে, যেখানে তাঁকে দাহ করা হয়েছিল, সেখানে সকলে শ্রদ্ধা অর্পণ করে। কলেজ, স্থানীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলি বিভিন্ন শহরে প্রার্থনা সভা, স্মরণ অনুষ্ঠান করে এই দিনটি উদ্যাপন করে। বিভিন্ন স্থানে চিত্রাঙ্কন এবং প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অহিংস জীবন ধারাকে উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে গান্ধীর প্রচেষ্টাকে তুলে ধরে বিদ্যালয় এবং সম্প্রদায়ের সেরা প্রকল্পগুলির জন্য পুরস্কার প্রদান করা হয়। গান্ধীর প্রিয় ভজন (হিন্দু ভক্তিমূলক গান) রঘুপতি রাঘব রাজা রাম সাধারণত তাঁর স্মৃতিতে গাওয়া হয়। দেশজুড়ে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিগুলি ফুল ও মালা দিয়ে সজ্জিত করা হয়, এবং বহু লোক সেইদিনটিতে মদ্যপান করা বা মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকে। সরকারী ভবন, ব্যাংক ও ডাকঘর সেই দিন বন্ধ থাকে।
মহাত্মা গান্ধীর জন্মের সার্ধশতবর্ষে ,তাঁকে নানা ভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় রেলওয়ে অঞ্চল জাতীয় ত্রিরঙ্গার পটভূমিতে মহাত্মা গান্ধীর ছবি দিয়ে ডিজেল লোকোমোটিভগুলি এঁকে দিয়ে মহাত্মা গান্ধীর জন্মের সার্ধশতবর্ষ উদ্যাপন করেছে।
মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর সার্ধশতবর্ষের জন্মদিনে ₹ ১৫০ এর একটি মুদ্রা প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান সোনিয়া গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও রাজঘাটে তাঁদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। কংগ্রেস কর্মীরা মহাত্মা গান্ধীর দর্শনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গণ শপথ গ্রহণ করেছিলেন। এদিকে, ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধান অমিত শাহ দলের হয়ে দেশব্যাপী গান্ধী সঙ্কল্প যাত্রা শুরু করেছেন। সন্ধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী মোদী গুজরাতের সবরমতী আশ্রমে ১০,০০০ সরপঞ্চকে সম্বোধন করেন। তিনি ভারতকে ‘খোলা জায়গায় শৌচমুক্ত’ এবং স্বচ্ছ ভারত সংকল্পের সাফল্য ও প্লাস্টিকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার ঘোষণা করেন। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এবং পরিবেশের প্রতি তাঁর অবদানকে স্মরণ করে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার এম.এফ. হুসেন আর্ট গ্যালারীতে ‘গান্ধীর জন্য পিকচার পোস্টকার্ড’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই প্রদর্শনীটির কল্পনা ও নকশা তৈরি করে তাকে সংকলিত করেছিলেন অধ্যাপক ফরহাত বসির খান।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article গান্ধী জয়ন্তী, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.