শহর কান

কান ফরাসি উপকূল সীমান্তে অবস্থিত একটি শহর। এটি আল্প-মারিতিম দেপার্ত্যমঁর একটি কম্যুন। এখানে প্রতি বছর কান চলচ্চিত্র উৎসব, মিদেম ও কান লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল অব ক্রিয়েটিভি অনুষ্ঠিত হয়। শহরটি ধনাঢ্য ও বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের সাথে সম্পর্কিত এবং বিলাসবহুল হোটেল ও রেস্তোরাঁ, ও কয়েকটি সম্মেলনের জন্য প্রসিদ্ধ। ২০১১ সালের ৩রা নভেম্বর এখানে ২০১১ জি২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

কান
কম্যুন
শহর কান
কানের প্রতীক
প্রতীক
কানের অবস্থান
কান ফ্রান্স-এ অবস্থিত
কান
কান
কান প্রোভঁস-আল্প-কোত দাজ্যুর-এ অবস্থিত
কান
কান
স্থানাঙ্ক: ৪৩°৩৩′০৫″ উত্তর ৭°০০′৪৬″ পূর্ব / ৪৩.৫৫১৩° উত্তর ৭.০১২৮° পূর্ব / 43.5513; 7.0128
দেশশহর কান ফ্রান্স
অঞ্চলপ্রোভঁস-আল্প-কোত দাজ্যুর
অধিদপ্তরআল্প-মারিতিম
নগরের পৌরসভাগ্রাস
ক্যান্টনকান-১ ও ২
আন্তঃগোষ্ঠীসিএ কান পে দ্য লেরাঁ
সরকার
 • মেয়র (২০১৪–২০২০) দাভিদ লিসনার (এলআর)
আয়তন১৯.৬২ বর্গকিমি (৭.৫৮ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (Jan. 2017)৭৩,৮৬৮
 • জনঘনত্ব৩,৮০০/বর্গকিমি (৯,৮০০/বর্গমাইল)
সময় অঞ্চলসিইটি (ইউটিসি+০১:০০)
 • গ্রীষ্মকালীন (দিসস)সিইএসটি (ইউটিসি+০২:০০)
আইএনএসইই/ডাক কোড06029 /06400
উচ্চতা০–২৬০ মি (০–৮৫৩ ফু)
ফ্রান্সের ভূমি রেজিস্টার তথ্য, যার ভেতর হ্রদ, পুকুর, হিমবাহ > ১ বর্গকি.মি.(০.৩৮৬ বর্গ মাইল বা ২৪৭ একর) এবং নদীর মোহনা অন্তর্ভূক্ত নয়।

ইতিহাস

খ্রিষ্টপূর্ব ২য় শতাব্দীর দিকে লিগুরীয় অক্‌সিবি জাতি এই স্থানে এজিতনা নামে জনবসতি স্থাপন করে। ইতিহাসবেত্তাগণ এই নামের অর্থ কি সে ব্যাপারে অনিশ্চিত। এই এলাকাটি মাছ ধরার গ্রাম ছিল, যা লেরাঁ দ্বীপপুঞ্জের বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হত।

খ্রিষ্টপূর্ব ১৫৪ এখানে অব্দে কুইন্তুস অপিমিউসের সৈন্যদল ও অক্‌সিবি জাতির মধ্যে সহিংস যুদ্ধ হয়।

১০ম শতাব্দীতে শহরটি কানুয়া নামে পরিচিত ছিল। নামটি সম্ভবত ফরাসি ভাষার 'কান্না' (নলখাগড়া) থেকে এসেছে। কানুয়া সম্ভবত লিগুরীয় বন্দরের একটি ছোট স্থান ছিল এবং এখানে আবিষ্কৃত রোমান সমাধি থেকে জানা যায় এটি ল্য স্যুকেস পর্বতে রোমান সৈন্যদের ফাঁড়ি ছিল। বর্তমানে শহরটি যেখানে অবস্থিত, সেখানে ল্য স্যুকেস পর্বতে ১১ শতাব্দীর একটি টাওয়ার রয়েছে। প্রাচীন সকল কার্যকলাপ, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা, লেরাঁ দ্বীপপুঞ্জে সংগঠিত হয়েছিল এবং কান শহরের ইতিহাস এই দ্বীপপুঞ্জের ইতিহাসের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।

জলবায়ু

কান একটি অর্ধ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু-প্রধান শহর। এখানে গ্রীষ্মকালে (জুলাই) ১১ ঘণ্টা রোদ থাকে; অন্যদিকে শীতকালে (ডিসেম্বর থেক ফ্রেব্রুয়ারি) মৃদু ঠাণ্ডা থাকে। দুই মৌসুমেই তুলনামূলক কম বৃষ্টিপাত হয় এবং অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে অধিক বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে, যার পরিমাণ ১১০ মিলিমিটা (৪.৩ ইঞ্চি)।

কান শহরে গ্রীষ্মকাল দীর্ঘ ও উষ্ণ হয়ে থাকে। গ্রীষ্মকালে দিনের তাপমাত্রা নিয়মিতই ৩০ °সে (৮৬ °ফা) হয়ে থাকে, তবে গড় তাপমাত্রা প্রায় ২৫ °সে (৭৭ °ফা) থাকে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর বছরের ব্যস্ততম সময় এবং এই সময়ে তাপমাত্রা অধিক থাকে।

অর্থনীতি

শহর কান 
কান মঁদেলিও অ্যারো সেন্টার

কান শহরটির অর্থনীতি পর্যটন, বাণিজ্য মেলা, ব্যবসা ও বিমানচালনার উপর নির্ভরশীল। এখানে ৬,৫০০ কোম্পানি রয়েছে, তন্মধ্যে ৩,০০০ ব্যবসা, শৈল্পিক ও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। ২০০৬ সালে ৪২১টি নতুন কোম্পানি নিবন্ধিত হয়েছে।

শহরটির আশেপাশের এলাকাটি উচ্চ-প্রযুক্তিসম্পন্ন দলে উত্তীর্ণ হয়েছে। সোফিয়া অ্যান্টিপোলিস প্রযুক্তি শহরটি কানের পার্শ্ববর্তী পর্বতে অবস্থিত। এখানে প্রতি বছর মে মাসে বিশ্ব চলচ্চিত্রের শিল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি চলচ্চিত্র উৎসব কান চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি এখানে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহ ঘটে থাকে, যেমন - এমআইপিআইএম, এমআইপিটিভি, এমআইডিইএম, কান লায়ন্স ও এনআরজে মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস। প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে এখানে বার্ষিক টেলিভিশন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

শহরটিতে ইউরোপের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কান মঁদেলিও স্পেস সেন্টার রয়েছে, যার সদর দপ্তর থালেজ আলেনিয়া স্পেসে অবস্থিত।

পরিবহন

    আকাশপথ

কান শহর থেকে ২৪ কিমি (১৫ মাইল) দূরে অবস্থিত নিস কোত দাজ্যুর বিমানবন্দর প্রতি বছর ১০ মিলিয়ন যাত্রী পরিবহন করে। শহরটি থেকে ১৫০ কিমি (৯৩ মাইল) দূরে মার্সেই প্রোভঁস বিমানবন্দর অবস্থিত। নিকটেই কান - মঁদেলিও বিমানবন্দর অবস্থিত। কানএক্সপ্রেস নিস বিমানবন্দর ও কানের হোটেল বা আবাসনের মধ্যে নিয়মিত বিমানবন্দর শাটল সেবা প্রদান করে।

    রেলপথ

এই শহরে বেশ কয়েকটি রেল সেবা রয়েছ। টিজিভিসমূহ প্যারিস গার দ্য লিওঁ থেকে নিস পর্যন্ত, একটি টের মার্সেই সাঁ শার্ল থেকে নিস পর্যন্ত, একটি টের কান থেকে লে আর্ক পর্যন্ত, একটি টের গ্রাস/কান থেকে ইতালির ভেন্তিমিলিগা পর্যন্ত এবং একটি অনিয়মিত থেলো (ইতালীয় রেল) মার্সেই সাঁ শার্ল থেকে মিলান পর্যন্ত রেল সেবা প্রদান করে।

    বাস

কোচ সেবাসমূহ টাউন হলের নিকটে শহরের কেন্দ্রস্থল গার রুতিয়ের দ্য কানে এসে পৌঁছায়। বিদেশি কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইউরোলাইন্স ও এজেন্স ফোসিন্স এই শহরে সেবা দেয়। আঞ্চলিক সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে নিস থেকে রাপিদে কোত দাজ্যুর এবং গ্রাস/মঁদেলিও থেকে সিটিএম। বাস আজ্যুর স্থানীয় বাস সেবা প্রদান করে।

    ফেরি

নিস পোতাশ্রয়ে কর্সিকার বাস্তিয়া ও কালভি থেকে ফেরি পাওয়া যায়। এই সেবা প্রদান করে এসএনসিএম ফেরিটেরানি ও কর্সিকা ফেরিস। বাস্তিয়া থেকে কানে আসতে গতানুগতিক ফেরি দিয়ে সময় লাগে ৪ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট এবং এক্সপ্রেস ফেরি দিয়ে ৪০ মিনিট। অন্যদিকে কালভি থেকে গতানুগতিক ফেরি দিয়ে সময় লাভ ৩ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট এবং এক্সপ্রেস ফেরি দিয়ে ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট।

কান পোতাশ্রয়ের প্যানারোমা চিত্র, এখান থেকে ফেরি পারাপার হয়ে থাকে।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:আল্প-মারিতিমের কম্যুন

Tags:

শহর কান ইতিহাসশহর কান জলবায়ুশহর কান অর্থনীতিশহর কান পরিবহনশহর কান তথ্যসূত্রশহর কান বহিঃসংযোগশহর কানকান চলচ্চিত্র উৎসব

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

যিনাবিভিন্ন ধর্ম ও বিশ্বাসের তালিকাফুটবলবাংলাদেশ রেলওয়েই-মেইলবিভিন্ন দেশের মুদ্রাদেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীইতিহাসপ্রধান পাতাসূরা নাসরভাইরাসক্রিস্তিয়ানো রোনালদোশিখধর্মপানিসূরা আর-রাহমানবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মরত জেনারেলদের তালিকাসূরা নাসসূরা ফাতিহাময়মনসিংহডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডশিবজামালপুর জেলামাগরিবের নামাজদ্বিপদ নামকরণবাংলাদেশের মেডিকেল কলেজসমূহের তালিকাউদ্ভিদকোষদক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলাহরে কৃষ্ণ (মন্ত্র)কক্সবাজার২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপবাল্যবিবাহসুব্রহ্মণ্যন চন্দ্রশেখরসজনেজৈন ধর্মচাকমাআন্তর্জাতিক নারী দিবসনিমগ্রামীণ ব্যাংকবাংলাদেশের বিমানবন্দরের তালিকাজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানমিজানুর রহমান আজহারীমাহদীউৎপল দত্তখুররম জাহ্‌ মুরাদরেনেসাঁশীতলামুঘল সাম্রাজ্যপিপীলিকা (অনুসন্ধান ইঞ্জিন)সিরাজউদ্দৌলাসিলেটমীর মশাররফ হোসেনফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংইব্রাহিম (নবী)অর্থনীতিবাংলা লিপিবহুমূত্ররোগমুহাম্মদ ইউনূসবাংলাদেশের ইতিহাসবাংলাদেশের ব্যাংকসমূহের তালিকাঅ্যাসিড বৃষ্টিইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজিবিদায় হজ্জের ভাষণউমাইয়া খিলাফতকোষ প্রাচীরব্রহ্মপুত্র নদঋতুখ্রিস্টধর্মবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলআবহাওয়াকানাডাপেশীরক্তের গ্রুপজাতিসংঘউইকিপ্রজাতিআর্যবাংলাদেশের পদমর্যাদা ক্রমভূগোলমালয়েশিয়া🡆 More