কাতার–সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক

কাতার–সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক হল কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। দোহায় ইউএই'র একটি দূতাবাস রয়েছে; ওদিকে এবং দুবাইয়ে রয়েছে কাতারের কনস্যুলেট আর আবু ধাবিতে রয়েছে মূল দূতাবাস।

কাতার–সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক
মানচিত্র কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থান নির্দেশ করছে
কাতার–সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক
কাতার
কাতার–সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্ক
সংযুক্ত আরব আমিরাত

উভয় দেশেরই সামুদ্রিক সীমানা রয়েছে এবং উভয়েই পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের অংশ। দুই দেশই জিসিসির সদস্য।

কূটনৈতিক সম্পর্ক

১৯৯৫ সালে হামাদ বিন খলিফা আল থানি পিতাকে পদচ্যূত করার পর কাতারের আমির হিসেবে আসীন হন। তখন ইউএই পদচ্যূত খলিফা বিন হামাদ আল থানের জন্য আবুধাবির একটি মানসিক হাসপাতালের কোয়ার্টারের ব্যবস্থা করে দেয়। তখন কাতার নতুন আমিরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ করে, ইউএই'র সাথে সাথে সৌদি আরব এবং বাহরাইনকেও। অভিযুক্ত রাষ্ট্রগুলো এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরের দুই বছর ধরে অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ্কাতার আমিরি গার্ড নিযুক্ত করা হয়।

২০১৪ সালের মার্চ মাসে ইউএই, সৌদি আরব ও বাহরাইনের সাথে একত্রে কাতার থেকে তার রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নেয়। প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে বলা হয় এইসকল দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে কাতারের হস্তক্ষেপ না করার চুক্তির নিয়ম রক্ষা না করা। এ ঘটনার মূল কারণ ছিল মিশরে সামরিক বাহিনী ও আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির নেতৃত্বে রাজনৈতিক বিপ্লবের প্রতি ইউএই'র সমর্থন, যা কাতারের সমর্থনকে ঠেলে দেয় মুসলিম ব্রাদারহু্ডের দিকে। ইউএই মুসলিম ব্রাদারহুডের বিষয়টিকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাজনিত ব্যাপার বলে মনে করত, কারণ আবুধাবির স্টেট সিকিউরিটি কোর্টে রাষ্ট্রের ক্ষমতাবদলের অভিযোগে মুসলিম ব্রাদারহুডের এক কর্মীকে কঠিন শাস্তি দেয়। ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে দুবাই পুলিশ বাহিনীর প্রধান দাহি খলফান বলেন, “তথাকথিত ‘মুসলিম’ ব্রাদারহুডের নিরাপদ স্বর্গ হয়ে ওঠা কাতারের পক্ষে মোটেও উচিত কাজ হবে না।” তিনি আরো বলেন যে ইউএই'র উচিত হবে কাতারকে রিক্লেইম করা।

কাতার সরকার মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডকে অনবরত সমর্থন দিয়ে যায়। কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি, আল সিসির নির্বাচনের নিন্দা করে বলেন, ২০১৪ সালের জুনের সেই রাষ্ট্রপতি হওয়া ছিল সামরিক অভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে। রাষ্ট্রদূতেরা জুনমাসে তাদের নিজস্ব পদে ফিরে যায়।

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায় যে আমিরাত সরকার ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে কাতারের বিরুদ্ধে প্রচারণার জন্য, প্রাথমিকভাবে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি কাতারের সমর্থনের বিরুদ্ধে। এই প্রচারণার লক্ষ্য ছিল কাতার যে ইসলামিক দলগুলোকে অর্থ দেয়, তার বিরুদ্ধে মার্কিন সাংবাদিকদের দিয়ে সমালোচনামূলক নিবন্ধ লেখানো। ইউএই'র বিরুদ্ধে সংবাদ লেখানোর জন্য কাতার প্রভার বিস্তার করেছে বলেও জানা যায়।

সাংবাদিক ব্রায়ান হুইটটেকার বলেন ইউএই গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ফর রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নামক এনজিওকে রাজনৈতিক খেলনা হিসেবে ব্যবহার করেছে। হুইটটেকার আরো বলেন যে সংস্থাটি ইউএই'র প্রতি একচোখা আচরণ করে ২০১৪ সালের মানবাধিকার সারিতে ইউএইকে ১৪ এবং কাতারকে ৯৭তম স্থান দেয়। এই সংস্থাটিই কাতার আয়োজিত ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপের বিরুদ্ধে বাঁধা দিচ্ছে বলেও দাবি করা হয়। সংস্থাটির দুই কর্মী কাতার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়, যখন তারা প্রবাসী শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান নিয়ে তদন্ত করছিল

কূটনৈতিক সফর

২০০৮ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতি শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান দোহায় সফর করেন। সেখানে তিনি কাতারের আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল থানির সাথে সাক্ষাৎ করেন। দুই নেতা একত্রে বিনিয়োগসম্পর্কিত তহবিল গঠন করেন।

তথ্যসূত্র

টেমপ্লেট:সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈদেশিক সম্পর্ক

Tags:

আবু ধাবিকাতারদুবাইদোহাসংযুক্ত আরব আমিরাত

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

ঈদুল ফিতরউপন্যাসর‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নবৃহস্পতি গ্রহক্রিটোঅ্যাসিড বৃষ্টিমুহাম্মাদের বংশধারাচিয়া বীজঅভিমান (চলচ্চিত্র)ব্রাজিলরক্তশূন্যতাবাংলাদেশ নৌবাহিনীবাংলাদেশের জেলামাইটোকন্ড্রিয়াব্রহ্মপুত্র নদক্যান্টনীয় উপভাষারাশিয়াঅশোক (সম্রাট)ব্যাকটেরিয়াত্রিপুরাভাষাআধারআমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানমুঘল সাম্রাজ্যবাংলাদেশের পোস্ট কোডের তালিকাআশাপূর্ণা দেবীমহেরা জমিদার বাড়িসেন্ট মার্টিন দ্বীপমুজিবনগরসংস্কৃত ভাষাসুকুমার রায়মাযহাববাংলাদেশী টাকাসুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কাঁঠালবাবরপ্যারিসশয়তানবিদায় হজ্জের ভাষণসূরা ইয়াসীনটেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাপশ্চিমবঙ্গের জেলাপারমাণবিক ভরের ভিত্তিতে মৌলসমূহের তালিকামৌলিক সংখ্যাবলইয়াজুজ মাজুজছবিস্মার্ট বাংলাদেশজসীম উদ্‌দীনকুরাসাওবাংলা বাগধারার তালিকাপৃথিবীর ইতিহাসগঙ্গা নদীইলেকট্রন বিন্যাসবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়চড়ক পূজা০ (সংখ্যা)আর্জেন্টিনা–ব্রাজিল ফুটবল প্রতিদ্বন্দ্বিতামাহদীঅ্যান মারিবাংলাদেশের স্থল বন্দরসমূহের তালিকাএম এ ওয়াজেদ মিয়াজার্মানিছিয়াত্তরের মন্বন্তরভারত বিভাজনউত্তর চব্বিশ পরগনা জেলাবাংলাদেশের জাতীয় পতাকাআবদুর রহমান আল-সুদাইসমিয়া খলিফাসিরাজউদ্দৌলাইতালিউমর ইবনুল খাত্তাবদক্ষিণ কোরিয়াআবদুল হামিদ খান ভাসানীবাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের তালিকাঅসমাপ্ত আত্মজীবনী🡆 More