কমলা বাসিন

কমলা বাসিন (২৪ এপ্রিল ১৯৪৬ - ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ) একজন ভারতীয় উন্নয়নশীল নারীবাদী কর্মী, কবি, লেখক এবং সমাজ বিজ্ঞানী। ১৯৭০ সালে শুরু হওয়া বাসিনের কাজটি, লিঙ্গ, শিক্ষা, মানব বিকাশ এবং প্রচার মাধ্যমের উপর আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। তিনি, ভারতের নতুন দিল্লিতে থাকেন। তিনি, সঙ্গত - একটি নারীবাদী অন্তর্জাল নিয়ে তার কাজ, এবং তার কিঁউকি ম্যায় লডকি হুঁ, মুঝে পঢ়না হ্যায় কবিতার জন্য সুপরিচিত। ১৯৯৫ সালে, তিনি একটি সম্মেলনে জনপ্রিয় কবিতা আজাদী (স্বাধীনতা) এর একটি পরিমার্জিত, নারীবাদী সংস্করণ আবৃত্তি করেন। তিনি ওয়ান বিলিয়ান রাইজিং এর দক্ষিণ এশিয়ার সমন্বয়কারী।

কমলা বাসিন
২০১৭ সালে ঢাকায় সাহিত্য উৎসবে কমলা বাসিন
২০১৭ সালে ঢাকায় সাহিত্য উৎসবে কমলা বাসিন
জন্ম(১৯৪৬-০৪-২৪)২৪ এপ্রিল ১৯৪৬
ভারত
মৃত্যু২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১(2021-09-25) (বয়স ৭৫)
পেশানারীবাদী কর্মী, কবি, লেখক
ভাষাহিন্দি, ইংরেজি, বাংলা
জাতীয়তাভারতীয়
শিক্ষাসাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানরাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়, মুয়েনস্টার বিশ্ববিদ্যালয়
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিবর্ডারস অ্যান্ড বাউন্ডারিস : উইমেন ইন ইন্ডিয়াস পার্টিশান (বই)

২০০২ সালে, তার প্রতিষ্ঠিত এবং তার উপদেশে চালিত সঙ্গতের সাথে কাজ করার জন্য, ইউএন এর চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন। নারীবাদী তত্ত্ব এবং সম্প্রদায়ের কর্মকে একত্রিত করে, এমনই এক ধরনের বিশ্বাসকে তিনি সমর্থন করেন। তিনি বঞ্চিত উপজাতীয় নারীদের সাথে এবং খেটে খাওয়া মানুষদের সাথে, পোস্টার, নাটক এবং অন্যান্য সাহিত্য সম্বন্ধহীন পদ্ধতি ব্যবহার করে কাজ করেছেন, স্বল্প সাক্ষর সম্প্রদায়ের গভীরে চলে গেছেন। তিনি সবসময় বলেছেন যে, কার্যকর পরিবর্তন আনার জন্য, দলগত ধ্বনির সাথে সাথে সম্প্রদায়ের আন্দোলন ও চালিয়ে যেতে হবে।

প্রাথমিক এবং ব্যক্তিগত জীবন

তিনি নিজেকে বলেছেন 'মধ্যরাত্রি প্রজন্ম', স্বাধীনতার কাছাকাছি সময়ে জন্মগ্রহণকারী ভারতীয়দের প্রজন্মের একটি উল্লেখ, 'মধ্যরাতের ঘণ্টা বাজার সময়..'. পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবচেয়ে বড় ছিলেন। তার বাবা রাজস্থানের একজন ডাক্তার ছিলেন। তিনি ভারতের গ্রামগুলিতে বড় হয়েছেন এবং এটি তাকে ভারতের গ্রামগুলিতে নারীর সমস্যা সম্পর্কে বুঝতে সাহায্য করেছিল। এই অভিজ্ঞতা তার জীবনে এবং ভবিষ্যতের কর্মজীবনে সহায়ক হয়েছে। তিনি তার স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পড়াশোনা একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন। তিনি পরে তার অভিজ্ঞতা থেকে বলেন যে, সেই সময় তিনি কোন অনুপ্রেরণা পাননি এবং তিনি দ্বিতীয় বিভাগ স্নাতক পাস করেন।

সেবা মন্দির এর জন্য কাজ করার সময় রাজস্থানে তার (এখন প্রাক্তন) স্বামীর সাথে দেখা হয়। তিনি পরে দেখেন যে, তার স্বামী অত্যন্ত নারীবাদী ব্যক্তি এবং প্রগতিশীল ধারণাকে সমর্থন করেন। তার স্বামী চেয়েছিলেন যে, তাদের সন্তানরা তাদের দুজনেরই পদবী গ্রহণ করবে এবং বাসিনের ৭০-বছর বয়সী মায়ের তাদের সাথে থাকাকে সমর্থন করেছিলেন। কিন্তু সবকিছু পাল্টে যায়, যখন গার্হস্থ্য হিংসা এবং অবিশ্বস্ততা ঘটতে থাকে।

তার প্রাপ্তবয়স্ক বড় মেয়ের মৃত্যু তাকে সবচেয়ে বেশি আঘাত দেয়, সে তার অত্যন্ত কাছের ছিল। তার একটি ছেলে ছিল, টিকাকরণের পর তার শরীরে খুব খারাপ প্রতিক্রিয়া হয়।

শিক্ষা এবং পেশা

রাজনৈতিকীকরণের শুরু

বাসিন রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং তারপরে ফেলোশিপ নিয়ে পশ্চিম জার্মানির মুয়েনস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়নে সমাজবিজ্ঞান নিয়ে অধ্যয়ন শুরু করেন। তারপরে, তিনি বাড হনেফ এর জার্মানি ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট কান্ট্রিজ এর ওরিয়েন্টেশন কেন্দ্রে প্রায় এক বছরের জন্য শিক্ষা দিয়েছেন। তারপর তিনি ভারতে ফিরে, সেখানে যা শিখেছেন তার বাস্তবায়ন করতে চাইলেন। তাই, তিনি সেবা মন্দিরের জন্য কাজ শুরু করেন, এঁরা প্রাকৃতিক সম্পদের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রাথমিকভাবে কাজ করেন। সেখানে তিনি শিখলেন, জাতি প্রথা কীভাবে ভারতীয় সমাজে প্রচলিত, এবং কীভাবে বৈষম্য স্পষ্টতঃ প্রতীয়মান, এমনকি শাসনক্ষেত্রেও। প্রতীয়মান সত্য ছিল এই যে, ব্রাহ্মণদের কুয়ো কখনো শুকিয়ে যাবে না, কারণ তারা প্রতি বছর কুয়ো খোঁড়ার জন্য রাজ্য তহবিল পেত। এই সময়েই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে জাতি প্রথা এবং নারীবাদ দুটিই বিভাগ অনুযায়ী চলে।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Tags:

কমলা বাসিন প্রাথমিক এবং ব্যক্তিগত জীবনকমলা বাসিন শিক্ষা এবং পেশাকমলা বাসিন তথ্যসূত্রকমলা বাসিন বহিঃসংযোগকমলা বাসিননতুন দিল্লিনারীবাদভারতভারতীয়লিঙ্গ

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

সংস্কৃতিকৃষ্ণগহ্বরআমাশয়অ্যামিনো অ্যাসিডফেরদৌস আহমেদফজরের নামাজবেলারুশহামসুভাষচন্দ্র বসুসামাজিক লিঙ্গ পরিচয়দ্বিঘাত সমীকরণরক্তের গ্রুপভারত বিভাজনআহ্‌মদীয়াউসমানীয় সাম্রাজ্যক্রিয়েটিনিনসিপাহি বিদ্রোহ ১৮৫৭দর্শনরমজান (মাস)অশ্বগন্ধাহাদিসচর্যাপদসেন্ট মার্টিন দ্বীপবাবরউইকিবইসৌরজগৎবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীনৈশকালীন নির্গমনভারতের রাষ্ট্রপতিদের তালিকাহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরমোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীশ্রীকৃষ্ণকীর্তনআনন্দবাজার পত্রিকাভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহবাঘইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগসিরাজউদ্দৌলাবীর্যসূরা আর-রাহমানবলসহীহ বুখারীগজআল্প আরসালানবিদায় হজ্জের ভাষণমুসাফিরের নামাজতায়াম্মুমসুবহানাল্লাহবিশ্বের ইতিহাসপদ্মা সেতুগঙ্গা নদীআসরের নামাজফেসবুকমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সোনালী ব্যাংক লিমিটেডব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিশাবনূরবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকাসূরা ফালাকআবহাওয়াজ্ঞানমাইটোকন্ড্রিয়াউদ্ভিদকোষকনডমআবু বকরপহেলা বৈশাখতাশাহহুদভারতের ইতিহাসসনি মিউজিকআর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলতুলসীআংকর বাটশাহরুখ খানপ্লাস্টিক দূষণসোডিয়াম ক্লোরাইডচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলপারমাণবিক ভরের ভিত্তিতে মৌলসমূহের তালিকাইউক্রেনপ্রথম বিশ্বযুদ্ধ🡆 More