উইকিপিডিয়ায় লিখন বা সম্পাদনার ক্ষেত্রে নিচের বাংলা বানানের নিয়মগুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন।
এই নির্দেশাবলী বাংলা উইকিপিডিয়ার রচনাশৈলী নির্দেশনার একটি অংশ। এইটি ব্যবহার করতে সাধারণ জ্ঞান ব্যবহার করুন। এই পাতাতে যেকোন স্বতন্ত্র সম্পাদনা জনমতের ভিত্তিতে করা উচিত। কোন সন্দেহ থাকলে, প্রথমে তা আলাপ পাতায় আলোচনা করুন। |
রচনাশৈলী নির্দেশনা (রচনি) |
---|
|
কিংবদন্তি, খঞ্জনি, চিৎকার, চুল্লি, তরণি, ধমনি, ধরণি, নাড়ি, পঞ্জি, পদবি, পল্লি, ভঙ্গি, মঞ্জরি, মসি, যুবতি, রচনাবলি, লহরি, শ্রেণি, সরণি, সূচিপত্র;
উর্ণা, উষা।
অর্জ্জন, ঊর্দ্ধ্ব, কর্ম্ম, কার্ত্তিক, কার্য্য, বার্দ্ধক্য, মূর্চ্ছা, সূর্য্য ইত্যাদির পরিবর্তে যথাক্রমে অর্জন, ঊর্ধ্ব, কর্ম, কার্তিক, কার্য, বার্ধক্য, মূর্ছা, সূর্য ইত্যাদি হবে।
অহম্ + কার = অহংকার
এভাবে ভয়ংকর, সংগীত, শুভংকর, হৃদয়ংগম, সংঘটন।
অঙ্ক, অঙ্গ, আকাঙ্ক্ষা, আতঙ্ক, কঙ্কাল, গঙ্গা, বঙ্কিম, বঙ্গ, লঙ্ঘন, শঙ্কা, শৃঙ্খলা, সঙ্গে, সঙ্গী।
গুণী → গুণিজন, প্রাণী → প্রাণিবিদ্যা, মন্ত্রী → মন্ত্রিপরিষদ
গুণী → গুণীজন, প্রাণী → প্রাণীবিদ্যা, মন্ত্রী → মন্ত্রীপরিষদ
কৃতি → কৃতিত্ব, দায়ী → দায়িত্ব, প্রতিযোগী → প্রতিযোগিতা, মন্ত্রী → মন্ত্রিত্ব, সহযোগী → সহযোগিতা
ইতস্তত, কার্যত, ক্রমশ, পুনঃপুন, প্রথমত, প্রধানত, প্রয়াত, প্রায়শ, ফলত, বস্তুত, মূলত।
দুস্থ, নিস্তব্ধ, নিস্পৃহ, নিশ্বাস।
আরবি, আসামি, ইংরেজি, ইমান, ইরানি, উনিশ, ওকালতি, কাহিনি, কুমির, কেরামতি, খুশি, খেয়ালি, গাড়ি, গোয়ালিনি, চাচি, জমিদারি, জাপানি, জার্মানি, টুপি, তরকারি, দাড়ি, দাদি, দাবি, দিঘি, নানি, নিচু, পশমি, পাখি, পাগলামি, পাগলি, পিসি, ফরাসি, ফরিয়াদি, ফারসি, ফিরিঙ্গি, বর্ণালি, বাঁশি, বাঙালি, বাড়ি, বিবি, বুড়ি, বেআইনি, বেশি, বোমাবাজি, ভারি (অত্যন্ত অর্থে), মামি, মালি, মাসি, মাস্টারি, রানি, রুপালি, রেশমি, শাড়ি, সরকারি, সিন্ধি, সোনালি, হাতি, হিজরি, হিন্দি, হেঁয়ালি।
চুন, পুজো, পুব, মুলা, মুলো।
ছেলেটি, লোকটি, বইটি।
এটা কী বই? কী আনন্দ! কী আর বলব? কী করছ? কী করে যাব? কী খেলে? কী জানি? কী দুরাশা! তোমার কী! কী বুদ্ধি নিয়ে এসেছিলে! কী পড়ো? কী যে করি! কী বাংলা কী ইংরেজি উভয় ভাষাতেই তিনি পারদর্শী।
তুমি কি যাবে? সে কি এসেছিল?
কেন, কেনো (ক্রয় করো); খেলা, খেলি; গেল, গেলে, গেছে; দেখা, দেখি; জেনো, যেন।
ব্যাঙ, ল্যাঠা।
এসব শব্দে ্যা (য-ফলা + আ-কার) অপরিবর্তিত থাকবে।
অ্যাকাউন্ট, অ্যান্ড (and), অ্যাসিড, ক্যাসেট, ব্যাংক, ভ্যাট, ম্যানেজার, হ্যাট।
কালো, খাটো, ছোটো, ভালো;
এগারো, বারো, তেরো, পনেরো, ষোলো, সতেরো, আঠারো;
করানো, খাওয়ানো, চড়ানো, চরানো, চালানো, দেখানো, নামানো, পাঠানো, বসানো, শেখানো, শোনানো, হাসানো;
কুড়ানো, নিকানো, বাঁকানো, বাঁধানো, ঘোরালো, জোরালো, ধারালো, প্যাঁচানো;
করো, চড়ো, জেনো, ধরো, পড়ো, বলো, বসো, শেখো, করাতো, কেনো, দেবো, হতো, হবো, হলো;
কোনো, মতো।
কোরো, বোলো, বোসো।
গাং, ঢং, পালং, রং, রাং, সং।
বাঙালি, ভাঙা, রঙিন, রঙের
কাগজ, জাদু, জাহাজ, জুলুম, জেব্রা, বাজার, হাজার।
আযান, ওযু, কাযা, নামায, মুয়ায্যিন, যোহর, রমযান, হযরত।
অঘ্রান, ইরান, কান, কোরান, গভর্নর, গুনতি, গোনা, ঝরনা, ধরন, পরান, রানি, সোনা, হর্ন।
কণ্টক, প্রচণ্ড, লুণ্ঠন।
গুন্ডা, ঝান্ডা, ঠান্ডা, ডান্ডা, লন্ঠন।
বিদেশি শব্দের ক্ষেত্রে ‘ষ’ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। যেমন:
কিশমিশ, নাশতা, পোশাক, বেহেশ্ত, শখ, শয়তান, শরবত, শরম, শহর, শামিয়ানা, শার্ট, শৌখিন;
আপস, জিনিস, মসলা, সন, সাদা, সাল (বৎসর), স্মার্ট, হিসাব;
স্টল, স্টাইল, স্টিমার, স্ট্রিট, স্টুডিয়ো, স্টেশন, স্টোর।
ইসলাম, তসলিম, মুসলমান, মুসলিম, সালাত, সালাম;
এশা, শাওয়াল (হিজরি মাস), শাবান (হিজরি মাস)।
পাসপোর্ট, বাস;
ক্যাশ;
টেলিভিশন;
মিশন, সেশন;
রেশন, স্টেশন।
তছনছ, পছন্দ, মিছরি, মিছিল।
স্টেশন, স্ট্রিট, স্প্রিং।
মার্কস, শেকসপিয়র, ইসরাফিল।
কলকল, করলেন, কাত, চট, চেক, জজ, ঝরঝর, টক, টন, টাক, ডিশ, তছনছ, ফটফট, বললেন, শখ, হুক।
উহ্, বাহ্, যাহ্।
বলে (বলিয়া), হয়ে (হইয়া), দুজন (দুইজন), চাল (চাউল), আল (আইল)।
অদৃষ্টপূর্ব, অনাস্বাদিতপূর্ব, নেশাগ্রস্ত, পিতাপুত্র, পূর্বপরিচিত, বিষাদমণ্ডিত, মঙ্গলবার, রবিবার, লক্ষ্যভ্রষ্ট, সংবাদপত্র, সংযতবাক, সমস্যাপূর্ণ, স্বভাবগতভাবে।
কিছু-না-কিছু, জল-স্থল-আকাশ, বাপ-বেটা, বেটা-বেটি, মা-ছেলে, মা-মেয়ে
ভালো দিন, লাল গোলাপ, সুগন্ধ ফুল, সুনীল আকাশ, সুন্দরী মেয়ে, স্তব্ধ মধ্যাহ্ন।
করি না, কিন্তু করিনি।
নাবালাক, নারাজ, নাহক।
না-গোনা পাখি, না-বলা বাণী, না-শোনা কথা।
আজও, আমারও, কালও, তোমারও।
আজই, এখনই।
যুক্তবর্ণ বলতে একাধিক ব্যঞ্জনবর্ণের সমষ্টিকে বোঝানো হয়েছে। বাংলা লিখনপদ্ধতিতে যুক্তবর্ণের একটি বিশেষ স্থান আছে। এগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উপাদান বর্ণগুলোর চেয়ে দেখতে ভিন্ন, ফলে নতুন শিক্ষার্থীর এগুলো লেখা আয়ত্ত করতে সময়ের প্রয়োজন হয়।
যুক্তবর্ণগুলি বাংলা লিখন পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য। যুক্তবর্ণগুলোর উপাদান ব্যঞ্জনবর্ণের নির্দেশিত ধ্বনির সাথে এগুলোর উচ্চারিত ধ্বনির সরাসরি সম্পর্ক না-ও থাকতে পারে। যেমন - পক্ব -এর উচ্চারণ পক্কো; বানানে ব-ফলা থাকলেও উচ্চারণে ব ধ্বনিটি অনুপস্থিত। রুক্ষ-এর উচ্চারণ রুক্খো; বানানের নিয়ম অনুযায়ী ক্ষ যুক্তবর্ণটি ক ও ষ-এর যুক্তরূপ হলেও উচ্চারণ হয় ক্খ। বানান ও ধ্বনির এই অনিয়মও শিক্ষার্থীর জন্য যুক্তবর্ণের সঠিক ব্যবহারে একটি বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
নিচের যুক্তবর্ণের তালিকাটি বাংলা সঠিকভাবে লিখতে সহায়ক হতে পারে। এখানে বাংলায় ব্যবহৃত ২৮৫টি যুক্তবর্ণ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোনো যুক্তবর্ণ সম্ভবত বাংলায় প্রচলিত নয়।
র্য-কে যুক্তবর্ণ ধরা হয়েছে, কেননা এটি র ও য-এর সমষ্টি। অন্যদিকে র্যাব, র্যাম, র্যাঁদা, ইত্যাদিতে উপস্থিত র্য-কে যুক্তবর্ণ হিসেবে ধরা হয়নি, কেননা এটি আসলে র্যা-এর অংশ, আর র্যা হল র ব্যঞ্জনধ্বনি এবং অ্যা স্বরধ্বনির মিলিত রূপ।
পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি প্রকাশিত আকাদেমি বানান অভিধান গ্রন্থে "বাংলা অ-তৎসম শব্দ"-এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, "বাংলা অ-তৎসম শব্দ বলতে, সংস্কৃত তৎসম শব্দের ধ্বনি-পরিবর্তনে জাত অর্ধতৎসম/ভগ্নতৎসম শব্দ, ধারাবাহিক পরিবর্তনে রূপান্তরিত তদ্ভব, অস্ট্রিক বা দ্রাবিড়মূল শব্দ, অজ্ঞাতমূল শব্দ অথবা দেশি অথবা অ-ভারতীয় বিদেশি অথবা ঋণশব্দ ইত্যাদি বিবিধ শব্দশ্রেণিকেই বোঝায়।" এই জাতীয় শব্দগুলির বানান বিষয়ে আকাদেমির নির্দেশিকাটি নিম্নরূপ:
এগুলির মধ্যে উত্তরাধিকার-সূত্রে আগত তদ্ভব শব্দের মূল ধ্বনি, স্বর বা ব্যঞ্জন, উভয়ক্ষেত্রেই পরিবর্তন ঘটে গেছে। সুতরাং এই সব শব্দের বানানে মূলের বর্ণরূপের প্রতি বিশ্বস্ত থাকার বা সারূপ্য রক্ষার প্রশ্নটি অধিকাংশ স্থলে নিছক সংস্কার মাত্র। এই জাতীয় শব্দের বানানকে উচ্চারণের সমীপবর্তী বা অনুকূল করাই বানান-সংস্কারের তথা সমতাবিধানের মূল সূত্র হওয়া উচিত। তবে ব্যতিক্রম ঘটলে সেই সেই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমের স্বতন্ত্র কারণ বা ব্যাখ্যা থাকতে পারে।
হিন্দি ভাষা থেকে আগত বাংলা শব্দগুলি উক্ত প্রকারের ঋণশব্দের অন্তর্গত এবং হিন্দি স্থান ও ব্যক্তিনামগুলিও তাই। সুতরাং এগুলিকে আকাদেমি-প্রদত্ত অতৎসম বানানবিধির অন্তর্গত করা যায়।
পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির নির্দেশিকা অনুযায়ী, অতৎসম শব্দে সর্বত্রই দীর্ঘ ঈ-কারের পরিবর্তে হ্রস ই-কার (উদাহরণ "হিন্দী" বা "দিল্লী" শব্দের পরিবর্তে "হিন্দি" বা "দিল্লি"),, দীর্ঘ ঊ-কারের পরিবর্তে হ্রস উ-কার (উদাহরণ "কপূর" শব্দের পরিবর্তে "কপুর"), এবং "ণ" অক্ষরের পরিবর্তে "ন" (উদাহরণ "হরিয়াণা" নামের পরিবর্তে "হরিয়ানা")। অন্য ভাষা থেকে বাংলা বানানের প্রতিবর্ণীকরণের ক্ষেত্রে "বাংলা-উচ্চারণের কাছাকাছি আনাই বানান-সমতার উদ্দেশ্য"।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article উইকিপিডিয়া:বাংলা বানানের নিয়ম, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.