ইওয়াখিম ল্যোভ (জার্মান: Joachim Löw; জার্মান উচ্চারণ: ) জার্মান জাতীয় ফুটবল দলের ম্যানেজার এবং এবং সাবেক ফুটবল মিডফিল্ডার। এনাকে জার্মানির অন্যতম সফল ম্যানেজার হিসাবে গণ্য করা হয়। ইওয়াখিম ল্যোভ এর হাত ধরেই জার্মানি ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে চারবার ট্রফি ঘরে তোলে। তবে ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপে গ্রুপ স্টেজেই বিদায় ও উয়েফা ইউরো ২০২০ ( কোভিড মহামারীর জন্যে যেটি ২০২১ এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ) তে জঘন্য পারফর্মের জন্যে তিনি জার্মানি জাতীয় দলের ম্যানেজার পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ইওয়াখিম ল্যোভ | ||
জন্ম | ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬০ | ||
জন্ম স্থান | শ্যোনাউ, পশ্চিম জার্মানি | ||
উচ্চতা | ১.৮৩ মি (৬ ফু ০ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | জার্মানি (ম্যানেজার) | ||
জাতীয় দল | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
১৯৭৯–১৯৮০ | জার্মানি | 4 | (0) |
পরিচালিত দল | |||
বছর | দল | ||
১৯৯৪ | এফসি উইন্টারথুর (যুব) | ||
১৯৯৪–১৯৯৫ | এফসি ফ্রাউয়ানফেল্ড | ||
১৯৯৫–১৯৯৬ | স্টুটগার্ট (সহকারী) | ||
১৯৯৬–১৯৯৮ | স্টুটগার্ট | ||
১৯৯৮–১৯৯৯ | ফেনারবাজে এস কে | ||
১৯৯৯–২০০০ | কার্লসরুহা এসসি | ||
২০০১ | আদানাস্পোর | ||
২০০৩–২০০৪ | এফকে অস্ট্রিয়া ভিন | ||
২০০৪–২০০৬ | জার্মানি জাতীয় ফুটবল দল (সহকারী) | ||
২০০৬– ২০২১ | জার্মানি |
১৯৭৮ সালে ল্যোভ এসসি ফ্রাইবুর্গ দলের হয়ে বুন্দেসলিগায় খেলার মাধ্যমে তার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন। ক্লাব ছেড়ে তিনি দুইবার চলে গেলেও এই ক্লাবেই তিনি ফিরে আসেন এবং ক্লাবটির সবচেয়ে বেশি গোলদাতার রেকর্ডটি তারই। ১৯৮০ সালে স্টুটগার্টের হয়ে তিনি বুন্দেসলিগায় খেলেন। কিন্তু এই দলের সাথে খেলায় তিনি অসুবিধা বোধ করেন এবং মাত্র চারটী ম্যাচ খেলেন।
১৯৮১-৮২ মৌসুমে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের হয়ে খেলেন। তবে ১৯৮২-৮৩ সালেই আবার তিনি ফ্রাইবুর্গে ফিরে আসেন। তিনি ৮৪ ম্যাচে আটটি গোল করেন। ১৯৮৩-৮৪ সালে তিনি ১৭টি গোল করেন ৩১টি ম্যাচ খেলে। এরপরে তিনি কার্লসরুহা এসসি-এর হয়ে বুন্দেসলিগায় খেলেন। তবে এ ক্লাবের হয়ে তিনি ২৪টী ম্যাচে মাত্র দুইটি গোল করতে সমর্থ হন। পরবর্তিতে তিনি আবার ফ্রাইবুর্গে ফিরে আসেন এবং ১১৬টি ম্যাচ খেলে ৩৮টি গোল করেন। ল্যোভ তার ক্যারিয়ার সুইজারল্যান্ডে শেষ করেন। এখানে তিনি এফসি শাফহাউসান এবং এফসি উইন্টারথুর-এর হয়ে খেলতেন।
ল্যোভ জার্মান অণুর্ধ ২১ জাতীয় দলের হয়ে চারবার খেলেন।
ল্যোভ এফসি উইন্টারথুর-এর কোচ হিসেবে তার কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। এসময় তিনি এফসি ফ্রয়েনফেল্ড ক্লাবের ফুটবলারও ছিলেন।
১৯৯৫-৯৬ সালে ল্যোভ ভিএফবি স্টুটগার্ট-এর সহকারী কোচ নিযুক্ত হন। তার সাথে প্রধান কোচ হিসেবে ছিলেন রোলফ ফ্রিঙ্গার। ফ্রিঙ্গার পরবর্তিতে সুইজারল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হলে ল্যোভ স্টুটগার্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচ হন। পরে তিনি ক্লাবটির ম্যানেজার নিযুক্ত হন। ক্লাবটির বেশ কয়েকজন ভাল ফুটবলারের কারণে সেসময় একটি সফল মৌসুম পার করে। পরের বছরে ল্যোভের ক্লাব বুন্দেসলিগায় চতুর্থ স্থান অর্জন করে এবং ইউরোপিয়ান কাপ উইনারস কাপের ফাইনালের পৌছায়। তবে তারা ফাইনালে ১-০ গোলে চেলসির কাছে পরাজিত হয়। পরে ইওয়াখিম ল্যোভ জার্মানির জাতীয় দলের ম্যানেজার হন । তিনি জার্মানিকে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করে তোলেন ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article ইওয়াখিম ল্যোভ, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.