ইউরোপের ইতিহাস বলতে প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত ইউরোপে বসবাসকারী জনগোষ্ঠির ইতিহাসকে বোঝায়।
ধ্রুপদী সভ্যতা শুরু হয়েছিল প্রাচীন গ্রীসের নগর রাষ্ট্রের বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে রোম সাম্রাজ্য পুরো ভূমধ্যসাগর কেন্দ্রীক অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করে। ৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে রোম সাম্রাজ্যের পতনের মধ্য দিয়ে মধ্যযুগের সূচনা। ১৪ শতকের শুরুর দিকে জ্ঞানের পুনর্জাগরণ ঘটে এবং এর একটি অংশ প্রচলিত জ্ঞনের শাখা বিজ্ঞান ও ধর্মতত্ত্বের বিরোধীতা শুরু করে। তৎকালীন রেনেসাঁসের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব দেখা যায় আঠারো ও উনিশ শতকের বিভিন্ন ক্ষেত্রে। একই সময়ে প্রোটেস্ট্যান্ট সংস্কার শুরু হয় যার ফলে ইউরোপব্যপী প্রোটেস্ট্যান্ট গীর্জা স্থাপন হওয়া শুরু হয় যার প্রভাব বেশি লক্ষ করা যায় জার্মানি, স্ক্যান্ডিনেভিয়া ও ইংল্যান্ডে। ১৮০০ সালের পর ইউরোপে শিল্প বিপ্লব শুরু হওয়ার পর বিশেষ করে ইংল্যন্ড ও পশ্চিম ইউরোপ সমৃদ্ধ হওয়া শুরু করে। পরাশক্তিগুলো আমেরিকা, আফ্রিকা এবং এশিয়ার কিছু অংশসহ বিভিন্ন স্থানে উপনিবেশ স্থাপন শুরু করে। বিংশ শতাব্দীতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে অনেক মানুষ নিহত হয়। স্নায়ুযুদ্ধ ১৯৪৭ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ইউরোপেকে প্রভাবিত করে। বেশ কয়েক দফা চেষ্টার পর ১৯৫০ সালের পর ইউরোপের অধিকাংশ দেশ মিলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠনের পথে এগিয়ে যায়। বর্তমানে রাশিয়ার পশ্চিমের অধিকাংশ দেশই ন্যাটোর আওতাভূক্ত যার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও অন্তর্ভুক্ত।
This article uses material from the Wikipedia বাংলা article ইউরোপের ইতিহাস, which is released under the Creative Commons Attribution-ShareAlike 3.0 license ("CC BY-SA 3.0"); additional terms may apply (view authors). বিষয়বস্তু সিসি বাই-এসএ ৪.০-এর আওতায় প্রকাশিত যদি না অন্য কিছু নির্ধারিত থাকে। Images, videos and audio are available under their respective licenses.
®Wikipedia is a registered trademark of the Wiki Foundation, Inc. Wiki বাংলা (DUHOCTRUNGQUOC.VN) is an independent company and has no affiliation with Wiki Foundation.