আল-আকসা মসজিদ সংঘর্ষ ২০২২

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, ফিলিস্তিনিদের পুলিশ অফিসারদের দিকে ঢিল ছোড়া থেকে বিরত রাখতে ১৫ এপ্রিল ২০২২ তারিখে ইসরায়েলি বাহিনী কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে আল-আকসা মসজিদে হামলা চালায়। আল-আকসা প্রাঙ্গণ জর্ডানের তত্ত্বাবধানে ও জেরুসালেম ইসলামি ওয়াকফ দ্বারা পরিচালিত। ফিলিস্তিনিরা বিশ্বাস করে যে ইসরায়েল বিভিন্ন উপায়ে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে, উদাহরণস্বরূপ, ইহুদিদের হারাম আল-শরিফে প্রার্থনা করার অনুমতি দিয়ে।

আল-আকসা মসজিদ সংঘর্ষ ২০২২
আরব-ইসরায়েলি সংঘাত-এর অংশ
আল-আকসা মসজিদ সংঘর্ষ ২০২২
আল-আকসা মসজিদ, যেখানে সংঘর্ষ সংঘটিত হয়
তারিখ১৫ এপ্রিল ২০২২
(২ বছর আগে)
অবস্থান
কারণ
  • আল-আকসায় স্থিতাবস্থা নিয়ে ফিলিস্তিনিদের উদ্বেগ
  • ইসরায়েলি পুলিশকে লক্ষ্য করে ফিলিস্তিনিদের ঢিল ছোঁড়া
নাগরিক সংঘাতের দলসমূহ
  • আল-আকসা মসজিদ সংঘর্ষ ২০২২ ইসরায়েল পুলিশ
ক্ষয়ক্ষতি
৩ পুলিশ কর্মকর্তা আহত
    • ২০০+ বেসামরিক ফিলিস্তিনি আহত
    • ৪০০ গ্রেফতার

ইসলামি ওয়াকফ কর্তৃপক্ষের মতে ফজরের নামাজের আগে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরু হয়। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে তাদের পুলিশ ফিলিস্তিনিদের সহিংসতার প্রত্যাশায় ও ভীড়কে ছত্রভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে মজুত করা পাথর ও শিলা জব্দ করার জন্য চেষ্টা করেছিল। ওয়াইনেট নিউজ অনুযায়ী রমজানের সকালের নামাজের পর পশ্চিম প্রাচীরের দিকে পাথর নিক্ষেপ থামানোর জন্য পুলিশ প্রবেশ করে। আল জাজিরা জানিয়েছে যে ইসরায়েলি সৈন্যরাও "আল-আকসা মসজিদের আশেপাশের ভবনের ছাদে উঠেছিল", তারা আঙিনা খালি করে ও প্রাঙ্গণের দিকে যাওয়ার বেশিরভাগ দরজা বন্ধ করে দেয়।

সশস্ত্র পুলিশ অভিযানের সময় প্রায় ১৬০ ফিলিস্তিনি আহত হয়, যার মধ্যে একজন ওয়াকফ প্রহরীর চোখে রাবার বুলেটের গুলি লাগে, এছাড়া তাদের মাঝে ৪ মহিলা, ২৭ জন শিশু ও একজন সাংবাদিক ছিলো। প্রায় ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল; তাদের অধিকাংশই সেদিন পরে মুক্তি পায়। তিন ইসরায়েলি পুলিশ কর্মকর্তাও আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনীর সম্ভাব্য অত্যধিক শক্তি প্রয়োগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল।

পটভূমি

১৪ এপ্রিল আল-জাজিরা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে আরেকটি ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘর্ষের বর্ধিত সম্ভাবনার কথা জানায়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় ইসরায়েল ও পশ্চিম তীরে আরব হামলাকারীদের দ্বারা পনের জন লোক নিহত হয়েছে, অন্যদিকে জাতিসংঘের একটি সংস্থা অনুমান করেছে যে ফেব্রুয়ারি থেকে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করায় ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ৪০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।

ফিলিস্তিনিরা বিশ্বাস করে যে ইসরাইল স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। ইসরায়েল এক দশকের পুরনো বোঝাপড়া ভেঙে দিয়েছে যা ইহুদিদের সেখানে যেতে দেয় কিন্তু সেখানে উপাসনা করতে দেয় না। ঘটনার কিছুদিন আগে রিটার্নিং টু দ্য মাউন্ট নামক একটি ইহুদি চরমপন্থী ধর্মীয় গোষ্ঠী ঘোষণা করেছিল যে তারা ইহুদি ছুটির দিন নিস্তারপর্বের সময় হারাম আল-শরিফে নিস্তারপর্বের কোরবানি পালন করার ইচ্ছা করেছে। ১৪ এপ্রিল এর ছয় সদস্য হারাম আল-শরিফে একটি ছাগল কোরবানি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলো। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর মতে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়েছিল যে ইহুদি চরমপন্থীরা সপ্তাহান্তে আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের পরিকল্পনা করছে।

এক বছর আগে মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাসে জেরুসালেমে উচ্ছেদের বিষয়ে রাতের বিক্ষোভ ও আল-আকসা প্রাঙ্গণে অভিযান, চার দিন পরে ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে ১১ দিনের সংঘর্ষে রূপ নেয়।

ঘটনাবলী

ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা ভোর ৪টার দিকে মসজিদের চারপাশে ফিলিস্তিনিহামাসের পতাকা নিয়ে মিছিল শুরু করে। পুলিশের মতে বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে ওঠে কারণ বিক্ষোভকারীরা পশ্চিম প্রাচীরে ঢিল ছুঁড়ে ও আতশবাজি পোড়ায়, যার জবাবে পুলিশ জনতার বিরুদ্ধে কাঁদানে গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে। বিক্ষোভকারীরা পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর পাথর ছুড়ে হামলা করে, তিনজন আহত হয়। সিংহ তোরণের নিকট সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে।

আল জাজিরা জানিয়েছে যে "বহুসংখ্যক দখলদার সৈন্য আল-আকসা মসজিদের আশেপাশের ভবনগুলোর ছাদে উঠে। তারা আল-আকসা মসজিদের আঙিনা খালি করে ও এটির দিকে যাওয়ার বেশিরভাগ দরজা বন্ধ করে দেয়" ওয়াইনেট ও রয়টার্সের খবর অনুযায়ী "পুলিশ বলছে একটি সহিংস দলকে ছত্রভঙ্গ করতে রমজানের সকালের নামাজের পর বাহিনী প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে যা পবিত্র স্থানে দাঙ্গা শুরু করে এবং পশ্চিম প্রাচীরের নিকটবর্তী ইহুদি প্রার্থনা স্থানের দিকে পাথর নিক্ষেপ শুরু হয়; ৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা সহ ৫৯ জন দাঙ্গাবাজ সামান্য আহত হয়।"

কিছু ফিলিস্তিনি আল-আকসা মসজিদের ভিতরে নিজেদের অবরোধ গড়ে তুলে। এরপর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ কর্মকর্তারা মসজিদে প্রবেশের জন্য এগিয়ে যায় ও কয়েকজনকে আটক করে। পুলিশ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিরা পাথর মজুত করে মসজিদ থেকে ছুড়ে মারছিল। ফিলিস্তিনিরা বলেছে যে পুলিশ বলেছিল যে তারা নামাজ শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত অপেক্ষা করবে, মুয়াজ্জিন আযান ঘোষণা করার পরই ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ভবনে প্রবেশ করে। পুলিশ সদস্যরা লাঠি দিয়ে মসজিদ থেকে মুসল্লিদের সরিয়ে দেয় কারণ সংঘর্ষে ব্যবহৃত স্টান গ্রেনেড ও আতশবাজির কারণে ব্যাপক ধোঁয়া বের হয়ে যায়। ইসরায়েলি পুলিশ সাময়িকভাবে দামেস্ক তোরণ অবরোধ করে এবং নারী, বয়স্ক পুরুষ ও শিশুদের অনুমতি দেওয়ার সময় যুবকদের বাদ দেওয়ার জন্য অন্যান্য প্রবেশপথ সীমাবদ্ধ করে। পুলিশ ছয় ঘণ্টা পরে চলে যায় ও কোনো ঘটনা ছাড়াই মসজিদের কর্মকাণ্ড চলতে থাকে।

প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে যে প্রাথমিকভাবে রাবার বুলেট, স্টান গ্রেনেড ও পুলিশের লাঠির আঘাতে ১৫৮ ফিলিস্তিনি আহত হয়। প্রায় ৪৭০ জনকে ইসরায়েলি বাহিনী আটক করে। জানা গেছে যে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ১৩০ জন বন্দী ছিলো। পঁয়ষট্টি নাবালককে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়ে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ও ২০০ বন্দিকে আইন প্রয়োগকারী দ্বারা জিজ্ঞাসাবাদের পর মুক্ত করা হয়।

পরিণাম

শুক্রবার সন্ধ্যায় উম আল-ফাহমে শত শত আরব ইসরায়েলি ইসরায়েলি অনুপ্রবেশের প্রতিবাদে বিক্ষোভের আয়োজন করে, যার মধ্যে কিছু বিক্ষোভ দাঙ্গায় রূপ নেয়। একই দিনে একজন ফিলিস্তিনি কিশোরী হাইফাতে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে। পরে মেয়েটি স্বীকার করে যে মসজিদে সংঘর্ষের প্রতিক্রিয়ায় সে এটা করেছে। চ্যানেল ১২ ১৬ এপ্রিল প্রতিবেদনে জানায় যে মিশরীয় কর্তৃপক্ষ ফিলিস্তিনি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসকে জবাবে রকেট নিক্ষেপ না করতে রাজি করিয়েছে।

এপ্রিল ১৭-এ আরও সহিংসতা শুরু হয় যখন পুলিশ প্রাঙ্গণের ভিতরে মুসলিমদের বন্দী করে ও যে সমস্ত মুসলিমদের তখনো স্থানটির বাইরে ছিল তাদের প্রবেশাধিকার বর্জন করে। প্রাঙ্গণের চারপাশে ইহুদিদের একটি সশস্ত্র পুলিশ পাহারা হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম প্রাচীরের দিকে যাওয়া তিনটি বাসে পাথর ছুড়ে মারে। তাতে আহত হয় সাত যাত্রী। পুরনো শহরে শাল পরা ইহুদি উপাসকদের ওপর হামলা হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা আবার হারাম আল-শরিদে প্রবেশ করে বলে যে ফিলিস্তিনি জনতা অমুসলিমদের হারাম আল-শরিফে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ও ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা বলেছেন যে ১৭ জন আহত হয়েছেন। বেইথ এলের ইসরায়েলি বসতিতে একটি ছুরিকাঘাতের প্রচেষ্টা নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা ব্যর্থ হয়। ইউনাইটেড আরব লিস্ট (রআম ) ঘোষণা করেছে যে এটি আল-আকসার পরিস্থিতির প্রতিবাদে ইসরায়েল সরকারের জোটের সদস্যপদ সাময়িকভাবে বন্ধ করবে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি ১৮ এপ্রিল পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং “সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন হারাম আল-শরিফ/টেম্পল মাউন্টে ঐতিহাসিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন ও প্রশংসা করেছেন। জেরুসালেমের মুসলিম পবিত্র স্থানগুলোর রক্ষক হিসাবে জর্ডানের হাশেমীয় রাজ্যের বিশেষ ভূমিকার জন্য,” জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সাথে কথা বলার সময় বলেছেন যে ইসরায়েলের “উস্কানিমূলক কাজ” মুসলিমদের পবিত্র মাজারের “আইনি ও ঐতিহাসিক স্থিতিশীলতা” লঙ্ঘন করেছে।

২২ এপ্রিল যেখানে ফিলিস্তিনিরা অবস্থান করেছিল সেখানে একটি প্রবেশপথে পাথর নিক্ষেপ করার পরে ইসরায়েলি পুলিশ পুরো দাঙ্গা গিয়ার পরিহিত অবস্থায় মসজিদে হামলা চালায়। পুলিশের মতে দাঙ্গাকারীরা সকালে কর্মকর্তাদের দিকে ঢিল ছুড়ে ও আতশবাজি চালায় এবং মসজিদে নিজেদের জন্য অবরোধ গড়ে তুলে। ইসরায়েলি পুলিশ ফিলিস্তিনিদের দলে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করতে একটি ড্রোন ব্যবহার করে।

রমজানের শেষ শুক্রবার ২৯ এপ্রিলে ইসরায়েল ও পশ্চিম তীরে কয়েক সপ্তাহের সহিংসতার পরে মসজিদে নতুন সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয় ৪২ ফিলিস্তিনি।

প্রতিক্রিয়া

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ

জেরুসালেম বিষয়ক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মন্ত্রী ফাদি আল-হাদামি ইসরায়েলি বাহিনীর আল-আকসা মসজিদে হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি এই কর্মকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেন ও মুসলিম পবিত্র স্থানগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের পদক্ষেপ বন্ধ করতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

পিএলওর একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হুসেইন আল-শেখ হারাম আল-শরিফকে মুসলিম ও ইহুদিদের মধ্যে বিভক্ত করার কথিত ইসরায়েলি প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন।

আন্তর্জাতিক সংস্থা

মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়কারী টর ওয়েনেসল্যান্ড জেরুসালেম শহর ও আল-আকসা মসজিদে যা ঘটছে তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, "এই পবিত্র দিনগুলোতে জেরুসালেম শহরের অবনতির বিষয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।" জাতিসংঘের ওই কর্মকর্তা আল-হারাম আল-শরিফে অবিলম্বে উস্কানি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।

অন্যান্য দেশ

একটি যৌথ বিবৃতিতে জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালিস্পেন জেরুসালেমের পবিত্র স্থানগুলোর বর্তমান অবস্থানকে সম্মান করার ও এই পবিত্র স্থানগুলোয় জর্ডানের ভূমিকাকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছে এবং "সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম অনুশীলন এবং সহিংসতা ও সব ধরনের উস্কানি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।"

সৌদি আরব ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর আল-আকসা মসজিদে হামলা ও এর তোরণ বন্ধ করে এবং মসজিদের ভিতরে ও এর বাইরের জায়গায় নিরস্ত্র মুসল্লিদের উপর হামলার নিন্দা ও নিন্দা প্রকাশ করেছে। এটি "এই পদ্ধতিগত তীব্রতা আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতার উপর একটি স্পষ্ট আক্রমণ এবং আন্তর্জাতিক প্রস্তাব ও চুক্তির লঙ্ঘন" বলেও বিবেচনা করেছে।

কুয়েত আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর হামলা ও মুসল্লিদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও নিন্দা জানিয়েছে। এটি আরও বিবেচনা করে যে "এই আক্রমণগুলো একটি বিপজ্জনক তীব্রতা ও সমস্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং প্রস্তাবের একটি স্পষ্ট লঙ্ঘন ও সহিংসতাকে উৎসাহিত করার এবং এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে দুর্বল করার একটি কারণ"।

মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র, রাষ্ট্রদূত আহমেদ হাফেজ, "আশীর্বাদকৃত আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি বাহিনীর সহিংসতা ও আল-আকসা মসজিদের প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এই অনুপ্রবেশের পরে কয়েক ডজন মুসল্লি আহত ও গ্রেপ্তারের ফলে যে সহিংসতা হয়েছিল তার নিন্দা করেছেন"। তিনি জোর দিয়েছিলেন, "আত্মসংযমের প্রয়োজনীয়তা ও মুসল্লিদের জন্য পূর্ণ সুরক্ষা প্রদান এবং তাদের আল-আকসা মসজিদে ইসলামি আচার-অনুষ্ঠান পালনের অনুমতি দেওয়া মুসলিমদের জন্য সম্পূর্ণরূপে ইসলামি অধিকার।"

আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। ইরানের বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহের সাথে ফোনালাপের সময় এই ঘটনাটিকে ফিলিস্তিনি জনগণের বীরত্বপূর্ণ ও সাহসী প্রতিরোধের ও ইহুদিবাদীদের হতাশার একটি চিহ্ন বলেছেন। এছাড়াও ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইদ খাতিবজাদেহ ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানকে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন।

বাহরাইন, মরক্কো এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দ্বারাও সংঘর্ষের নিন্দা করা হয়েছিল, যা দুই বছর আগে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিল। ২৪ এপ্রিল জর্ডান, মিশর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতারা জেরুসালেমে শান্তি পুনরুদ্ধারের বিষয়ে আলোচনা করতে মিলিত হন।

আরও দেখুন

  • হারাম আল-শরিফ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Tags:

আল-আকসা মসজিদ সংঘর্ষ ২০২২ পটভূমিআল-আকসা মসজিদ সংঘর্ষ ২০২২ ঘটনাবলীআল-আকসা মসজিদ সংঘর্ষ ২০২২ পরিণামআল-আকসা মসজিদ সংঘর্ষ ২০২২ প্রতিক্রিয়াআল-আকসা মসজিদ সংঘর্ষ ২০২২ আরও দেখুনআল-আকসা মসজিদ সংঘর্ষ ২০২২ তথ্যসূত্রআল-আকসা মসজিদ সংঘর্ষ ২০২২ বহিঃসংযোগআল-আকসা মসজিদ সংঘর্ষ ২০২২আল-আকসা মসজিদকাঁদানে গ্যাসজেরুসালেম ইসলামি ওয়াকফহারাম আল-শরিফ

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলপর্যায় সারণিঈমানময়মনসিংহ জেলামিয়োসিসঅভিষেক চট্টোপাধ্যায়কুরআনভারতীয় সংসদআবু হানিফারাজশাহীইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সউয়ারী-বটেশ্বরবাংলাদেশের মেগা প্রকল্পের তালিকাজোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িবৃত্ততুলসীপ্রিয়তমারমেশ শীলমৃণাল ঠাকুরসার্বিয়াবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ২০২৩ম্যালেরিয়াগল্পগুচ্ছদিল্লি ক্যাপিটালসযাকাতসুন্দরবনমির্জা গালিববাংলাদেশের প্রশাসনিক অঞ্চলসচিব (বাংলাদেশ)চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সরকারি তিতুমীর কলেজহনুমান চালিশাভারতে নির্বাচনবাংলাদেশ ব্যাংকমিজানুর রহমান আজহারীবাংলা ভাষাগায়ত্রী মন্ত্রউপজেলা পরিষদবিরাট কোহলিবাংলাদেশের ব্যাংকসমূহের তালিকাফারাওধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরাশিববাংলাদেশের পেশাজীবী সম্প্রদায়৬৯ (যৌনাসন)জলাতংকসিরাজউদ্দৌলাআবুল কাশেম ফজলুল হকবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধানমুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রবাংলাদেশের ইউনিয়নআয়াতুল কুরসিলালবাগের কেল্লাএ. পি. জে. আবদুল কালামচট্টগ্রামঅসমাপ্ত আত্মজীবনীসমাজবিজ্ঞানআর্দ্রতাবঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়সমাজতন্ত্রধর্মীয় জনসংখ্যার তালিকাফারাজ আকরামসূর্যগ্রহণসাঁওতালঢাকা বিভাগহাদিসবাল্যবিবাহমোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনভাওয়াইয়ারশ্মিকা মন্দানাগুগলআগুনের পরশমণিটেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাবাংলাদেশের অর্থনীতিসুলতান সুলাইমানইবাদাতপ্রকৌশলী দিবসসামাজিক সমস্যা🡆 More