আর্কানজেলস্ক

আর্কানজেলস্ক (রুশ - Архангельск) হল ইউরোপীয় রাশিয়ার উত্তরে অবস্থিত একটি শহর, বন্দর ও আর্কানজেলস্ক ওবলাস্টের প্রশাসনিক সদর। এই শহরের জনসংখ্যা ৩,৪৮,৭৮৩ জন (১৪ অক্টোবর, ২০১০)। শ্বেত সাগরে তার মোহনার অদূরেই উত্তর ভিনা নদীর উভয় তীরে এই শহরের অবস্থান। বর্তমানে নদীর তীর বরাবর প্রায় ৪০ কিলোমিটার (২৫ মাইল) লম্বা অঞ্চল জুড়ে এবং নদীর বিভিন্ন ব-দ্বীপেও ছড়িয়ে থাকা এই শহর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৫৮৪ সালে। তখন অবশ্য তার নাম ছিল নভো-খোলমোগোরি। ষোড়শ শতাব্দীতে এই বন্দর ছিল প্রথম রুশ বন্দর, যার মাধ্যমে রাশিয়ার সাথে ইংলন্ড ও পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য দেশের নৌ-বাণিজ্য চালু হয়। সমগ্র সপ্তদশ শতাব্দী জুড়েই এই বন্দর ছিল রাশিয়ার নৌ-বাণিজ্যের প্রধানতম কেন্দ্র। আজ আর্কানজেলস্ক উত্তর রাশিয়ার অন্যতম শিল্পোন্নত শহর।

Arkhangelsk
Архангельск
City
রাতের আর্কানজেলস্ক
রাতের আর্কানজেলস্ক
Arkhangelsk প্রতীক
প্রতীক
Arkhangelsk অবস্থান
Arkhangelsk অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ৬৪°৩৩′ উত্তর ৪০°৩২′ পূর্ব / ৬৪.৫৫০° উত্তর ৪০.৫৩৩° পূর্ব / 64.550; 40.533
দেশরাশিয়া
ফেডারেল বিষয়Arkhangelsk Oblast
নভো-খোলমোগোরি১৫৮৪
City অবস্থা১৫৮৪
সরকার
 • শাসকCity Council of Deputies
 • প্রধানআইগর গোদজিশ
আয়তন
 • মোট২৯৪.৪২ বর্গকিমি (১১৩.৬৮ বর্গমাইল)
উচ্চতা৩ মিটার (১০ ফুট)
জনসংখ্যা (২০১০ আদমশুমারি)
 • মোট৩,৪৮,৭৮৩
 • আনুমানিক (2018)৩,৪৯,৭৪২ (+০.৩%)
 • ক্রম২০১০ এ ৫০তম
 • জনঘনত্ব১,১৮৫/বর্গকিমি (৩,০৭০/বর্গমাইল)
প্রশাসনিক অবস্থা
 • অধীনস্তcity of oblast significance of Arkhangelsk
 • রাজধানীআর্কানজেলস্ক ওবলাস্ট, city of oblast significance of Arkhangelsk
পৌরসভা অবস্থা
 • শহুরে জেলাআর্কানজেলস্ক আরবান ওকরুগ
 • রাজধানীআর্কানজেলস্ক আরবান ওকরুগ, প্রিমোর্স্কি পৌর জেলা
সময় অঞ্চলমস্কো সময় উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন (ইউটিসি+3)
ডাক কোড১৬৩০০০-১৬৩০৭১
ডায়ালিং কোড+৭ ৮১৮২
City দিনজুনের শেষ রবিবার
যমজ শহরম্যুলুজ, স্লা্পস্ক, আশদোদ, পোর্টল্যান্ড, মেইনউইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
OKTMO আইডি11701000001
ওয়েবসাইটwww.arhcity.ru

রেলপথে এই শহর রাজধানী মস্কো থেকে ভোলোগদা ও ইয়ারোস্লাভ্‌ল হয়ে ১১৩৩ কিলোমিটার। এছাড়া এই শহরে দু'টি বিমানবন্দরও রয়েছে - তালাগি ও ভাস্কোভো।

ইতিহাস

আদি ইতিহাস

অন্তত ১৪ হাজার বছর আগে এই অঞ্চলে মানুষের প্রথম পদার্পণ ঘটে। অন্তত ৮০০ প্রত্নতাত্ত্বিক খননস্থল থেকে পাওয়া তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এ' কথা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে যে সেই সময়ে এই অঞ্চলে নব্যপ্রস্তরযুগের সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল ও আদিম শিকারী ও মৎসজীবীদের উপনিবেশ গড়ে উঠেছিল।

ভাইকিংদের কাছে এই অঞ্চলের পরিচিতি ছিল বিয়ারমালান্ড হিসেবে। এই অঞ্চলের প্রাচীনতম উল্লেখ পাওয়া যায় ৮৯০ খ্রিষ্টাব্দ নাগাদ লিখিত ভাইকিং অভিযাত্রী ওটার ফ্রা হালোগাউলান্ডের অভিযানের বিবরণে। ওয়েসেক্সের অ্যাংলো-স্যাক্সন রাজা আলফ্রেডকে (৮৭১ - ৮৯৯) দেওয়া বিবরণে তিনি শ্বেত সাগরে এসে পড়া একটি বড় নদীর উল্লেখ করেন ও জানান যে সেখানে অনেক বড় বড় বাড়ি আছে। মনে করা হয় এই নদীটি উত্তর ভিনা ও অঞ্চলটিই আজকের আর্কেনজেলস্ক শহর।

ত্রয়োদশ শতাব্দীতে লিখিত নর্স গাথা (Old Norse Saga) হাইমসক্রিংলায় একটি ঘটনা তথা কাহিনীর উল্লেখ পাওয়া যায়, যেখানে বলা হচ্ছে নরওয়ের ভাইকিং রাজপুত্র আইরিক ব্লদক ৯১৮ সালে বিয়ারমালান্ড অভিযানে আসেন। সেখানে অনেক ঘটনা ঘটে। ভিনা নদীর তীরে তাকে একটা বড় যুদ্ধ লড়তে হয়। শেষপর্যন্ত তিনি জয়ী হন। হাইমসক্রিংলায় আরও পাওয়া যায় যে ৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের গ্রীষ্মকালে আইরিক ব্লদকের ছেলে নরওয়ের রাজা হারাল্ড গ্রাউফেলও তার বাহিনী নিয়ে এখানে আসেন, লুটপাট চালান ও ভিনা নদীর তীরে বিয়ারমীয়দের (রুশদের) বিরুদ্ধে একটি বড় যুদ্ধ পরিচালনা করেন। তাতে বহু মানুষ মারা যায় ও প্রচূর ধনসম্পদ তার করায়ত্ত হয়।

১৯৮৯ সালে উত্তর ভিনা নদীর মোহনার কাছে আজকের আর্কানজেলস্ক শহরের একেবারে পাশে একটি বড় গুপ্তধন আবিস্কৃত হয়। ১.৬ কিলোগ্রাম বা ৩.৫ পাউন্ড ওজনের এই গুপ্তধনের বেশিরভাগটাই রুপোর তৈরি মুদ্রা, গহনা বা গহনার টুকরো। এগুলি সম্ভবত দ্বাদশ শতাব্দীর কোনও সময় সেখানে পুঁতে রাখা হয়েছিল। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সেই সময়েই সেগুলি ছিল অন্তত ২০০ বছরের পুরনো। গহনা ও গহনার টুকরোগুলি ছিল মূলত রাশিয়া ও সংলগ্ন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা। কিন্তু মূদ্রাগুলি ছিল বেশিরভাগই জার্মানির বিভিন্ন অঞ্চলের। অবশ্য তার সাথে বোহেমিয়া, হাঙ্গেরি, ডেনমার্ক, সুইডেন, নরওয়ে, ইংলন্ডের, এমনকী কুফারও কিছু কিছু মূদ্রা পাওয়া গেছে। অর্থাৎ, দ্বাদশ শতকের ঐ সময় যে এই অঞ্চলটি আন্তর্জাতিক ব্যবসাবাণিজ্যের একটি বড় কেন্দ্র ছিল, সে' সম্বন্ধে অনেকটাই নিঃসন্দেহ হওয়া চলে। তবে তখন তার নিয়ন্ত্রণ ছিল কোন্‌ জনগোষ্ঠীর হাতে, রুশদের না নরওয়েজীয়দের, তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে এটুকু বলা যেতেই পারে যে সে' সময় এই অঞ্চলে একটি সুপ্রতিষ্ঠিত কৃষিভিত্তিক সমাজের অস্তিত্ব ছিল, যারা ব্যবসাবাণিজ্যেও ছিল যথেষ্টই অগ্রণী।

নভগোরোদীয়দের আবির্ভাব

মোহনা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার ভিতরে নভোলকের কাছে, যেখানে উত্তর ভিনা নদীর ব-দ্বীপ শুরু হচ্ছে, সেখানে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে নভগোরোদীয় সন্ন্যাসীরা সন্ত মাইকেলের নামে একটি মঠ প্রতিষ্ঠা করে। সেই সময় ঐ অঞ্চলে মূলত বাস ছিল কিছু জেলের। নভগোরোদের আর্চবিশপ পবিত্র ইয়োহানেসের লেখাতেও এই মঠের প্রতিষ্ঠার কথা জানতে পারা যায়। এই সময় থেকেই এই অঞ্চলে রুশদের প্রাধান্য স্থাপিত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিতভাবে জানতে পারা যায়।

সেই সময় এই এলাকার মূল বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল বর্তমান আর্কানজেলস্ক শহর থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত খোলমোগরি শহর। পিনেগা নদী এসে যেখানে উত্তর ভিনা নদীতে মিলিত হয়েছে সেখান থেকে ১০ কিলোমিটার ভাঁটিতে অবস্থিত দ্বাদশ শতাব্দীর এই শহরের উল্লেখ পাওয়া যায় বিভিন্ন লেখাপত্রে। কিন্তু এই শহরের আদি অস্তিত্ব প্রমাণের জন্য তেমন কোনও প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান এখনও পর্যন্ত করা হয়নি। তাছাড়া সেই সময় এই শহর রুশদেরই প্রাধান্য ছিল, না প্রাক-রুশ যুগেই তার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, সে' সম্বন্ধেও নির্দিষ্ট তেমন কোনও তথ্য পাওয়া যায় না। যাই হোক, আর্কানজেলস্ক অঞ্চলের তৎকালীন নাম নভখোলমোগরি (এমনকী ষোড়শ শতাব্দীতে শহর প্রতিষ্ঠার সময় পর্যন্ত তার এই নামটিই বজায় ছিল) থেকে বোঝা যায় এই শহরের পূর্বতন অস্তিত্ব ও আঞ্চলিক গুরুত্বর কথা।

রুশ-নরওয়েজীয় দ্বন্দ্ব্ব

আর্কানজেলস্ক অঞ্চলের উপর আধিপত্য নিয়ে রুশ ও নরওয়েজীয়দের মধ্যে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব্ব চলে। দ্বাদশ শতাব্দী থেকে শুরু করে নভগোরোদীয় প্রজাতন্ত্র এই অঞ্চলে প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা শুরু করে। ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যেই নভগোরোদীয় রুশদের এই প্রাধান্য সুদূর উত্তরে কোলা উপদ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। কিন্তু তখনও পর্যন্ত এই অঞ্চলে নরওয়েজীয় কর্তৃত্বও বজায় ছিল। বিশেষ করে এই অঞ্চলে ফার'এর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ তখনও ছিল তাদেরই হাতে। এর থেকে তারা তখন রীতিমতো করও আদায় করত বলে জানা যায়। ১২৫১ খ্রিষ্টাব্দে এই অঞ্চলের আধিপত্য নিয়ে দু' পক্ষের মধ্যে কিছু আপোস রফা হয় বটে, কিন্তু অচিরেই তা ভেঙেও যায়।

১৪১১ খ্রিষ্টাব্দে নভগোরোদের দিক থেকে ইয়াকভ স্তেপানোভিচের নেতৃত্বে উত্তর নরওয়ের বিরুদ্ধে একটি বড় ধরনের অভিযান শুরু হয়। এরপর থেকে রুশ ও নরওয়েজীয়দের মধ্যে প্রায় অর্ধশতাব্দীব্যাপী দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষ চলতে থাকে। ১৪১৯ সালে নরওয়েজীয় নৌবাহিনী প্রায় ৫০০ সৈন্যসহ শ্বেত সাগরে প্রবেশ করে ও উপকূলীয় বিভিন্ন রুশ গ্রামে হামলা ও ব্যাপক লুটতরাজ চালায়। এই মুরমানদের হাতে (নরওয়েজীয়রা সে'সময় এই অঞ্চলে এই নামেই পরিচিত ছিল। আজকের মুরমানস্ক শহর তাদের তখনকার সেই নামেরই স্মৃতি বহন করে বলে মনে করা হয়।) সে' সময় সন্ত মাইকেলের নামে প্রতিষ্ঠিত মঠটিও লুঠ হয়।

শেষপর্যন্ত নভগোরোদ এই দ্বন্দ্ব্বে জয়ী হয় ও নরওয়েজীয়দের এই এলাকা থেকে হটিয়ে দিতে সক্ষম হয়। যাই হোক, ১৪৭৮ খ্রিষ্টাব্দে সমগ্র নভগোরোদের সাথে এই অঞ্চলও রুশ জার তৃতীয় ইভানের অধিকারে আসে এবং তখন থেকেই এই অঞ্চল মস্কোর গ্র্যান্ড ডাচির অন্তর্ভুক্ত হিসেবে পরিগণিত হতে শুরু করে।

বৈদেশিক বাণিজ্য

১৫৫১ খ্রিষ্টাব্দে ইংলন্ডে সেবাস্তিয়ান কোবেত (১৪৯৭ খ্রিষ্টাব্দে নিউফাউন্ডল্যান্ডের আবিষ্কর্তা জিওভানি কোবেতের পুত্র) ও একদল ইংরেজ ব্যবসায়ী একত্রিত হয়ে কোম্পানি অব মার্চেন্ট অ্যাডভেঞ্চারার্স নামক একটি কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে। এদের লক্ষ্য ছিল পর্তুগিজ নিয়ন্ত্রিত জলপথকে এড়িয়ে গিয়ে চীনভারতে পৌঁছানোর নতুন কোনও বাণিজ্যপথ আবিষ্কার করা। এরা ১৫৫৩ খ্রিষ্টাব্দের ১০ মে উত্তরপূর্ব দিকে যাত্রা করে চীনে পৌঁছানোর পথ খুঁজে বের করতে লন্ডন থেকে তিনটি জাহাজ প্রেরণ করে। এদের মধ্যে দু'টি জাহাজ হারিয়ে যায়, কিন্তু একটি শ্বেতসাগরে এসে পৌঁছয় ও শেষপর্যন্ত ২৪ আগস্ট, ১৫৫৩ উত্তর ভিনা নদীর মোহনায় এসে পড়ে। এই জাহাজের ক্যাপ্টেন ছিলেন রিচার্ড চ্যান্সেলর। এরপর ১১৯ কিলোমিটার নদীর উজান বেয়ে তারা উপস্থিত হন তৎকালীন বাণিজ্যনগরী খোলমগোরিতে। এইভাবে নভগোরোদের ব্যবসায়ীদের সাথে ইংরেজদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। রাশিয়ার তৎকালীন জার ইভান দ্য টেরিবল বিষয়টি জানতে পেরে চ্যান্সেলরকে মস্কোয় আমন্ত্রণ জানান। বরফ ও তুষার ভেঙে প্রায় ১০০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে চ্যান্সেলর সেখানে উপস্থিত হলে, সেখানে তাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জোটে ও ১৫৫৫ সালে সরকারিভাবে ইংরেজ বণিকদের জন্য আর্কানজেলস্ক অঞ্চলে বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা ঘোষিত হয়।

প্রশাসনিক ও পৌর অবস্থা

আর্কানজেলস্ক ওবলাস্টের প্রশাসনিক সদর এই শহর। এছাড়া যদিও ভৌগলিকভাবে আর্কানজেলস্ক এই জেলার অন্তর্ভুক্ত নয়, তবুও প্রিমোরস্কি জেলার জেলাসদরও এই শহর। আর্কাওজেলস্ক আরবান ওকরুগ বা আর্কানজেলস্ক পৌরসভা একটি স্বশাসিত পরিষদ। প্রশাসনিক সুবিধার্থে একে নটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে - ইসাকোগোরস্কি, লোমোনোসোভস্কি, মাইমাক্সানস্কি, মাইস্কায়া গোর্কা, ওক্তিয়াব্রস্কি, সেভেরনি, সোলোমবালস্কি, ৎসিগলোমেনস্কি ও ভারাভিনো-ফাকতোরিয়া।

জলবায়ু

আর্কানজেলস্কের অবস্থান শীতপ্রধান নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু অঞ্চলে, শীতপ্রধান জলবায়ু অঞ্চলের একেবারে কাছে। স্বভাবতই এখানে তাই গ্রীষ্মকাল হ্রস্ব ও শীতল, শীতকাল দীর্ঘ ও অতিশীতল। সারা বছরের গড় তাপমাত্রা মাত্র ১ °C। সারাবছরে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ গড়ে ৫৬০ মিলিমিটার। বছরের উষ্ণতম মাস জুন, জুলাইআগস্ট। এইসময়ে তাপমাত্রা মোটামুটি ১২.৯ থেকে ১৫.৮° সেন্টিগ্রেডের মধ্যে থাকে। শীতলতম মাস হল ডিসেম্বর, জানুয়ারিফেব্রুয়ারি। এইসময়ে তাপমাত্রা থাকে -৯.৮ থেকে -১৩.৫° সেন্টিগ্রেড। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয় জুলাই থেকে অক্টোবরের মধ্যে (৬০ থেকে ৬৮ মিলিমিটার); সবচেয়ে কম বৃষ্টি হয় ফেব্রুয়ারি এবং মার্চে (গড়ে ২৮ মিলিমিটার)।

Arkhangelsk-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য
মাস জানু ফেব্রু মার্চ এপ্রিল মে জুন জুলাই আগস্ট সেপ্টে অক্টো নভে ডিসে বছর
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) ৫.০
(৪১.০)
৫.২
(৪১.৪)
১২.১
(৫৩.৮)
২৫.৩
(৭৭.৫)
৩১.৭
(৮৯.১)
৩৩.০
(৯১.৪)
৩৪.৪
(৯৩.৯)
৩৩.৪
(৯২.১)
২৭.৭
(৮১.৯)
১৮.৩
(৬৪.৯)
১০.০
(৫০.০)
৫.৮
(৪২.৪)
৩৪.৪
(৯৩.৯)
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) −৯.২
(১৫.৪)
−৭.৭
(১৮.১)
−১.২
(২৯.৮)
৫.৪
(৪১.৭)
১২.৫
(৫৪.৫)
১৮.৭
(৬৫.৭)
২১.৮
(৭১.২)
১৮.০
(৬৪.৪)
১২.২
(৫৪.০)
৪.৮
(৪০.৬)
−২.৫
(২৭.৫)
−৬.৪
(২০.৫)
৫.৫
(৪১.৯)
দৈনিক গড় °সে (°ফা) −১২.৭
(৯.১)
−১১.৪
(১১.৫)
−৫.৫
(২২.১)
০.৪
(৩২.৭)
৬.৯
(৪৪.৪)
১৩.০
(৫৫.৪)
১৬.৩
(৬১.৩)
১৩.১
(৫৫.৬)
৮.২
(৪৬.৮)
২.৩
(৩৬.১)
−৫.১
(২২.৮)
−৯.৮
(১৪.৪)
১.৩
(৩৪.৩)
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) −১৬.৫
(২.৩)
−১৫.২
(৪.৬)
−৯.৪
(১৫.১)
−৩.৯
(২৫.০)
২.২
(৩৬.০)
৭.৭
(৪৫.৯)
১১.৩
(৫২.৩)
৮.৯
(৪৮.০)
৫.১
(৪১.২)
০.১
(৩২.২)
−৭.৭
(১৮.১)
−১৩.৪
(৭.৯)
−২.৬
(২৭.৩)
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) −৪৫.২
(−৪৯.৪)
−৪১.২
(−৪২.২)
−৩৭.১
(−৩৪.৮)
−২৭.৩
(−১৭.১)
−১৩.৭
(৭.৩)
−৩.৯
(২৫.০)
−০.৫
(৩১.১)
−৪.১
(২৪.৬)
−৭.৫
(১৮.৫)
−২১.১
(−৬.০)
−৩৬.৫
(−৩৩.৭)
−৪৩.২
(−৪৫.৮)
−৪৫.২
(−৪৯.৪)
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) ৩৮
(১.৫)
২৯
(১.১)
৩০
(১.২)
৩০
(১.২)
৪৯
(১.৯)
৬১
(২.৪)
৭৩
(২.৯)
৭০
(২.৮)
৬১
(২.৪)
৬৬
(২.৬)
৫৩
(২.১)
৪৬
(১.৮)
৬০৬
(২৩.৯)
বৃষ্টিবহুল দিনগুলির গড় ১০ ১৭ ১৭ ১৮ ১৯ ২২ ১৯ ১৪৩
তুষারময় দিনগুলির গড় ২৭ ২৬ ২৩ ১৩ ০.০৩ ১৩ ২৫ ২৮ ১৬৩
আপেক্ষিক আদ্রতার গড় (%) ৮৫ ৮৪ ৮০ ৭২ ৬৮ ৬৯ ৭৫ ৮১ ৮৫ ৮৮ ৮৯ ৮৭ ৮০
মাসিক সূর্যালোক ঘণ্টার গড় ১৩ ৫৬ ১১৭ ১৯৩ ২৬২ ২৯৮ ৩০১ ২০৩ ১১৬ ৫৯ ১৯ ১,৬৪৩
উৎস ১: Pogoda.ru.net
উৎস ২: NOAA (sun, 1961–1990)

বহিঃসংযোগ

তথ্যসূত্র

Tags:

আর্কানজেলস্ক ইতিহাসআর্কানজেলস্ক প্রশাসনিক ও পৌর অবস্থাআর্কানজেলস্ক জলবায়ুআর্কানজেলস্ক বহিঃসংযোগআর্কানজেলস্ক তথ্যসূত্রআর্কানজেলস্কইংল্যান্ডউত্তর ভিনাবদ্বীপরাশিয়ারুশ ভাষাশ্বেত সাগর

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

বায়ুদূষণবুর্জ খলিফামুহাম্মাদের বংশধারাবাল্যবিবাহচট্টগ্রাম জেলাইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগবাংলাদেশের জাতীয় পতাকামীর জাফর আলী খানআর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলভোক্তা আচরণতাপস রায়কুষ্টিয়া জেলানয়নতারা (উদ্ভিদ)বিবাহশ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়সাধু ভাষাসিঙ্গাপুরসম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিনাটকসার্বজনীন পেনশনবাংলাদেশের জেলাকালিদাসতানজিন তিশাটেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪বঙ্গবন্ধু-২বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারকবৃন্দমালয়েশিয়াঅপারেশন সার্চলাইটপ্রাকৃতিক সম্পদশেংগেন অঞ্চলঅপটিক্যাল ফাইবারউমাইয়া খিলাফতকৃষ্ণহানিফ সংকেতমেটা প্ল্যাটফর্মসমাইকেল মধুসূদন দত্ত২৫ এপ্রিলশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়মুন্সীগঞ্জ জেলাকলাবৌদ্ধধর্মআয়করলিঙ্গ উত্থান ত্রুটিলাইসিয়ামসুমন কাঞ্জিলালউইলিয়াম শেকসপিয়রআলেকজান্ডার বোযৌতুকহাদিসরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরবাংলাদেশের জনমিতিবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিব্র্যাকএল নিনোঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরপথের পাঁচালী (চলচ্চিত্র)যক্ষ্মাইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিজান্নাতুল ফেরদৌস পিয়াদৈনিক ইত্তেফাকবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলচেন্নাই সুপার কিংসচট্টগ্রাম বিভাগযোনি পিচ্ছিলকারকজনগণমন-অধিনায়ক জয় হেবাঁশবিরাট কোহলিইরানবাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসবাংলাদেশের একাডেমিক গ্রেডিং পদ্ধতিআব্বাসীয় খিলাফতঝড়অরিজিৎ সিংশিশ্ন বর্ধননামমাইটোকন্ড্রিয়াঅমর সিং চমকিলা🡆 More