অনাস্থা প্রস্তাব

অনাস্থা প্রস্তাব (অন্যান্য নাম অনাস্থা ভোট, আস্থা প্রস্তাব, ও আস্থা ভোট) বলতে কোনো সরকার বা ব্যবস্থাপনায় কোনো দায়িত্বশীল পদে থাকা কোনো ব্যক্তি এখনও সেই পদে থাকার যোগ্য কি না, তা নিয়ে এক মন্তব্য বা ভোটকে বোঝায়। এর কারণ, ব্যক্তিটি কিছু ব্যাপারে অযোগ্য, তাঁর কর্তব্য মানতে ব্যর্থ, কিংবা তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেন যে অন্যান্য সদস্যগণ একে ক্ষতিকর বলে মনে করে। এই সংসদীয় প্রস্তাবটি সরকারের প্রধানের সামনে এটা প্রদর্শন করা হয় যে মনোনীত নির্বাহীর এক বা একাধিক সদস্যের উপর নির্বাচিত সংসদের কোনো আস্থা আছে বা নেই। কিছু দেশে কোনো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে করা অনাস্থা প্রস্তাবের ফলে ঐ মন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে হতে পারে। মন্ত্রীটি এক প্রধানমন্ত্রী হলে অনেকক্ষেত্রে অন্যান্য মন্ত্রীদেরকেও ইস্তফা দিতে হতে পারে।

সংসদীয় ব্যবস্থা

ভারত

ভারতীয় প্রজাতন্ত্রে কেবলমাত্র সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভাতেই অনাস্থা প্রস্তাব করা যায় এবং এর জন্য কমপক্ষে ৫০ জন সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন। প্রস্তাবটি কার্যকরী হলে লোকসভা ঐ প্রস্তাবের জন্য বিতর্ক ও ভোট করে। যদি বেশিরভাগ সাংসদ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়, তবে এটি পাস হয় এবং সরকারকে কার্যালয় খালি করতে হয়। চীন-ভারত যুদ্ধের ঠিক পরে আগস্ট ১৯৬৩-এ আচার্য কৃপালিনী লোকসভার সামনে সর্বপ্রথম অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। জুলাই ২০১৯-এর হিসাব অনুযায়ী, ২৭টি অনাস্থা প্রস্তাব লোকসভার সামনে আনা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সবচেয়ে বেশি অনাস্থা প্রস্তাবের সম্মুখীন হয়েছিলেন (১৫)। তার পরে আছেন লাল বাহাদুর শাস্ত্রীপি. ভি. নরসিংহ রাও (প্রত্যেকে ৩), মোরারজি দেশাই (২), এবং জওহরলাল নেহেরু, রাজীব গান্ধী, অটল বিহারী বাজপেয়ী, ও নরেন্দ্র মোদী (প্রত্যেকে ১)। এপ্রিল ১৯৯৯-এ বাজপেয়ী এক ভোটের ব্যবধানে অনাস্থা প্রস্তাবে পরাজিত হয়েছিলেন (২৬৯–২৭০)। অনাস্থা প্রস্তাবের জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশাই ১২ জুলাই ১৯৭৯-এ ইস্তফা দিয়েছিলেন। জুলাই ২০২১-এ লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এক অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন কিন্তু ৩২৫–১২৬ ভোটের জন্য বাতিল হয়েছিল।

দলবদল বিরোধী আইনের জন্য অনাস্থা ভোটের কোনো গুরুত্ব নেই যদি সংখ্যাগুরু দলের কাছে পরম সংখ্যাগরিষ্ঠতা (ইংরেজি: absolute majority) থাকে যেহেতু এটি সরকারের পক্ষে ভোট করানোর জন্য দলের সদস্যদের হুইপ করে। সুতরাং, অনাস্থা প্রস্তাবের দ্বারা কোনো সরকারকে অপসারণ করা অসম্ভব, এবং লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব কার্যত দলে অনাস্থা প্রস্তাবে পরিণত হয়।

বাংলাদেশ

বাংলাদেশের সংবিধানের ৭০ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব রাখার কোন বিধান নেই। যার ফলে সংসদ সদস্যদের তাদের নিজ দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন না এবং বর্তমান সরকারের অপসারণকে অসম্ভাব্য করে তোলে।

আরও দেখুন

  • অভিশংসন

তথ্যসূত্র

Tags:

অনাস্থা প্রস্তাব সংসদীয় ব্যবস্থাঅনাস্থা প্রস্তাব আরও দেখুনঅনাস্থা প্রস্তাব তথ্যসূত্রঅনাস্থা প্রস্তাবনির্বাহী (সরকার)প্রধানমন্ত্রীব্যবস্থাপনাভোটমন্ত্রীসংসদসরকার

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

যোনি পিচ্ছিলকারকরাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামবাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্রফজলুর রহমান খানউত্তম কুমারহুমায়ূন আহমেদলালনপ্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরপলাশবিতর নামাজবাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকানেপোলিয়ন বোনাপার্টক্রিয়াপদদক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থাকোষ নিউক্লিয়াসসার্বজনীন পেনশনক্যান্সারআসমানী কিতাববাংলাদেশের বিভাগসমূহযৌনসঙ্গমরাদারফোর্ড পরমাণু মডেল২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব (এএফসি)ব্যঞ্জনবর্ণআফ্রিকাদেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীমুহাম্মাদের নেতৃত্বে যুদ্ধের তালিকাসরকারসন্ধিব্রাজিলবাস্তুতন্ত্রজয়নগর লোকসভা কেন্দ্রসিলেট বিভাগইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগবিদ্রোহী (কবিতা)টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাবাংলাদেশের পোস্ট কোডের তালিকারবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৮৬১–১৯০১)মিশরহেপাটাইটিস সিসূরা কাহফমহাভারতআর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের ইতিহাসকরউমর ইবনুল খাত্তাব১ (সংখ্যা)মদিনাবিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিমমূলদ সংখ্যাজাতীয় গণহত্যা স্মরণ দিবসইসলাম ও হস্তমৈথুনভারতীয় জনতা পার্টিইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনব্রাহ্মী লিপিসাঁওতালদোয়াকোষ (জীববিজ্ঞান)বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়সিরাজগঞ্জ জেলাসূরা ইয়াসীনবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকুরআনশুক্রাণুসাকিব আল হাসানলিওনেল মেসিবাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদবিও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদঢাকা বিভাগতাজমহলবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীপশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন, ২০২১মহাদেশ অনুযায়ী সার্বভৌম রাষ্ট্র এবং নির্ভরশীল অঞ্চলসমূহের তালিকাজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়দেশ অনুযায়ী ইসলামশবে কদরঈমানফ্রান্স🡆 More