সংবাদপত্র সমাজ: ভারতীয় সংবাদপত্র

সমাজ ভারতের উড়িষ্যার কটক শহর থেকে প্রকাশিত একটি ওডিয়া দৈনিক পত্রিকা। এটি ১৯১৯ সালে শুরু হয়েছিল, এটি ভারতের প্রাচীনতম সংবাদপত্রের মধ্যে একটি। গোপবন্ধু দাস ছিলেন একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এবং সমাজকর্মী, তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামকে সহজতর এবং মৃতপ্রায় ওড়িয়া ভাষাকে পুনরুজ্জীবিত করতে উড়িষ্যার পুরি জেলার সত্যবাদি থেকে একটি সাপ্তাহিক হিসাবে এই সংবাদপত্রটি চালু করেন। তাঁর নেতৃত্বে এবং স্থানীয় লোকের সহায়তায় কাগজটি সর্বাধিক পরিচিতি লাভ করে। ১৯২৮ সালে দাসের মৃত্যুর ঠিক আগে কাগজটি লোক সেবক মণ্ডলের (মুক্তিযোদ্ধা লালা লাজাপাত্রাই প্রতিষ্ঠিত একটি অলাভজনক সংস্থার) হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। লোক সেবক মণ্ডল এখনও কাগজটি চালান।

সমাজ
সংবাদপত্র সমাজ: ইতিহাস, সমাজকর্ম ও পুরস্কার, তথ্যসূত্র
সংবাদপত্র সমাজ: ইতিহাস, সমাজকর্ম ও পুরস্কার, তথ্যসূত্র
ধরনদৈনিক সংবাদপত্র
ফরম্যাটপ্রিন্ট, অনলাইন
মালিকলোক সেবক মণ্ডল
প্রতিষ্ঠাতাগোপবন্ধু দাশ
প্রকাশকনিরঞ্জন রথ
সম্পাদকশ্রী সুসন্ত কুমার মোহন্তী
প্রতিষ্ঠাকাল১৯১৯; ১০৫ বছর আগে (1919)
রাজনৈতিক মতাদর্শস্বাধীন
ভাষাওড়িয়া
সদর দপ্তরকটকে
প্রচলন৩,৫০,০০০
সহোদর সংবাদপত্রsamajalive.in
ওয়েবসাইটthesamaja.com
ফ্রি অনলাইন আর্কাইভsamajaepaper.in

ইতিহাস

সংবাদপত্র সমাজ: ইতিহাস, সমাজকর্ম ও পুরস্কার, তথ্যসূত্র 
সমাজ এর শততম জন্মবার্ষিকীতে ২০১৯ সালে প্রকাশিত একটি স্ট্যাম্প
সংবাদপত্র সমাজ: ইতিহাস, সমাজকর্ম ও পুরস্কার, তথ্যসূত্র 
সমাজের কাররালয়

সমাজের প্রতিষ্ঠাতা গোপবন্ধু দাস ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজ সংস্কারক। তিনি সমাজ সংস্কারের জন্য বৃত্তি হিসাবে সাংবাদিকতা শুরু করেছিলেন। প্রথমে তিনি ‘সত্যবাদী’ নামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। ১৯১৯ সালের ১০ অক্টোবর বিজয়ার দশম বার্ষিকী উপলক্ষে তিনি সমাজ সংবাদপত্র প্রকাশ করা শুরু করেন। সমাজ প্রথমে একটি সাপ্তাহিক সংবাদপত্র হিসাবে প্রকাশিত হত এবং সময়ের সাথে সাথে এটি প্রতিদিন প্রকাশিত হতে শুরু করে। গোপবন্ধু দাস নিজেই এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন। আচার্য হরিহর, পণ্ডিত নীলকণ্ঠ দাস প্রমুখের সহায়তায় গোপবন্ধু দাস তৎকালীন ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে সমাজে লিখেছিলেন এবং এজন্য তাঁকে কারাবরণ করতে হয়। ১৯২৮ সালে গোপবন্ধু দাসের মৃত্যুর আগে এই পত্রিকাটিকে লালা লজপত রায় দ্বারা প্রতিষ্ঠিত লোক সেবাক মণ্ডলের হাতে তুলে দেয়া হয়। সেই থেকে লোক সেবক মন্ডল সমাজ পত্রিকাটি পরিচালনা করছে। ১৯২৮ সালে গোপবন্ধু দাসের মৃত্যুর পরে, সমাজের সম্পাদক হিসেবে পণ্ডিত লিংরাজ মিশ্র নিযুক্ত হন। ১৯৩০-এর দশক থেকে, সমাজ একটি দৈনিক সংবাদপত্র হিসাবে প্রকাশিত হতে শুরু করে। ১৯৫২ সালে, পণ্ডিত লিঙ্গরাজ মিশ্র ওড়িশার শিক্ষামন্ত্রী নিযুক্ত হলে, রাধানাথ রথ সমাজ পত্রিকা পরিচালনার দায়িত্ব নেন। রাধানাথ রথের পরে মনোরমা মহাপাত্র সমাজের সম্পাদক ছিলেন।

সমাজকর্ম ও পুরস্কার

সমাজ ধীরে ধীরে একটি সংবাদপত্র থেকে নিজেকে একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে এটি সমাজ সংস্কার এবং জাতি গঠনে ভূমিকা পালন করেছে। ২০০৭ সালে, গঠনমূলক কাজের জন্য এটি আইএলএনএ-এর সেরা জাতীয়তাবাদী সংবাদপত্র পুরস্কার পায়।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ

Tags:

সংবাদপত্র সমাজ ইতিহাসসংবাদপত্র সমাজ সমাজকর্ম ও পুরস্কারসংবাদপত্র সমাজ তথ্যসূত্রসংবাদপত্র সমাজ বহিঃসংযোগসংবাদপত্র সমাজঅলাভজনক সংগঠনওড়িয়া ভাষাকটকপুরী জেলামুক্তিযোদ্ধালালা লাজপত রায়সমাজকর্ম

🔥 Trending searches on Wiki বাংলা:

দুর্নীতিঢাকা মেট্রোরেলঅমর সিং চমকিলাজান্নাতুল ফেরদৌস পিয়াভারত বিভাজনপদ্মা নদীমুস্তাফিজুর রহমানশাবনূরবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলহার্নিয়াভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসসজনেফরাসি বিপ্লবতুলসীইহুদিঋগ্বেদআলিবাংলাদেশের জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২শেখ মুজিবুর রহমানফজরের নামাজউহুদের যুদ্ধদিল্লি ক্যাপিটালসজনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)পিঁয়াজশিবা শানুবাংলাদেশের পোস্ট কোডের তালিকাঝড়সালোকসংশ্লেষণইসলামে যৌনতাস্ক্যাবিসবাইতুল হিকমাহরাজশাহীবাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকাপারমাণবিক ভরের ভিত্তিতে মৌলসমূহের তালিকাদুবাইসূরা ফালাকজসীম উদ্‌দীনভারতের সাধারণ নির্বাচন, ২০২৪বিভিন্ন দেশের মুদ্রাহোয়াটসঅ্যাপদিল্লিইহুদি গণহত্যাসালমান শাহছয় দফা আন্দোলনশিল্প বিপ্লবআন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসজান্নাতচট্টগ্রাম বিভাগবাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দললোকসভামিয়ানমাররূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রময়মনসিংহ জেলাবনলতা সেন (কবিতা)যৌতুকমেয়েশিয়া ইসলামের ইতিহাসসাঁওতাল বিদ্রোহনোরা ফাতেহিসাজেক উপত্যকাবায়ুদূষণঅণুজীবক্রোমোজোমউমর ইবনুল খাত্তাববাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়মৌলসমূহের ইলেকট্রন বিন্যাস (উপাত্ত পাতা)উপসর্গ (ব্যাকরণ)শনি (দেবতা)নয়নতারা (উদ্ভিদ)সমাজকর্মশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়তেভাগা আন্দোলনআবু হানিফাবাংলাদেশের জাতিগোষ্ঠীসুকুমার রায়লালবাগের কেল্লাশুক্র গ্রহবাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনজিয়াউর রহমান🡆 More